নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

True is the ultimate winner

সবাই ভালো থাকুন ।

গাজী সালাহউদ্দিন

অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী । আইটি প্রফেশনাল । [email protected]

গাজী সালাহউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানের ভূমিকম্প - প্রাকৃতিক নয় বরং আর্টিফিসিয়াল । টার্গেট পারমাণবিক চুল্লীর ধ্বংস করা ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০১

গত শনিবার ইরানে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়ে গেল তাতে এ পর্যন্ত ৩০০ লোক এর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে আর হাজার হাজার লোক আহত হয়েছে ।



অনেকে আশংকা করছে যে এই ভূমিকম্প কোন প্রাকৃতিক ঘটনা নয় বরং আমেরিকা তার হার্প প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তা করেছে । টার্গেট হলো ইরানের পারমাণবিক চুল্লী ধ্বংস করা ।



পর পর আটটি ভূমিকম্প হয় ...একই এলাকার আশেপাশে । সবই একটি নির্দিষ্ট এলাকা কে কেন্দ্র করে ।







Click This Link এই ভিডিওটি দেখলে পরিস্কার হয়ে যাবে ।



ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ তো সরাসরি আমেরিকাকে একথা বলে দায়ী করেছে এবং বলেছে যে আমেরিকা খোদার সাথে খেলছে ।







বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপদ সংকেত । অবস্হা যেদিকে যাচ্ছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কেউ থামাতে পারবে বল মনে হয় না ।



ইহুদীরা ঈসা (আঃ) কে আসমান থেকে টেনে নামানোর চিন্তা ভাবনা করতাছে বলে মনে হয় ।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হার্প সম্পর্কে এই ব্লগেই একবার একটা লেখা পড়েছিলাম। আরেকটি বিস্তারিত কি বলা যায় ?

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৫

অনিক আহসান বলেছেন: যারা কৃত্তিম ভুমিকম্প তৈরি করার মত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারে তাদের গনার মধ্যে রেখেই ইরানের চলা উচিত।

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন:
এমন বেকুবের মতো কথা বলেন কেন ? ইরান কার সাথে লাগতে গেছে ? বরং ইরানের সাথে গায়ে পড়ে তারা লাগতে আসছে । ইরানের অগ্রগতি দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে ।

ইরানকে না থামালে তাদের পরিকল্পণার এক বিশ্ব আর ইসরাঈলের নিরাপত্তার হুমকির মধ্যে বলে ।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশেষে একটা কাজের পোস্ট পেলাম।

তারপরে দেখি সেই আপনি। শুভেচ্ছা নিন।

আচ্ছা, বুঝনেওয়ালা আর সব কি অর্ধপুরুষ অর্ধনারী???

আমেরিকা যে কৃত্রিম ভূকম্প ঘটালো, সেটা আর কেউ বলে না কেন?

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:০২

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন:
আর কেউ বলেনা কারণ এটা প্রমাণিত নয় এবং গোপন প্রযুক্তি ।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৩

বীরেনদ্র বলেছেন: ভুমিকম্প যদি আমেরিকায় হত তা হত আল্লাহ'র গজব। যেহেতু ইরানে হয়েছে তা শুধুমাত্র ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ কখনই তার বান্দাদের উপর এমন অবিচার করতে পারেন না। আল্লাহ সব সময়েই তার বান্দাদের রক্ষা করেন। ইহুদি নাসারাদের উপরকি আল্লাহ'র হাত নেই? অবশ্যই আছে। তারপরেও কিভাবে ভুমিকম্প ঘটালো ইহুদী নাসারাদের সর্দার আমেরিকা?


চিন্তার কোন কারন অবশ্য নেই। ইরানের বিষ্ময়কর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ফলে দু একদিনের মধ্যেই এন্টী হার্প প্রযুক্তি উদ্ভাবন হবে, এবং ইরান ও আমেরিকায় ভুমিকম্প ঘটিয়ে ছাড়বে। আমেরিকার ধ্বংশ অনিবার্য্য। আল্লাহ ভরসা।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একটু সার্চ করে এটা পেলাম। আসলেই ভয়াবহ ..........................


আজ সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন “সাপ্তাহিক” এ এ নিয়ে একটা লেখা পড়লাম। লেখাটা অনেক তথ্যবহুল। লেখাটা এখানে টুকে রাখছিঃ

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া গবেষণার প্রকল্প হার্প (ঐঅঅজচ) নিয়ে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা কেউ কেউ ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন ওই প্রকল্প থেকে যুক্তরাষ্ট্র এমন অস্ত্র তৈরি করেছে যা দিয়ে তারা আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর দ্বারা কৃত্রিমভাবে সুনামি ও ভূমিকম্প সৃষ্টিও সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্যাটরিনা ঝড় আঘাত হানার পর প্রথম অভিযোগ ওঠে এটি ছিল হার্পের ভুল পরীক্ষার ফল। এরপর পাকিস্তানে বন্যা, হাইতিতে ভূমিকম্প এবং সাম্প্রতিক জাপান বিপর্যয়ের জন্যও দায়ী করা হচ্ছে হার্প প্রকল্পকে। অনেকেই বলে থাকে যে, হার্প একটি অগুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম। কিন্তু সমালোচকেরা এক্ষেত্রে হার্পের বাজেটকে পুঁজি করেন। তারা মনে করেন, ২৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিশ্চয়ই ছেলেখেলা করছে না। কি এই হার্প? কিভাবে তা কাজ করে? মহিউদ্দিন মিলন, ইমন দাশগুপ্ত, আলী রেজা, জার্জিস আলম ও শামীমা মিতুকে সঙ্গে নিয়ে হার্পের আদ্যোপান্ত জানাচ্ছেন আনিস রায়হান

হার্পের পুরো নাম হলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম (ঐরময ঋৎবয়ঁবহপু অপঃরাব অঁৎড়ৎধষ জবংবধৎপয চৎড়মৎধস)। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর আর্থিক সহায়তায় আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা উন্নয়ন গবেষণা কর্মসূচী সংস্থা (ডিআরপিএ) হার্প গবেষণা চালাচ্ছে ১৯৯৩ সাল থেকে। এ কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে আয়নম-লের সৌরবিদ্যুতের ওপর প্রভাব তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হার্প দিয়ে মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জানা যায়, এই প্রকল্প শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধের শুরু থেকে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। হার্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়েই কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্বিপাক সৃষ্টির অস্ত্র তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হার্প নিয়ে রাশিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই অভিযোগ বেশি আসছে। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে হার্প নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।

জাপান বিপর্যয় আমেরিকার সৃষ্টি!
সম্প্রতি জাপান বিপর্যয়ের পর এর সঙ্গে হার্পের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কানাডীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো বেঞ্জামিন ফালফোর্ড কাজ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নাইট রাইডার’ পত্রিকার জাপান প্রতিনিধি হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাপানে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নানা গোপন গবেষণাই সাংবাদিকতায় তার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ২০০৯ সালে তিনি অভিযোগ করেন যে, হার্প হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোপন এক সামরিক অস্ত্র। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্র তরঙ্গের শক্তি ব্যবহার করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তকরণ এবং ভূমিকম্প সংঘটনের মতো ভয়াবহ কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির পরপরই তিনি এক সাক্ষাৎকারে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন যে, জাপানে সুনামি ও ভূমিকম্প যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। তিনি দেখান কিভাবে ভূমিকম্পের কয়েক দিন আগে থেকে গ্যাকোনার হার্প কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রেরণ করা হয়। ফালফোর্ডের হিসেবে দেখা যায়, ৬ মার্চ থেকে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ উৎক্ষেপণ শুরু হয়। প্রতি ঘন্টায় এর মাত্রা বাড়তে থাকে। এভাবে ১১ মার্চ সুনামি ও ভূমিকম্প শেষ হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে তরঙ্গ উৎক্ষেপণের কাজ।

হার্প ঘটনাবলি
হার্প কার কার হাতে রয়েছে এ নিয়ে তেমন বিতর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াই পরস্পরকে এ নিয়ে অভিযোগ করেছে। ১৯৯৭ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম কোহেন রাশিয়াকে ইঙ্গিত করে একবার বিশ্ব ইকো টেরোরিজমের বিপদ সম্পর্কে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ‘এ ধরনের ইকো সন্ত্রাসীরা উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের মাধ্যমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ পাঠিয়ে আবহাওয়া পরিবর্তন, ভূমিকম্প সৃষ্টি বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে পারে।’ তবে হার্পের ভয়াবহতার দিকে লক্ষ্য রেখে আমেরিকা এবং রাশিয়া উভয় পরাশক্তিই এই বিষয়টাকে কখনো লাইম লাইটে আসতে দেয়নি। তবে মাঝে মধ্যেই সিøপ অফ টাং হিসাবে ঐ দু’দেশের অথরিটির মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে এর কথা।

২০০২ সালে জর্জিয়ার গ্রিন পার্টির নেতা দেশটিতে কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। তেমনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘটে যাওয়া প্রলয়ংকরী সুনামির জন্য রাশিয়াও একই অভিযোগ এনেছিল আমেরিকার উপর।

হাইতিতে ভূমিকম্পের পর পরই ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ অভিযোগ করেন, আমেরিকা হাইতিতে টেকটোনিক ওয়েপন বা ভূ-কম্পন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ওই পরীক্ষার ফলে হাইতির পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সৃষ্টি হয় রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। তিনি আরো বলেন, এই অস্ত্র দূরবর্তী কোনো স্থানের পরিবেশের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। পরিবেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে। শক্তিশালী বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে পারে। শ্যাভেজ আমেরিকাকে এই ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প অস্ত্র প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। হাইতির ঘটনায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৩০ লাখেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়, এ ধরনের অপর এক অস্ত্র পরীক্ষায় চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ২০০৮ সালের ১২ মে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাশিয়া ২০০২ সালের মার্চে আফগানিস্তানে অনুরূপ এক পরীক্ষা চালিয়ে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে।

রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় নৌবহরের ২০১০ সালের প্রতিবেদনেও যুক্তরাষ্ট্রের হার্প পরীক্ষা সম্পর্কে বলা হয়। সরকারিভাবে স্বীকার না করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ফক্সনিউজ ও রুশ টিভি চ্যানেল ‘রাশিয়া টুডে’র মতো কিছু গণমাধ্যম খবরটিকে গুরুত্বের সাথে পরিবেশন করে। রাশিয়ার অসমর্থিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে ভেনেজুয়েলার ভিভে টিভি জানায়, জানুয়ারির গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরে একই ধরনের একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল এবং এর ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরেকা শহরের কাছে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ঐ ভূমিকম্পে কেউ গুরুতর আহত না হলেও ইউরেকা শহরের অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়। চ্যানেলটি আরো জানায়, তাদের পরীক্ষার ফলে যে এ ধরনের মারাত্মক ভূমিকম্প ঘটতে পারে সে ব্যাপারে মার্কিন নৌবাহিনী ‘সম্পূর্ণ অবগত’ ছিল। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্যই মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগেই ক্যারিবীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের উপপ্রধান জেনারেল পি কে কিনকে মোতায়েন করে।

