![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আয়নার সামনে বিরক্তি নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম।বাসা থেকে কঠিন আইন জারি হয়েছে।যতবার আমি ঐ ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে যাবো,আমাকে সাজগোজ করে যেতে হবে।অবশ্যই এবং অবশ্যই শাড়ি পড়তে হবে।সালোয়ার কামিজ পরে গেলে চলবেনা।আমার সাজগোজ করতে কখনই খারাপ লাগেনা।আয়নায় নিজেকে পরিপাটি অবস্থায় দেখে আমার ভিতরে একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে।কিন্তু কাউকে ইমপ্রেস করার জন্য সাজগোজ করতে ভাল লাগে না।পরিস্থিতির চাপে পরে আমাকে এখন সেটাই করতে হচ্ছে।
যার সাথে দেখা করার জন্য আমাকে সাজতে হচ্ছে আমি তার বাগদত্তা।ভদ্রলোকের নাম জাবির আদনান।বয়স ৩১ বছর।ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বাবার ব্যবসার হাল ধরেছে।আমি জানি না,যদি বাবার ব্যবসার হালই ধরতে হবে তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কি দরকার ছিল?আমি সেসব বিষয় নিয়ে অবশ্য তেমন মাথা ঘামাচ্ছি না।কারণ বিয়েটা পারিবারিকভাবেই ঠিক হয়েছে।ছেলে সুদর্শন,শিক্ষিত,বাপ-দাদার অনেক টাকা আছে।আমাদের মত নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের জন্য এটাতো রাজকপাল।আমার অবশ্য চেহারা ছাড়া তেমন কোনো গুন নেই।সৃষ্টিকর্তা আমাকে বেজায় রূপবতী করে জগতে পাঠিয়েছেন।এই রূপের কারণেই আমার এত ভাল বিয়ে ঠিক হল।সৃষ্টিকর্তা্র কাছে কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারিনা।
আমি আবার আয়নায় নিজেকে দেখি।এতটা রূপবতীদের সাজগোজের প্রয়োজন পরেনা।তবুও উপরের আদেশ বলে কথা!অমান্য করলে ঘোর বিপদ।আমি খুব সাবধানে চোখে আইলাইনার দেয়া শুরু করি।আইলার দিতে গেলেই আমার হাত কাপে।চোখের চারপাশে কালি ছড়িয়ে যায়।তবে আজ কিভাবে যেন এক টানেই আইলাইনারটা দিয়ে ফেললাম।বেনী খুলে চুলটা ছেড়ে দিলাম।গালে হালকা একটু ব্লাসন ছড়িয়ে দিলাম।লাল-কালো রঙের শাড়িতে আমাকে এখন স্বর্গের অপ্সরীদের চেয়ে কম কিছু লাগছে না।আমার এই চেহারা-সাজসজ্জা দেখে কে বলবে আমার বাবা একটা বেসরকারী অফিসের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী?
সাজগোজ শেষ করে বারান্দা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম কালো রঙের টয়োটা দাঁড়িয়ে আছে।জাবির সাহেব তার সাথে দেখা করার আগে গাড়ি পাঠিয়ে দেন।আমি তাকে বলেছিলাম যে গাড়ি পাঠাতে হবে না,আমি রিক্সায় করেই চলে যেতে পারব।তিনি আমাকে জবাব দিলেন, “সারা জীবন তো রিক্সা আর লোকাল বাসেই চড়েছো।এখন যেহেতু গাড়িতে চড়ার সুযোগ পেয়েছো-এটা মিস কোরোনা।”
লোকটার কথা শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে যায়।কিন্তু ক্ষেপে গেলে চলবেনা।আমাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।বিয়েটা কোনোভাবে যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে মা আমাকে আস্ত রাখবে না।আর মাথা গরম করেই বা লাভ কি?কিছুদিন পরে তো ঐ টয়োটার মালিক আমিই হব।তখন চড়াও যা,এখন চড়াও তাই!
