|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 ছবি সৌজন্য:গুগল
 ছবি সৌজন্য:গুগল
হ্রদের উপর পতনশীল বৃষ্টির ফোঁটাটি মৃত্যুকে ক্রমশ এগিয়ে আসতে দেখছিল, সে ভয় পাচ্ছিল তার পরিচয় হারানোর। বাঁচতে চাইছিল সে, অন্ততঃ আরও কিছুক্ষণ। প্রাণপণে চেষ্টা করছিল ক্রমবর্ধমান গতিকে রোধ করার। মরিয়া হয়ে অবলম্বন খুঁজছিল সে, বাতাসের কাছে আকুল প্রার্থনা জানিয়েছিল তাকে ভাসিয়ে রাখার জন্য, অন্ততঃ আরও কিছুক্ষণ। স্নেহের হাসি হেসেছিল বাতাস, বলেছিল, "ওহে বৃদ্ধ, মৃত্যুকে রোধ করতে পারে কে? ভেবে দেখো, তোমার জীবন কি তোমার মায়ের জীবনের বিনিময়ে প্রাপ্ত নয়?" শুনে উর্ধ্বপানে চেয়েছিল সে, অবাক হয়ে দেখেছিল মৃত্যুকে, ক্রম-বিলীয়মান কালো মেঘখণ্ডটিকে, আবার জন্মকেও, নবজীবনের উচ্ছ্বাসে পথ চলতে শুরু করা কয়েকটি সদ্য-জন্মানো অনুজদের। জন্ম কি? মৃত্যুই বা কি? আশ্চর্য হয়ে ভাবছিল সে। অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছিল রহস্য, অমোঘ নিয়মে অবশেষে এসেছিল মৃত্যু। হ্রদে পতনের সঙ্গে সঙ্গেই সে হারিয়েছিল তার পরিচয়, স্বাতন্ত্র্য। পেয়েছিল নতুন পরিচয় -- সে এখন একটি হ্রদ। আবারও শুরু হয়েছিল ভয়, ক্ষয়ের, মৃত্যুর। ক্রমে মেঘ কেটে গিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ঝলমলে সূর্য। সূর্যতেজে হ্রদ থেকে উঠতে শুরু করেছিল বাষ্প। সভয়ে আর্তনাদ করে উঠেছিল হ্রদ, প্রার্থনা জানিয়েছিল সূর্যের কাছে -- "দোহাই আপনার, তেজ সম্বরণ করুন। ক্ষয়, মৃত্যু কি ভয়ঙ্কর!!"
স্মিত হেসে বলেছিল প্রাচীন সূর্য, "মৃত্যুপথযাত্রী তো আমিও, প্রত্যেকের মতোই। যতক্ষণ সসীমতা, ততক্ষণ স্বাতন্ত্র্য, পরিচয়। এবং তা হারানোর ভয়ও, জন্ম-মৃত্যুও। জন্ম আর মৃত্যু দুটো বিপরীত দিক থেকে দেখা একটাই রেখা বৈ তো কিছু নয়। অতঃপর বিলাপ কিসের? যা সসীম নয়, যার নেই কোনো পরিচয়, কোনো স্বাতন্ত্র্য, তার জন্মও নেই, মৃত্যুও নেই।"
অবশেষে সমাধান হল রহস্যের, সে বুঝতে পারল, জীবন-মৃত্যু আসলে ক্রীড়ামাত্র। মহানন্দে সে শুরু করে দিয়েছিল খেলা। ক্রমশঃ ক্ষয় হতে থাকা সূর্যের আলো গ্রহণ করে বেড়ে উঠছিল তীরে সদ্য জন্মানো একটি ঘাস। জীবনের আনন্দে মৃদুমন্দ হাওয়ায় দুলছিল তার শরীর, সূর্যালোকে চকচক করছিল তার পাতা দুটি। হ্রদ ধীরে ধীরে আলতো ভাবে নিজেকে এগিয়ে দিয়েছিল তার শিকড়ের দিকে, নির্ভয়ে, নিঃসংশয়ে। কারণ সে জেনেছিল অমরত্বের রহস্য, সে দেখেছিল অনন্ত জীবন, পেয়েছিল মুক্তি।
.
নিত্যোহনিত্যানাং চেতনশ্চেতনানামেকো বহূনাং যো বিদধাতি কামান্ ।
তমাত্মস্থং যেহনুপশ্যন্তি ধীরাস্তেষাং শান্তিঃ শাশ্বতী নেতরেষাম্ ॥
 ১৩ টি
    	১৩ টি    	 +২/-০
    	+২/-০  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১২:১৩
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১২:১৩
গেছো দাদা বলেছেন: এক হিসাবে আপনার ভাবনাও সঠিক । তবে এখানে দর্শনতত্ব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছি । একটি মজার তথ্য দেই : আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমানিত হয়েছে যে জলের একধরনের মেমোরি পাওয়ার রয়েছে । জাপানী বৈজ্ঞানিক এর দ্বারা প্রমানিত। এসম্পর্কে ইউটিউবে বেশ কিছু ভিডিও রয়েছে ।
  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:১৪
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:১৪
গেছো দাদা বলেছেন: ১১ই নভেম্বর থেকে ২৬নভেম্বর পর্যন্ত ব্লকড ছিলাম । আবার ব্লকড হয়েছি ।১১ই নভেম্বরের আগেও আমাকে বার বার ব্লক করা হয়েছিল। হঠাৎ মটাৎ করে লগ ইন করতে পারছি অল্প কিছু মিনিটের জন্য। তার পরেই ব্লকড হয়ে যাচ্ছি। বার বার আমার সাথে এমন টা হচ্ছে । সঠিক কারন টা জানালে আমি নিজেই আর সামু করতাম না । অনেক দূঃখের সাথে একথা গুলি আজ লিখতে বাধ্য হলাম। আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কেউ কি কিছু আমার জন্য করতে পারবেন এ ব্যাপারে ? হয়তো আপনাদের উত্তর পাওয়ার আগেই আমাকে পুনরায় ব্লক করে দেওয়া হবে !!