গত বছর পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে পাকিস্তানি আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয় মৌসুমী বৃষ্টির কারণে এ বন্যার সূত্রপাত। পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চব্বিশ জুলাই থেকে পরের ৩৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি পড়েছে। ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পাকিস্তানের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেশকিছু সংস্থা ও গোষ্ঠী দাবি করছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হার্প প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বন্যা সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছেন, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল যেহেতু তালেবান ও আল কায়েদার নিয়ন্ত্রণে সেহেতু হার্প প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যার মাধ্যমে এ অঞ্চলে পুরোদস্তুর বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হার্প সম্পর্কে নানা পক্ষের বক্তব্য
বিজ্ঞানীরা অনেকে আশঙ্কা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন ক্যাটরিনা এবং মহাকাশযান কলম্বিয়া ধ্বংসের জন্য হার্পই দায়ী। উল্লেখ্য, ক্যাটরিনা সংঘটিত হয়েছে কালো অধ্যুষিত ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হার্পের প্রাথমিক পরীক্ষায় ভুলের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবং ভুল হতে পারে জেনেই পরীক্ষার জন্য কালো অধ্যুষিত অঞ্চলটিকে বেছে নেয়া হয়। যদিও তখন হার্প সংশ্লিষ্টরা এ অভিযোগকে অস্বীকার করে। হার্প প্রোগ্রামে কর্মরত বিজ্ঞানী উমর ইনান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিন কর্তৃক এ সম্পর্কিত প্রশ্নের মুখোমুখি হন। সে সময় উত্তর দিতে গিয়ে তিনি ক্ষোভে পেটে পড়েন। তিনি বলেন, ‘হার্পের ভেতরে এমন কিছু নেই যা দিয়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটানো যায়। তাছাড়া হার্পের শক্তিও অনেক কম। এটা ৫০ থেকে ১০০টি ফ্লাশলাইটের সমপরিমাণ তরঙ্গ তৈরি করতে পারে। যা দিয়ে এমন কিছু করা সম্ভব না।’ যদিও এটা স্বীকৃত সত্য যে, হার্প এক ধরনের উচ্চ কম্পঙ্কবিশিষ্ট চুল্লি, যার কার্যকরী তেজস্ক্রিয়তার শক্তির পরিমাণ ১ গিগাওয়াট অথবা ৯৫ থেকে ১০০ ডেসিবেল ওয়াট থেকেও বেশি। সহজ কথায় এটি আয়নম-লকে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ও শক্তিশালী গবেষণা।

হার্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক বিজ্ঞানী এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পেরে এ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য তাদের ডাকা হলেও কাজ করতে গিয়ে তারা টের পান আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। হার্পের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার জন এল হ্যাকশেয়ার বলেন, ‘জনগণকে বলা হয় যে, হার্পের কোনো মিলিটারি ভ্যালু নেই। যদিও এটি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু এর গভীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণকে কখনো জানানো হয় না। এর দ্বারা হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত শত্রু এলাকার আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলা যাবে।’

৮ আগস্ট, ২০০২ রাশিয়ার সরকার হার্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হার্প প্রকল্পের অধীনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর মধ্যভাগের ভূতত্ত্বে আঘাত হানার জন্য নতুন গোপন অস্ত্র তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঠাণ্ডা ইস্পাতকে অগ্নিপ্রজ্বলিত করা বা সাধারণ অস্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্রে রূপান্তর করার মতো ক্ষমতাশালী এ অস্ত্র। পূর্বের অস্ত্র থেকে এটার পার্থক্য এই যে, ভূতলের মধ্যভাগে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যক্ষ প্রভাব ঘটাতে এটি সক্ষম। যা আর কোনো অস্ত্রের পক্ষে সম্ভব না।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘হার্প কর্মসূচির অধীনে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা বহুদূর এগিয়ে গেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বেতার যোগাযোগের মাধ্যম ভেঙে ফেলতে সক্ষম নতুন অস্ত্রটি। এটি বিমানের ওপর রকেট নিক্ষেপণ এবং গ্যাস পাইপলাইন, তেল, বৈদ্যুতিক সংযোগে বিপজ্জনকভাবে আঘাত হানতে পারে। আক্রান্ত অঞ্চলে জনসাধারণের মানসিক ক্ষতি ঘটতে পারে।’ মস্কো দুমা, প্রতিরক্ষা কমিটি, আন্তর্জাতিক কমিটি এবং রাশিয়ার সরকার কমিশন এ লিখিত বিবৃতি দিয়েছিল। এ বিবৃতিতে রাশিয়ার ৯০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের কাছে প্রচারও করা হয়েছিল বিবৃতিটি।

স্টিভেন মিজরাখ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান, নৃতত্ত্বের শিক্ষক হলেও তার আগ্রহের প্রধান জায়গা মহাকাশতত্ত্ব। তিনি ‘হার্প কি তারকা যুদ্ধের হাতিয়ার?’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিনীদের তারকা যুদ্ধের পিছনে কাজ করা ব্যাপকভাবে কমে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সামরিক কাজে তারকা যুদ্ধের জন্য সময় ও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। হার্প প্রকল্পটি বিশেষভাবে চালু করা হয়েছিল আমেরিকান নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণার আড়ালে বায়ুম-লের ওজোনস্তরে শক্তিশালী রশ্মি প্রক্ষেপণের মাধ্যমে ওজোনস্তরকে উত্তেজিত করে সামরিক কাজে ব্যবহার করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং ভূপৃষ্ঠ ও বিভিন্ন স্যাটেলাইট হতে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত রশ্মি শোষণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ওজোনস্তরের স্থিতিশীলতার সংগে পরিবেশের নানা ভারসাম্যের দিক জড়িত।’ তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন, ‘বিগত ৫০ এর দশকে এবং ৬০ এর শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়া ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে জলবায়ুর যে পরিবর্তন ঘটে তা পরবর্তী ২০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তাহলে হার্প প্রকল্পে ওজোনস্তর উত্তেজিত করার মাধ্যমে আমরা কি এই ধরনের একটি পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি?’

তিনি ওই প্রবন্ধে আরো বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যবস্থা বলে দাবি করা এই প্রকল্পটির অবকাঠামোগুলো বর্তমানে আলাস্কার গ্যাকোনাতে নির্মাণাধীন। এই ধরনের আরো হার্প হিটার ইতোমধ্যেই নরোয়ে, ইউক্রেন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, পুর্তোরিকায় চালু করা হয়েছে। এই ধরণের গবেষণা ও পরীক্ষা কি বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন আনছে? গতবছর ঘটে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বন্যার জন্য কি এই প্রকল্পই দায়ী? জিরিনোভস্কি কি এই ধরনের গোপন অস্ত্রের কথাই বলেছিলেন? এই হিটার কি ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন আনবে? আমাদের ওজোনস্তরে নতুন সৃষ্টি হওয়া ফুটো দিয়ে আগত সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে নিজেদের রক্ষা করা কি প্রয়োজনীয় নয়? হার্প প্রকল্পের অবকাঠামোগুলোর নিকটবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষগুলো কি তড়িৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে নেই?

শিল্প, প্রযুক্তি, সেনাবাহিনীর দূষণ বা কর্মকা-ের অপক্রিয়া নিয়ে কাজ করতেন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও স্বাস্থ্যকর্মী ড. রোসালি বারটেল। হার্পের অপব্যবহারের বিষয়টি তিনি সবার নজরে আনার চেষ্টা করেন। ব্যাকগ্রাউন্ড অব হার্প প্রজেক্ট শীর্ষক প্রবন্ধে উপসংহার টানতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরে নেয়া যায় যে হার্প কোনো বিচ্ছিন্ন গবেষণা নয়। এটি ৫০ বছরের নিবিড় এবং বর্ধনশীল ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম যা আয়নম-লের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চালানো হচ্ছে। হার্প মহাশূন্য গবেষণাগার তৈরির পরিকল্পনা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এটা মহাশূন্য গবেষণা এবং সমরবিদ্যা উন্নয়নের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ। যা সামরিক প্রয়োগের যৌথ কার্যক্রমের ইংগিত দেয়। এই প্রকল্পের মূল কাজ হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ এবং বৈরী প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক অবস্থা এবং প্রকৃতির নির্ভরতার উপর নিয়ন্ত্রণ নেয়া। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই একটি বড় ক্ষমতা। লেজার এবং আহিত কণার রশ্মি নির্গমনের মাধ্যমে এবং মহাশূন্য গবেষণাগার ও রকেট এর সমন্বয়ে হার্প পৃথিবীর যে কোনো স্থানে অনেক শক্তি সরবরাহ করতে পারে। যা পারমাণবিক বোমা সমতুল্য। এটা অনেক ভীতিকর।’

হার্পের ইতিহাস
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার গ্যাকোনার টক হাইওয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হার্পের অবস্থান। ৪০ একর আয়তনের বিশাল জমিতে ১৮০টি এ্যালুমিনিয়াম অ্যান্টেনার সমাবেশের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এর গবেষণা কর্মকা-। বিমানবাহিনীর ফিলিপস ল্যাবরেটরি এবং নৌবাহিনীর অফিস অব নেভাল রিসার্চ অ্যান্ড নেভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছে। রেথন কর্পেরেশন এর ডিজাইন এবং নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিল। বার্নার্ড ইস্টল্যান্ড কাজ করতেন তারকা যুদ্ধ (ঝঃধৎ ডধৎং) নিয়ে। অনেক বছর ধরে তিনি হার্প ধারণাটির সমালোচনা করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে হার্প যন্ত্রটির পেটেন্ট হয়েছে তার নামে। যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট বিভাগ হার্প সম্পর্কে বলছে, এটি পৃথিবীর যে কোনো এলাকার বায়ুমণ্ডল, আয়নমণ্ডল ও/বা চৌম্বকমণ্ডলের পরিবর্তনের একটি পদ্ধতি (গঊঞঐঙউ) ও যন্ত্র (অচচঅজঅঞটঝ)। পেটেন্ট বিভাগ হার্পের আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে পদার্থবিদ বার্নার্ড ইস্টল্যান্ডকে। এজন্য তারা সূত্র হিসেবে নিউইয়র্ক টাইমস ও লিবার্টি ম্যাগাজিনে ইস্টল্যান্ডের প্রকাশিত এ বিষয়ক কয়েকটি নিবন্ধকে উল্লেখ করেছেন। হার্প ১১ আগস্ট, ১৯৮৭ পেটেন্টভুক্ত হয়। পেটেন্ট নং ৪,৬৮৬,৬০৫।

ইস্টল্যান্ড রেথন কর্পোরেশনের যে প্রতিষ্ঠানের (অচঞও) সঙ্গে আধুনিক বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানই এখন হার্পের কর্মকা- পরিচালনা করছে। ইস্টল্যান্ড হার্প নিয়ে কাজ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, এটা মানব সমাজ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠতে পারে। কিন্তু ইস্টল্যান্ডের মৃত্যুর পর দেখা যায় যে, হার্প তার নামে পেটেন্ট হয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানটিই এ নিয়ে কাজ শুরু করছে। এ অবস্থায় ড. নিক বেগিচ হার্পের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করেন। তিনি এ নিয়ে ড. ম্যানিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ‘এঞ্জেলস ডোন্ট প্লে দিস হার্প’ শীর্ষক একটি বইও লেখেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না এটা বন্ধ করে দিতে হবে। আমি বলছি এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ এর অপব্যবহারের শঙ্কাটা কিন্তু সব সময়েই থাকছে। তিনি আরো বলেন, ‘এতে প্রকৃতির নানা অংশকে ব্যবহার করে বিপর্যয় সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা হার্প কর্মসূচির এই অংশটি জনগণের সামনে উন্মুক্ত করেননি।’ তিনি আরো চিন্তিত ছিলেন যে, হার্প মানুষের মস্তিষ্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এর সিগনালগুলো মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার ক্ষমতাসম্পন্ন।