গাড়িতে উঠে বসতেই একটা মিষ্টি ঘ্রান নাকে এসে লাগে।এসির ঠান্ডা বাতাস আর সাথে এয়ারফ্রেশনারের এই মিষ্টি ঘ্রান নাকে লাগতেই আমার ছোটবোন বন্যার কথা মনে পরে গেল।ও ক্লাস সিক্সে পড়ে।প্রথম দিকে জাবির সাহেবের সাথে দেখা করার সময় ওকে একবার সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম।গাড়িতে এসির বাতাস আর সাথে এয়ারফ্রেশনারের ঘ্রান পেয়ে সে যেন স্বর্গীয় অনুভূতি পেয়েছিল।বাড়িতে ফিরে সে সেই গল্পই বারবার এরওর কাছে করেছে।এরপর আমি যখনই জাবির সাহেবের সাথে দেখা করতেই যাই বন্যাও আমার সাথে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু আমার সাথে অনাহুত মানুষের আগমন জাবির সাহেবের ঠিক পছন্দ না।বন্যাকে নিয়ে যাওয়ার পরের বার যখন আমাকে আবার তিনি দেখা করতে বললেন তখন সাথে বলে দিলেন যেন আমি একাই আসি।আমিও একাই গিয়েছি।আমি জানি,ও বাড়ীতে চলে গেলে তারা আর আমাকে এ বাড়ীর সাথে তেমন যোগাযোগ রাখতে দেবেন না।তাই এখন থেকেই আমি মায়া কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জাবির সাহেব যে রেস্টুরেন্টে যেতে বলেছেন সেটা আমাদের বাসা থেকে বেশ দূরে।ঘন্টাখানেক সময় লাগে যেতে।আমি এই সময়টা বেশ উপভোগ করি।গাড়ীর ভিতব ঠান্ডা বাতাসে বসে বসে বাইরের মানুষজন-কোলাহল দেখার অন্যরকম একটা আনন্দ আছে।লোকালবাসে ভীড়ের মধ্যে বসে এটা ঠিক উপভোগ করার যায়না।ব্যাপারটা ঠিক এমন যে আমি আলিশান সোফায় বসে বসে এলসিডি মনিটরের টিভিতে কোনো নাটক উপভোগ করছি।জাবির সাহেব আমাকে সবসময় সন্ধ্যায় দেখা করতে বলেন।শহুরে সন্ধ্যাও যথেষ্ট চমৎকার ।রাস্তার সন্ধ্যাবাতি গুলো জ্বলে উঠেছে।রাস্তার পাশে ফুটপাতে দেখলাম কিছু মেয়ে বসে আছে।অদ্ভুত আচার-আচরণ আর অঙ্গ-ভঙ্গি তাদের।সাথে উৎকট সাজগোজ।ভদ্রসমাজ এদের কলগার্ল বলে ডাকে।টাকার বদলে মানুষকে ইম্প্রেস করতে এদের জুড়ি নেই।
গাড়িটা যায়গা মত চলে এসেছে।আমি রেস্টুরেণ্টের ভিতরে গিয়ে দেখলাম মোমবাতির নিভু-নিভু আলোতে জাবির সাহেব বসে আছেন।লোকটার মুখে কেমন একটা কঠোরতা আছে।প্রতিদিন আমি গিয়ে প্রথমে তার সামনে দাড়াই।তিনি বসতে বলার পর বসি।কিন্তু আজ আমি তার মুখোমুখি চেয়ারটায় গিয়েই ঘুপ করে বসে পড়লাম।
আমার এই বসে পড়ায় জাবির সাহেব কি অবাক হলেন?আমি তার চেহারার দিকে তাকিয়ে তা বোঝার চেষ্টা করলাম।নাহ,তেমন কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা।তিনি এক দৃষ্টিতে আমাকে দেখছেন।সম্ভবত আমার আজকের সাজগোজ খুব বেশী ভাল হয়েছে।
-কেমন আছো বৃষ্টি?
-জ্বি ভালো।আপনি?
-হুম ভালোই!
তিনি আমার দিকে মেনুটা ঠেলে দিলেন।
-কি খাবে অর্ডার দাও।
-আপনি অর্ডার দিন।আপনি যা খাবেন আমিও তাই খাব।
-কেন তুমি অর্ডার দিলে সমস্যা কি?খাবারের নাম উচ্চারণ করতে কি তোমার কষ্ট হয় নাকি?দেখো বৃষ্টি,আমাদের বিয়ে হয়ে গেলে তোমার লাইফ-স্টাইল বেশ বদলে যাবে।নানান পার্টিতে যেতে হবে।আমি চাই তুমি এখনই সেই সবের উপযোগী হও।
আমি জাবির সাহেবের কথায় আজকে তেমন অপমানিত হলাম না।তার সাথে দেখা করতে আসলেই আমাকে এসব কথা শুনতে হয়।আমি ছোটো ঘরের মেয়ে এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে তিনি কখনই দ্বিধা করেন না।
আমি মেনুটা নিয়ে গোটা দশেক আইটেমের অর্ডার দিয়ে বসলাম।
এবার জাবির সাহেব কিছুটা অবাক হলেন।আমি তার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসার চেষ্টা করে বললাম-অবাক হয়েছেন?
