নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য : মাতালের গপ্পো

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১:২৬

এক মাতালের গল্প বলি। গল্পটা আপনাদেরও শোনা থাকতে পারে।
এক পাঁড় মাতাল মাঝরাত্রে বাড়িতে ফিরে বউকে বলল, "ওঠো ওঠো, জানো আমি না মাইরি, কী বলে, দৈব শক্তি পেয়ে গেছি! আজ এক্ষুনি, জাস্ট নাও কী হল ইউ নো?"
বউ ঘুমন্তই পাশ ফিরে বলল, "না জানি না, জানতে চাইও না। শান্তিতে ঘুমাতে দাও।"
মাতাল বলল, "কী আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটল মাইরি! শালা টয়লেটে গেলাম ব্যাস নিজে থেকেই টয়লেটের আলো ফুস্ করে জ্বলে উঠল। হিসি করে বেরিয়ে এলাম তখন নিজে থেকেই লাইট নিভে গেল মাইরি! সত্যি বলছি। আমি ঠিক জানতাম একদিন এমন অলৌকিক ক্ষমতা আমি পাবই।"
বউয়ের ঘুম ছুটে গেল, লাফিয়ে উঠে বলল, "হায় হায় রে! ব্যাদড়া মাতাল নির্ঘাত নতুন ফ্রিজের ভেতর পেচ্ছাপ করেছে। উফফ কী জ্বালা হল! এখন কী করি আমি!"
.
এই মাতালের গল্পটাও আপনাদের হয়তো জানা আছে।
এক ভদ্র মাতাল দীঘার সি বিচে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় গটগটিয়ে হেঁটে যাচ্ছে । হাতে তার জামা-প্যান্ট ধরা আছে। সি বিচ অগণ্য পর্যটকের ভিড়ে থিকথিক করছে। মেয়েরা লজ্জায় কী করবে বুঝতে পারছে না।
দুজন পুলিশ কনস্টেবল বিচে ডিউটি দিচ্ছিল। তাদেরকে কেউ গিয়ে ঘটনাটা বলল। শুনে তারা দৌড়ে দৌড়ে গিয়ে মাতালকে ধরল।
মাতালকে তারা বলল, "লজ্জা করছে না এভাবে জনসমক্ষে নেকেড হয়ে ঘুরতে? কী রকম মানুষ আপনি?"
শুনে মাতাল ভদ্রলোক ঘাড় নেড়ে বলল, "লজ্জা করছে। খুবই লজ্জা করছে। লজ্জায় আমি চোখ তুলে তাকাতেও পারছি না। সেইজন্যই তো একটা ঝোপঝাড় খুঁজছি যার আড়ালে গিয়ে জামা-প্যান্ট পরব। আপনারা মাঝখান থেকে এসে ঝামেলা পাকালেন। জামা-প্যান্ট কী এত লোকের সামনে পরব নাকি? আমার লজ্জা করে না বুঝি?"
.
মাতালের কথা শুরু করলে শেষই হয় না।
একদিন ভজহরিদা রাত্রে মাল-টাল টেনে ঝন্টুর চা দোকানে এসে ঝন্টুকে বলল, "একটু চা বানিয়ে দে ভাই। স্পেশাল এক কাপ। মালাই মার কে!"
ঝন্টু বলল, "দুধ চা হবে না, লিকার হতে পারে।"
ভজহরিদা গর্জে উঠল, "কেন দুধ-চা হবে না? হোয়াইই?"
ঝন্টু বলল, "দুধ কেটে গেছে।"
ভজহরিদা একটু চিন্তা করে বলল, "দুধ কেটে গেছে তো কী হয়েছে? জুড়ে নে। ফেভিকল দিয়ে জুড়ে নে। কিন্তু আমার দুধ-চা আর একটা ডিমের অমলেট চাই।"
.
ডিমের কথায় আমার অনেকদিন আগে শোনা একটা গল্প মনে পড়ে গেল। কার কাছে শুনেছি মনে নেই।
একজন লোক ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়ে বলল, "ডাক্তারবাবু আমার ভাই নিজেকে মুরগি মনে করছে। সারাক্ষণ 'কোঁকর কো' 'কোঁকর কো' করে ডেকে যাচ্ছে। বলছে ডিম পাড়বে।"
জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাক্তারবাবু উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, "আমার কাছে এসেছেন কেন? এক্ষুনি একজন মানসিক রোগের ডাক্তারকে দেখান।"
লোকটা বলল, "সে তো দেখাতেই পারতাম কিন্তু ইচ্ছে করেই দেখাইনি। ওয়েট করে দেখছি যদি সত্যিই ডিম পাড়ে! ভাইটা এমনিতেই বেকার বসে আছে। রোজ যদি একটা করে ডিম পাড়ে তাহলেও তো সংসারের সাশ্রয় হয়।"
.
এক ডাক্তারবাবুর গল্প বলতেই আর এক ডাক্তারবাবুর কথা মনে পড়ল।
পাকড়াশিবাবু রাত এগারোটার পর এক পূর্বপরিচিত সার্জেনকে ফোন করলেন।
ফোন করে বললেন, "ডাক্তারবাবু আমার স্ত্রীর তলপেটের ডানদিকে একটা ব্যথা হচ্ছে। জ্বরও আছে। আচ্ছা অ্যাপেন্ডিসাইটিস নয়তো?"
ডাক্তারবাবু অনেকগুলো অপারেশন করে সবে ঘরে ফিরেছেন। ভীষণ ক্লান্ত। বললেন, "এখন একটা পেনকিলার খাইয়ে দিন, ব্যথা কমে যাবে।"
আবার কিছুক্ষণ পরে পাকড়াশিবাবু ডাক্তারবাবুকে ফোন করলেন।
ডাক্তারবাবু ফোন ধরতে পাকড়াশিবাবু বললেন, "ডাক্তারবাবু অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। খুব ভয় করছে আমার।"
ডাক্তারবাবু বললেন, "আরে পাকড়াশিবাবু ভয় পাবেন না। দরকার হলে আপনার স্ত্রীর পেটে একটু গরম সেঁক দিন, ব্যথা নিশ্চই কমবে।"
আবার কিছুক্ষণ পরে পাকড়াশিবাবু ফোন করলেন, "ডাক্তারবাবু আমার স্ত্রী ব্যথায় ছটফট করছে। এখন ধরুন যদি অ্যাপেন্ডিক্সটা ফেটে যায়? তাহলে তো প্রাণ সংশয় হয়ে যাবে?"
ডাক্তারবাবু হা হা করে হেসে বললেন, "আরে মশাই আপনি পড়েননি কিন্তু আমি তো ডাক্তারি শাস্ত্রটা পড়েছি। কারুর পেটে দুটো অ্যাপেন্ডিক্স থাকতে পারে নাকি? আমি তো গতবছরেই আপনার স্ত্রীর অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করে বাদ দিয়েছি। ওইজন্যই বলছি চিন্তার কিছু নেই। নিশ্চিন্ত থাকুন।"
পাকড়াশিবাবু গলা ঝেড়ে বললেন, "হ্যাঁ তা ঠিকই। ডাক্তারি শাস্ত্র ঠিকই আছে। একজন মানুষের শরীরে দুটো অ্যাপেন্ডিক্স থাকতে পারে না। আর গতবছরেই আমার স্ত্রীর অ্যাপেন্ডিক্স বাদ দিয়েছেন এটাও ঠিক। কিন্তু দুটো মানুষের তো দুটো অ্যাপেন্ডিক্স থাকতেই পারে, তাই না? মানে এটি হল গিয়ে আমার সেকেন্ড ওয়াইফ।"
ডাক্তারবাবু নির্বাক!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:০৬

