![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে "ডায়েট কাউন্সেলিং"এর concept ধীরে ধীরে পরিচিতি পাচ্ছে।তবে ডায়েটিশিয়ানের ভূমিকা এখনও সবাই ঠিক মত বুঝতে পারছেন না। আমাদের দেশে সাধারনত কোন রোগের লক্ষণ নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে,ডাক্তার সাহেব রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি কি খাবেন আর কি খাবেন না সে ব্যাপারে একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা দিয়ে দেন।তাই এখনও খাবার ও পুষ্টি নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেকেই প্রথমে জিজ্ঞেস করেন 'আপনি কি ডাক্তার?' এমন কি সামুতেও অনেক ব্লগার আমাকে এই প্রশ্ন করেছেন! :#>
বাহিরের দেশগুলোতে একটি হাসপাতালে তিনটি পদ অবশ্যই থাকে - ডাক্তার, ডায়েটিশিয়ান ও নার্স।এছাড়া তাদের প্রত্যেকটি এলাকার জন্য একজন ডায়েটিশিয়ান নির্দিষ্ট থাকে। আমাদের মত গরীব দেশে আলাদা ভাবে ডায়েটিশিয়ানে কাছে যাওয়াটাকে বিলাশীতা মনে হলেও এর প্রয়োজনীয়তাকে কিন্তু অস্বীকার করা যায় না। আমাদের সরকারী হাসপাতালে কোন "ডায়েটিশিয়ান" পদ নেই।তবে দেশের বড় ও ব্যযবহুল বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে ডায়েটিশিয়ান আছে ।
কেন যাবেন ডায়েটিশিয়ানের কাছে:
১.প্রত্যেক age group এ মানুষের খাবার চাহিদা ভিন্ন হয়। একটি পরিবারে বিভিন্ন বয়সি মানুষ থাকে। সবার চাহিদা ও খাবার ধরন তো আর এক না!এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিয়ে একজন ডায়েটিশিয়ান আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
২.রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারেন। জেনটিক রোগগুলো সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তবে রোগ আক্রান্ত হওয়ার সময়কাল পিছানো সম্ভব।যেমন কারো ডায়াবেটিকসের পারিবারিক ইতিহাস আছে,এমতাবস্থায় ৪০ বছরের পর তার ডায়াবেটিকস হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। কিন্তু সে যদি খাবারে ব্যপারে সব সময় সচেতন থাকে তবে তার ডায়াবেটিকস ৬০/৬৫'র পর দেখা দিতে পারে।অর্থাৎ প্রায় ২০ বছর রোগমুক্ত থাকা গেল!
৩.আবার রোগ যদি হয়েই যায়,তবে কি খাবেন আর কি খাবেন না সে তথ্যের পাশাপাশি আপনার রোগ অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যানও পাবেন। এতে রোগ নিরাময় সহজ হয়। আর জেনেটিক রোগ গুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব হয়।
৪.আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমরা অনেকটা পারিবারিক ভাবে ইনহেরিট করি।সেখানে যদি কোন ভূল অভ্যাস থাকে সেটা সহজে বুঝতে পারি না বা পারলে ও তা ত্যাগ করা কঠিন হয়।এক্ষেত্রে ডায়েট কাউন্সেলিং জোরালো ভুমিকা রাখতে পারে।
৫.খাদ্য ও পুষ্টি সর্ম্পকিত কোন তথ্য গুলো সঠিক আর কোন গুলো মিথ তা জানা যায়।
৬.অনেক ডায়েটিশিয়ান স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন রেসেপি দিয়ে ক্লায়েন্টকে সাহায্য করে থাকেন।
৭.বিভিন্ন খাবারের ক্যালরি ও অন্যান্য পুষ্টি মূল্য সর্ম্পকে ধারনা দেন।
কখন যাবেন ডায়াটিশিয়ানের কাছে:
১.যে কোন রোগে ডাক্তারের পাশাপাশি অবশ্যই একজন ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নিবেন।
২.বাড়ির ছোট শিশু যার ছয় মাস বয়স হতে যাচ্ছে তার জন্য প্রথম খাবার কি হবে এবং কি কি খাবার কি পরিমানে দিতে হবে , খাবার দেয়ার নিয়ম কি ইত্যাদি বিষয় জেনে নিন।
৩.আপনার বাড়িতে কিশোর বয়সে পরবে এমন ছেলে বা মেয়ে থাকলে তাদের নিয়ে যান ডায়েট কাউন্সেলিং এর জন্য। এ বয়সে পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই বদলে যায়।কিশোরীদের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেয়া উচিত।