-কেন?
-এই যে এক সাথে এত গুলো খাবারের অর্ডার দিয়েছি?
-এতে অবাক হওয়ার কি আছে বলবে?
-নেই?
-নাহ্।একটু মিডেল ক্লাস মেয়েদের স্বভাব হল মানুষ খশানো বুঝলে?তুমি এতদিন খশাওনি তাতেই আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম।
-তাই?আপনি দেখছি মেয়েদের ভালই টেস্ট করে দেখেছেন তাহলে!
-এভাবে কথা বলছো কেন?
-দুঃখিত।কিছু মনে করবেন না।আসলে আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে আপনাকে আমার কোনোভাবেই রাগিয়ে দেয়া চলবেনা।
আমি দেখলাম জাবির সাহেব একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।বেচারা আমার প্রতিদিনের আচরণের সাথে আজকের আচারণ মেলাতে পারছেনা।
আমিও কথা না বলে চামচ দিয়ে প্লেটে আস্তে আস্তে বাড়ি মেরে টুনটুন শব্দ করতে লাগলাম।
-বৃষ্টি তোমার এই অতি অভিনয়ের কারণ কি বলবে?
-দেখুন জাবির সাহেব,আমি আসলে আপনাকে ইম্প্রেস করতে চাচ্ছি।
-ফাজলামী করছো নাকি?
-ফাজলামী মনে হলে ফাজলামী।আর এইটুকু অধিকার তো নিশ্চয়ই আমার আছে।তাই না?
জাবির সাহেব কোনো কথা বললেন না।আমি তাই আবার বলতে শুরু করলাম।
-আসলে জাবির সাহেব,আমি আপনাকে ইম্প্রেস করতে করতে বেশ ক্লান্ত।আমার এখন নিজেকে কলগার্ল মনে হয় বুঝলেন?আপনি নিশ্চয় কলগার্ল চেনেন!
কথা বলতে বলতে দেখলাম ওয়েটাররা খাবার নিয়ে হাজির।খাবার আসতেই আমি নিজের প্লেটে খাবার তুলে খেতে শুরু করলাম।প্রতিদিনের মত আজ আর তার প্লেটে আগে তুলে দিলাম না।
-জাবির সাহেব আজকের এই ঘটনার পর নিশ্চয়ই আপনি আমাকে আর বিয়ে করবেন না।আসলে আমিই আজকে বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে এসেছি।
জাবির সাহেব আমার কথায় বেশ অবাক হলেন।তিনি ভাবতেও পারেন নি আমি বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে পারব।হয়তো তিনি ভেবেছিলেন লাথি-গুতো খেয়ে হলেও আমি তার পা ধরে ঝুলে থাকবো।
বেচারা খুব কাতর কন্ঠে বললেন-এসব কি বলছো বৃষ্টি?
এই প্রথম লোকটার কন্ঠে আমি অনুনয় শুনলাম।
-বিয়েটা আসলে ভেঙ্গে না দিয়ে পারছি না।আমার একটা এ্যাফেয়ার আছে বুঝলেন!ছেলেটা আমাকে বেশ ভালবাসে।আমার লোয়ার মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি নিয়ে তার তেমন মাথা ব্যাথা নেই।অবশ্য সেও আপনার মত তেমন বড়লোক না।আমার কাছে অবশ্য অত বড় লোক ভালোও লাগে না।বড়লোকেরা গরীব ঘরের সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে বোধহয় ট্রফি বানিয়ে শোকেজে সাজিয়ে রাখার জন্য।তাইনা?আমার ওরকম শোপিস হওয়ার ইচ্ছা নেই। আমি নিজের মত সম্মান নিয়ে থাকতে চাই।আপনি আমার রেজাল্ট হয়ত জানেন না।আমি বেশ ট্যালেণ্ট।আপনার মত বড়লোককে বিয়ে না করলেও হয়তো আমার জীবন থেমে থাকবে না।
আমার কথা শুনে জাবির সাহেব কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন।লোকটাকে বেশ দূর্বল করে দিয়েছি।এরকমটা তার আশাতীত ছিল।অনেকক্ষন পর বললেন
-এ্যাফেয়ার থাকার পরও এতদিন দেখা করতে এসেছিলে কেন?
