নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাবনা, না সাতক্ষীরা — কোন মুল্লুকে এসে পড়েছি কেজানে। কচু, আর লইট্যা মাছে ঘিরে ফেলেছে বাজারটা। ঊনসত্তরটা কচুর ভ্যারাইটি। আদিকচু, কচুশাক, কচুলতি, কচুফুল, শোলাকচু, জলকচু, ওলকচু, মুখিকচু, মানকচু, মায় পোড়াকচুও পেয়ে যাবেন।
মানকচু হত আমার মামাবাড়ির বাগানে। পাশের কোয়ার্টারের 'রমার মা' তুলে নিয়ে যেত। বলত, "আফনে একদিন দ্যাহেন না খাইয়া। দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
মামার সঙ্গে রমা মাসির প্রেমটা আর আলো দেখল না। দাদু এক ধমক দিয়ে বলল, "হুঁ! শ্বশুরঘর গিয়ে খাবি মানকচু বাটা!"
পাশে বুড়িমা নিয়ে বসেছে কয়েক আঁটি খারকোল পাতা। বললাম, "জানিনা কিভাবে বানায়।"
বলল, "দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
আমি এগিয়ে যাই। রুমালে নাক চেপে ডাঁই করে রাখা শুঁটকির ভ্যারাইটি পেরিয়ে দেখি আরেক বুড়িমা এক ডালি কাঁঠালের বিচি নিয়ে। আমার বন্ধু ঈশানী বলত, "কাঁঠালবিচি কিনলে সবসময় ফোকলা লোকের কাছে কিনবি।"
মাছের বাজারের আদ্ধেক ধকল লইট্যা, আর চন্দনির।চন্দনিগুলো খোকা ইলিশ বলে চালাচ্ছে।
সবজি বাজার ঘুরে কোনোরকমে একপিস লাউ আর দূরে ধুঁকতে থাকা এক বুড়োর কাছে খানিক কুচো চিংড়ি কিনে মুখ ফিরিয়েছি, অমনি চিংড়ি কিনতে আসা ভদ্রমহিলার কণ্ঠস্বর কানে এল, "দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
যা বুঝলাম, বাঙাল রান্না খুব সহজ। দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫
গেছো দাদা বলেছেন: হা হা হা। ঠিকই বুজসেন।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
পাঠক০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি বেশ নষ্টালজিক অনুভব করি।
আমি সাধারনত অফলাইনে বেশি পড়ি, মন্তব্য করা হয় খুব কম।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩০
গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ। মন্তব্য করবেন।তাহলে উৎসাহ পাব।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো লাইনে আসছেন দাদা। এর আগের লেখাগুলোতে আপনাকে খুঁজে পাইনি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১
গেছো দাদা বলেছেন: দুঃখিত। আপনার মধ্যে সহমর্মিতার অভাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিও যা বুঝলাম!
শিল নোড়ায় ঘষা ঘষি
লঙ্কার জীবন শেষ।