নতুন বলেছেন: খারাপ না, চলে দাদা।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:২২

গেছো দাদা বলেছেন: কি চলে ? কোন ব্র্যান্ড ?? হা হা হা ... ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:০৯

গাজী রাসেল বলেছেন: সুন্দর

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১৪

গেছো দাদা বলেছেন: কোনটা সুন্দর ? মাতালের মাতলামি ,নাকি আমার এই গপ্পো !! হা হা হা ... ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বিনোদন পেলাম। এটাই বড় কথা।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৭

গেছো দাদা বলেছেন: শুভেচ্ছা জানাই।

৪| ১৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অপরিসীম ভালো লাগলো।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩৮

গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দারুন।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩৮

গেছো দাদা বলেছেন: স্বাগতম ।

৬| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: একই কৌতুক, একই কথা কিন্তু উপস্থাপনার গুণে অসাধারণ হয়ে যায়। শোনা কথাও নতুন লাগে। শিব্রাম চক্রবর্তির উত্তরাধিকারী কি পেয়েই গেলো পশ্চিম বাংলা? :-B

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪২

গেছো দাদা বলেছেন: অসাধারন উৎসাহ পেলাম। কিন্তু শিব্রাম চক্রবর্তি অনেক উঁচুদরের লেখক। আমি তার কনামাত্র পেলে ধন্য হয়ে যাব।

৭| ১৭ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০২

সাইন বোর্ড বলেছেন: এই দুঃসময়ে একটু মজা পেলাম ।

১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫

গেছো দাদা বলেছেন: দুঃসময় টাকে বেশি ভাবনায় আনতে নেই। ভাবতে হবে , রাতের পরেই দিন আসে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.