হার্প আবিষ্কার
প্রথম ব্যক্তি যার মাথায় হার্পসদৃশ অস্ত্রের ধারণাটি আসে তিনি হচ্ছেন সার্বীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী নিকোলা তেসলা। যার নামে কিনা বলা হয়ে থাকে ‘দ্য ম্যান হু ইনভেন্টেড দ্য টোয়েনটিয়েথ সেঞ্চুরী’। তিনি এসি বিদ্যুৎ যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের বহুমুখী ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত করেন। ১৯০৬ সালে তিনি একটি ম্যাগাজিনকে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ তারবিহীন বার্তা আদান প্রদানে সক্ষম হবে। বর্তমান মোবাইল ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ভবিষ্যদ্বক্তা ছিলেন তিনি। মহান এই বিজ্ঞানী ৭ জানুয়ারি, ১৯৪৩ রহস্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪৩ সালের মার্চেই তড়িৎ প্রকৌশলী ড. জন জি ট্রায়াম্ফের নেতৃত্বে নিকোলা তেসলার সব ধরণের গবেষণাপত্র সংগ্রহ করে সরকার। ট্রায়াম্ফ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়ন দপ্তর অধিভুক্ত জাতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা কমিটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তখন ওটাকে গবেষণার জন্য সংগ্রহ বলে চালানো হলেও আদতে তা ছিল দৃশ্যপট থেকে এগুলো সরিয়ে ফেলা বা জব্দ করারই নামান্তর। ট্রায়াম্ফ তার কাজের শেষে নিয়মমাফিক একটি রিপোর্ট দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘তেসলার কাজের অধিকাংশই অমিমাংসিত। এমনও কাজ আছে যেগুলোতে দশ বছরের ধুলো জমেছে।’ তাই বলে এগুলোকে যেন অবহেলা না করা হয় সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ট্রায়াম্ফ রিপোর্টের শেষে উল্লেখ করেন, ‘তেসলার গবেষণায় এমন একটি বাক্যও নেই যা অবন্ধুত্বপূর্ণ কারো হাতে পড়লে বিপদ ডেকে আনবে না।’ এরপর থেকে তেসলার গবেষণাপত্রগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে আজ পর্যন্ত। তেসলার গবেষণাপত্র এর আগেও বেহাত হয়েছে। ১৮৯৫ এর মার্চে তার ল্যাবরেটরিতে আগুন লেগে যায়। অনেক কাগজপত্র খোয়া যায় তখন। ধারণা করা হয় প্রতিরক্ষা দপ্তর তখন বুঝতে চেয়েছিল তেসলা আসলে কি করছেন। এজন্য আগুনের আড়ালে তার কাগজপত্র হাতিয়ে পরীক্ষা চালায় তারা।
নিকোলা তেসলা হার্প সম্পর্কে গবেষণা করেছেন তার মৃত্যু পর্যন্ত। ‘কিভাবে প্রাকৃতিক শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে একে একটি অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো যায়’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে তিনি হার্প সম্পর্কে লিখেছেন যে, ‘একে অনেকটা লেজার গানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। লেজার গানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমনভাবে ঘটেÑ নির্দিষ্ট একটি স্থানে কেন্দ্রীভূত করে রশ্মিটি ফেলা হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনি ঘটবে। শুধু রশ্মিটি আসবে প্রাকৃতিক মাধ্যম থেকে।’

হার্পের কাজ
হার্প কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে ব্যাপক মতভেদ আছে। আছে অস্পষ্টতাও। বিষয়টি কাগজে কলমে উম্মুক্ত হলেও এর আসল অংশটি একেবারে টপ সিক্রেট। পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন, হার্প একটি অস্ত্র। যা দিয়ে ভূমিকম্প, সুনামি, বন্যা, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের হার্প প্রকল্প থেকে জানা যায়, প্রকল্পে স্থাপিত অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্টেনাগুলো দিয়ে আয়নম-লে তরঙ্গ প্রেরণ করা হয়। এই তরঙ্গ প্রেরণ করা হয় ভূমি থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরবর্তী অবস্থান থেকে। এর ফলে সূর্যরশ্মির গমন পথে আহিত কণা (পযধৎমবফ ঢ়ধৎঃরপষব) সৃষ্টি হয়। এটি নিম্ন আয়নম-লে কম্পন সৃষ্টি করে। এই কাঁপুনির ফলে এক ধরণের সাময়িক অ্যান্টেনার উৎপত্তি ঘটে। এই অ্যান্টেনাগুলো পৃথিবীতে অনেক ক্ষুদ্র ও নিচু মাত্রার তরঙ্গ পাঠাতে থাকে। এই তরঙ্গগুলো সাগরের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি উচ্চ মাত্রার তরঙ্গ গ্রহণ করতে সক্ষম। ফিরে আসা এ তরঙ্গকে হার্প আবার পাঠাতে পারে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে। এছাড়া পৃথিবীর যে অংশে রাত থাকে সূর্যরশ্মি না থাকার ফলে সেখানে আয়নম-লের নিচের স্তরটি সাময়িকভাবে অনুপস্থিত থাকে। এ কারণে হার্প পরীক্ষার জন্য রাত বেশি উপযোগী। হার্পের প্রোগ্রাম ম্যনেজার পল কুসি এই তরঙ্গ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটিই হচ্ছে সত্যিকারের তরঙ্গ। এগুলো উপর থেকে আসে এবং অনেক গভীরে যেতে পারে। এটা কোনো ধরনের তার দিয়ে সৃষ্টি করা সম্ভব না।’

আমরা জানি, সূর্যের অভ্যন্তরে অগ্নিঝড়ের দমকা চলতে থাকে সারাক্ষণ। পর্যায়ক্রমে এর হার বাড়তে ও কমতে থাকে। একেকটি দমকার সঙ্গে প্রচ- তাপবাহী সৌরশিখা সৌরজগতে ছড়িয়ে পড়ে। এই শিখার সঙ্গে বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তার (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন) আণবিক বিস্ফোরণ ঘটে। তেজস্ক্রিয় শিখা যখন পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে, তখন বায়ুম-লের বাইরের পরিম-ল কতৃক তা বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ভূ-পৃষ্ঠে থাকা মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু হার্পের মাধ্যমে বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তরে ফাটল ধরিয়ে সরাসরি তেজস্ক্রিয় শিখাকে প্রবেশের রাস্তা করে দেয়া হয়। এবং এভাবে সৃষ্টি করা হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

আবার হার্প দ্বারা সরাসরি ভূমির অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রেরণ করে তাতে ফাটল ধরানোর মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয় ভূমিকম্প ও সুনামি। পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলোকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলো পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। টেকটনিক প্লেট মূলত পাথরের তৈরি, এর উপরিভাগ মাটি, বালি ও জীবাশ্ম দিয়ে তৈরি। টেকটনিক প্লেট ১৫ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটার পুরু হতে পারে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা গলিত ম্যাগমা বা লাভার ওপর এগুলোর অবস্থান।

হার্প পরিচালনাকারীদের মতে, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো আয়নম-লের বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও ঘটনা সনাক্তকরণ এবং অনুসন্ধান করা। এর মাধ্যমে নিম্মোক্ত কাজগুলো করা যাবে এটা তারাই স্বীকার করেছেন।
১) আয়নম-লের বৈশিষ্ট, চরিত্র ও তা সনাক্ত করতে ভূ-বিদ্যা সম্পর্কিত কিছু পরীক্ষা চালানো যাতে করে ওজনস্তরের নিয়ন্ত্রণ লাভ করা যায়।
২) আয়নম-লে লেন্সের মাধ্যমে অতি উচ্চকম্পাঙ্কের শক্তিকে ফোকাস করা এবং আয়নমন্ডলের প্রক্রিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ নেয়া।
৩) প্রেরিত ইনফ্রারেড তরঙ্গ আয়নমন্ডলের ইলেকট্রনগুলোকে আরো গতিশীল করবে এবং অন্যান্য আলোক তরঙ্গ নির্গমনের মাধ্যমে রেডিও ওয়েভের চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।
৪) ভূ-চৌম্বকীয় গঠনের পরিবর্তনের মাধ্যমে রেডিও তরঙ্গের প্রতিফলন নিয়ন্ত্রণ করা।
৫) পরোক্ষভাবে তাপ দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত রেডিও ওয়েভ এর চলাচলের ওপর প্রভাব ফেলা যা আয়নমন্ডলের নিয়ন্ত্রণের সামরিক উদ্দেশ্যকে সম্প্রসারিত করে।
৬) আয়নম-লের ৯০ কি.মি. নিচে রেডিও ওয়েভের প্রতিফলক স্তর তৈরী করা, যা দিয়ে অনেক দূর দুরান্ত পর্যন্ত নজরদারি করা যাবে।

http://ronyiut.wordpress.com/2011/04/19/harp/

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৪৩

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ । পুরো একখান পোষ্ট এর মত মন্তব্য । আমি বড় প্রয়োজন অনুভব করছিলাম এরকম বিস্তারিত বর্ণনার আপনি তা পূরণ করে দিলেন ।

এখনও পুরো পড়িনি -- পরে পড়ব ।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৫

উবু বলেছেন: হার্প প্রযুক্তি কি বুঝতে পারছিনা। একটু বুঝিয়ে বলুন।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৪

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: উপরে দেহি সামু ব্লগের একমাত্র প্রকাশ্য শিবসেনার দালাল চইলা আইছে =p~ =p~ =p~


কি দিনকাল যে আইলো! বাংলাদেশে খাইয়া, ভারতের জন্য পরান পোড়া শিবসেনার দালাল ডাক্তার , হা্র্পের পোষ্টে এসে কমেন্টায়! হার্প বুঝবার চায় এখন শিবসেনার ডাক্তার =p~ =p~ আজব দুনিয়া! শিবসেনা গুলান দেখি শুধু জঙ্গীই না, আকাট মূর্খ ও!


তা শিবসেনার দালাল, এই দেশে কার্যক্রম কেমন চলে?? সনাতন বার্তা সহ সকল মৌলবাদী সাইট গুলাতে প্রচারনা কেমন চলতেছে? কানাডা থিকা ডলার ঠিকমত যাইতেছে তো ভারতে?

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২১

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: হার্প নামে কি কোন খাওন আছে তাইলে খাইতাম :-/ :-/ :-/

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৫

মা-বাবার বেকার সন্তান বলেছেন: লেখাজোকা শামীম ভাই আপনাকে ধন্যবাদ সার্চ করে হার্প ধারানা দিলেন

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১০

সিলেটি জামান বলেছেন: লেখাজোকা শামীম ভাইকে ধন্যবাদ, সেই সাথে লেখককেও। হার্প নিয়ে অনেক কিছু জানলাম।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১৭

মেংগো পিপোল বলেছেন: বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপদ সংকেত । অবস্হা যেদিকে যাচ্ছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কেউ থামাতে পারবে বল মনে হয় না ।

ইহুদীরা ঈসা (আঃ) কে আসমান থেকে টেনে নামানোর চিন্তা ভাবনা করতাছে বলে মনে হয় ।

স হ ম ত।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১৮

বীরেনদ্র বলেছেন: ঐ তোরে আমি কইয়া দিচ্ছি যে দিন আমার গুপ্তকেশের এক গুচ্ছ উৎপাটনের ক্ষমতা দেখাতে পারবি সেদিন কথা বলবি। যতদিন না পারবি ততদিন আল্লাহ'র কাছে মোনাজাত করবি।

কথাটা আবার ও বলি যতদিন ছেড়ার ক্ষমতা অর্জন করবি না ততদিন চুপ করে থাকবি।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২১

হৈমো বলেছেন:
হায় সব্বোনাশ!
সত্যি নিকি!!!

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বীরেনদ্র দাদা, আপ্নের কি আল্লারওয়াস্তে খাইয়া দাইয়া আর কোন কাম নাই। মেলাদিন ধইরা ব্লগ পড়ি, মেলা জনেরে মেলা টাইপ কমেন্ট করতে দেখছি মাগার বীরেনদ্র দাদারে আর কোন জাতের কমেন্ট করতে দেখলাম না। কেউ যদি পোষ্ট দেয় দিনাজপুরে ফসলে পোকায় আক্রমণ করছে, বীরেনদ্র দাদা সেইখানে যাইয়া বলবে, ফসলে পোকা হইছে কারণ আল্লাহ নাই ;)

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৮

বীরেনদ্র বলেছেন: @কুনোব্যাঙ, যখন ব্লগে পোস্ট আসে যে আমেরিকায় দাবানল কারন হল আল্লাহ'র গজব, সেদিন আপনি কোথায় থাকেন?

আমাকে অন্য কিছু কমেন্ট করতে দেখেবেন কি ভাবে? আপনার এক চোখ তো বন্ধ?

হল ভুমিকম্প আর দোষ হল আমেরিকার। সেই বাশতলায় বিয়াইলো গাই/ সে সম্পর্কে মাসতুত ভাই" এগুলো যদি জ্ঞানীর যুক্তি হয় তখন আর কি বলা যেতে পারে?

