![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে কিছু কথাঃ
১. বাংলাদেশে প্রাথমিক ভাবে ভ্যাক্সিন অক্সফোর্ডের এস্ট্রাজেনেকা ব্যবহৃত হবে। এই ভ্যাক্সিনের কার্যক্ষমতা এভারেজে ৭০ শতাংশ, যা বয়স ও ইমিউনিটি ভেদে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ হয়। এটি আমদানি হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে।
২.ইন্ডিয়া জুড়ে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে কোভ্যাক্সিন এবং কোভশীল্ড যা উৎপাদন করেছে ভারত বায়োটেক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসমান ইন্ডিয়ায় ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর ৪৪৭ জন এর সাইড ইভেক্ট দেখা দেয়ার ঘটনায় ভ্যাক্সিন হিসেবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথমত আড়াই লাখ মানুষকে ভ্যাক্সিনেট করার পরে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৪৪৭ জনের সাইড ইফেক্টের খবর পাওয়া যায়। আর দ্বিতীয়ত, ভারতের এই সরকারি ভ্যাক্সিন কর্মকান্ডে কোভ্যাক্সিন ব্যবহৃত হয়েছে; অক্সফোর্ডের এস্ট্রাজেনেকা নয়। আবারো বলছি, আমাদের জন্য আমদানীকৃত ভ্যাক্সিনটি সিরাম ইন্সটিটিউটের; ভারত বায়োটেকের নয়। বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। আমাদের কেউ ল্যাবর্যাট বা গিনিপিগ বানাচ্ছে না।
৩. অক্সফোর্ডের এস্ট্রাজেনেকার সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে কিন্তু তা নিতান্তই নগন্য। তবে কারও যদি ভ্যাক্সিনের উপাদান গুলোতে খুব বেশী এলার্জির সমস্যা থাকে, তবে ভ্যাক্সিন নেওয়ার লাগে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো হবে। এছাড়া National Technical Advisory Committee on Covid-19 (NTAC) এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ভ্যাক্সিন গ্রহনের পর আধাঘন্টা সকলকে অবজার্ভেশনে রাখা হবে। কোন ব্যক্তির সাইড ইভেক্ট দেখা গেলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।
৪. কথা হচ্ছে ২৬ তারিখ থেকে এন্ড্রোয়েড অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্টেশন শুরু হবে। ভ্যাক্সিনের কাজ জীবন বাঁচানো। আমাদের শরীরে মাইক্রোচিপ বসিয়ে রোবট বানানো বা আমাদের ধর্মনাশ এই ভ্যাক্সিনের উদ্দেশ্য নয়। এক্সপার্টদের বাদ দিয়ে অন্য কারও কাছ থেকে ভুল তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না। ডাক্তার এবং মেডিকেল পার্সোনেল ছাড়া অন্য কথায় কান দিবেন না। কোভিডের শুরু থেকে আমাদের করোনা এবং কুসংস্কার দুটির সাথেই তাল মিলিয়ে লড়াই করতে হয়েছে। ভ্যাক্সিন বিতরনে সেম সিচুয়েশন হলে আমরা সবাই মিলেই ভুগবো। তাই অযথা ভয় পাবেন না এবং দয়া করে ভয় ছড়াবেন না।
যাইহোক, শুধুমাত্র ভ্যাক্সিনে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের সবাইকে অবশ্যই ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরেও করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়া আসলে আর কোন উপায় নেই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৫
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: সবার জন্য
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোথাও ভ্যাকসিন সবাইকে দেয়া হচ্ছে না।
৫০-৬০ এর নীচে আপাতত কাউকেই দেয়া হচ্ছে না (ফ্রন্টলাইন স্বাস্থকর্মি যারা কোভিড রোগিদের সেবা দিচ্ছে শুধু তারা সবাই পাচ্ছে)
আরো ভাল ভ্যাকসিন আসছে, শতাধিক ভ্যাকসিন লাইনে আছে তবে জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন বেষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।
বছরখানেক পর বোঝা যাবে কার ভ্যাকসিন কম মুল্যে সর্বচ্চ ক্ষমতা ও সহযে পরিবহনযোগ্য সেটাই টিকে যাবে। বাকিগুলো বিলুপ্ত হবে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪১
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: আমি ডিস্ট্রিবিউশন ক্রাইটেরিয়ার কথা বলিনি। আমি ইউসেজের কথা বলেছি।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৪
নতুন বলেছেন: আমি এবং আমার স্ত্রী চায়নার সিনোফ্রাম ভ্যাক্সিন নিয়েছি ২ দিন আগে । কোন সমস্যা হচ্ছেনা।
যদি ভ্যাকসিন হাতের কাছে থাকে তবে সেটা নেওয়া উচিত।
এটাই বর্তমানে সবচেয়ে ভালো সমাধান বিজ্ঞানীরা আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪২
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: দেখা যাক কি হয়!
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভ্যাকসিন সম্পর্কে একটা নেগেটিভ মনোভাব কাজ করছে সবার মনে।এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, সব দেশেই। এই অস্বস্তি দূর করার দ্বায়িত্ব দেশের সরকারের। এই কারনেই উন্নত দেশগুলোতে সর্বপ্রথমে ভ্যাকসিন নিচ্ছে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা , এরপর ফ্রন্টলাইনে থাকা ব্যক্তিরা। আমাদের দেশেও এই প্রক্রিয়া অনুসরন করা হলে , ভ্যাকসিন নেয়ার অনিহা দূর হয়ে যাবে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: সহমত ভাই
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: ভ্যাক্সিন নিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে মানুষ ভীত হয়ে পড়ছে কারনঃ
১. সরকার বলছে এই ভ্যাক্সিন নেয়ার পর শারীরিক সমস্যা হলে সরকার বা তার অংগো সংগোঠনের কেউই দায়ী না।
২. ভ্যাক্সিন নেয়ার পর সারা বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে করনা জনীত সমস্যায়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৯
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: কিন্তু আবারো বলতে হচ্ছে ভ্যাক্সিনে মারা যাওয়ার কনক্রিট তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩১
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভ্যাকসিন নিলে মরতে হবে। তাই নিবো না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩০
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: নিবেন বা না নিবেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তবে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ হইলো।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সবার জন্য
আমার তো করোনা হয়নি। আমি কেন ভ্যাকসিন নেবো?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: করোনার বিরুদ্ধে ইমিউনিটি বিল্ড আপের জন্য
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩
নতুন বলেছেন: অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার সবাই নিজে নিয়ে বাকিদের বলতে হবে আপনিও নিন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২
মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার বলেছেন: আমি নিচ্ছি। কোভিডের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করেছি । তাই প্রায়রিটি লিস্টে থাকায় ভ্যাক্সিন প্রাপ্তির দ্রুত সুযোগ হতে পারে। হাত ছাড়া করবো না সুযোগ পেলে।
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪২
কল্পদ্রুম বলেছেন: এনাফাইলেকটিক রিয়্যাকশনসহ অন্যান্য সাইড ইফেক্টগুলোর সম্ভাবনা যে কোন ভ্যাক্সিনেই থাকে। করোনার ভ্যাক্সিন নিয়ে অনেক আলোচনা বেশি হচ্ছে বলে এটা নিয়ে আলাদা ভীতি তৈরি হচ্ছে। সুযোগ পেলে ভ্যাক্সিন সবারই নেওয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই ভ্যাকসিন কাদের জন্য?
যাদের করোনা হয়েছে, তাদের জন্য?
না সবার জন্য?