৪.গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের জন্য ডায়েট কাউন্সেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সম্পূর্ণ গর্ভকালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম দুইভাগের চেয়ে শেষ ভাগের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই ভিন্ন হয়। আবার বাচ্চাকে দুগ্ধদানকালে মায়ের খাবার চাহিদা একদমই বদলে যায়।তাই এ সময়গূলোতে একজন ডায়াটিশিয়ানের অধিনে থাকলে মা ও শিশু উভয়েই লাভবান হয়।
৫.যেসব দম্পতি বিশেষ করে যারা প্রথম সন্তানের জন্য ট্রাই করছেন তাদের উচিত স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ডায়াটিশিয়ানের সাথে আলাপ করা। এতে হবু মা গর্ভ ধারনের আগেই পুষ্টির অভাব গুলো মিটিয়ে নিতে পারবেন এবং তার গর্ভকালও থাকবে জটিলতা মুক্ত।
৬.over weight/obesity কে কেউ রোগ হিসেবে বিবেচনা করতে চায় না, কিন্তু এটা একটা রোগ এবং এটা অন্যান্য রোগের জন্য দায়ী।অন্যদিকে under weight পুষ্টিহীনতার কারনেই হয়ে থাকে। ইন্টারনেটে কল্যানে ওজন বাড়ানো বা কমানোর হাজারো টিপ্স এখন সবার হাতের নাগালে। Crash diet, GM diet, FAD diet এমনই আরও অনেক কৌশল অনেকেই নিজে নিজে ট্রাই করেন ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক গুলো কি কখনও ভেবে দেখেন!অথচ ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে সহজেই তিনি পুস্টিকর সুষম খাবার খেয়েও ওজন কমানো নিয়ম জানতে পারবেন।একই ভাবে ওজন বাড়ানের জন্যও খাবার তালিকার পাশাপাশি মেন্টাল কাউন্সেলিং
করেন একজন ডায়েটিশিয়ান।
Individual counseling গুরুত্ব:
১.একটি সঠিক খাবার তালিকা তৈরীর জন্য ব্যক্তির অনেক তথ্য দরকার হয়।যেমন - বয়স, বর্তমান ওজন, উচ্চতা, ১ /৩/৭ দিন ২৪ ঘন্টা কি কি খাবার খেয়েছে,কোন রোগ আছে কিনা, কি কি রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে,কোন খাবারে এলার্জি আছে কিনা, কি কি খাবার পছন্দ, কোন গুলো অপছন্দ,আর্থ-সামাজিক অবস্থা এসনই আরও অনেক কিছু যা Individual counseling ছাড়া সম্ভব নয় যদি আপনি customized diet plan পেতে চান।
২.ক্লায়েন্টকে মনিটরিংএর সুযোগ হয়।অর্থাৎ যা যা বলা হল তা ঠিক মত তিনি পালন করছেন কিনা বা পালন করতে পারছেন কিনা।
৩.খাবারের ধরন, মাপ বিভিন্ন ডেমোস্ট্রশন দিয়ে সহজে বুঝিয়ে দিতে পারেন।
৪.ক্লায়েন্টকে খাবার ও পুষ্টি সর্ম্পকিত তথ্য দিয়ে এডুকেটেড করা যায়। যেন তিনি পরবর্তীতে নিজেই বুঝতে পারেন কোনটি গ্রহন করা ঠিক আর কোনটি নয়।
ঢাকায় বেশ কিছু জায়গায় "ডায়েট কাউন্সেলিং" সেবা দেয়া হচ্ছে।স্থানভদে এ ধরনের সেবার মূল্য ৬০০-২০০০ টাকা/শেসন (আনুমানিক)
ছবিসূত্র: ইন্টারনেট
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৭
ডোরা রহমান বলেছেন: এ ধরনের কথা অনেক শুনেছি!!!!
কিন্তু এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসুন।
কম দামী খাবার খেয়েও পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব।আর এ ব্যপারে জানতে পারবেন ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকেই...!!!
তবে বলতে পারেন যে সরকারী হাসপাতাল গুলোয় ডায়েট কাউন্সেলিং সুবিধা থাকলে নাম মাত্র মূল্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারতেন।
ধন্যবাদ
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
ভজঘট বলেছেন: জেবনেও যাইয়াম্না।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
ডোরা রহমান বলেছেন: আপনার ইচ্ছা......
ভাল থাকুন....
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
আইজউদদীন বলেছেন: কই যামু ঠিকানা দিলে ভালা হয় :#> :#> আর আপনেরে ধইন্যা
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০২
ডোরা রহমান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
1.এপোল ,স্কায়ার হসপিটালে ডায়েটিশিয়ান আছে। তবে তারা শুধু ডায়েট কাউন্সেলিং করেন কিনা জানা নেই।
2.শমরিতা হাসপাতালে এ ধরনের সেবা আছে।
3.নিচের সেন্টারটি Individual counseling করে-
Diet Counseling Centre
52, New Eskaton, TMC Building 5th floor
Dhaka 1000
Phone : 8362057, Mobile : 01912013696
তাদের ওয়েব সাইট দেখতে পারেন-http://www.dietcounselingcentre.com
4.VLCC (Bangladesh) Pvt.Ltd.