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫৬

মেংগো পিপোল বলেছেন: @কুনোব্যাঙ ভাই কয়েকটা কথা বলি, ইসলামে মুনাফেক দের ব্যাপারে কয়েকটা চিন্হের কথা বলা আছেনা, এই যেমন ধরেন একটা বলি যখন যা বলে মিথ্যা বলে। আপনি যার সম্পর্কে বললেন এই ভদ্র লোক যখন নিজ ধর্মের ব্যাপারে বলে তখন সেটা পুত পবিত্র, শিব সেনারা মানুষ মারলে সেইটা জিহাদ না, মুষলমানে মারলে জংগী, আপনারে আবার বললো একচোখা, এ যেন চালুনি সুইরে বলে তোর . ফুটা। যা হোক তেনার একচোখা নীতি দেখাই-

View this link

এই পোষ্টে ৪ নম্বর কমেন্টসটা ওনার যারা পোষ্টে ঢুকবেন না তাদের জন্য কমেন্টস টা দিলাম- দেখনে কত শজ ভাবে অন্যের ধর্মেকে কটাক্ষ করছেন,


এখানে উনি বলেছেন ধর্ম তো অন্ধ বিশ্বাস বটেই অথচ ওনার নিজের ধর্ম নিয়ে একটা পোষ্টে করা ওনার কমেন্টসা দেখেন-

View this link এই পোষ্টের ১৩ নম্বর কমেন্টস টা,



এখানে উনি ঠিকই গুন কৃত্বন করছেন লেখকের রামায়ন নিয়ে পোষ্ট দেবার জন্য , রামায়নে উনি কোন গাজা খুরি খুজে পাননা, সব গাজাখুরি ইসলামে।

সেই বাশতলায় বিয়াইলো গাই/ সে সম্পর্কে মাসতুত ভাই" এগুলো যদি জ্ঞানীর যুক্তি হয় তখন আর কি বলা যেতে পারে? রামায়নের সব কথা জ্ঞানীর যুক্তি!!
ব্যাপার টা এমন নিজের টা টাইন্যা ধরিস, পরের টা বাজে জিনিষ।

যে কোন মুষলিম বিদ্বেষি পোষ্টে ওনাকে পাবেনই, বুঝে নেন উনিকে?

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:১০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বীরেন্দ্র, তুমার সমস্যা কিতা?

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বীরেনদ্র দা, হার্প প্রযুক্তি নিয়া কথা উঠতেছে অনেক আগে থিকাই। ২০০৪ এ যখন সুনামী হইল তখনো হার্প নিয়া কথা উঠছিল, ২০১১ তে জাপানের সুনামীর সময় উঠছিল। এর পরে শামীম ভাইয়ের তথ্যে আরো কিছু জানলাম। এখন ইরানের ব্যাপারে উঠছে। এইখনে ইরানের ব্যাপার আসছে সাথে সাথে আপনে ইসলাম বিদ্দেষ বমি করলেন। আমার মনেহয়, এইখানে ইরান না আইসা যদি এই হার্প নিয়াই অন্য কোন দেশের ইস্যু আসত তাইলে আপ্নে কমেন্টই করতেন না!

এইখানে লেখক তো নারায়ে তাকবির বইলা পোষ্ট শুরু করেনাই, জিহাদী জোসেও কিছু বলেনাই। এর ভিতরে আইসা এইরকম ইসলাম বিদ্দেষী কথা বলার মাজেজা কি ?

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৩৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মেংগো পিপোল ভাই, আপ্নের দেয়া লিংকগুলা দেখলাম। একটা কথা বলি, ইদানিং ফেসবুকের হিন্দু পেজ বা হিন্দু ধর্মীয় ওয়েবসাইট গুলো দেখলে রীতিমতো দুঃখিত হতে হয়। সেখানে যতটা না ধর্মীয় আলোচনা তার থেকে অনেক অনেক বেশী হচ্ছে মুসলিম বিদ্দেষী আলোচনা। এতটা সাম্প্রদায়িকতা আর যাই হোক কোন ভালো ফল আনতে পারেনা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি রক্ষার দায়িত্ত শুধু সংখ্যাগুরুদেরই না সংখ্যালঘুদেরও।

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৪৪

মেংগো পিপোল বলেছেন: @*কুনোব্যাঙ* সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি রক্ষার দায়িত্ত শুধু সংখ্যাগুরুদেরই না সংখ্যালঘুদেরও। সম্পুর্ন সহমত।

তবে কি ভাই, ইট মেরলে পাট্কেল তো খেতেই হবে।

২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৪৬

অক্টোপাস পল বলেছেন: আমার তো মনে হয় ব্যাপারটা কন্সপিরেসি থিওরি ছাড়া কিছু নয়। আন্দাজ করা। অনেকটা এরিয়া-৫১ এর মতো।

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৫০

মেংগো পিপোল বলেছেন: @*কুনোব্যাঙ* আমি কমেন্টসা দিয়ে বুঝিয়েছি যখন একজন সংখ্যালঘু ইট মারে তখন কেউ কিছুই বলেনা আর যখনই এর প্রতিবাদে সংখ্যা গুরুরা পাট্কেল মারে তখন হিউমেন রাইটস, বামপন্থী, মানব বন্ধন নানান কিছু দেখা যায়, আজিব এক ব্যাবস্হা- হেপোক্রেসি আর কাকে বলে?!

২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:০৬

বীরেনদ্র বলেছেন: মেঙ্গো পিপল ,

রামায়্‌ন, মহাভারত, বিষাদ সিন্ধু, ইলিয়াড,ওডেসী এই সমস্ত গুলোই ধর্মকে ভিত্তি করে মহাকাব্য এবং সুখপাঠ্য পুস্তক। ১০০১ আরব্য উপন্যাস ও একটা ভাল বই। এগুলো যতটা না ধর্মীয় পুস্তক তার চেয়ে গল্পই বেশী। আর গল্পের বই পড়তে ভালই লাগে। কিন্তু আপনার প্রশ্ন হল রামায়ন ভাল লাগল তো হয়ে গেল? সেখানে আপনি ধর্ম বিশ্বাস কোথায় পেলেন? রাম রাবন, হনুমান ইত্যাদি গল্পগুলোতে বিশ্বাস করার মত কি আছে? কিছুই নেই। বাচ্চাদের গল্প শুনতে যেমন ভাল লাগে তেমনই। আপনি যে কমেন্টসের সূত্র ধরে লিখেছেন তা শুধুমাত্র হিন্দুরা কেন মুসলমানেরাও পড়েছে এবং অনেকের ভাল লেগেছে।


আমি বলেছি কারো বিশ্বাস নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই।সমস্যা হল যখন নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেস্টা, অর্থাৎ দাওয়াত বা জিহাদ। এ গুলোতেই আপত্তি।

আর ইসলাম বিদ্বেষ? কেউ যদি আপনার ধর্ম বা ইসলামকে ভাল না বলে তাহলে অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা হল আপনার নিজের। আপনি আপনার ধর্মের ব্যপারে চরম অসহিষনূ।

আমেরিকাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হল , তখন এই ব্লগেই দেখলাম লেখা হল আল্লাহ'র গজব। কিন্তু যখন ইরানে হল তখন লেখা হচ্ছে এটা হল আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কিছু? এখানে এসে আবার দাবী করা হল এদেরকে ঠেকানো আল্লাহ ছাড়া সম্ভব নয় আর ইহুদীরা আসমান থেকে ঈসাকে নামাইতেছে ইত্যাদি? আল্লাহ এবং ঈসাকে কে টেনে আনল? আমি না লেখক?
অর্থাৎ আপনি আপনার আল্লাহকে ডেকে আনবেন তা আপনার ধর্ম, অতি পবিত্র , কিন্তু আমি যদি বলি এটা ঠিক নয় তখনই আপনার ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হল ?

এদেরকে ঠেকানো আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব না- এই প্রসঙ্গে বলি- আল্লাহর পক্ষেও সম্ভব না এদের ঠেকানো যদি সত্যি সত্যি এই রকম কিছু ঘটে। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারেন বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। ইরান সম্পর্কে তার সামরিক এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নিয়ে অনেক পোস্ট দেখেছি এই ব্লগেই। বিশ্বাস করতে পারেন সে গুলো, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যদি সত্যি সত্যি যুদ্ধ বাঁধে ফলাফল কি হবে আপনি তা ভালভাবেই জানেন।

হার্প প্রযুক্তি'র কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমান নেই। তবুও তা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। যেহেতু দুর্যোগটা ঘটেছে আমেরিকার বৈরী রাস্ট্র ইরানে। আমেরিকাও ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে , যেমন গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচে' ভয়াবহ খরা চলছে আমেরিকায় এখন , কেন? তাদের তো হার্প প্রযুক্তি আছে।








১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:১০

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: আপনি মানসিকভাবে অসুস্হ একজন লোক । যে খালি এক পক্ষের দোষ দেখে সে সুস্হ নয় ।

আমি আমার বিশ্বাস অনুসারে লিখেছি , আপনার চুলকানি দেখে খারাপ লাগল ।

আল্লাহ যদি ওদের না থামায় তো আর কে থামাবে ? আর আমাদের ধর্মেই তো বলা আছে আমাদের সাথে ইহুদীদের যুদ্ধ হবে শেষ জমানায়। চুড়ান্ত যুদ্ধে ঈসা (আঃ) আবার ফিরে আসবেন তাদেরকে পরাজিত করবেন । ইমাম মাহদীর আগমণ ঘটবে । আমার তো মনে হয় ঘটনা সেদিকেই যাচ্ছে ।

এটা কখনই হতে পারেনা যে এ ধরনের কার্যক্রম চলবেই আর মানব জাতি অসহায় থাকবে । খারাপ যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় তখনই স্রষ্টা হস্তক্ষেপ করেন ।

আর হার্প নিয়ে উপরের লিখাগুলো নিশ্চয়ই গাজাখুরী নয় । একটা দেশের প্রেসিডেন্ট নিশ্চয় না জেনে কিছু বলেন না । খরা আর ভূমিকম্প এক বিষয় নয় ।

আপনাদের ধর্মেই তো আছে - যখন বিশ্বে চরম অব্যবস্হা দেখা দেয় তখন অবতারের আগমণ ঘটে ।

দয়া করে ইসলামের পিছনে না লেগে দুস্ট মানুষের পিছনে লাগেন । মাথাটা পরিস্কার করেন । ধন্যবাদ ।

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩০

মেংগো পিপোল বলেছেন: বিষাদ সিন্ধু বইটা আমাদের মুসলমানেদের কাছে কেবল একটা ইতিহাস ভিত্বিক বই মাত্র যেখানে কারবালার ঘটনা কে লেখক নিজের মতন করে তুলে ধরেছেন, আর ১০০১ আরব্য উপন্যাস ঠাকুর মার ঝুলি টাইপের একটা বই এটা আমাদের ধর্মিয় বিশ্বাসের সাথে যুক্ত কোন বইনা এমন না যে এই বইতে ঈমান না আনলে ঈমান চলে যাবে, আমাদের মুল বিশ্বাস কোরআন এবং হাদিসে।

কিন্তু রামায়ন, মহাভারতে বিশ্বাস না থাকলে হিন্দুদের ধর্মের বিস্বাসই প্রশ্ন বিধ্ব, এখন যদি এমন হয় আপনি নাস্তিক তাহলে আপনার সাথে কথা বাড়াবোনা, তবে আপনার নিকের টাইটেল দেখে তা মনে হয়না, যদি আপনি ঘোষনা দেন যে আপনি নাস্তিক তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেলো, কিন্তু এক ধর্মে বিশ্বাস করে অন্য ধর্মকে কটাক্ষ করতে আসলে আপানার সাথে কিছু আলাপ আছে।


আর হার্প প্রযুক্তি এটা আমারেরিকার কাছে থাকতে পারে, এই পোষ্টে আমি একটি মন্তব্যও তেমন দেখিনি যেখানে কেউই বলেছে যে আমেরিকার কাছে হার্প প্রযুক্তি আছে সবাই সন্দেহ প্রকাশ করেছে কেউই কোন সিধ্বান্ত দেন নি। এমন কি লেখও বলেছেন,

"বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপদ সংকেত । অবস্হা যেদিকে যাচ্ছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কেউ থামাতে পারবে বল মনে হয় না ।