-বাসার চাপে এসেছিলাম।বোঝেনই তো আমার পরিবারটা একটু গরীব।আপনার মত বড়লোক দেখে আমার বাবা-মার মাথা ঠিক ছিল না।আমি জানি এতে আপনার বেশ লস হয়েছে।প্রতিদিন সময় খরচ করে দামী রেস্টুরেন্টে আমার সাথে ডিনার করেছেন।টাকাও খরচ হয়েছে।তবে আমার মত সুন্দরীর সাথে কাটানো সময়টা নিশ্চয়ই আপনার খারাপ কাটেনি।
-তাহলে এটাই তোমার ফাইনাল ডিসিশন?
-জি এটাই ফাইনাল।আপনি দয়া করে বাসায় আজ ফোন করে বিয়ে ভাঙ্গার খবরটা দিয়ে দেবেন।আর একটা কথা,ডান পাশের টেবিলে একটা সাদা শার্ট পরা ভদ্রলোক বসে আছে।ওর নাম আশিক।আমি আজ ওর সাথে পালিয়ে বিয়ে বসব।এটাও পারলে বাসায় জানিয়ে দেবেন।
জাবির সাহেব হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে পারছেন না।আমিও আর সময় নষ্ট না করে উঠে দাড়ালাম।পাশের টেবিলে বসে থাকা আশিকও আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আশিক এই কয়েকটা দিন যথেষ্ট চিন্তায় ছিল।ওকে আর টেনশনে রাখার মানে হয় না।আমি জানি,ও আমাকে কখনও অসুখি করবেনা।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
আসলে একটু টাকা পয়সা হয়ে গেলে হয়ত অনেকের ভিতরেই টাকা দিয়ে সব কিনে ফেলতে পারবে এমন চিন্তা এসে যায়!
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২
আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ!!! খুব ভালো লিখেছেন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!!!!!!!!!!
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: হুম কাহিনী সুবিধার না , সুখের গল্পের মইধ্যে কিয়ের জানি গন্ধ পাই
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মনে হয় ফিয়ারেন লাবলীর গন্দ পাও!!!!!!!!
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
চানাচুর বলেছেন: ব্যাডা তো আস্তা ছুডোলোক
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ বাই,ব্যাডা জম্মের ছুডোলোক!!!!
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
একজন আরমান বলেছেন:
গল্পের নায়িকার মতো সব মেয়েই যদি এইরকম বুঝতো !
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: হুম কাহিনী সুবিধার না , সুখের গল্পের মইধ্যে কিয়ের জানি গন্ধ পাই
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই নিজের ভাল পাগলেও বুঝে।এই সেন্স সবাইরই আছে!!!!!!
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০৮
শাফ্ক্বাত বলেছেন: খুব সাবলীল লেখা। চোখের সামনে পুরো ঘটনা দেখতে পেলাম সুন্দর গল্প। প্লাস
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!!!!!!
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস ||
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধইন্যা ভাই ধইন্যা!!!!!!!!
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
না পারভীন বলেছেন: গল্প পড়ে খুব ভাল লাগল ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!!!!!!!!
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
ডরোথী সুমী বলেছেন: খুব, খুব, খুব ভাল লেগেছে। চমৎকার একটি গল্প।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু!!!!!!!!!!!
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা সত্যিই সুখের, আনন্দের । নিজের মত করে বেঁচে থাকা, নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে কষ্ট ভাগ করে নেয়ার মাঝেও অনেক আনন্দ । অনেক শান্তি ।
হ্যাপি এন্ডিংয়ের গল্পটা মন ছুঁয়ে গেল ।
"আমি আজ ওর সাথে পালিয়ে বিয়ে বসব।"
"পালিয়ে বিয়ে করব" দেয়া উচিত, কারণ বিয়েতে দুজনেরই সমান অংশিদারিত্ব ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাইয়া,একবার "বিয়ে বসব" না লিখে "বিয়ে করব" লেখার ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছিল।কিন্তু আমার কাছে মনে হল "বিয়ে বসব" কথাটায় একটু নির্ভরতা কিংবা আস্থা আছে।তাই এটাই লেখা।
প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!
১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
শীলা শিপা বলেছেন: বিয়ে কি হয়ে গেছে???
ভালো লাগল গল্পটা।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা আপু,অনেক আগেই তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।এতদিনে বোধহয় তাদের নাতি-নাতনীও হয়েছে।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু!!!!
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্প পড়ে খুব ভাল লাগল ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!!!!
