নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এইটা ব্লগ। ম্যা ম্যা করলে লাত্থি দেয়া হয়।

দেশ প্রেমিক শুধু কথায় নয় কাজে হতে চাই।

ওয়ল্ভারিন (জিমি)

ওয়ল্ভারিন (জিমি) › বিস্তারিত পোস্টঃ

''দ্বিতীয় বিপ্লব বাকশালের পটভূমি'' ক্রাচের কর্নেল এ শাহাদুজ্জামান যা দেখাতে চেয়েছেন - ০১

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

(যারা পড়ার সুযোগ পান নি তাদের জন্যে)

ফ্যান দাও



এদিকে দেশের সঙ্কট এসে ঠেকেছে ভাতের থালাতেও। খাবার নেই দেশে। নয় মাসের তেমন ফসল হয়নি কিছুই, বিদেশ থেকে যে খাদ্য কিনবে সে পয়সাও নেই বাংলাদেশের হাতে। স্বাধীনতার পরই বিপুল এক খরা এবং তার ঠিক পর পরই লাগাতার দুটি ভয়াবহ বন্যা। যে সামান্য কিছু উৎপাদন হয়েছে দেশে ভাঙ্গা ব্রীজ রাস্তা ঘাটের কারণে তা বাজারে পৌঁছানোও হয়ে উঠেছে দুস্কর। পাশাপাশি চোরাচালান আর অসাধু ব্যাবসায়ীদের খাদ্য মজুদ করা তো আছেই। সব মিলিয়ে শূন্য হয়ে গেছে দরিদ্র মানুষের ভাতের থালা। মধ্যবিত্ত ভাত ছেড়ে খাওয়া শুরু করেছে রুটি।

কিসিঞ্জার কথা দিয়েছিলেন আমেরিকা খাদ্য পাঠাবে। সে ভরসায় বসে আছেন শেখ মুজিব। হঠাত একদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত খবর পাঠান আমেরিকা কোন খাদ্য পাঠাবে না। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে সরকারের কাঁধে। কি ব্যাপার? তারা জানায় বাংলাদেশ কিছুদিন আগে কিউবার কাছে কিছু চটের ব্যাগ বিক্রি করেছে আর আমেরিকা পিএল ৪৮০ নিয়ম আনুযায়ি যে দেশ সমাজতান্ত্রিক কিউবার সাথে বাণিজ্য করবে সে দেশ কোন খাদ্য সাহায্য পেতে পারবে না।

শেখ মুজিবের কমিউনিস্ট বন্ধু ক্যাস্ট্রোর কাছে দুটো চটের ব্যাগ বিক্রি করার দায়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ কে অভুক্ত রাখার নির্মম সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। আমেরিকার শত্রু ক্যাস্ট্রো, সেই ক্যাস্ট্রোর সাথে ভাব করার কি পরিণতি হতে পারে তা শেখ মুজিবকে হাড়ে হাড়ে শিক্ষা দেয় আমেরিকা।

ভয়াবহ এক দুভিক্ষ দেখা দেয় দেশে। গ্রাম থেকে মানুষ কাতারে কাতারে চলে আস্তে থাকে শহরে। ঢাকা শহর পরিণত হয় কঙ্কালসার মানুষের প্রেতপুরীতে পথে পথে হাজার হাজার অভুক্ত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকার পথে ভিক্ষুকরা কাঁদে ফ্যান দেও। ভাত আর চায়না কেও চায় সামান্য ফ্যান।

দেশের আনাচে কানাচে অসংখ্য লঙ্গরখানায় লাইন দেয় লক্ষ লক্ষ অভুক্ত মানুষ।



সৎ মানুষের লিস্ট



জিনিস পত্রের লাগামহীন দাম, চোরাকারবারী, কালোবাজারী, বেআইনি অস্ত্র, ব্যাংক লুট, ভেজাল, দুর্নীতির বিশাল পাহাড় শেখ মুজিবের সামনে। বিহ্বল শেখ মুজিব ভেবে পান না কি করে এই পাহাড় ডিঙ্গাবেন তিনি। এক বক্তৃতায় তিনি আক্ষেপ

করে বললেন সবাই পায় সোনার খনি, তেলের খনি, আর আমি পাইছি চোরের খনি।

এসময় একদিন দর্শনের অধ্যাপক সাঈদুর রহমান তার সম্পাদিত দর্শন পত্রিকার একটি সৌজন্য কপি নিয়ে যান শেখ মুজিবের কাছে। ১৯৪৫ এ শেখ মুজিব যখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র তখন তাঁর শিক্ষক ছিলেন সাঈদুর রহমান। শিক্ষক এসেছেন ছাত্রের সাথে দেখা করতে, যিনি এখন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। পত্রিকার পাতা উল্টাতে উল্টাতে শেখ মুজিব হঠাত জিজ্ঞেসা করেনঃ স্যার আমাকে লজিকে কত নম্বর দিয়েছিলেন মনে আছে?

