![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূল খবরের লিংক পাবেন এইখানে।
বঙ্গানুবাদঃ
সাবেক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বিএনপির শাসনামলে শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদ এর মধ্যে একজন ছিলেন না , তিনি দেশের পূর্বপ্রান্তিক অংশ থেকে ভারতবিরোধী কার্যক্রম পূরণকল্পে আইএসআই এর প্রধান ব্যক্তি বিবেচিত ছিলেন।
এই মামলার সাথে জড়িত অনেক গ্রেপ্তারকৃত ও জিজ্ঞাসাবাদ্কৃতদের মতে ২০০৪ সালের আপ্রিল মাসে যে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রামে আনা হয় তা ভারত্বিরোধী এবং পুর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মাধ্য্মে ভারতের অভ্যন্তরে ব্যপক রক্তপাতের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছিলো।
আরো শত শত ষড়যন্ত্রের মধ্যে এটা ছিলো তেমন একটা যাতে শুধু তারেক রহমান নয়, বাংলাদেশ গয়েন্দা সংস্থার তখনকার কিছু উচ্চ্পদস্থ কর্মকর্তা, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া এবং মাফিয়া সম্রাট দাউদ ইব্রাহীম।
বস্তুত তারেক-উলফা-আই এস আই এর এই সিন্ডিকেট এর কথা বাংলাদেশের ই কিছু উচ্চ্পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা যাদেরকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিলো, তাদের বিবৃতির মাধ্যমে সামনে চলে আসে
এন এস আই এর সাবেক মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ আব্দুর রহিম ও সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা ) উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ সি আই ডি ও অন্যান্য সংস্থা কে জানান , তারেক এর সাহায্যে আই এস আই ভারতের আসাম ও অন্যান্য পুর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সন্ত্রাস্বাদী হামলা চালিয়ে ভারতে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টির পরিকল্পনা করে।
সাহাবুদ্দিন আরো জানান তারেক তার নিকট বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন কে নিয়ে ২০০৪ সালের এপ্রিলে দুবাইয়ের হোটেলে একটি মিটিং করে যেখানে ভারত বিরোধী সেই ষড়যন্ত্রের বিশদ পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হয়। গোয়েন্দা সুত্র আরো জানায়, বৈঠকটি আই এস আই এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে পাকিস্তানের কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং দুবাই ভিত্তিক একটি কোম্পানির মালিক ও মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
একটি বাংলাদেশী আদালতে সাহাবুদ্দিনের স্বীকারুক্তি অনুযায়ী, অস্ত্র চোরাচালান পরিকল্পনা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য এনএসআই মহাপরিচালক মোঃ আব্দুর রহিমের বাড়িতে একটি সভায় প্রকাশ করা হয়।
অন্যদের মধ্যে , মিটিংয়ে দুবাই ভিত্তিক কোম্পানীর দুই কর্মকর্তারা উলফা কমান্ডার ইন চিফ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় তত্কালীন পাকিস্তানের হাই কমিশনার মানজার শরীফ ওই সভায় সক্রিয় ভাবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের রাজনৈতিক শাখার মাধ্যমে উত্তর পুর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সব্সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো। মেজর জিয়া বাংলাদেশে ডি জি এফ আই গঠন করেন পাকিস্তানের আই এস আই য়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) আব্দুল জিলানী খান এর মত এবং আই এস আই এর আদলেই। জিলানী ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে জিয়ার কমান্ডার এবং যে ছিলো রাশিয়ান্দের বিরুদ্ধে আই এস আই এর অভিযানে একজন কর্তাব্যাক্তি।
এই ডি জি এফ আই এবং এন এস আই ২০০১ এর শেষ দিক থেকে সক্রিয়ভাবে উলফাকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু যেই বছর বি এন পি জামাত ক্ষমতায় আসে। তখন থেকেই তারেক এবং তার বন্ধু পরেশের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। তারেক শুধু বড়ুয়াকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ব্যবসা শুরু করতেই সাহায্য করেনি, সে পরেশের বাংলাদেশে অবাধে চলাচল ও আই এস আই য়ের কর্মকর্তাদের দেখা সাক্ষাতের ও ব্যবস্থা করে দেয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটাও বিশ্বাস করে তারেক ও সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর পরেশকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাইয়ে দেয় এবং সেই সাথে চীনের ইউনান প্রদেশে কয়েকবার অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের জন্য যাতায়াতের জন্য প্রত্যক্ষ সাহায্য করে।
©somewhere in net ltd.