নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাকিস্তানী দালাল, শিবির, জামাতী, ভারতীয় দালালদের ঘৃনা করি । ছাত্রলীগকে ও পছন্দ করি না তাদের বর্তমান কর্মকান্ডের জন্য ।

। নিজের লেখার প্রতিভা নাই, সময় ও নাই, তাই কপি /পেস্ট মারি । ভুলেও মাইন্ড করবেন না । আমাকে শরম দিবেন না

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার

আমার উপর থেকে ব্যান না তুললে আমি কাইন্দা দিমু ।।।

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কুরআনে নামাজ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৩

সালাত আরবী শব্দ। এর ফারসী রূপ নামায। অবশ্য সলাত এর সঠিক প্রতিশব্দ নামায নয়। কারণ সলাতের প্রকৃত অর্থ নামায বহন করে না। অথচ নামায শব্দটি এ উপমহাদেশে বেশি ব্যবহৃত হয়। এর আভিধানিক অর্থ রহমাত বা অনুগ্রহ, ক্ষমা প্রার্থনা, দু'আ, আল্লাহর তাসবীহ করা, আল্লাহর গুণগান করা ইত্যাদি (আল কামুসুল মুহীত)। ইসলামিক পরিভাষায়, শরীয়াত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠ ইবাদতকে সলাত বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমা দ্বারা আরম্ভ আর সালাম দ্বারা শেষ হয় (আবু দাউদ, তিরমিযী)।

সালাত ঐ ইবাদত যার মধ্যে কিয়াম (দাঁড়ান), রুকু এবং সেজদা রয়েছে। সালাতের ইংরেজী অনেকে দু'আ বলেন। একইভাবে দু'আও সালাতের পূর্ণ অর্থ বহন করে না। সালাতের গ্রহণযোগ্য ইংরেজী প্রতিশব্দ হল অনুষ্ঠান। কারন সালাতের মধ্যে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি, সাহায্য চাই এবং নির্দেশনা চাই। পূর্বের নবী-রাসূলদের ওপর কোন কোন সালাত ফরয ছিল তা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে স্পষ্ট পাওয়া যায় না। মি'রাজের হাদীসে পাওয়া যায়, মূসা (আ.) এর উম্মতের ওপর দু ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল ফজর ও মাগরিব । সূরা রা'দের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়, সুলাইমান (আ) এর ওপর আসরের নামায ফরয ছিল। এশার সালাত কেবল মুহাম্মাদ (স.) এর উম্মতের বৈশিষ্ট্য।



নবীজীর নবুওয়াত লাভের পর থেকেই সালাত ফরয হয়। তখন ফজর ও আসর দু’ দু’ রাকায়াত ছিল (কুরতুবী)। আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'আপনি আপনার প্রভুর প্রশংসা করুন সূর্যাস্তের পূর্বে ও সূর্যোদয়ের পূর্বে।' (সূরা মুমিন, ৫৫) আয়িশা (রাযি) বলেন, 'শুরুতে সলাত বাড়িতে ও সফরে দু' দু' রাকাত ছিল' (মুসলিম, হা-৬৮৫)। এছাড়াও নবীজী তাহাজ্জুদের নামায পড়তেন (সূরা ইসরা, ৭৯)। মি'রাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়। ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা। আর ১ম হিজরিতে জুমু'আর সালাত ফরয হয়। (ছালাতুর রসূল (স.), পৃ-২৯) পবিত্র কুরআনে ৮২ বারের মতো সালাতের কথা এসেছে। যা অন্য কোন ইবাদতের ব্যাপারে এত বেশি আসেনি। এতেই সলাতের গুরুত্ব প্রকাশ পায়।



সূরা বাকারা’য় মহান আল্লাহ বলেন, '(মুত্তাকী) তারা যারা অদেখা বিষয়ের ওপর বিশ্বাস করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি যা দিয়েছি তা হতে (সৎপথে) ব্যয় করে' (আয়াত নং-৩)। ঈমান বিল গইব বা অদৃশ্য বিষয়ের বিশ্বাস হল, রাসূল (স.) যে হিদায়াত ও শিক্ষা নিয়ে এসেছিলেন সেসব আন্তরিকভাবে মেনে নেয়া।



ইকামাহ বা প্রতিষ্ঠা অর্থ হল, শুধু নিজে নামায আদায় করা নয় বরং নামাযকে সকল দিক দিয়ে ঠিক করা। নামাযে সব ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব পরিপূর্ণভাবে আদায় করা, এতে সবসময় সুদৃঢ় থাকা এবং এর ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা সবই বুঝায়। আর এসব প্রত্যেক নামাযের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।



এককথায় নামাযে অভ্যস্ত হওয়া, তা শরীয়াতের নিয়ম মতো আদায় করা এবং এর সকল নিয়ম যর্থাথভাবে পালন করা। আহকাম ও আরকানসমূহ পূর্ণরুপে পালন করে নিয়মিত নামায আদায় করা। ইনফাক বা ব্যয় দ্বারা ফরয যাকাত, ওয়াজিব সদাকা এবং নফল দানও বুঝায়। 'আর নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে যারা অবনত হয়' (আয়াত নং-৪৩)। ইকামাহ হল, সোজা করা, স্থায়ী রাখা। সাধারণতঃ যেসব খুঁটি দেয়াল বা গাছ প্রভৃতির আশ্রয়ে সোজাভাবে দাঁড়ানো থাকে, সেগুলো স্থায়ী থাকে এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এজন্য এটা স্থায়ী ও স্থিতিশীলকরণ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। নির্ধারিত সময়ে যাবতীয় শর্তাদি ও নিয়মাবলী রক্ষা করে নামায আদায় করা। 'তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। অবশ্যই তা কঠিন। কিন্তু বিনয়ীদের পক্ষেই তা সম্ভব' (আয়াত নং-৪৫)। ধৈর্য ধারণ করে ভোগ-বিলাস ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে বশীভূত করে ফেলো। তাতে সম্পদপ্রীতি কমে যাবে। সাহায্য চাওয়ার পদ্ধতি ধৈর্য ও নামায।

বিনয় অর্থ অধিকারের ক্ষেত্রে ইতর-ভদ্র নির্বিশেষে সবার সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করা এবং আল্লাহ যা ফরয করেছেন তা পালন করতে যেয়ে হৃদয়কে শুধু তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে নেয়া। ইচ্ছাকৃত কৃত্রিম উপায়ে বিনয়ীদের রূপ ধারণ করা শয়তান ও প্রবৃত্তির প্রতারণা মাত্র। আর তা অবশ্যই নিন্দনীয়। অবশ্য তা অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেই ক্ষমার্থ। 'যখন আমি বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতীম ও দীন দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষদের সৎ কথা বলবে, নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে। তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে। তোমরাই অগ্রাহ্যকারী' (আয়াত নং-৮৩)। 'তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্য পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে।

তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন' (আয়াত নং-১১০)। 'হে মুমিনেরা তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন' (আয়াত নং-১৫৩)। 'সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে বরং বড় সৎকর্ম হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর ওপর, কেয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং নবী-রসূলদের ওপর আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্মীয়, এতীম, মিসকিন, মুসাফির, ভিক্ষুক এবং মুক্তিকামী দাসদের জন্য। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয়, যারা কৃত ওয়াদা সম্পাদন করে এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণকারী তারাই হল, সত্যাশ্রয়ী। আর তারাই পরহেযগার' (আয়াত নং-১৭৭)

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.