R M CENTRE | 4th floor | House # 101 | Gulshan Avenue | Gulshan-2 | Dhaka- 1212, Dhaka, Bangladesh
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯
লালগোলাপ বলেছেন: ধন্যবাদ এ ধরনের সচেতন মুলক পোষ্ট দেবার জন্য। ঠিকানা পেলে আমার মা্য়ের জন্য উপকার হতো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৭
ডোরা রহমান বলেছেন: আমার জানা কিছু ঠিকানা দিলাম.........
1.এপোল ,স্কায়ার হসপিটালে ডায়েটিশিয়ান আছে। তবে তারা শুধু ডায়েট কাউন্সেলিং করেন কিনা জানা নেই।
2.শমরিতা হাসপাতালে এ ধরনের সেবা আছে।
3.নিচের সেন্টারটি Individual counseling করে-
Diet Counseling Centre
52, New Eskaton, TMC Building 5th floor
Dhaka 1000
Phone : 8362057, Mobile : 01912013696
তাদের ওয়েব সাইট দেখতে পারেন-http://www.dietcounselingcentre.com
4.VLCC (Bangladesh) Pvt.Ltd.
R M CENTRE | 4th floor | House # 101 | Gulshan Avenue | Gulshan-2 | Dhaka- 1212, Dhaka, Bangladesh
আপনার মায়ের জন্য শুভ কামনা রইল।
ভাল থাকুন।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬
মুনতাশীর বলেছেন: গুড পোস্ট। +
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৭
ডোরা রহমান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৩
ঘুির্নঝড় বলেছেন: Is the Dietician and Nutritionist same post?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
ডোরা রহমান বলেছেন: Dietitian হল -পথ্য বিশারদ আর Nutritionist হল পুষ্টি বিশারদ। পুষ্টির একটা অংশ হল পথ্য।
Dietitian এর চেয়ে Nutritionistএর কাজের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হয়।যেমন -কেউ পুষ্টি নিয়ে গবেষণা করলে তাকে Nutritionist বলা যায়। আবার Nutritionist ডায়েট নিয়েও কাজ করতে পারেন।
Dietitian মূলত ডায়েট রিলেটেড সব কাজই করেন।
তবে পদ হিসেবে বিবেচনা করলে কাজ কি হবে তা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে।
আমাদের দেশের হেল্থ রিলেটেড প্রতিষ্ঠানে Nutritionist পদে যারা আছেন তারা মুলত ডায়েট নিয়েই কাজ করে থাকেন।
Dietitian শব্দটি অনেকেই বোঝেন না, কিন্তু Nutritionist বললে সবাই বুঝতে পারে।এটাও একটা কারণ পদের নাম Nutritionist রাখার।
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
কলম.বিডি বলেছেন: আমার বিয়ের পর থেকেই ডায়েটিশিয়ানের তত্ত্বাবধানে আছি। বাচ্চার বয়স এখন ২ বছর ৩ মাস। ৬ মাস পরপর যাই। মানুষ এতো উলটাপালটা উপদেশ দেয়, সবার কথা শুনে বাচ্চাকে খেতে দিলে এদ্দিনে কী হোত কে জানে? আমার ডায়েটিশিয়ান আমাকে শুধু খাবারের লিস্ট ধরিয়ে দেন না, কোনটা কেন দিয়েছেন আর সম্ভাব্য বিকল্পগুলাও লিখে দেন। গ্রামে গিয়েও আমি ওর আর আমার ডেইলী ক্যালরী ঠিক রাখতে পারি। আপনাকে ধন্যবাদ। যারা যায়নি, তারা আসলে বিষয়টা বুঝবে না
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৩
ডোরা রহমান বলেছেন: আপনার সচেতনতা প্রশংসা করার মত।
অনেকের কাছেই আমাদের এই গরীব দেশে ডায়েট কাউন্সেলিং বিলাশীতা মনে হয়।কিন্তু আসল কথা হল গরীব দেশ দেখেই ডায়েট কাউন্সেলিং বেশী দরকার যেন কম দামে এবং হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩২
অডি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০
ডোরা রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
৯| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩৬
অগ্নির বলেছেন: আপু আপনার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করা যাবে ? আমি অতি আলসে টাইপের মেয়ে কিছু পরামর্শ খুব প্রয়োজন ।
০১ লা মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:২২
ডোরা রহমান বলেছেন: আমার ই-মেইল এড্রেস [email protected]. চেষ্টা করব সাহায্য করতে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৮
গিড়ীবাজ বলেছেন: ঠিক্মত প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খাই-আবার ডায়েটিশিয়ানের কাছে যাওয়া!