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মামুন রশিদের সাথে একমত, 'বিয়ে করব' হওয়া উচিত।
গল্প দারুণ লেগেছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কষ্ট করে পড়া ও গঠনমূলক সমালোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ছোট কিন্ত সুন্দর মার্জিত ছিমাছাম.. নো ফ্যাট
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: রোজার মাস তো তাই মনে হয় ফ্যাটস কম ছিল।
মজা করলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫
একজন আরমান বলেছেন:
উহু। সবাই ভালোবাসা খোঁজে না। নিজের আর নিজের পরিবারের স্বার্থ খোঁজে কিংবা খোঁজে টাকার পেছনে লুকিয়ে থাকা সুখ !!!
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হুম
অস্বীকার করে উপায় নেই!!!!!
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এই ইজ্ঞিনিয়ার বেটার শিক্ষাটা আরো বেশি দরকার ছিল...
ধন্যবাদ একটা নির্মেদ গল্প উপহার দেওয়ায়...
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই ঐ ব্যাটা ছোটলোক বলে তো আর সবার ছোটলোকি সাজেনা।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া!
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৭
বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছে, ভালো লাগল।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!!!!!!
১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো হ্যাপি এন্ডিং।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধইন্যবাদ হুম-বাবা!!!!!
১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: Golpota valo. Kintu lekhar style kothao kothao 1tu cere diyece. Mone hoyece onk tarahura kore lekha. Amr dharona apni golpota arekbar nijei jodi poren besh kicu jaygay onnovabe likhben.
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কথা কিন্তু ভুল বলেন নি।আসলেই বেশ তাড়াহুড়ো করে লিখেছি।আমার পরীক্ষার সময় শুধু ব্লগের প্লট মাথায় আসে।পরে লিখব এই ভেবে রেখে দিলে পরে ভুলে যাই।তাই এটা মাথায় আসতেই লিখে ফেলেছি।
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: Plz mon kharap korbenna. Pathok hisabe ami etuku somalochonar odhikar rakhi. J lekhar quality ny vuleo se lekhay ami comment korte jy na. Kintu man khuje pele comment kori & gothonmulok somalochonao kori. Uddeshsho: notunra aro valo lekhuk.
Ami nije ty bole j valo lekhi ta noy. Ami golpo likhle hoy probondho, kobita likhle hoy sref sadamata poddo.
Jy hok somalochona korte to valo lekhok howar kono shorto ny, ty na?
Valo thakben.
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই,শুরুতেই বলে রাখি আমি মোটেও মন খারাপ করিনি।কারণ,আমি লেখক হিসাবে একদমই নতুন।তাছাড়া আমি এর আগে তেমন গল্প লিখিনি।তাই বলতে পারেন এক প্রকার অপরিপক্ক।এর আগে যা লিখেছি তা আমি অথবা আমার আশে-পাশের মানুষের ঘটনা।তাই আমি নিজেও জানি আমি এখনও পাকা লেখক হইনি।
আমি সবসময়ই চাই,আমার লেখার ভুলগুলো পাঠকেরা ধরিয়ে দিক।এতে ক্ষতি নেই বরং আমারই লাভ!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মত প্রকাশের জন্য।আশা করি ভবিষ্যতেও এমনটা অব্যহত থাকবে।
ভাল থাকবেন!!
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: Plz mon kharap korbenna. Pathok hisabe ami etuku somalochonar odhikar rakhi. J lekhar quality ny vuleo se lekhay ami comment korte jy na. Kintu man khuje pele comment kori & gothonmulok somalochonao kori. Uddeshsho: notunra aro valo lekhuk.
Ami nije ty bole j valo lekhi ta noy. Ami golpo likhle hoy probondho, kobita likhle hoy sref sadamata poddo.
Jy hok somalochona korte to valo lekhok howar kono shorto ny, ty na?
Valo thakben.
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
অনন্যমানুষ বলেছেন: এখন কি অবস্থা? বাসায় মেনে নিয়েছে?
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এরপর আর তাদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়নি ভাই~!~!~!
২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! চমৎকার লেখেন ত আপনি !! বেশ সাবলিল। পড়ার সময় মনেই হয়নি কোন লেখা পড়ছি, মনে হচ্ছিল কোন নাটক বা সিনেমার কোন সিন দেখছি। বেশ বেশ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ওরে বাবা,এতো বিশাল প্রশংসা।কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!!!!
