![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার উপর থেকে ব্যান না তুললে আমি কাইন্দা দিমু ।।।
যুক্তরাজ্যের রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড কী কারণে ইতিহাসে সর্বাধিক পরিচিত? তালাকপ্রাপ্ত আমেরিকান নারী উইলিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য সিংহাসন পরিত্যাগ করা? হয়তো তা-ই। তবে এটাই কি তাঁর প্রথম সম্পর্ক, যার কারণে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র হুমকিতে পড়েছিল? আসলে তা নয়।
নতুন একটি বই লিখেছেন ব্রিটিশ আইনজীবী ও সাবেক বিচারক অ্যান্ড্রু রোজ। বইটিতে এডওয়ার্ডের এমন একটি প্রণয়কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যা এত দিন অজানাই ছিল। সিংহাসন ত্যাগেরও ২০ বছর আগে (এডওয়ার্ড ১৯৩৬ সালে সিংহাসন ত্যাগ করেন। তিনি এক বছরের কম সময় রাজা ছিলেন) এডওয়ার্ড ফরাসি এক বাইজির সঙ্গে ওই সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। সেই বাইজির নাম ম্যাগি মিলার।
বইটির নাম দ্য প্রিন্স, দ্য প্রিন্সেস, অ্যান্ড দ্য পারফেক্ট মার্ডার। বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে তৎকালীন ওয়েলসের প্রিন্স এডওয়ার্ডের প্রথম ভালোবাসা মিলার কীভাবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে তাঁকে (এডওয়ার্ডকে) ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন। দ্বিতীয় স্বামী মিসরের প্রিন্স ফাহমি বেইকে হত্যার ঘটনায় মিলারের ভাগ্য ওই পরিণতির দিকে এগোচ্ছিল।
ঘটনাটি ১৯২৩ সালের। লন্ডনের স্যভয় হোটেলে ফাহমিকে গুলি করে হত্যা করেন মিলার। একই বছর তাঁর বিরুদ্ধে লন্ডনের ওল্ড বেইলিতে বিচার শুরু হয়। তবে মিলারের বিরুদ্ধে অসংখ্য তথ্য-প্রমাণ জড়ো করা হলেও বিচারে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ফ্রান্সে ফিরে গিয়ে বাকি জীবন সেখানেই কাটান। ১৯৭১ সালে তিনি মারা যান।
বইটির লেখক রোজ জানাচ্ছেন, ওই বেকসুর খালাস ছিল একটা দুঃখজনক ঘটনা। তবে তাঁর গবেষণা এখন ওই হত্যাকাণ্ডের বিচারকে কেন্দ্র করে একটা অসাধারণ ঘটনা প্রকাশ করেছে। মূলত, ভবিষ্যৎ রাজার যশ রক্ষার স্বার্থেই তখন রাজপরিবারের পক্ষ থেকে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
রোজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ওই বিচারের ছয় বছর আগে ব্রিটিশ প্রিন্স এডওয়ার্ডের সঙ্গে মিলারের সম্পর্ক ছিল। মিলার কেলেঙ্কারির দায় থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে ওই সম্পর্কের প্রমাণকে ব্যবহার করেছিলেন। রোজ বলেন, ‘ওই হত্যাকাণ্ড এবং প্রিন্স অব ওয়েলসের মধ্যে যোগসূত্র যাতে আর কখনোই সামনে না আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে এ সম্পর্ক অত্যন্ত সতর্কভাবে ইতিহাস থেকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যৎ রাজার যশ রক্ষার স্বার্থে রাজপরিবার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যাতে করে প্রিন্সের নাম ওই মামলার বিচারে না উঠে আসে। এটা বিস্ময়কর যে, তিনি (মিলার) এটার সুযোগ নিয়ে পার পেয়ে গিয়েছিলেন।
রোজের বইটি চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান করোনেট। বইটির ভিত্তি হচ্ছে একটি টেলিভিশন প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি)। এডওয়ার্ড এইটথস মার্ডারাস মিস্ট্রেস নামের ওই ডকুমেন্টারি চলতি মাসের শেষের দিকে সম্প্রচার করবে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল-৪। একই বিচার নিয়ে রোজেরস্ক্যান্ডাল অ্যাট দ্য স্যাভয় বইয়ের ধারাবাহিকতা হচ্ছে সর্বশেষ এ বইটি রোজের আগের বইটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়
Click This Link
©somewhere in net ltd.