সাঈদুর রহমান নীরব থাকেন।

শেখ মুজিবের অফিসে আরো কিছু মানুষ। উপস্থিত সবার সাম্নেই মুজিব বলেনঃ স্যার আমাকে আপনি লিজিকে ২৭ নম্বর দিয়েছিলেন।

সাঈদুর রহমান কিছুটা বিব্রত হয়ে বলেনঃ মুজিব তুমি এখন নম্বরের অনেক উপরে।

শেখ মুজিবঃ দেশের অবস্থা তো দেখছেন স্যার যে লজিকে ২৭ পায় দেশ এর চেয়ে ভালো চালানোর ক্ষমতা তাঁর থাকেনা। তবে স্যার আপনি তো অনেক মানুষ কে চেনেন। দয়া করে আমাকে একটা ১০০ ভালো মানুষের তালিকা করে দিবেন? আমি আবার তাদের নিয়ে চেষ্টা করে দেখি।



সিধা রাস্তা



একটা বিধ্বস্ত নিঃস্ব দেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে আনবার চেষ্টা করছেন শেখ মুজিব। ছুটে গেছেন ধনবান আমেরিকার কাছে। গুঁড় যা মিলেছে তা খেয়েছে পিঁপড়ায়। এরপরে মিলল অপমান। খাদ্যের জাহাজ পাঠিয়েও আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেলো তারা। দেশকে বাঁচাবেন বলে হাত বাড়িয়েছেন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর দিকেও। সার্কাসের খেলোয়াড়ের মত একটা সূক্ষ্ম দড়ির ওপর দুলতে দুলতে এগিয়ে গেছেন তিনি। একবার ডানে একবার বায়ে। সম্বল তাঁর আত্মবিশ্বাস, কারিশমা। কিন্তু আর তাল রাখতে পারছেন না। একদিকে তাকে নেমে পড়তেই হবে এবার।

একটা কোন কঠোর ব্যবস্থার কথা, দেশে একটা মৌলিক পরিবর্তনের কথা শেখ মুজিব তাঁর মন্ত্রী পরিষদের কাছে বলতে থাকেন প্রতিনিয়ত। কঠোরতর কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে তিনি ধারাবাহিক বৈঠক করতে থাকেন দলের নেতৃবৃন্দের সাথে। শেখ মুজিব দলীয় নেতৃবৃন্দকে তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

শেখ মুজিব সিধান্ত নেন আর ডান বাম নয় তিনি দেশে এবার সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সমাজ তন্ত্র হয়ে গেল দালালদের খপ্পরে ক্ষমতা তন্ত্র

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

ওয়ল্ভারিন (জিমি) বলেছেন: ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো সুযোগসন্ধানী লোক গুলোর জন্যেই সকল সমস্যার সৃষ্টি। ওরা কিন্তু এখনো আমাদের মাঝে আছে। থাকবে।
সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু দেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকেই বাকশালের পথে হেঁটেছিলেন।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

তিক্তভাষী বলেছেন: এসব লেখার বিপুল প্রচার হওয়া দরকার। এসবই হচ্ছে আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধুর শাসক হিসেবে অযোগ্যতার আর তাঁর তৎকালীন সহচরদের অসততার চুড়ান্ত সাক্ষ্য! তিনি এমনকি ১০০জন ভালো মানুষও খুঁজে পাননি সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যে!! অথচ এই লোকগুলোই এখন নিজেদের স্বাধীনতার চেতনার একমাত্র ধারক-বাহক দাবী করছে!!!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

ওয়ল্ভারিন (জিমি) বলেছেন: আমার অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল এই লিখাটা টাইপ করে ব্লগে প্রকাশ করব। কারণ ওই উত্তাল দিন গুলো নিয়ে সবাই অনেক বিতর্ক করে ঠিকই কিন্তু সঠিক তথ্য কেউই দিতে পারেনা।
এই ধরনের বইগুলো সহজ লভ্য না তাই অনেকে জানার ইচ্ছা সত্যেও জানতে পারেনা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

ওয়ল্ভারিন (জিমি) বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর শাসক হিসেবে অযোগ্যতার কথাটা মানতে পারলাম না। আপনার কথা দিয়েই বলি ১০০জন ভালো মানুষও খুঁজে পাননি সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যে। তাহলে বলুন এই অবস্থায় কে ভালো শাসক হতে পারবে?