২|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ৩:২২
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ৩:২২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনার দর্শনে 'জন্ম অতঃপর মৃত্যু'- একজীবনের শেষ, অন্য জীবনের শুরু। অর্থাৎ  জন্ম-মৃত্যুর মধখানের এই 'অতঃপর' নামক সময়টাই জীবন। এটা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তার কিছু নেই। 
পুনঃজন্মে যারা বিশ্বাস করে লিখাটি তাদের তৃপ্তি দেবে; কিন্তু যারা করে  না তাদের কাছে অর্থহীন।   
উপস্থাপন ভালো হয়েছে  ।
৩|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ৮:০৯
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটি বুঝতে আমার বেশ বেগ পেতে হলো।
  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:১১
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:১১
গেছো দাদা বলেছেন: ১১ই নভেম্বর থেকে ২৬নভেম্বর পর্যন্ত ব্লকড ছিলাম । আবার ব্লকড হয়েছি ।১১ই নভেম্বরের আগেও আমাকে বার বার ব্লক করা হয়েছিল। হঠাৎ মটাৎ করে লগ ইন করতে পারছি অল্প কিছু মিনিটের জন্য। তার পরেই ব্লকড হয়ে যাচ্ছি। বার বার আমার সাথে এমন টা হচ্ছে । সঠিক কারন টা জানালে আমি নিজেই আর সামু করতাম না । অনেক দূঃখের সাথে একথা গুলি আজ লিখতে বাধ্য হলাম। আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কেউ কি কিছু আমার জন্য করতে পারবেন এ ব্যাপারে ? হয়তো আপনাদের উত্তর পাওয়ার আগেই আমাকে পুনরায় ব্লক করে দেওয়া হবে !!
৪|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১০:১৮
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১০:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: গতকাল চাইনীজ বিজ্ঞানীরা ডিজাইনার বেবী মানে শিশু জন্মের আগেই ক্রিসপার টেকনোলজি দিয়ে তার ডিএনএ কে চেন্জ করে জন্ম দিয়েছে যেটা আগে কখনই হয় নাই...জন্ম হত বাবা মায়ের ডিএনএ এর মিলন এর ফল...এক ফোটাও এদিক ওদিক হত না
CRISPR BABY
৫|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১০:৫২
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১০:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,
একটি দর্শনকে সুষমামন্ডিত আর দর্শনীয় করে তুলেছেন লেখায় । চমৎকার লাগলো। 
পোস্টের  নীচের  দু'লাইনের সংস্কৃত শ্লোকটির তরজমা  সাথে দিলে ভালো হতো।
৬|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১১:৩৭
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  সকাল ১১:৩৭
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: পড়লাম .......... ভালোই লাগলো
৭|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:৫৬
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  দুপুর ১:৫৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম..
৮|  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:০৫
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:০৫
গেছো দাদা বলেছেন: ১১ই নভেম্বর থেকে ২৬নভেম্বর পর্যন্ত ব্লকড ছিলাম । আবার ব্লকড হয়েছি ।১১ই নভেম্বরের আগেও আমাকে বার বার ব্লক করা হয়েছিল। হঠাৎ মটাৎ করে লগ ইন করতে পারছি অল্প কিছু মিনিটের জন্য। তার পরেই ব্লকড হয়ে যাচ্ছি। বার বার আমার সাথে এমন টা হচ্ছে । সঠিক কারন টা জানালে আমি নিজেই আর সামু করতাম না । অনেক দূঃখের সাথে একথা গুলি আজ লিখতে বাধ্য হলাম। আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কেউ কি কিছু আমার জন্য করতে পারবেন এ ব্যাপারে ? হয়তো আপনাদের উত্তর পাওয়ার আগেই আমাকে পুনরায় ব্লক করে দেওয়া হবে !!
৯|  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:৩৬
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১০:৩৬
ফেইরি টেলার বলেছেন: দারুন লিখেছেন দাদু । অনেকটা রুমি'র "when i die" এর মত লেগেছে । কবিতাটির অংশবিশেষ দিচ্ছি 
যখন আমি মারা যাব 
যখন আমার শব কফিন
নিয়ে যাওয়া হবে 
কখনোই ভাববে না 
আমি পৃথিবী হারাচ্ছি 
অশ্রু বিকীর্ণ করো না 
আর্তনাদ করো না অথবা 
দু:খিত হয়ো না
আমি হারিয়ে যাচ্ছি না
দৈত্যময় কোন অতলে  
যখন তুমি দেখবে 
আমার শব নিয়ে যাওয়া হচ্ছে 
আমার প্রস্থানে অশ্রু বিকীর্ণ করো না 
আমি ছেড়ে যাচ্ছি না
আমি যাচ্ছি অনন্ত ভালোবাসার সান্নিধ্যে 
মাওলানা জালালুদ্দীন রুমি
  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১১:০১
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১১:০১
গেছো দাদা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । বাই দ্য ওয়ে,আই অ্যাম অনলি ২৯ ইয়ারস ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১২:০৫
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮  রাত ১২:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি ভেবেছিলাম, আমি জন্মমৃত্যু নিয়ে কিছু লিখেছেন; পানি জড় পদার্থ, উহা মেঘ, জলকণা, বা বরফ অবস্হায় থাকতে পারে, এখনে জন্মমৃত্যুর কিছু নেই