নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বপিতা ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে বলছেন - ''হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!''
'ছোটদের বাইবেল' পড়ে ছোটবেলাতেই এই কথাটি বড় মনে ধরে হরিপদদার..! সময়ে অসময়ে বিড়বিড় করেন আজও, কারণে.. অকারণেও।
টিফিন টাইমে সিনেমা দেখতে গিয়ে চারবন্ধু ধরা পড়ল। মিশনারী স্কুলে কড়া আইন। তিনজনের টিসি হাতেনাতে। কেবল হরিপদ সমাদ্দার বেঁচে গেল কারণ, হেড দিদিমণির ঘরে ঢুকতে ঢুকতে ভয়ের চোটে বিড়বিড় করছিল - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" কী জানি কী ভেবে হরিপদকেই সেদিন ক্ষমা করে দেন দিদিমণিরা।
ওজন করে, টাকা পয়সা মিটিয়ে চিংড়িগুলো থলিতে নিতে নিতে বিড়বিড় করছিলেন - 'হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!' কী জানি কী কারণে আরো চারটে চিংড়ি থলিতে পুরে দিল গণশা..!
শোকজের চিঠিটা হাতে পেতেই হার্টবিট বেড়ে গেছিল। পাঁচজন স্যারের মুখোমুখি প্যান্ট হলুদ। একের পর এক চোখা প্রশ্ন। চাকরি যায় যায়..! হঠাৎ বিড়বিড় করে উঠলেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" পাঁচজোড়া চোখ স্থির। চাকরি বহাল রইল হরিপদদার।
সেদিন হোটেলে খেতে বসে বিড়বিড় করছিলেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" হঠাৎই ছোঁ মেরে প্লেট তুলে নিল একজন - "আপনাকে মালিক ডাকছে..!" ভেতরে যেতে হাত পা ধরে কান্নাকাটি এক ভদ্রলোকের - "কাউকে বলবেন না প্লিজ, মারা পড়ে যাব। এই দেখুন সব ফেলে দিয়েছি..!"
হরিপদদার চোখের সামনে নালিতে উজাড় প্রচুর মাংস..দুর্গন্ধ..!!
মান্তির মা আ.সি.ইউ-তে। রোজ পঁচিশ হাজার বেরিয়ে যাচ্ছে। যমে মানুষে টানাটানি, ডাক্তার হাল ছাড়ছে না। রিসেপশনে বসে হরিপদদা নিজের খেয়ালেই অভ্যেসমতো বিড়বিড় করছেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!" ডাক্তার ডেকে পাঠালেন চেম্বারে - "বুঝতেই তো পারছেন ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার, আমাদের হাত পা বাঁধা। পাঁচ কান করবেন না, লাস্ট তিনদিনের বিল দিতে হবে না..ডেড বডি রিলিজ করে দিচ্ছি..!"
আজ বড়দিন। ছেলে মেয়ে গিন্নীর সঙ্গে জমিয়ে মাংস ভাত। খেতে খেতেই হরিপদদার বিড়বিড় - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!"
হঠাৎ ভ্যাবাচাকা খেয়ে তিন্নি বললো - "ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, ভাল ঘরের ছেলে.. আমি নিজেই তোমাদের বলতাম..!"
খেয়ে উঠে নন্তু হরিপদদার কানের কাছ এসে বলে গেল - "বন্ধুরা জোর করল, তাই দু'টান দিচ্ছিলাম। আর খাব না।"
শুতে এসে বাবলির মুখঝামটা - "না হয়, প্যান্টের পকেট থেকে তিনশো টাকা নিয়েছি.. তা বলে খেতে বসে, ছেলে মেয়ের সামনে.. ওভাবে বলবে..!!"
হরিপদ সমাদ্দার মুখে খিলি পান গুঁজে বিড়বিড় করেন - "হে ঈশ্বর এদের ক্ষমা করো, এরা জানে না এরা কী করছে..!"
.
কৃতজ্ঞতা:আমার বন্ধু সৌরভ পাল।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৮
গেছো দাদা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। হা হা হা
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,
সহব্লগার খায়রুল আহসান এর মন্তব্যটি পড়ে হাসতে হাসতে মরে গেলুম। রসগল্পে রসের একখানা মন্তব্য।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
গেছো দাদা বলেছেন: হা হা হা
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনিই সৌরভ পাল।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
গেছো দাদা বলেছেন: আরে না না ।আমি সৌরভ পাল নই।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
মাহের ইসলাম বলেছেন: আমাদেরকেও ক্ষমা করা হোক - আমরাও জানি না যে আমরা কি করছি।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩
গেছো দাদা বলেছেন: ওহ গড্ ।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
বরুন মালাকার বলেছেন: প্রভূ তাকেই ক্ষমা করেন যে নিজে ক্ষমা চায়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
গেছো দাদা বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০২
বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: হে ঈশ্বর, গেছোদাদা যাতে লিখতে পারে আরো ১০০ বছর।।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
গেছো দাদা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার সেরা প্রাপ্তি হয়ে রইলো ।
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:০৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার রসগল্প!!
আর তিন দিন পর, আগামী ৩০ তারিখে হরিপদদা কে একটু ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েন, গেছদাদা!