ইহুদীরা ঈসা (আঃ) কে আসমান থেকে টেনে নামানোর চিন্তা ভাবনা করতাছে বলে মনে হয় ।"


এখানে তিনি এখটি যদি ব্যাবহার করেছেন যা দার তার ও এ বিষয়ে সন্দেহ আছে তা প্রকাশ হয়।

এবার বলি আল্লাকে বালা প্রশংগে- একজন মুসলিম যে কোন বিপদে আল্লার কাছে সাহায্য চাইবে একটা স্বাভাবিক এখানে আপনার মাথা ব্যাথা কেন বুঝলাম না, একজন আস্তিকের ব্যাক্তিত্বতে তার ধর্মের চেতনা একটি মুল অংশ আর আপনি সেই চেতনার বা বিশ্বাসের বিরুদ্বে কটুক্তি করছেন এটা তো মোটেও ঠিক নয়। আপনি বললেন-

আমি বলেছি কারো বিশ্বাস নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই।সমস্যা হল যখন নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেস্টা, অর্থাৎ দাওয়াত বা জিহাদ। এ গুলোতেই আপত্তি।

আর ইসলাম বিদ্বেষ? কেউ যদি আপনার ধর্ম বা ইসলামকে ভাল না বলে তাহলে অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা হল আপনার নিজের। আপনি আপনার ধর্মের ব্যপারে চরম অসহিষনূ।


এখানে আপনি ই বললেন কে কি বিশ্বাস করবে সেটা তার ব্যাপার, আবার আপনিই সেই বিশ্বাসী দের আল্লাহকে অবিস্বাস করার মন্ত্রনা দিচ্ছেন। নানান জায়গায় মানুষের ধর্মের বিস্বাসের বিরুদ্ধে বলছেন, দ্বিমুখিনীতি থেকে আমাদের সরে দ্বাড়ানো উচিৎ নিজের বেলা সব ঠিক আছে আর অন্যের বেলা সব বেঠিক এই ধারনা ভুল। আপনার দরকার কি আমার ধর্ম সম্পরকে ভালো না বলার? আপনি যদি ইসলামের বিরুদ্ধ না কথা বলেন তাহলে তো ক্যাচাল হয়না, ইসলামের বিরুদ্ধ না কথা বললে আপনার সমস্যা কোথায়?

আপনি আমাকে বললেন আপনি আপনার ধর্মের ব্যপারে চরম অসহিষনূ। এ যেনো মগে মুলুক আপনি আমার অস্তিত্য আমার চেতনা কে গালি গালাজ করবেন আমি কিছু বললেই অসহিষনূ, যদি আমি উল্টো টা বলি আপনি ইসলাম মেনে নেয়ার ব্যাপারে চরম অসহিষনূ।

আল্লাহ তালার পক্ষে কি সম্ভব? কি সম্ভব না? সেটা ইতিহাস জানে, ফেরাউন কোন দিন ভাবেনি তার সম্রজ্য চলে যাবে, যার প্রমান মিশরিয় ধ্বংশ প্রাপ্ত সভ্যতা। নমরুদও কোন দিন ভাবে নি সে নিস্চিন্য হয়ে যাবে, এখোনও আছে তার বাননো অগ্নিকুন্ডের স্হান চড়ক গাছের স্তম্ভ। আর রিসেন্ট হিটলার- কেউ ভবেছিলো হিটলারকে ফ্রাই হয়ে মরতে হবে?


@লেখক আপানর পোষ্টে আমার অনেক গুলো কমেন্টস হয়ে গেলো, আপনার পোষ্ট টিকে বিতর্কিত করার আমার কোন ইচ্ছা ছিলোনা। যা হোক যে বুঝবেনা সে কোন দিন বুঝবেনা কারন আল্লাহ তাদের কে মোহর মেরে দিয়েছেন। আমি আর আপনার এই পোষ্টে কমেন্টেস দিয়ে বিরক্ত করবনা, ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:২০

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

আমরা কারোর উপর আমাদের বিশ্বাস চাপিয়ে দেই না । বরং উনারাই উনাদের বিশ্বাস ঠিক রেখে আমাদেরকে অবিশ্বাসী হতে বলে ।

কুরআনে আছে - তোমরা ইহুদী ও মুশরিকদেরকে ইসলামের বিরোধিতায় অগ্রগামী দেখবে । এটা দেশ-বিদেশ এবং ব্লগে সব জায়গায় প্রমাণিত হচ্ছে দেখছি।

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:১৯

সিড বলেছেন: লেখাজোকা শামীম ভাই কে ধন্যবাদ

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:১৮

বীরেনদ্র বলেছেন: @ লেখক আপনি বিচার করেন আপনার নিজস্ব অবস্থানে থেকে, যেমন মুসলমান হিসেবে এটা আমাকে মানতে হবে, আল্লাহ বলেন ইত্যাদি।

আমার কাছে আল্লাহ'র অস্তিত্বই যেখানে প্রশ্নবোধক সেখানে তো আমি আল্লাহ'র উপর ভরসা করি না। বাস্তব জগৎ যদি দেখেন সেখানে কিন্তু দেখবেন আল্লাহ'র কোন ভুমিকা নেই। সাদ্দাম আল্লাহ'র ওয়াস্তে ইসলামের শত্রুদের ধ্বংশ করবেন ইত্যাদি হুমকি ছাড়ত, বাস্তবে কিন্তু তাকে মরতে হল চোরের মত। বলবেন সাদ্দাম প্রকৃত লোক ছিল না ইত্যাদি।

আফগানিস্তানে দেখুন, যারা ইসলামের সৈনিক হিসেবে পরিচয় দেয় সেই তালেবানরা কোথায় এখন? যে কোণ যুদ্ধে দেখুন প্রযুক্তিই কিন্তু নির্ধারন করে ফলাফল, আল্লাহ নন। তবুও আপনি বলবেন আল্লাহ'র কথা। আনবিক প্রযুক্তির কারনেই জাপানের পরাজয় , প্রযুক্তির কারনেই সাদ্দামের পরাজয়, বিশ্বাসের কারনে নয়।

এক দেশের প্রেসিডেন্ট বলতে আপনি যে হুগো শ্যভেজের কথা বলেন সে নিজেই একজন বিতর্কিত লোক। ঠিক একই ভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও তো বলবেন এসব বাজে কথা। তার কথা কি বিশ্বাস করা যাবে না?

দুস্ট মানুষ কাকে বলবেন? আমি তো সেই সমস্ত মানুষকে দুস্টু বলি যিনি মিথ্যে কথা বলেন মিথ্যে বিশ্বাস করেন অন্যকে হত্যা করতে চান ইত্যাদি।

যেমন আপনার দাবী ইরানের ভুমিকম্প আমেরিকার কাজ, আমার বিশ্বাস হল এটা আপনার কল্পনাপ্রসুত মিথ্যে কথা।

আহমেদিনেজাদ বলেন যে ইজ্রায়েলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন, ১১ই সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট বুশের কাজ ইত্যদি।এ থেকেই তো মনে হয় আহমেদিনেজাদ একজন দুস্ট লোক।

ইসলামের পেছনে লাগার কোন ইচ্ছেই আমার নেই, লক্ষ করে দেখবেন আমি কিন্তু নিজে থেকেই কিছু বলি না। এই যে আমেরিকার উপর আল্লার গজব সেটা কিন্তু এই ব্লগ থেকেই পড়া। ইরানের বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ইত্যাদি গুলো তো এই ব্লগ থেকেই পড়া।

প্রশ্ন হল যারা এই সমস্ত লেখেন তখন তাকে আপনি বিশ্বাস করেন কেন? আরো অনেক কিছু বানানো গল্প ইসলাম নিয়ে লেখা হয় তার কি প্রতিবাদ করেন আপনি? করেন না। যেমন একজন দাবী করে বসলেন ১৪০০ বছর আগে নবীজি হিগস বোসন কনার কথা বলে গেছিলেন। এ গুলো কি সব সত্যি কথা? মোটেই নয় আর এগুলোকে ব্যাংগ করলেই তা হল ইসলামের বিরোধিতা।
আমার তো মনে হয় আপনারই আগে প্রতিবাদ করা উচিত।

ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ হবে শেষ জমানায়? এই শেষ কখন? তার কিন্তু উত্তর আপনি দিতে পারবেন না। ৬৩৭ খৃস্টাব্দে হজরত ওমর জেরুজালেম দখল করে নেন। তখন থেকেই ইহুদীরা বিতাড়িত । ১৯৪৮ সালে ইহুদীরা স্থাপন করে ইহূদী রাস্ট্র "ইজরায়েল" এর পর ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালে ইহুদীদের সাথে আরবদের যুদ্ধ হয় যাতে আরবরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।

আপনি বলেন আপনার বিশ্বাসের কথা যার কোন ভিত্তি নেই। আমি বলি বাস্তবতার নিরিখে যা দেখি তাই।



২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩০

নাজনীন১ বলেছেন: শামীম ভাইয়ের কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, জানলাম অনেক কিছু।

২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৪৫

মেংগো পিপোল বলেছেন: @বীরেনদ্র ২৪ নম্বর মন্তব্যটা আপনাকে করা,




দুঃখিত লেখক আরো একটি কমেন্টস দিতে হলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৬

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: কোন সমস্যা নাই । পার্লে উনারে আরো কিছু কন - সাম্প্রতিক মন্তব্যের । আমার এখন সময় নাই । পরে উত্তর দিব ।

২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৩

ঠোটকাটা বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।

৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২২

মেংগো পিপোল বলেছেন: @বীরেনদ্র

আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করবো উত্তর দিবেন সাহসি হলেঃ

লেখক আপনি বিচার করেন আপনার নিজস্ব অবস্থানে থেকে, যেমন মুসলমান হিসেবে এটা আমাকে মানতে হবে, আল্লাহ বলেন ইত্যাদি।আমার কাছে আল্লাহ'র অস্তিত্বই যেখানে প্রশ্নবোধক সেখানে তো আমি আল্লাহ'র উপর ভরসা করি না।

এই কথা দ্বাড়া আপানর আমি বলেছি কারো বিশ্বাস নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই।সমস্যা হল যখন নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেস্টা, এই কথা টা সাংঘর্সিক হয়ে যায়।
ইসালম তার মতা মত অন্যকে বলে সেটা আপনার ভালো লাগেনা, অথচ আপনি আপনার মতা পত চাপিয়ে দিচ্ছেন একজন বিশ্বাসির উপর।

১। আপনি কি আপনার মতা মত অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন না?

সাদ্দাম আল্লাহ'র ওয়াস্তে ইসলামের শত্রুদের ধ্বংশ করবেন ইত্যাদি হুমকি ছাড়ত, বাস্তবে কিন্তু তাকে মরতে হল চোরের মত। বলবেন সাদ্দাম প্রকৃত লোক ছিল না ইত্যাদি।

সাদ্দাম যেখানে নিজের মুর্তি বানিয়েছে সে কিভাবে ঈমানদার হয় বোঝা মুশকিল,

২।আপনি কিভাবে তাকে আইডেন্টি ফাই করলেন একজন খাটি মুসলিম হিসাবে? তার নাম দিয়ে, তাহলে আপনার নাম ওতো একটা হিন্দু নাম, আপনি হিন্দু না নাস্তিক?

আফগানিস্তানে দেখুন, যারা ইসলামের সৈনিক হিসেবে পরিচয় দেয় সেই তালেবানরা কোথায় এখন?


