নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈদ না বৈশাখ, কার প্রভাব বেশি?

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

কোনোরুপ সন্দেহ ছাড়াই বাংলাদেশের, বাংলাদেশীদের (বা আপনার মতে বাঙ্গালীর) সবচেয়ে বড় ও জাতীয় উৎসব হচ্ছে এই দুই ঈদ। ইম্প্যাক্টের বিচারে অন্য যে কোনো উৎসব এর ধারেকাছেও থাকার যোগ্যতা অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাখে না। কথিত বাংলা নববর্ষ, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব উৎসব, জাতীয় দিবস হিসেবে পরিচিত কিছু দিবস - কোনোটারই এত বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাব নেই। এত লোক গ্রামের বাড়ি যায় না, শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে এত কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় না, অফার-ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি থাকে না, পার্লার হাউজফুল থাকে না, রেস্টুরেন্টগুলো জমজমাট থাকে না, কোনো বিশেষ দিনে মানুষের নিজেকে সুন্দর করে সাজানোর অভিপ্রায় থাকে না। মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে ৩-১০ দিনব্যাপী, যা অন্য কোনো উৎসবেই দেখা যায় না। দেশের অভিভাবক থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা পর্যন্ত আরো কিছু দিবসেও হয়তো মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে, কিন্তু সেখানে এত লম্বা লাইন থাকে না। মানুষ আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে, এই অবস্থার মধ্যেও উৎসবটি উপলক্ষে ভালো খাওয়া, উত্তম পোশাক পরিধান, একটা স্টাইলিশ লুকের চেষ্টা - কিছুই কিন্তু বাদ নেই। ঢাকাসিটি অন্য কোনো উৎসবেই ঈদের মতো ফাঁকা হয় না। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভীড়ও থাকে না। এখন এই সবগুলো ফ্যাক্টই একত্রিত করুন আর একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উৎসব (ধর্মীয় ক্যাটাগরিতে না ফেলে) বা বাঙ্গালীর সর্ববৃহৎ উৎসব হিসেবে আর কোনোটাকেই কি এর কাছাকাছি মনে হয়?

এবার আসুন জাতীয় উৎসব প্রসঙ্গে৷ সাধারণত সর্বস্তরের লোকজন যেখানে অংশগ্রহণ করতে পারে, তাকেই জাতীয় উৎসব হিসেবে অভিহিত করা হয়। ৯০% মুসলমানদের দেশে মাত্র ১০% এর জন্য ঈদের মতো একটা ইম্প্যাক্টফুল (ইম্প্যাক্ট সব উপরে উল্লেখ করেছি) উৎসবকে জাতীয় উৎসব বলা যাবে না, এটা কিভাবে হয়? যে ১০% বাকি আছে, ওরা চাকরিক্ষেত্রে বোনাস পায়, ঈদের ছুটি পায়, অনেকে মুসলমানদের বাসায় দাওয়াতও খেতে যায়। তাহলে সেই ১০% ঈদের প্রভাবের বাইরে কিভাবে রইলো? তারাও তো এর মধ্যেই শামিল আছে। সুতরাং কোনোরকম সন্দেহ ব্যতিরেকে ঈদ বাংলাদেশের জাতীয় উৎসবও বটে।

বি:দ্র: আমি সার্বজনীন রুপ দেবার ব্যাপারে বলছি না যদিও, কারণ শরীয়াহ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ঈদ কেবল তাদের জন্যই আল্লাহর উপহার হিসেবে এসেছে, যারা রমযানের এক মাসের সিয়াম সাধনা পালন করেছে। মোটাদাগে ফেস্টিভ্যালটা আসলে তাদেরই। আমি জাস্ট ইম্প্যাক্ট আর ব্যাপকতার দিকটা হাইলাইট করলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.