নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাকিস্তানী দালাল, শিবির, জামাতী, ভারতীয় দালালদের ঘৃনা করি । ছাত্রলীগকে ও পছন্দ করি না তাদের বর্তমান কর্মকান্ডের জন্য ।

। নিজের লেখার প্রতিভা নাই, সময় ও নাই, তাই কপি /পেস্ট মারি । ভুলেও মাইন্ড করবেন না । আমাকে শরম দিবেন না

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার

আমার উপর থেকে ব্যান না তুললে আমি কাইন্দা দিমু ।।।

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশাপ দিচ্ছি...

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

কথা ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে হাসিমুখ নিয়ে আমাদের কোমল ফুলের মতো শিশুরা হেঁটে যাবে আলোর পথে। উদ্ভাসিত হবে আলোকিত জোছনায়। হীরের মতো সত্য ও ন্যায়ের দ্যুতি ছড়িয়ে শান্তি আনবে দেশ-দুনিয়ায়। কিন্তু আজ এখানে এই সোনার বাংলায় শিশুরা শিকার হচ্ছে সহিংস রাজনীতির। শিশুরা স্বাভাবিক কৌতূহলে পথে ফেলে রাখা বা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে যখনই হাতে তুলে নিচ্ছে, তখনই সে মুখোমুখি হচ্ছে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির। বোমাটি সশব্দে ফেটে তার হাত বা শরীরের কোনো অংশ উড়ে যাচ্ছে।

হতদরিদ্র রিকশাচালকের একমাত্র আয়ের মাধ্যম রিকশাটি চোখের সামনে ভাঙচুর হচ্ছে। ক্লান্ত বাসের সহকারীটি যখন বন্ধ বাসে একটু বিশ্রামের জন্য বাসের সিটে গা এলিয়ে দিচ্ছে, তখন পেট্রলবোমায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে বাস, পুড়ে দগ্ধ হচ্ছে তার শরীর। সংসারের দায় মেটাতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া অটোরিকশা ও চালক নিমেষেই পুড়ে ঝলসে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশের নীরব সাক্ষী, অক্সিজেনের জোগানদার সবুজ বৃক্ষগুলো করাতের আঘাতে ধুলায় লুটিয়ে পড়ছে। আজ জনগণ নামের গিনিপিগ, যারা রাজনীতির চিরায়ত গুঁটি হচ্ছে কারও ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে, কাউকে ক্ষমতার মসনদে ফিরিয়ে আনতে। তাদের সব ভাষা আজ স্তব্ধ।

আমরা সাধারণ মানুষ যারা ক্ষমতার কথা ভাবি না, ক্ষমতায় যেতে চাই না। বরং আমরা ভোট প্রদান করে অন্যদের ক্ষমতা প্রদান করি। চাই শান্তিতে, স্বস্তিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দরভাবে বেঁচেবর্তে থাকতে। কিন্তু আজকের বাস্তবতা আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষার ধারে-কাছে নেই। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন বা ছিলেন, তাঁদের দুই পক্ষই এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কথা বলে একের পর এক জন-আকাঙ্ক্ষার উল্টোপথে হাঁটছেন। আমরা তাঁদের পথের পাশে খড়কুটোর মতো উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়ে আছি সেই যুগ যুগ ধরে। তাঁরা কি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মুখের ও চোখের ভাষা বোঝেন! মনে হয় না। হয়তো তাঁরা মানুষই নন, অন্য কিছু। হয় অতিমানব অথবা দেবতা! মানুষ হলে তাঁরা মানুষকে পাঠ করতে পারতেন। যাঁরা এসব করেও মাথা উঁচু করে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় গর্বভরে হাঁক দেন, আমরা নীরবে তাঁদের এই গর্জন শুধুই কান পেতে শুনি।

বোধ ও মননের রক্তক্ষরণের এই বেলায় বাংলা ভাষার অন্যতম কবি শামসুর রাহমানের একটি কবিতার কিছু পঙিক্ত মনে পড়ে, ...অভিশাপ দিচ্ছি, এতোটুকু আশ্রয়ের জন্য/ বিশ্রামের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য/ দ্বারে দ্বারে ঘুরবে ওরা প্রেতায়িত সেইসব মুখের ওপর/ দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিটি কপাট/ অভিশাপ দিচ্ছি, অভিশাপ দিচ্ছি, অভিশাপ দিচ্ছি।





Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

ডরোথী সুমী বলেছেন: একটু অবাক লাগেনা ভাবতে যে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে কত আবিস্কারের কৃতিত্ব অর্জন করি আবার সেই আমরাই ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে নিন্দা কুড়াই। হায়রে মানুষ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.