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০৮

স্বাধীকার বলেছেন:
সে সময়ে ঢাকার পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু খবর----------।


বাংলাদেশের ৭০ জন বিশিষ্ঠ সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশের পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান খাদ্যাভাব ও অর্থনৈতিক সঙ্কট অতীতের সর্বাপেক্ষা জরুরী সঙ্কটকেও দ্রুতগতিতে ছাড়াইয়া যাইতেছে এবং ১৯৪৩ সনের সর্বগ্রাসী মনন্তর পর্যায়ে পৌঁছাইয়া গিয়াছে। তাঁহারা সরকারের লঙ্গরখানার পরিবেশকে নির্যাতন কেন্দ্রের পরিবেশের শামিল বলিয়া অভিহিত করিয়া বলেন,“দুর্ভিক্ষ মানুষ দ্বারা সৃষ্ট এবং একটি বিশেষ শ্রেণীর অবাধ লুন্ঠন ও সম্পদ-পাচারের পরিণতি”। তাঁরা বলেন,“খাদ্য ঘাটতি কখনও দুর্ভিক্ষের মূল কারণ হইতে পারে না। সামান্যতম খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রেও শুধু বণ্টন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা যায়। যদি দেশের উৎপাদন ও বণ্টন-ব্যবস্থা নিম্নতম ন্যায়নীতি উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিত,দেশের প্রশাসন,ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সুবিচারকে নিশ্চিত করার সামান্যতম আন্তরিক চেষ্টাও থাকিত তাহা হইলে যুদ্ধের তিন বছর পর এবং দুই হাজার কোটি টাকারও বেশী বৈদেশিক সাহায্যের পর ১৯৭৪ সনের শেষার্ধে আজ বাংলাদেশে অন্ততঃ অনাহারে মৃত্যুর পরিস্থিতি সৃষ্টি হইত না।(ইত্তেফাক,অক্টোবর ১, ১৯৭৪)


--পরবর্তীতে আমরা অমর্ত্য সেনের গবেষণা থেকে জানতে পারি, দুর্ভিক্ষের কারণ খাদ্য সংকট ছিলোনা, ছিলো বন্টন ব্যবস্থার ত্রুটি। অর্থাৎ তৎকালীন আওয়ামী চোর ডাকাতদের সীমাহীন লুটপাট এই অবস্থার সৃষ্টি করেছিলো। সেই চোর ডাকাত এখনো আম্লীগেই আছে, তারাই আবার আমাদের গণতন্ত্র দেশপ্রেম চেতনা-এসব শেখানোর চেষ্টা করে। তাদের অধীনেই নিরপেক্ষ(!) নির্বাচনের কথা বলছে, সেই লুটেরারা বাকশালী কায়দায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়াচ্ছে। এত চোর ডাকাত বেষ্টিত দল শাসক হিসাবে কখনোই সফল হতে পারেনা, পারতে পারেনা। তাদের সেই চুরি ডাকাতির ধারাবাহিকতায় আমরা দেখলাম শেয়ার বাজার লুট হলো, পদ্মাসেতু হারিয়ে গেলো, সোনালী ব্যাংক লুট হলো, কুইকরেন্টালের নামে হরিলুট চলছে। মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ, বিনা ওয়ারেন্টে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করার খড়গ জাতির মাথার উপর-প্রকারন্তরে আমরা সেই বাকশালী বিভিষীকায়ময় অবস্থার দিকেই যাচ্ছি, আমাদের যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। আম্লীগের হাতে গণতন্ত্র ও সুশাসন কোনোদিনই এদেশের মানুষ পাবেনা, পেতে পারেনা। তাদের ক্ষুধার কাছে জনতার জীবনের নুন্যতম মূল্য নেই। নিঃস্ব শেয়ারব্যবসায়ী আত্মহত্যা করে, তারপরও সরকার নির্লজ্জ সাফাই গায় দরবেশ বাবাদের পক্ষে-এরকম একটি মানসিক চিন্তা কখনোই দেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারেনা। বাকশালী তৈরীর প্রেক্ষাপট আম্লীগের তৈরী-যা চিরস্থায়ী ক্ষমতার বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করেছিলো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ওয়ল্ভারিন (জিমি) বলেছেন: ভাইজান আপনে এই লেখা পড়ে ও আপনার উত্থাপিত নিউজ কাটিং পড়ে কি বুঝলেন জানিনা... তবে আপনাকে কেউ বুঝাতে পারবেনা। স্বয়ং আপনিও না।
আসলে কি সবাই সব কিছু বুঝেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.