![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুকাল পূর্বে একটি রাজ্য ছিল। রাজ্যের রাজা খুবই স্ত্রীভক্ত ছিলেন। রানীর অনেক দাসী ছিল। একদিন সকালে এসে রানীর দাসী দেখল যে রানী কান্না করছেন। অতঃপর দাসীও বিনা-জিজ্ঞাসায় রোদন করা শুরু করে দিলো। রানী মোটেও ওর দিকে বা কারো দিকে একটুও মনোযোগী না-হয়ে রোদন করতে থাকলেন। এর মধ্যে রাজা এসে উপস্থিত হলেন। তিনি দেখলেন যে রানী দাসী দুজনেই কাঁদছে। সুতরাং তিনিও কান্না শুরু করে দিলেন। এ-দেখে মহলের সবাই কান্না শুরু করে দিলো। কে কতো ভালো কাঁদতে পারে তার প্রতিযোগিতায় নামে গেলো। কান্নার উৎসবে একে একে মন্ত্রী, সেনাপতি, কতোয়াল সৈনিক রাজ্যের সকল মানুষ কান্নার উৎসবে মেতে উঠলা। হাঁটতে কান্না বসতে কান্না, ঘুমাতে গেলেও কান্না। এই রোদনের দেশে একদিন সকল শোক যন্ত্রণা কাটিয়ে রানী স্বাভাবিক হলেন। রাজাকে জিজ্ঞেস করলেন চারদিকে এতো রোদন কেন? রাজা সম্ভিত ফিরে পেলে কান্না থামালেন। রাজার কান্না থামলে ধীরে ধীরে রাজবাড়িতে কান্না থামলো। রাজা পার্শ্ববর্তি এলাকার লোক ডাকিয়ে এনে কান্নার হেতু জানতে চাইলেন। তাদের মধ্যে একজন জানালো তার ভাই একজন রাজকর্মচারী, যে সৈনিকের পেশায় নিয়োজিত। এই রাজকর্মচারীর কান্না সে দেখেছে। তারপর সে, তার স্ত্রী, তার মা-বাবা, ভাই-বোন ক্রমান্বয়ে পাড়া-মহল্লা হয়ে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেকে আনা হলো সেই সিপাইকে। জানতে চাওয়া হলো তার কান্নার কারণ। সে জানালো সেনাপতিকে কাঁদতে দেখে তার কান্না শুরু। সেনাপতিকে জিজ্ঞেস করলে সেনাপতি উত্তর দিলো আমি মন্ত্রীকে কাঁদতে দেখেছি। রাজা রেগে গিয়ে মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কান্নার কারণ বলুন, না-হয় শূলে চড়াব আমি’। মন্ত্রী ভয়ে ভয়ে বললেন, ‘সত্যি বলছি, মহাত্মন। আমি গতকাল অন্দরমহল থেকে আসা রাজার কান্না শুনে কেঁদেছি। রাজার নুন খাই। রাজার সুখে আমি সুখি যেমন, তেমন রাজার দুঃখে দুঃখি।’ এমন উত্তর পেয়ে রাজার মনে প্রশ্ন জাগলো তার কাঁদার কারণ কী! কিন্তু রানীকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছিলেন না। তার মনে হলো দাসী বেটিই সকল সমস্যা। তখন রাজা দাসীকে তাকে প্রচণ্ড ক্রোধ নিয়ে বললেন, ‘তুই সকল সমস্যা। তুই রানীর ঘরে আগে প্রবেশ করেছিস। তোর কান্না দেখে আমি কেঁদেছি। ঠিকঠিক করে বল তুই কেন কেঁদেছিস? তোর কান্না দেখে হয়তো আমার রানী কাঁদছিল’। দাসী হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, ‘আমি রাজা-রানীর কৃপায় বেঁচে আছি। রানীর সেবায় আমাকে নিয়োজিত করেছেন। আমি যদি রানীর সুখী সুখী, রানীর দুঃখে দুঃখী না-হই, তবে কি আমি মরেও শান্তি পাব না।’ অবশেষে রাজা বাধ্য হলেন রানীকে ডাকতে। কাচুমাচু করে রানীকে জিজ্ঞেস করলেন তার কান্নার কারণ কী ছিল? রানী ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে বললেন, ‘আমার প্রিয়তর গাধাটি মারা গেছে।’ শোকাতুর রানীকে সান্ত্বনা দিতে দিতে রাজা দরবার ত্যাগ করলেন।
গল্পটি প্রথম শুনেছিলাম গৌতমী সাময়িকীর সপ্তম সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নাট্যজন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়ার বক্তব্যে। কালাম-সুত্র নিয়ে আমার একটি লেখার (Click This Link) আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি এর অবতারণা করেন। গল্পটি আমি আমার ভাষায় সাজিয়ে লিখলাম। কালাম-সুত্তের দশটি নীতির একটি অন্যতম একটি নীতি গুজবে বিশ্বাস না-করা। গুজব একটি ভয়াবহ বিষয় হয়ে দাড়াতে পারে। অনেকেই উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে গুজব ছড়াতে পারে। গুজবে বিশ্বাসী মানুষ অবিদ্যায় আক্রান্ত। কোনো বিষয়ে সম্যক ধারণা ছাড়া কথা বলা মন্তব্য করা বোকা অথবা ধূর্ত লোকের কাজ।