আপনি জেনেন তালেবান রা কাদের তৈরী,

সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ হয়েছে “ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক্‌স” (USSR) এর সামরিক বাহিনী এবং আফগানিস্তানের কম্যুনিস্ট-বিরোধী গেরিলাদের মধ্যে। শুরু হয়েছে ১৯৭৯ সালে, শেষ হয়েছে ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে। যুদ্ধের শুরুতে আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫৫ লক্ষ। যুদ্ধে আনুমানিক ১০ লক্ষ আফগান প্রাণ হারিয়েছে যার সিংহভাগই ছিল বেসামরিক জনতা। রুশ বিমানগুলো নির্বিচারে আফগানিস্তানের গ্রামের পর গ্রাম জনশূন্য করে দিয়েছে, বৃষ্টির মত বোমাবর্ষণ করেছে সাধারণ মানুষের ওপর।ঐ যুদ্বে প্রায় ১৩,০০০ সৈন্য হারানোর পর সোভিয়েত বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়, সোভিয়েত সাম্রাজ্যের সংস্কারবাদী নেতা মিখাইল গর্বাচেভ খানিকটা লজ্জার সাথেই তার প্রচণ্ড ব্যয়বহুল ভুলটা শুধরে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেন। পরবর্তী এই যুদ্ধে ব্যাভারিত অস্ত্র সাহায্য উল্টো যে কাজটা হয়েছে তা হল, চরমপন্থী মুজাহিদ গোষ্ঠী গঠনের ভিত্তি তৈরী করা। এরই মাধ্যমে আফগানিস্তানে সবচেয়ে চরমপন্থী মুজাহিদ গ্রুপগুলো বিকশিত হতে শুরু করে,

উল্লেখ্য সেই সময় গঠিত এসব ইসলামী মৌলবাদী দলগুলোর মধ্যে “আল-কায়েদা”। ১৯৮৮ সালে আফগানিস্তানের মুজাহিদিন ক্যাম্পেই আল-কায়েদা গঠিত হয়।এবং এর পিছনে ছিলো মার্কিনিদের ব্যাপক কুট চাল।
সংক্ষেপে আলকায়দার পরিচয় দিলাম?

আর একটু কথা বলি মার্কিনিরা আলকায়দা নেতাকে মারার যে নাটক দেখিয়ে ছিলো সেখানে সেই নেতার ডেড বডি টা কেনো দেখালোনা, বলতে পারেন, তাহলে কি বলা যায়না ঐ নেতার নামে কিছুই নেই সবই ভিডিও এডিটং, জাপান কোন কালে মুসলিম রাষ্ট্র ছিলো বলে কোথাও পেলাম না।

৩। তাহলে এবার বলুন কিভাবে সাহায্য করবে আল্লাহ তালা? যাদের অস্তিত্য নিয়েই প্রশ্ন আছে।

আহমেদিনেজাদ বলেন যে ইজ্রায়েলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন, ১১ই সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট বুশের কাজ ইত্যদি।এ থেকেই তো মনে হয় আহমেদিনেজাদ একজন দুস্ট লোক।


কেবল মাত্র এই কথা দুটো দিয়ে আপনি এক জন মানুষ কে দুষ্ট বলে ফেল্লেন,

৪।ইজরাইল রা সে ফিলিস্তানী দের মারতেছে সেটা কি?

৫। ১ই সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট বুশের কাজ এটা বলাতে কিভাবে আহমেদিনেজাদ একজন দুস্ট লোক প্রমান হয়? (যেখান খোদ আমেরিকন রাই বলেন এটা বাহিরের দেশের করা সম্ভনা।)



আপনি বলেন আপনার বিশ্বাসের কথা যার কোন ভিত্তি নেই। আমি বলি বাস্তবতার নিরিখে যা দেখি তাই।


আ[নার প্রথম লাইনাটাই তো অবস্তব, আপনি কিভাবে প্রমান করলেন বিশ্বাসের কোন ভিত্তি নেই, এখনও কেউ প্রমান করতে পারেনি সৃষ্টি কর্তা নেই। সেমন ভাবে কেউ এখোন প্রমান করতে পারেনি মনের অস্তিত্য তার মানে কি মন নেই মন আছে আমাদের ভেতরে এটা একটা বিশ্বাস, আর সৃষ্টকর্তা আছেন আমাদের উপরে।

৬। আপনি কি মন কে দেখেছেন? তা হলে কিভাবে বুঝলেন মন আছে?

আপনার দেখা বাস্তবতা সব টিভির পর্দায় মিডিয়ায়, যে গুলো সব চলে মোড়োল দের কথায়, আপনার টিভিতে দেখা বাস্তবাতা আর সত্যিকারের বাস্তবতা সম্পুর্ন বিপরীত একদিন বুঝবেন সময় থাকবেনা তখন,

৭। আপনি টুইন টাওয়ারে হামলা হতে দেখেছেন নিজের চোখে সামনা সামনি?

৮। আপনি লাদেনের লাশ দেখেছেন সামনা সামনি?

৯। আপনি আফগানিস্হান কে হেরে যেতে দেখেছেন সামনা সমনি?

১০। শেষ প্রশ্ন ৭,৮,৯ এর উত্তর যদি না হয় তবে কিভাবে আপনি সব বিশ্বাস করলেন, নিজের চোখে না দেখে?

যদি বলেন ক্যা মিডিয়া কি ভুল দেখাইছে, তাইলে জিগাই এভেটার মুভিটাও তো আমারা দেখছি তাইলে কি হেই ঘটনা টারেও বাস্তব ভাইবা ধইরা নিমু, নাকি চোখের দেখায়ও অবাস্তবতার একটা ব্যাপার আছে?



৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৮

বীরেনদ্র বলেছেন: @মেঙ্গো পিপল, রামায়ন মহাভারত বই দুটো হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ নয়, আর যদিও বা হয় তাতেও আমার বিশ্বাস নেই। রামায়ন মহাভারত সেই হাজার বছরের পুরনো গল্প যা আরব্য উপন্যাসের মতই। হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল বেদ, আপনি যেমন আল-কোরানের কথা বলেন। অবশ্য বেদ আমি পড়িনি বা যেটুকু পড়েছি তাতে বিশ্বাস খুব একটা নেই। আমি জানি না বা জানার কোন আগ্রহও আমার নেই।

আমি ইসলাম অসহিষ্ণু। এ ব্যাপারে আবার সেই গোড়ার কথায় ফিরে আসি। আমি ততটুকু পর্যন্ত সহিষনু যতক্ষন ইসলামের বক্তব্য ক্ষতিকর নয়। আপনি বলবেন মুসলমান হিসেবে আমাকে কুরান মানতে হবে ইত্যাদি। মানুন আপনার ব্যাপার তাতে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু আমাকে যদি মানতে বলেন আমি অপারগ। যে উদ্দেশ্যে প্রথম মন্তব্য করা সেটা কিন্তু এই ব্লগের লেখা থেকে পাওয়া। যেমন ব্লগেই পড়েছিলাম আমেরিকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহ'র গজব, হিগস বোসন কনার কথা নবীজি ১৪০০ বছর আগে বলে গেছিলেন, ইরানের বিজ্ঞানে বিস্ময়কর অগ্রগতি, ইজরায়েলে আঘাত হানার উপযোগী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা " ইত্যাদি আমি এগুলো মানতে রাজী নেই।

আপনি যদি লা কুম দ্বীন ও কুম, বলেন আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু সুলতান মাহমুদকে যদি ইসলামী বীর হিসেবে অভিহিত করতে চান তাতে আমার আপত্তি আছে বা যদি বলেন দেলোয়ার হোসেন সাইদী একজন ইসলামী পন্ডিত তাও আমি মানতে রাজী নেই । আপনি যদি কুরানের সুরার উধৃতি দিয়ে বলেন যে অবিশ্বাসীরা হল , কুকুরের মত, গাধা, বানর ইত্যাদি, অবিশ্বাসীদের ধরে ধরে হত্যা কর আমি এ গুলো মানতে রাজী নেই কারন হল আমি আপনার মত বিশ্বাসী না হলেও মানুষ , কুকুর বা গাধা নই। আর আমি মনে করি আমার ও বাচার অধিকার আছে, সুতরাং অবিশ্বাসীদের হত্যা করতে চাইলে আমি তো বিরোধিতা করবই।

মজার ব্যাপার কি জানেন? আপনি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে যা কিছু বলুন তাতে আমার খুব বেশী কিছু আসবে যাবে না। কিন্তু আপনি পান থেকে চুন খসলেই "নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর" শ্লোগান দিয়ে লাফ দিয়ে পড়বেন। এই যে বললেন আমার মন্তব্য নাকি আপনার অস্তিত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ।

ফেরাউন নমরুদ, হিটলার অনেক অত্যাচারীর কথা বলছেন ভাল কথা। কিন্তু এরকম পতন তো অনেকেরই হয়েছে, আর পতন হয়েছে আল্লাহ'র কারনে এ ব্যাপারে আপনার জোরালো গলায় বলার পেছনে কি যুক্তি আছে? স্ট্যালিনকে, মাও সেতুঙ্গকে দেখুন তাদেরকে কিন্তু স্বৈরসাশক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয় পশ্চিমা বিশ্বে কিন্তু তাদের তো পতন হয় নি। নাকি আল্লাহ তাদের পতন ঘটান নি?

আল্লাহ যা করেন সেটা শুধু ঘটার পরই মানুষ জানতে পারে আগে জানতে পারে না। ঠিক যেমনভাবে ৪ ঠা জুলাইয়ে বোসন কনার আবিস্কারের পরই দাবী ওঠে যে আল-কুরানে ১৪০০ বছর আগে এই কনার কথা বলেছিলেন নবীজি।

আপনি কি আপনার ধর্ম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র খুত দেখতে পান? না পান না কারন আপনি বলবেন "মুসলমান্ হিসেবে আমাকে মানতে হবে" ইত্যাদি।

আমার বক্তব্য হচ্ছে আমি মানতে রাজী নই যে ইরানে ভুমিকম্প হলে তা হল আমেরিকার কারনে আর আমেরিকায় ঝড়ে মানুষ মারা গেলে তা হল আল্লাহ'র গজব।

৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩

দুর্ধর্ষ বলেছেন: ধবংসাত্মক প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া সহজ। বোমা মেরে কানে হাত দিয়ে লুকানো বীরত্বের কাজ নয়। পারলে আমেরিকাকে ভূমিকম্প ঠেকানোর অস্ত্র বের করতে বলেন

৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৭

বীরেনদ্র বলেছেন: @ মেঙ্গো পিপল, আপনার পরের প্রশ্ন গুলো অনেক কিছুই পড়তে পারছি না।
প্রথমটার উত্তর দিই। আপনি দাবী করেছেন আমার বক্তব্য সাঙ্ঘর্সিক। আমি কিন্তু আপনার লেখকে কখনই বলি নি যে আপনি আপনার আল্লাহকে বিশ্বাস করবেন না ।

আল্লাহ'র অস্তিত্ব নিয়ে বা ক্ষমতা নিয়ে অনেক দৃঢ়তার সাথে কথা বলছেন। কিন্তুকেউ কি কখনো প্রমান করতে পেরেছে আল্লাহ'র বা ভগবানের অস্তিত্ব? আল্লাহ বা ভগবান নেই যেমন কেউ প্রমান করতে পারে নি তেমনি আছে সে প্রমান ও তো নেই। আপনার প্রমান হচ্ছে কুরান শরীফ এবং তা আপনি অকাট্য হিসেবে মানেন

সামনা সামনি কথা বলতে চাইলে স্বাগত জানাই। আমি খুশী হব আলোচনা করতে।

৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১১

আহসান২২ বলেছেন: বীরেনদ্র দাদা আপনার ইদানিং প্রসাব সমস্যা হয়, যেখানে সেখানে দাড়িয়ে প্রসাব না করে এক জায়গায় বসে প্রসাব করুন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১২

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: দয়া করে খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না ।

এতে ইসলামের বদনাম হয় ।

যেহেতু এখানে গালাগালি হচ্ছেনা তাই এটা না করাই ভালো ।

৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৩

ইমানুয়েল বলেছেন: সিরিয়ার কসাই আসাদরে ইরান অন্ধের মত সাপোর্ট দিতেছে.. এই ভুমিকম্প একটা গজব..