২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আআশিক কে বিয়ে করার পড় মজা বুঝবে যে লাউ সেই কদু।কপালে গরীবি থাকলে যা হয় আর কি? লেখা ভাল হয়েছে।আশিক হালারে পাইলে থাবড়াইয়া সোজ বানাইতকাম।একটা মেয়ের বিয়ে ভেঙে দিল । পোস্টে প্লাস কিন্তু ছেমরির ওপর রাগ কমে নাই ক্কা ।++
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই আশিকরে দোষ দ্যান ক্যা?সে তো মাইয়ারে ভালো পায়।
আর মাইয়ার কিন্তু বুদ্ধি আছে।সে কি শোপিস হইয়া থাকব নাকি?
বাই দা ওয়ে পেলাসের জন্য ধন্যবাদ!
২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ইলিশ, রুই, পাঙ্গাস, রুপচাঁদা এরকম হাজার ধরনের মাছ থাকতে শুটকি মাছ নাম নেয়া লাগে? বাজারে কি নামের অভাব?
জাউগ্গা!! গল্পটা ভাল লাগলো। পড়ে সুখ দু:খ কোন কিছু এখনও টের পাচ্ছিনা তবে অগ্রীম প্লাস দিয়া গেলাম।
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই,এক কালে আমি খুব শুকনা আছিলাম।আমার কিছু দোস্ত আমারে শুটকী মাছ কইয়া ডাকত।ওই জন্য এই নাম দিছি।আপ্নের নামের শানে নজুল কি?আম,জাম,কাডাল,লেচু,কলা,শসা,আপেল,আঙ্গুর বাদ দিয়া বাঙ্গী দেলেন ক্যান?তাও আবার চুক্কা বাংগি ক্যান?
পিলাসের জন্য এত্তগুলা ধইন্যাপাতা!!!!!!
২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
উনমানুষ বলেছেন: বিয়ের আগে হবু বউয়ের কাছে নিজের ছুডলোকি চেহারা এমনে কোন বলদা বেডায়ও প্রকাশ করবে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহা.।.।।।
তা ঠিক বলেছেন।কেউই করবেনা।কিন্তু ভাই আমার মস্তিষ্কটা তেমন উর্বর না।এতে যা তৈরী হয়েছে তাই দিয়ে দিলাম!!!!!!
২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
উনমানুষ বলেছেন: ++
দিতে বুলে গেসিলাম।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!!!!!!!!!!
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
সাখাওয়াত০২ বলেছেন: golpo kubbe valo laglo. engineer jatir 12 ta bajaie dilen . emney amra jatigoto vabe prem kortha pari na aibar to deksi bea korar bou o pabo na.
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কি বলেন ভাই?আমার খুব কাছের একজন তো ১ যুগ প্রেম করেই বিয়ে করে ফেলল!!!!!!!
২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
রায়হান চৌঃ বলেছেন: এতো ভালো কাজটা শেষ পর্যন্ত পালিয়ে ই করলেন......?
না লিখাটা খুব ভালো হয়েছে... আত্নসন্মান বোধ টা খুব বেশি ছিল.... তবে পালিয়ে ভালো করেন নি......
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: পোলাপান মানুষ তো।মাথাটা একটু গরম।আশা করি পালিয়ে বিয়ে করার মত ভুল তারা আর দ্বিতীয়বার করবেনা
৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। বিশেষ করে ডায়লগগুলো বেশ প্রাণবন্ত।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই!
৩১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সুখপাঠ্য গল্প!! ভালো লাগল রে! হামা ভাইয়ের সাথে একমত! ডায়লাগ গুলা বেশ প্রাণবন্ত!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বান্ধবী!!!!!!
৩২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
বোকামানুষ বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লাগলো +++++
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ!!!!!!!!!!!!!!!!
৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভাই, তাই বলে ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে লিখলেন কেন??? সাথে এখনই যুক্ত করেন যে বাপের টাকায় প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়া ইঞ্জিনিয়ার। প্লিজ.... কত কষ্ট করে পাবলিকে পড়তেছি।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আরে আপু,ঐটা তো গাধা ইঞ্জিনিয়ার।আর আপনারা হলেন মানুষ ইঞ্জিনিয়ার।গাধার সাথে মানুষের তুলনা হয় নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৫
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ব্যবসায়ী প্লাস ইঞ্জিনিয়ার সাহেব শেষে একটা কঠিন ধরা খেল। অপরকে ছোট করে দেখা আর অতিরিক্ত টাকার অহংকার যাদের তাদের এমনই ধরা খাওয়া উচিত।