![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গৌতমী সাময়িকীর ৭ম সংখ্যা প্রকাশিত হল। বাঙ্গালী বৌদ্ধপরিমন্ডলে এক অন্যবদ্য প্রকাশনা। এতটুকো বললে গৌতমী সাময়িকী সম্পর্কে সব বলা হয় না। মূলত গৌতমী সাময়িকী বুদ্ধের মতো অখণ্ড মানুষের সমাজ কামনা করে। মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় মানুষ। মানুষ পরিচয় থেকে বের হয়ে এসে ভিন্ন-ভিন্ন পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে একে-অপরকে বিদ্বেষ করছে, একে-অপরকে হরণ করছে মানুষ। গৌতমী সাময়িকী প্রচার করে সকল মানুষের স্বাধীনতা, সম্মান ও সমতা। আজকে আমাদের সমাজে বুদ্ধ-র্ধম কুসংস্কার, মিথ্যাদৃষ্টি, অন্ধবিশ্বাসের আচ্ছাদনে ঢাকা পড়ে গেছে। প্রজ্ঞাদীপ্ত বুদ্ধ এখানে হারিয়ে গেছে। র্ধমকে ব্যবসা বানিয়ে, গলাবাজি, ফতোয়া দিয়ে নিজেদের র্স্বাথ হাসিল করছে অনেকে। বুদ্ধের র্ধম বা দর্শন যেভাবে থাকার কথা, তার সাথে আমাদের প্রচলিত সংস্কারাচ্ছন্ন র্ধমের ব্যাপক ফারাক। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে, সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে, প্রকৃত বুদ্ধকে জানতে গৌতমী সাময়িকী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু এই সময়ের জন্য গৌতমী সাময়িকী উপযোগী তা নয়, মনে করি অনাগত সময়ে ও ভবিষ্যতপ্রজন্মের জন্য এগুলো সহায়ক হবে। বুদ্ধ মানেই জগতের সকল কল্যাণে সহযোগী আন্তরিক হাত। বুদ্ধ মানেই মৈত্রীপূর্ণ বসবাসের শিক্ষা প্রেম ও প্রজ্ঞাপথে চালিত হবার এবং মানবমুক্তির ইন্ধন। বুদ্ধকে যারা সঠিক উপলব্ধির মাধ্যমে জানতে চায়, বুঝতে চায় তাদেরকে মিথ্যা র্ধমের দোহাই দিয়ে, অলৌকিকতার কথা বলে পাপ_পূর্ণ্য,র্স্বগ_নরকের ভয় , ভেল্কি দেখিয়ে তুষ্ট করা সম্ভব নয়। এরা র্ধমকে প্রজ্ঞা, গবেষণা, যৌক্তিকতা দ্ধারা গ্রহণ_র্বজনে সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে গৌতমী সাময়িকী ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। বুদ্ধ যেমন তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় শত প্রতিকূলতার মাঝে সকল অসুন্দরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন, কূপমুন্ডকতাকে চুরমার করে, সাম্য, সুন্দর মানব সমাজ বির্নিমাণে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তেমনি "বাংলাদেশ ভিক্ষুণী সংঘ, গৌতমী সাময়িকী পরিবার" কাজ করছে অলৈঙ্গিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বির্ণিমাণে। প্রথাবদ্ধ সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে,বাধা বিপত্তিকে তুচ্ছজ্ঞান করে সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সত্যজ্ঞান,গবেষণার্কম ও বুদ্ধ প্রর্দশিত র্ধমকে। এখানে বুদ্ধকে রং মাখানো হয়নি, যা আমাদের সমাজে হয়ে আসছে। প্রতিটি প্রকাশনায় বুদ্ধ প্রজ্ঞা, প্রেমে উদ্ভাসিত। হাজার মানুষ যা করতে পারেনি, বলতে পারেনি, গুটিকয়েকের কন্ঠে সাময়িকী তা প্রতিবাদী কন্ঠে বলে যাচ্ছে। একটি আলোর শিখা থেকে যেমন হাজার আলো জ্বালানো হয়, তেমনি সাময়িকীর বদৌলতে তৈরি হচ্ছে শত সহস্র সাহসী কন্ঠ। যারা আস্থা রাখে সাম্যে, মানবপ্রেমে,। বিশেষ করে নারী জাতিরা নতুন আলোর মুখ দেখছেন, নিজেদেরকে নতুনরুপে আবিষ্কার করছেন, এই সাময়িকী ও সংঘের সাহায্যে। অন্ধকার থেকে আলোর পথ যাত্রী হয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সাম্যের প্রতিষ্ঠা করতে চায় এরা।
শত বাধা ডিঙিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা র্সদপে এগিয়ে যাবে। মনুষ্য গরজে প্রতিষ্ঠিত করবে নিজেদের। সাহসী পদক্ষেপের দ্ধারা প্রমাণ করবে পদদলিত হবার দিন শেষ। সেই লক্ষে গৌতমী সাময়িকীর আশার আলো দেখাচ্ছে শত সকল নারী-পুরুষকে। অবশেষে দীপ্ত কন্ঠে বলতে চাই
"গৌতমী সাময়িকীর"পথচলা নিরন্তর এগিয়ে চলুক। অবোধ, অবজ্ঞায় থাকা দুঃখপীড়িত সকল মানুষের কল্যাণকর জাগরণে আজকের মতো আগামীতেও অগ্রগামী দিশারী হয়ে থাকুক।
সকলের সুস্থ দৃষ্টি জাগ্রত হউক।
লেখাটি গৌতমী সাময়িকী 'সপ্তম সংখ্যা' থেকে নেয়া ।
©somewhere in net ltd.