৩৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৮

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: প্রকৃত কথা হলো বীরেন্দ্র দাদা অন্য অনেকের মতই মুসলমানদের কাজ ইসলামের উপর চাপিয়ে দিয়েছে আর ইহুদী মিডিয়ার দ্বারা প্রভাবিত ।

আমার কথা একটাই বীরেন্দ্রকে - আল্লাহকে আপনি বিশ্বাস করেন না । কারণ কোন প্রমাণ পান নাই । আর ইসলামের ব্যাপারে অসহিষ্ঞু কারণ - কুরআনে অবিশ্বাসীদের কুকুর বলা হয়েছে । আমি জানিনা এটা কত নম্বর আয়াতে আছে আর প্রসঙ্গটাই বা কি ? আর হত্যা করার কথা বলা হয়েছি সম্ভবত সূরা তওবায় যদি তারা চুক্তি ভঙ্গ করে ।


তো বাস্তবে আপনি দেখেন মুসলমানরা কি অবিশ্বাসীদের হত্যা করছে না অবিশ্বাসীরা করছে ? এখন খালি মুসলমানদের দোষই দেখেন । কুরআনে কখন হত্যা করতে বলা হয়েছে সেটা বিবেচনা করবেন না । আমাদেরকে যতই মার দেয়া হউক আমাদের তা সয়ে যেতে হবে । তাইতো ?

আর আল্লাহ যদি না থাকত - আজ ইসলাম এতদূর আসত না । আল-কুরআনও অবিকৃত থাকত না । মহানবী (সাঃ) ও জীবিত ও সফল হতেন না । ধন্যবাদ ।

৩৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৮

বীরেনদ্র বলেছেন: @ ধন্যবাদ, যে সমস্ত, সুরাতে এবং আয়াতে যা বলা হয়েছে আমার দাবী অনুসারে তা আপনাকে তুলে দিচ্ছি, একটু দেখুন-

Sahih International
And if We had willed, we could have elevated him thereby, but he adhered [instead] to the earth and followed his own desire. So his example is like that of the dog: if you chase him, he pants, or if you leave him, he [still] pants. That is the example of the people who denied Our signs. So relate the stories that perhaps they will give thought. 7:176

Sahih International
As if they were alarmed donkeys 74:50.

Sahih International
Say, "Shall I inform you of [what is] worse than that as penalty from Allah ? [It is that of] those whom Allah has cursed and with whom He became angry and made of them apes and pigs and slaves of Taghut. Those are worse in position and further astray from the sound way." 5:60.

And when the sacred months have passed, then kill the polytheists wherever you find them and capture them and besiege them and sit in wait for them at every place of ambush. But if they should repent, establish prayer, and give zakah, let them [go] on their way. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.(9:5)

Fight those who do not believe in Allah or in the Last Day and who do not consider unlawful what Allah and His Messenger have made unlawful and who do not adopt the religion of truth from those who were given the Scripture - [fight] until they give the jizyah willingly while they are humbled (9:29).

আপনি কি সুলতান মাহমুদের ইতিহাস জানেন? না জানলে একটু পড়বেন। তিনি কি অবিশ্বাসীদের হত্যা করেন নি? উইকিপেডিয়াতে পাবেন। তাকে যদি ইস্লামের বীর সেনানী হিসেবে দাবী করা হয় আমি তা মানতে রাজী নই যা আগেও একবার বলেছি।

আবার ও বলছি, ইসলাম সত্যি হোক বা মিথ্যে হোক তা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। আমার সমস্যা হল যখন এই বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার চেস্টা করা হয়, যেমন ১৯৭১ সালে অনেক হিন্দু কে বাধ্য করা হয়েছিল মুসলমান হতে । যেমন আমাদের গ্রামের মধুসুদন চক্রবর্তী। প্রথম আলোতেই পড়েছিলাম মুসলমান হয়েও বাচতে পারেন নি সাঈদীর হাত থেকে পিরোজপুরের কোন এক হিন্দু।
এ গুলোকে আপনি কি নিন্দা করবেন না বাহবা দেবেন?

আল কুরান অবিকৃত এই দাবী কিন্তু কিছুই প্রমান করে না, যেমন ইয়েমেনের সানার গ্রান্ড মসজিদ এ পাওয়া পার্চমেন্টের যে কোরানের কপিগুলো পাওয়া যায় তা কিন্তু এখনকার কোরানগুলো থেকে আলাদা। ধরে নিলাম সে দাবীও মিথ্যে । তাশখন্দের মসজিদে রক্ষিত হযরত ওসমানের রক্ত মাখা কোরান যা দাবী করা হয়ে থাকে তার সাথেও কিন্তু অন্য কোরানের অমিল পাওয়া যায়।

মুসলমানেরা একক কোন সত্বা হিসেবে কাজ করে কি ? সেই খোলাফায়ে রাশেদিন থেকেই কিন্তু মুসলমানেরা পৃথক হতে শুরু করে। ১ম ফিতনাতে হযরত আলীর সাথে হযরত আয়েশা যুদ্ধ করেন।






১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:২৫

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন:
৭৪- সূরা -মুদ্দাসির
৫-সূরা - মাইদাহ
৯-সূরা -তওবাহ

টুকে রাখলাম পরে খুজে বের করার জন্য ।

আপনার প্রশ্নের উত্তরের জন্য একটি পোষ্ট দিলাম । যাতে সবাই শেয়ার করতে পারে ।

৩৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: কমেন্টেস দেখে মনে হয়, এখানে হার্পের প্রভাব আছে......



আমি চোখ মেলিয়া, দুচোখে দেখিব না আর কিছু...!

৩৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৩

বিডি আইডল বলেছেন: বীরেন্দ্র ছাগলটা টরেন্টোর ক্রিসেন্ট টাউনের সোশ্যাল খাওয়া এক বলদ...বাংলাদেশী সব ডাক্তাররা এইখানে নাইটগার্ডের কাজ করে...ইনিও তাই করে সময় কাটান

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:১৬

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে গালি দিবেন না ..... যে যদি আপনাকে গালি দেয় তখন পারলে হজম করেন, না হয় দিতে পারেন - যতটুকু সে দিয়েছে। ইসলামের শিক্ষা হলো মাফ করে দেয়া আর না পারলে সমান সমান । বেশী করলে আপনি তার উপর জুলুম করলেন । আর জুলুমের জন্য আপনার একটা শাস্তি পাওনা হয়ে থাকবে ।

কে কি করে সেটা বড় বিষয় নয় মোটেই ।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৫

বিডি আইডল বলেছেন: The United States has three ionospheric heating facilities: the HAARP, the HIPAS, near Fairbanks, Alaska, and (currently offline for modifications) one at the Arecibo Observatory in Puerto Rico. The European Incoherent Scatter Scientific Association (EISCAT) operates an ionospheric heating facility, capable of transmitting over 1 GW [5] (1,000,000,000 watts) effective radiated power (ERP), near Tromsø in Norway. Russia has the Sura ionospheric heating facility, in Vasilsursk near Nizhniy Novgorod, capable of transmitting 190 MW ERP.

Another site, operated by military sub-contractor under unknown arrangement between the US and Canadian government, is located near Cape Race, Newfoundland, Canada, at N46° 38.649' W53° 9.010' There is minimal or no grid power available at this site, so this may be a passive listening post for the transmissions emitted by other HAARP sites.

In August 2002, further support for those critical of HAARP technology came from the State Duma (parliament) of Russia. The Duma published a critical report on the HAARP written by the international affairs and defense committees, signed by 90 deputies and presented to then President Vladimir Putin. The report claimed that "the U.S. is creating new integral geophysical weapons that may influence the near-Earth medium with high-frequency radio waves ... The significance of this qualitative leap could be compared to the transition from cold steel to firearms, or from conventional weapons to nuclear weapons. This new type of weapons differs from previous types in that the near-Earth medium becomes at once an object of direct influence and its component." However, given the timing of the Russian intervention, it is possible that it was related to a controversy at the time concerning the US withdrawal in June 2002 from the Russian-American Anti-Ballistic Missile Treaty. This high level concern is paralleled in the April 1997 statement by the U.S. Secretary of Defense over the power of such electromagnetic weaponry. Russia owns and operates an ionospheric heater system as powerful as the HAARP[6], called 'Sura,' which is located roughly 150 km from the city of Nizhny Novgorod.

The objectives of the HAARP project became the subject of controversy in the mid-1990s, following claims that the antennas could be used as a weapon. A small group of American physicists aired complaints in scientific journals such as Physics and Society[5], charging that the HAARP could be seeking ways to destroy or disable enemy spacecraft[citation needed] or disrupt communications over large portions of the planet. The physicist critics of the HAARP have had little complaint about the project's current stage, but have expressed fears that it could in the future be expanded into an experimental weapon, especially given that its funding comes from the Office of Naval Research and the Air Force Research Laboratory.[citation needed]

These concerns were amplified by Bernard Eastlund, a physicist who developed some of the concepts behind the HAARP in the 1980s and proposed using high-frequency radio waves to beam large amounts of power into the ionosphere, energizing its electrons and ions in order to disable incoming missiles and knock out enemy satellite communications. The US military became interested in the idea as an alternative to the laser-based Strategic Defense Initiative. However, Eastlund's ideas were eventually dropped as SDI itself mutated into the more limited National Missile Defense of today. The contractors selected to build HAARP have denied that any of Eastlund's patents were used in the development of the project.

After the physicists raised early concerns, the controversy was stoked by local activism. In September 1995, a book entitled Angels Don't Play This HAARP: Advances in Tesla Technology by the former teacher Nick Begich, Jr., son of the late Congressman Nick Begich (D-AK) and brother of U.S. Senator Mark Begich (D-AK), claimed that the project in its present stage could be used for "geophysical warfare

৪১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৭

বিডি আইডল বলেছেন: বীরেন্দ্র ছাগল নীচের বইটা কিনে পড়

Haarp: The Ultimate Weapon of the Conspiracy

৪২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১২

বীরেনদ্র বলেছেন: বি,ডি আইডল স্যার,
আপনার মহানুভবতার জন্য ধন্যবাদ। বীরেন্দ্র ক্রিসেন্ট টাউনের সোশ্যাল খাওয়া ছাগল । নাইটগার্ডের কাজ করে ।

তাতে আপনার কোণ সমস্যা আছে? নাইট গার্ডের চাকুরী কিন্তু কাজ। আর আপনি ভালভাবেই জানেন , এ দেশে কাজকে ছোট হিসেবে দেখা হয় না। আপনি আমাকে চেনেন কিন্তু আমি আপনাকে চিনি না। নিজের পরিচয় নাম ইত্যাদি দিলে ভাল হয় সরাসরি কথা বলতে পারি। কি দরকার ব্লগে এসে গালি দেওয়ার।

আপনি নিজে খুব বড় কিছু হয়েছেন ? একটু জানালে আরো একটু সম্মান দেখাতাম। আপনি যে দুটো প্রশংসা বানী দিলেন আমি সে দুটোর কোনটাই নই অর্থাৎ আমি সোশ্যাল ও খাই না এবং নাইট গার্ডের কাজ ও করি না। কাছাকাছি তো থাকি, ব্লগে গালাগালি না কবা রে আলাপ করলেই তো পারেন। আপনি যদি আপনার নাম্বারটা দেন। আমার টেলিফোন নাম্বারটা দিচ্ছি - ৬৪৭ ৭০৬ ৯৩১৮।

সৎ সাহস থাকলে আলাপ করবেন আশা করি বা টেলিফোন নাম্বার দেবেন।

৪৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: Click This Link

উপরে এই লিংকটা দেখেন। ঘন্টা দুয়েক আগে তুর্কীতে একটা ভূমিকম্প হইছে। এইখানে লাইভ ফিড দেয় ভূমিকম্পের।

আমার দুইখান প্রশ্ন আছে। আমি অবশ্য প্লানেটারী সিস্টেমের ভূমিকম্প সম্পর্কে সাম্প্রতিক থিওরী তেমন একটা জানি না।

ধরেন আপনে আয়নস্ফিয়ারে একটা উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শক্তিশালী বীম মারলেন। কিছু অংশ ফিরা আসবে যেগুলা ধরেন এটেনুয়েশন হবে (১০০ এর উপরেই হওনের কথা পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর) তাইলে লগারিদমিক স্কেলে এইরা মেগা হার্জে আইসা যাওয়া কথা। আপনে যদি টেরাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি উপরে মারেন তাহইলে রিফ্লেক্ট করতে পারে গিগাহার্জ রেন্জ্ঞে।

এটা হার্পের করার উদ্দেশ্য হইলো আয়নস্ফিয়ারের এটেনুয়েশন কত ডিগ্রীতে সবচেয়ে কম এবং ভালো ফল দেবে যাতে করে নেভিগেশন সিস্টেম সেই চ্যানেলে আরও ভালো কাজ করতে পারে। কারন ইউএস স্যাটেলাইট এখন যেটা করে উপর থেকে গাড়ির ফটুক নিতে পারে এবং নম্বর প্লেট নিতে পারে, কিন্তু সেগুলো ম্যাপিং করে। রিয়েলটাইম ফিড নেয়ার ক্ষেত্রে সেটা খুব ভালো আসে না কারন বেশী এফপিএস হলে ঐ আয়নস্ফিয়ারে হারিয়ে যায় এবং পুরো ফাইল বা ডাটা করাপ্টেড হয়ে যায়।

কথা হইলো আয়নস্ফিয়ারের যদি ম্যাগনেটিক ফিল্ড (? যদিও আমাদের আয়নস্ফিয়ারে দৈনিক কতগুলো কসমিক রের সংঘর্ষ ঘটে এবং তার ফলে সাবএটমিক লেভেলে ব্লাক হোল তৈরী হয় যার জন্য প্লাংকের স্কেল দরকার) পরিবর্তন হলে তাতে ভূমিতে কি এফেক্ট পড়বে সেটা বুঝলাম না!