সম্প্রতি বন্ধুবর কবি চন্দন রিমুর "অবসর ভাবনা: প্রসঙ্গ- সমকাম’ শিরোনাম দিয়ে লেখা ছোট্ট একটি স্ট্যাটাস ধুর্ত ও বোকা কিছু লোকের মধ্যে এক ধরণের ‘ধর্ম কান্না’র জন্ম দিয়েছে। স্ট্যাটাসটি প্রকাশের পর এটা একমুঠো বৌদ্ধ তরুণ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালি বৌদ্ধ বলয়ের মধ্যে। ছড়িয়ে পড়াটার মধ্যে কিছু ধূর্ত লোকের গোপন অভিসন্ধি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। কারণ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী চন্দন রিমুর স্ট্যাটাসের বক্তব্যকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাকে ও তার স্ট্যাটাসে গঠনমূলক আলোচনা করতে আসা ব্যক্তিদের বাজেভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করার বিভিন্ন বক্তব্য (স্ক্রীনশট আছে) এর নমুনা। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী লেখককে সমকামী, আলোচনায় যৌক্তিকভাবে অংশগ্রহণকারীদের গণহারে সমকামী হিসেবে অভিহিত করে নানান বক্তব্য দেয়। এই গ্রুপের বাইরেও অনেক সুশীল-অর্ধসুশীল-অশীল রিমুকে ও অন্যদের আঘাত করে অন্যায্য বক্তব্য প্রদান করে। https://www.facebook.com/chandan.rimu…
প্রতিক্রিয়াশীলরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী নারীদের বিভিন্ন যৌন-হয়রানীমূলক মন্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে একটা স্বাভাবিক আলোচনা-সমালোচনার ক্ষেত্রকে কলুষিত করে তোলে। এমনকী একমুঠো বৌদ্ধ তরুণ ও প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়াকেও জড়িয়ে বিশ্রী কথা শুরু করে। এই স্ট্যাটাসের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা না-থাকলেও তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্যও তাদের প্রপাগন্ডার বিষয়। Click This Link ধর্ম ধ্বংসের অভিযোগ ও বুদ্ধকে অপমান করার কথাও উল্লেখ করে প্রখ্যাত ভিক্ষু সহ শিল্পপতি, সুশীল, ঠিকাদার, বৈদ্য সবাই মাঠে নেমে যান। কিন্তু কি ছিল রিমুর স্ট্যাটাস? একটু দেখা যাক_
“অবসর ভাবনা : প্রসঙ্গ 'সমকামিতা'
+++++++++++++++++++
বাস্তবতা: "প্রাণীজগতের ১০% প্রকৃতিগতভাবেই সমকামী। সমকামিতা শুধু মানুষ না; পশুপাখি, মাছ, পোকামাকড় সবকিছুতে বিদ্যমান।
মানুষ সমকামী হবে নাকি বিষমকামী হবে তা নিজে নির্ধারণ করতে পারে না।" এসবকিছু প্রমাণিত হবার পর, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ উদার নীতির সভ্যদেশে সমকামিতাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। সেখানে সমকামিতা লজ্জার বা আড়াল করার মতো কোনো বিষয় নয়। সমকামিরা নিজেদের পছন্দের সঙ্গি নির্বাচন করছে, একসঙ্গে থাকছে, অন্য দশটা মানুষের মতো করতে পারছে সুন্দর জীবন যাপন।
প্রকৃতিগতভাবে সমকামিরা শুধু ব্রিটেন আর আমেরিকায় নয়, রয়েছে সব দেশে, সব সমাজে। ধর্মান্ধ কুসংস্কার আচ্ছন্ন সমাজে সমকামিতা স্বীকৃত নয়, সেখানে সমকাম অতি নিকৃষ্ঠ, নিন্দিত ব্যাপার, তাই সমকামিরা নিগৃহিত নিপিড়ীত।
এখন আমার জানার আগ্রহ হলো, বৌদ্ধরা কি ভাবে সমকাম আর সমকামিদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, করবেন? বুদ্ধের শিক্ষা অনুশীলনে সমকামিতা অন্তরায় নাকি নয়? অন্তরায় হলে, ব্যাখ্যা করুন, কেনো?
