নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড় ইস্যু : সুশীলদের মায়াকান্না ও কয়েকটি প্রশ্ন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

পাহাড় ইস্যুতে খুবই হাস্যকরভাবে চুষীলদের দেখছি, তারা কোন পক্ষ নেবে এখনো কনফিউজড! এদের সেই বেসিক জ্ঞানটা পর্যন্ত নেই যে ওখানে কি ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছে তাদের এজেন্ডা কি, কে সঠিক আর কে বেঠিক। খুবই আঁতলামির সাথে ‘’কি ঘটছে, না জেনে পোস্ট দিয়েন না’’ মার্কা চুষীলতা ঝেড়ে চলেছে এই গোত্রটি। এরা সাজেকে এখনই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ঢোকে, ভবিষ্যতে আল্লাহ না করুক, যখন পাসপোর্ট নিয়ে ঢুকবে, তখনও বোধ হয় সেইম কথাই বলবে, ‘’আমরা জানি না ওখানে কি হচ্ছে, তাই পাসপোর্ট নিয়ে ঢুকছি।‘’ জুম্মাল্যান্ড টার্মটা নিয়ে পড়াশোনা করা প্রয়োজন এদের। আর মুসলমানের বাচ্চা হয়ে থাকলে তাদের উত্তরের আশায় রইলাম, যে মসজিদে হামলা করে যে ভাঙচুর চালালো, এতে তোমাদের অনুভূতি কি? পাহাড়ে শান্তি চাও, ভালো কথা, কিন্তু মার খেয়ে শান্তি কারা চায়? অক্ষমেরাই তো, নাকি? এক বাঙ্গালী ছেলেকে বন্ধু নামের এরা জবাই করে, রান্না করে, খেয়ে ফেললো, তখন কই থাকে চুশিলের আঁতলামি? বানোয়াট ভিডিও দেখে এদের মায়াকান্না আর ‘’না জেনে পোস্ট দিয়েন না’’ মার্কা আঁতলামি আসলেই অসহ্য। এই ছাগলগুলোই আবার শহীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলো। পাহাড়িদের বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ে এদের বক্তব্য জানা দরকার। সেখানেও বোধ হয় এরা একই বুলি ছাড়বে, কিছু জানি না মার্কা!

ইন্টারে পড়ার সময় ক্লাসে এত পাহাড়ি স্টুডেন্ট দেখেছি, তা গণনার বাইরে। এই যে এরা ঢাকায় পড়তে এলো, তা তো বাংলাদেশী হিসেবেই। আমরা যদি কলেজের আশেপাশেও এগুলারে ভিড়তে না দিতাম, এই তল্লাটে পড়তে পারতো এরা কোথাও? তো আমাদের কেনো নিজদেশেরই কোনো জায়গায় যেতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে হয়? তখন এটা হয়ে যায় তার অধিকার, আর আমরা সাজেকে গেলে আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে এনআইডি জমা দিতে হয়। তখন আর অধিকার খাটে না, ওটা তাদের এক্সক্লুসিভ এরিয়া হয়ে যায়। এই দ্বিমুখী নীতি কেনো, আঁতেলদের কাছে আছে এর উত্তর? ঐ অঞ্চলে সাধারণ সমতলের বাঙ্গালী যদি সেটেলার বা দখলদার হয়, তাহলে একই লজিকে ঢাকায় এসে বাড়িঘর করা অন্য ৬৩ জেলার লোকেরাও সেটেলার, মানতে রাজি আছেন? আপনাদের কথা শুনে আফসোস হয়, আপনাদের বাপ-দাদারা ঢাকায় ঢোকার সময় কেনো আমরা পাসপোর্ট-ভিসা চাইলাম না! তাহলে আজ আর এইদিন দেখতে হতো না। বাংলাদেশীরা ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়িঘর করেও মনে হয় সেটেলার জাতীয় শব্দ শোনে না, যতটা জোরেশোরে তা এখানে উচ্চারিত হয়। পাহাড়ে আমরা নাকি জমি কিনে বসবাসও করতে পারবো না, কেনো? এখানে কোনো আর্টিকেল-৩৭০ আছে নাকি?

যারা ‘’উপজাতি’’ এর পরিবর্তে ‘’আদিবাসী’’ শব্দটা ব্যবহার করছে, খেয়াল করলে দেখবেন, হয় এরা একটি বিশেষ দলের লোক বা শাহবাগী বা চুষীল। যদি না জেনে বলে থাকে, তাহলে এদের আরো পড়াশোনার প্রয়োজন আর জেনে বললে তো বুঝতেই পারছেন এরা কারা। এরা এই অঞ্চলের আদিবাসী না। এখানকার প্রথম অধিবাসীও না। কিন্তু ভাব এমন যে সবই এদের। বার্মা-ভারত থেকে এখানে শিফট হয়ে নিজেদের আদিবাসী দাবী করাটা আসলেই হাস্যকর এতে আবার দানাপানি যোগায় এনজিও নামের কিছু সূক্ষ চক্রান্তকারী। এটা অবশ্য আমাদেরই ব্যর্থতা যে এত বছরেও এটার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। আর এই সুযোগে এনজিওরা এই আগুনে আলুপোড়া খাচ্ছে! কুকিচীন বা হেনতেনসহ এদের বাহিনীগুলোকে শক্ত হাতে দমন করা উচিত সেনাবাহিনীর। এরা নিজেরা মারার সময় কিছুই না, আর মার খেলে প্লে করে ভিক্টিম কার্ড। অস্ত্রশস্ত্র, নেটওয়ার্ক জ্যামার উদ্ধার হলো, এগুলা কি স্রেফ খেলনা?

এটা বিতাড়িত, নির্লজ্জ রাজনৈতিক দল বা ভাঁড়তের ষড়যন্ত্র বা এনজিওদের এজেন্ডা, যেটাই হোক না কেনো, এর আশু সমাধান দরকার। আর তারও আগে বয়কট করা দরকার মায়াকান্না করা চূষীলদের, যাদের কথা শুরুতে বললাম আর যাদের প্রেক্ষিতে এই লেখা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.