আর আর্টিফিসিয়ালি ভূমিকম্প ঘটানোর জন্য কি এতবড় সেট আপের কি দরকার আছে? যদিও আমি জানি একটা ক্যাভিটি ম্যাগনেট্রন দিয়ে কিভাবে একটা ছোটখাটো ভূমিকম্প কিভাবে তৈরী করে, কিন্তু ব্লগের সাবেক হিজবুতী রাজশাহীর রনির ব্লগ আর কোথাকার কোনো সাপ্তাহিকীর আর্টিক্যাল আর রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা (রাশিয়ার অনেক প্রোপাগান্ডার কথা মনে পড়ে যেগুলো আমেরিকার (ইলুমিনাতি, গ্রান্ড ইউনিফাইড থিওরী কোন জাহাজ বলে টেলিপোর্ট কইরা গ্রীসে নিয়া যায়) থেকেও হাস্যকর যেমন তুঙ্গুসকা ইত্যাদি) যদিও বোঝা যায় রাশিয়ার আর আগের দিন নাই, এরকম জিপিএস টেকনোলজী আবিষ্কার আসলে তাগো উপরও অনেক সমস্যা দেখা দেবে, শুধু তাগো না এরকম আরও অনেকের গাত্রদাহের কারন ঘটবে!

ভালো কথা, গিগাহার্জ, বা টেরাহার্জ লেভেলের ফ্রিকোয়েন্সিতো আমরা নানা এক্সপেরিমেন্টে মাটির উপর নীচে ব্যাব হার করছি, ইলেক্ট্রনিক্স থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট স্টেশন, হাই এনার্জী পার্টিক্যাল এক্সিলারেটর যেগুলা পারলে আরেকটু হলে ব্লাক হোল বানাতে পারে, যেগুলো উপর তেমন কিছু নাই, সেগুলোতেও সেম কাহিনী হবার কথা নাকি?

ভালো কথা হুগো শ্যাভেজ কি কোনো পার্টিক্যাল ফিজিক্সের উপর খুবই পারদর্শি? বুঝলাম না সেরকম কোনো পার্টিক্যাল ফিজিক্স বা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের লোকের বক্তব্য সেরকম কিছু শুনলাম না!''

বাঙ্গালী হুদাই কুন হিজবুতীর ফিকশন নিয়া পড়লো!

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৩৭

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । এখন হার্প কতটা সত্যি এটা কিন্তু কেউ শিওর করতে পারছেনা । আর আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন আমেরিকার অনেক গোপন প্রজেক্ট আছে । তারা ধোয়া তুলসী পাতা না । আমি খালি একটি সম্ভাবনার কথা বলেছি । অনেকেই কিন্তু অনেক তথ্য দিলো ।

আর একজন প্রেসিডেন্টকে কোন কথা বলতে হলে যে সে বিষয়ের পারদর্শী হতে হবে এটা ঠিক নয় । হুগো শ্যাভেজ অ্যান্টি - আমেরিকা তাই তার কথা আমলে উঠছেনা । আর বরাক ওবামা হলো ইহুদীদের পুতুল - তার কথা মিডিয়ায় আসে । তাই তাকে বিশ্বাস করতে হবে - এটা ঠিক না । তার ওসামাকে হত্যার বিষয়টা যে পুরো ভূয়া - এটা আমি ১০০% শিওর । কিন্তু কি অবলীলায় মিথ্যা বলে গেল ।


আর ইলুমিনাতি ব্যাপারটা পুরোপুরি হেসে উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয় । সেখানে আছে কিছু গোপন ব্যাপার ।

৪৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আল্লাহ কোনো এক আয়াতে বলেছিলেন সত্যকে সামান্যতম মিশেল থাকাটাও গুনাহের কাজ আর গুজবে ছড়াতে এবং বিশ্বাস করতেও কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা আছে। আয়াত টা সঠিক মনে নেই তাই পুরোপুরি রেফারেন্স আকারে দিতে পারলাম না।
যে সত্যে সামান্যতম মিশেলও থাকবে সেটা পুরোপুরি পরিহারের মতামত রয়েছে খোদ ইসলামে। এমনকি বুখারী শরীফে যখন হাদিস সংগ্রহ করা হয়েছিলো তখন এই জিনিস প্রচন্ডভাবে পর্যবেক্ষন করেই করা হয়েছিলো!


আর বরাক ওবামা হলো ইহুদীদের পুতুল - তার কথা মিডিয়ায় আসে । তাই তাকে বিশ্বাস করতে হবে - এটা ঠিক না । তার ওসামাকে হত্যার বিষয়টা যে পুরো ভূয়া - এটা আমি ১০০% শিওর । কিন্তু কি অবলীলায় মিথ্যা বলে গেল ।

দুনিয়াতে কিছু বুরবাক পাগল আছে যারা বিশ্বাস করে চাদে মানুষ যায়নি। অনেক তথ্যপ্রমান হাজির করে। যখন দেখা যায় তথ্যপ্রমান গুলোর বেশীরভাগ নিজেরাই এডিট করেছে এবং গল্প গুলোতে প্রচুর ফোক ফোকর আছে তখন বুরবাক গুলো নতুন নতুন কন্সপাইরেসি থিওরী আওড়ায়। এমন কিছু প্রমান দেখায় যেগুলো বেশীরভাগ কাকতালীয় এবং সরাসরি কোনো কিছুই বোঝায় না। যদি এগুলো সত্যই হয়ে থাকে তাহলে সেগুলোর বিরুদ্ধে এসব বুরবাক অকাটমূর্খ গুলো নিজেরা তথ্যপ্রমানও সংগ্রহ করছে না। যেটা করছে পুরোনো সেই রেকর্ড বার বার বাজিয়ে যায়।

লেখক সাহেব, আমি আপনাকে কিছু বলিনি। যদি আপনি মুসলমান হোন, তাহলে এসব বুরবাক অকাটমূর্খ্যদের কথা বিশ্বাস করবেন না। যদি সে বেচেই থাকে, তাহলে তার একটা ফটো দেন বা এমন কোনো প্রমান থাকলে দেন। যদি প্রমান না থাকে তাহলে কোরান অনুসারেই আপনি পাপ করছেন। আমি আমেরিকানদের এই কাজে বিশ্বাস করি কারন তারা যে ঘটনা বলছে আমার সাথে এবোটবাদের অনেক পোলাপান আছে তারাই বলছে, আসলেই ছিলো এবং আইএসআই সরাসরি এই কাজটা করছে!

আর ইলুমিনাতির তত্ব সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে ড্যান ব্রাউনের বই থেকে। ইহুদিরা স্বাভাবিকভাবেই মার্কিনিদের পুরো করায়ত্ব করেছে এটা খুব সত্য ঘটনা। রথসচাইল্ড খুবই ধনী এবং ক্ষমতাশালী পরিবার। কিন্তু খোদ ইসরাইলের ভিতরে তাকালে দেখবেন কি অবস্হা। বেকারত্বের হার এখন ওখানে চরম। সাবেক আর্মিতে কাজ করা লোক গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তার পেনশনের টাকা বন্ধ করে দেয়ার জন্য। ইসরাইলের অর্থনৈতিক অবস্হা এতটাই শোচনীয় যে বেশীর ভাগ লোক দিনে এক বেলা খায়। তবে গ্রীসের মতো খারাপ অবস্হা হয় নি। কারন ইসরাইলি সরকার খাবার না দিতে পারলেও থাকার জায়গা দিতে পেরেছে। ইসরাইলের মেয়েগুলো এখন আরবের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ধনীদের কাছে দেহ বিক্রি করছে নতুবা আমেরিকা পাড়ি জমাচ্ছে নাইট ক্লাবে স্ট্রিপিং চাকরী খুজবার জন্য অথবা ফ্রান্সে এসে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে নাহলে সোশাল খাওয়ার ধান্ধা করছে!

মিডলঈস্টে এসব গুজব ছড়ায় খ্রীষ্টান কিছু মার্সিনারীজ আছে যাদের সাথে আরবের বড় বড় শেখদের খুব বেশী রাজনৈতিক সম্পর্ক। গাদ্দাফীকে এরাই সাহায্য করেছিলো শেষের দিকে সেনাবাহিনী দিয়ে।

যাই হোউক, এসব ইলুমিনাতি ছেলে ভুলানো তত্ব আপনাদের মতো লোকজনের জন্যই যারা মনে করে নিজের পেট খারাপ হইলে এইখানে ইহুদি জায়নবাদী ষড়যন্ত্র লুকায়িত।

ভালো কথা আপনি তো আইটি ইন্জ্ঞিনিয়ার, এক জন ইন্জ্ঞিনিয়ার হয়ে কোনো তথ্য উপাত্ত বিহীন ইনটুইটিভ লজিকে বিশ্বাস করে কিভাবে?

লিভ লাইফ!

৪৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর হার্প নিয়া এখনো কোনো বান্দা কোনো তথ্য প্রমান দেখাতে পারেনি, আর একজন ইন্জ্ঞিনিয়ার হিসেবে আপনারও ভালো জানার কথা আপনে সারা জীবন চেষ্টা করলেও এই সেটআপে এতো বড় একটা ম্যাগনেট্রন দিয়ে ভূমিকম্প ঘটাতে পারবেন না।

যদি ঘটানো যেতো তাহলে আমাদের ইউনিতে আরএফ ল্যাবে যেগুলো নিয়ে কাজ হয় দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যেতো!

এখন বলেন যেসব কাজ আমি নিজে দেখি সেগুলো বিশ্বাস করবো নাকি আপনার স্বপ্নে পাওয়া হাস্যকর যুক্তিতে বিশ্বাস করবো?

ভাত খান আর একটা ঠান্ডা কোক খাইয়া ঘুম দেন!

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪২

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাত খাইলাম । কোক খাইনা কারণ ওতে নাকি অ্যালকোহল আছে ।

৪৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আশরাফুল সিয়াম বলেছেন: এই উদাসী স্বপ্ন আপনার যদি এগুলো বিশ্বাস না হয় তো আসেন ক্যান কমেন্ট দিতে সব কিছু বিসশ্বাস দিয়া হয় না, আপনি জন্মের সময় আপনার মা কে সেটা জানতেন না, পড়ে কিন্তু আপনার জন্মদাত্রী আপনাকে বুঝাইসে যে বাবা আমি ই তোর মা, এটা কিন্তু আপনি বিশ্বাসই করসেন লজিক দিয়া বুঝায় দেয় নাই। বাল ধুর। আমারেও জ্বালাইসে অনেক আবার এইহানে আইসে

৪৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০

আশরাফুল সিয়াম বলেছেন: সব যদি লজিকে হইতো তাইলে বিগ ব্যাং, বারমুডা রহস্য উদঘাটন হইয়া যাইতো বুঝলা? দুনিয়ায়টা এত্তো সহজ না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.