বেশ কিছুদিন আগে, সমকামিদের প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিলো বিশ্বের অতি পরিচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব দালাই লামার কাছে। দালাই লামা সোজাসাপ্টা জানিয়েছিলেন- প্রাপ্তবয়স্ক কেউ যদি ওই পদ্ধতিতে সুখী হন, শান্তিতে থাকেন, তাহলে আপত্তির কী আছে?
সুপ্রিয় দালাই লামার উত্তর নিশ্চয় বৌদ্ধ-ধার্মিক সমাজের নয়?
এসব বিষয়ে জানতে চাইছি আপনার অভিমত। ”
https://www.facebook.com/search/top/…
যারা বাংলা পরতে জানেন, তারা একবাক্যে বলবেন যে এখানে রিমু কিছু তথ্য উপস্থাপন করে একটা একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এমন প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া আজকের পৃথিবীতে অপরাধ নয়, আর প্রজ্ঞাবানের কাছে এটা কখনোই অপরাধের নয়, আলোচনাযোগ্য। রিমু একটা জিনিস জানতে চেয়েছে। আপনি তাকে তার প্রশ্নের আলোকে গঠনমূলক জবাব দিতে পারেন। বলতে পারেন হ্যাঁ অথবা না। যদি না-পারেন, তবে চুপ থাকেন। সম্যকবাক্য না বলতে পারলে চুপ থাকাই শ্রেয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়শীলদের সম্যক বাক্যের চর্চা তো দুর্লভ। সে যা বলেনি তাও যুক্ত করে অপপ্রচার করা কতটুকু বৌদ্ধোচিত? এই ধরণের আলোচনায় একটা সমাজের আসল স্বরূপ বেড়িয়ে আসে। কান-নিয়েছে-চিলে টাইপের সুশীলদের বলি কালাম-সুত্ত অনুসরণ করুন। কে কী লিখেছে পড়ুন। তারপর মন্তব্য করুন। বাতাসে তলোয়ার চালাবেন না।
একমুঠো বৌদ্ধ তরুণ নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, ব্যক্তি-নিন্দায় রত থাকা সকল স্তরের (সুশীলসহ) মানুষকে বলছি, রিমুর বক্তব্য ও একমুঠো বৌদ্ধ তরুণ এই দুই বিষয় কিছু ধূর্ত ও কিছু প্রজ্ঞাবান মানুষ চিহ্নিত করেছে। এই ধূর্ততার প্রমাণ আপনারা নিজেরাই। অনেক ভদ্রলোকের রবিন্দ্র হাসি এরিয়ে বেড়িয়ে এসেছে ভেতরে বাসা বেঁধে থাকা গোখরোর ছোবল।
গাধার কান্না ও সমসাময়িক ইতরামী-২
##########
যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে যে সামান্যটুকু জ্ঞান থাকতে হয় তা হলো 'ব্যক্তি নয়, আলোচ্য বিষয়ই লক্ষ্য'। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি এমনকী ওয়েব পত্রিকা আলোচ্য বিষয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করছে। এই বিষয়গুলো একতরফাভাবে চলছে। কতোটুকু সংস্কৃতিবিহীন হলে মানুষের বিরুদ্ধে এমন করা যায়? আমাকে নিয়ে (আমার নাম উল্লেখ করে) অনেক বক্তব্য দেখছি অনেকেই লিখছেন। নিশ্চয়ই এগুলো যথাযথ শিক্ষার অভাবে ঘটছে। আমি ছয় সাত বছর ধরে বুদ্ধকে নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন সাময়িকী ব্লগে আমি বুদ্ধের শিক্ষা নিয়ে লিখছি। ভাষান্তরে বুদ্ধভাবনা নামক আমার একখানা অনুবাদগ্রন্থও আছে। অনলাইনে তো মন্তব্য করার সুযোগ আছে, মন্তব্য করুন। আমার বই পরে সমালোচনা করুন। প্রাসঙ্গিকভাবে প্রমাণ করুন। যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে যা আসবে তা মেনে নিতে জয়দেবদের, রিমুদের জন্ম। কারণ, করুণানির্ভর যুক্তিতর্ক তাদের ধম্ম। মানুষের অপার স্বাধীনতা (অত্তাহি অত্তনো নাথ...........) হচ্ছে পায়ের তলার মাটি, প্রজ্ঞা হচ্ছে বায়ু, আর করুণ আকাশের নাম। এই তো আমাদের বুদ্ধ। প্রাসঙ্গিক আলাপ-আলোচনার জন্য, কিছু জানতে চাইলে আলোচনায় আসুন ভদ্র ও বিনয়ীর মতো। বড় বড় গলায় বলেন 'জন্মহেতু কেহ কভু ব্রাহ্মণ না হয়...' কিন্তু আবার মানুষকে হিন্দু নির্ধারণ করে বক্তব্য দেওয়ার অধিকার জাহির করেন কোন সূত্রে? বুদ্ধ কখনোই বৌদ্ধ ছিলেন না, যারা বুদ্ধকে বৌদ্ধ ভাবে তারা মানুষ শব্দের অর্থই জানে না। যারা মানুষের মূল্য বোঝে না তারা বুদ্ধকে নিজের স্তরের কেউ ফেলতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করে না। সাম্প্রদায়িকরা কখনোই বুঝবে না 'অত্তদীপ ভব' কথাটির অর্থ। আমি মানুষ। নির্দ্বিধায় বলি হৃদয়ের ভাষা _ বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি। আমাকে মানুষ বুদ্ধই শিখিয়েছেন ' রাজপথ দিয়ে হাতি হেঁটে যাওয়ার সময় কুকুর ঘেউ ঘেউ করলে, হাতি ফিরেও তাকায় না।' আমি এই সব ঘেউ ঘেউ কানেই নিচ্ছি না। তবুও করুণা জাগে কুকুরের তরে।
কুরকে যদি চাঁদ দেখিয়ে বলা হয় 'চাঁদ নিয়ে আসো'। কুকুর হাতের দিকেই তাকিয়ে থাকবে। সে আপনার অতি প্রিয় আদরের পালিত কুকুরই হোক। কুকুর কি আর চাঁদের মর্ম বোঝে? আমার প্রিয় একটি গল্প দিয়ে কথার ইতি টানছি।
''জেন-গুরুর কুকুরটি সন্ধ্যায় তার প্রভুর সাথে খেলা করতে ভালোবাসত। শলাকা ছুঁড়ে দিলে সামনে থেকে দৌঁড়ে গিয়ে ফেরত নিয়ে আসত, আর লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে পরবর্তি খেলার অপেক্ষা করত । এই রকম এক বিশেষ সন্ধ্যায় গুরু তাঁর ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটিকে তাঁর সাথে যুক্ত হতে ডাক দিলেন_ ছেলেটি এতোই মেধাবী যে বৌদ্ধ মতবাদের বিভিন্ন অসংগতিতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল।
গুরু বললেন,'তোমাকে অবশ্যই বুঝতে হবে ঐ সমস্ত কথাগুলো শুধু পথনির্দেশক-স্তম্ভ মাত্র। সত্যের পথে কখনোই শব্দ বা প্রতীককে সার করে ফেলো না। এখানে আমি তোমাকে দেখাব।'
তার সাথে সাথে তিনি তাঁর সুখী কুকুরটিকে ডাক দিলেন।
পূর্ণচাঁদের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করে তিনি তাঁর কুকুরটিকে বললেন, 'চাঁদ এনে দাও।'
গুরু শিষ্যকে জিজ্ঞেস করলেন, 'আমার কুকুর কোথায় তাকাচ্ছে?'
'আপনার আঙুলের দিকে তাকাচ্ছে।'
'ঠিক। আমার কুকুরের মতো হতে যেয়ো না। নির্দেশক অঙ্গুলি আর নির্দেশিত বস্তু গুলিয়ে ফেলো না। অপরাপর মানুষের কথার মধ্য দিয়ে মানুষ আপন পথে যুদ্ধ করেই নিজস্ব সত্যের সন্ধান পায়। '
..............................
#জেনগল্প-১/ #পয়েন্টার
#ভাষান্তর: #জয়দেব কর''
©somewhere in net ltd.