নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প কি পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

অনেক ভারতীয় দের দেখি কেবল পেয়াজ, আলু, কাঁচা মরিচ এসবের উদাহরন দিয়েই সোশাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি দের আক্রমন কে প্রতিহত করে! তাই আমরা বাংলাদেশে কি কি পন্য রপ্তানি করি সেই বিষয়ে আমাদের জানা থাকা দরকার।
ভারত যেসব পন্য বাংলাদেশে রপ্তানি করে, তার মধ্যে প্রধান ৩ টি আইটেম হলো.....
১) রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম বা পরিশোধিত তেল। বাংলাদেশে কাঁচা খনিজ তেল পরিশোধন করার একটি মাত্র তেল শোধনাগার আছে। যেটাও তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে! যা বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করায় অক্ষম হওয়ায় ভারত থেকে সরাসরি পরিশোধিত খনিজ তেল কিনতে হয়।
২) বিশুদ্ধ সুতা বা পোশাক তৈরির জন্য সুতা। বাংলাদেশের বিশ্বের সবচেয়ে সস্তার গারমেন্টস সেক্টরের জন্য সবচেয়ে সস্তায় সুতা জোগান দেয় ভারত। যা পৃথিবীর কোন দেশ থেকে সম্ভব নয়।
৩) তুলা। সুতা এর পাশাপাশি ভারত থেকে সবচেয়ে সস্তা ও সাশ্রয়ী মূল্যে তুলা ও বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। এই তুলা বাংলাদেশে নিয়ে সুতা তৈরি করা হয়।
এবার আসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথায়। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হচ্ছে ওদের গারমেন্টস সেক্টর। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫% আসে এই গারমেন্টস তথা পোশাক রপ্তানি থেকে! একবার কল্পনা করুন যে একটি দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫% ই আসে একটি মাত্র পন্য থেকে! কতটা দূর্বল জায়গা এটা। আর এই গারমেন্টস সেক্টরে বহু মানুষ কাজ করে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা পারিশ্রমিক এ। বাংলাদেশের বহু মানুষের জীবন-জীবিকা চলে এই গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।
আরেকটি জানার বিষয় হলো বাংলাদেশের এই অতি সস্তা শ্রমিক দ্বারা তৈরি সস্তা মূল্যের গারমেন্টস পন্য রপ্তানি হয় আমেরিকা ও ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে। সেটাও একেবারে বিনা শুল্কে। কারন বাংলাদেশ এখনো অফিশিয়ালি একটি গরীব দেশ। উন্নয়নশীল দেশের তকমা পায়নি। তাই উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশ কে পন্য রপ্তানি তে শুল্ক ফ্রি সাহায্য দেয়। পৃথিবীর যেসব দেশ এখনো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে পারেনি, তাদের পন্য রপ্তানি তে শুল্ক ছাড় দেয় আমেরিকা ও ইউরোপের উন্নত দেশগুলো। বাংলাদেশ ও এই সুবিধার মাধ্যমেই সস্তায় পোশাক রপ্তানি করতে পারে। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে পোশাক অর্ডার করে কেবল শুল্কমুক্ত হওয়ার কারনে তুলনামূলক সস্তা হওয়ায়।
বাংলাদেশের এহেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে চলে ভারত থেকে অতি সস্তা কাঁচামাল(সুতা এবং তুলা) এর জোগান এর কারনে।
এছাড়াও বাংলাদেশের গারমেন্টস সেক্টরে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ক্রেতা দের সাথে দরদাম সামলানো, ডিল করা ইত্যাদির জন্য ওদের নির্ভর করতে হয় দক্ষ ভারতীয় কর্মী দের উপর। কারন একাজে উপযুক্ত দক্ষ জনবল নেই বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের পোশাক এর বায়িং হাউস গুলো সব ভারতীয়রা সামলায়! যারা বিদেশি ক্রেতা দের সাথে যোগাযোগ রাখে।
এছাড়াও বাংলাদেশে গারমেন্টস সেক্টরের ২৫% ভারতীয় কোম্পানি দের মালিকানায়। ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি ভারতে কারখানা না খুলে বাংলাদেশে ইউনিট খুলে বসে আছে সস্তা শ্রমিক আর শুল্কমুক্ত রপ্তানি বাজার ধরার জন্য। B:-)
(আন্তর্জাল থেকে পাওয়া)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০০

গেছো দাদা বলেছেন: গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে বাংলাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে ...
https://www.facebook.com/share/v/RVqPhESgAidf1BUj/?mibextid=oFDknk

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সস্তায়!! মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সস্তায় কেউ বিক্রি করে? চীনের সাথে ভারতের শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক, চীন কি তাদের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে? ভারত কি চীন থেকে কাঁচামাল আনা বন্ধ করে দিয়েছে? চীন কি সস্তায় বিক্রি করে? মুক্ত বাজারে ত্রেুতা সস্তা খুঁজে, বিক্রেতা ক্রেতা খুঁজে সুবিধামত।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: জিটিআরআইয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে চীনে ভারতের রপ্তানি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬৬৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভালো এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পেছনে যেসব পণ্য মূল ভূমিকা পালন করেছে, তাদের মধ্যে ছিল লৌহ আকরিক, সুতা বা কাপড়, তাঁত পণ্য, মসলা, ফল, সবজি ও প্লাস্টিক।

অন্যদিকে চীন থেকে ভারতের আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে ভারত ১০ হাজার ১৭৫ কোটি ডলারের পণ্য চীন থেকে এনেছে। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য–ঘাটতি রয়েছে, যা ভারতের প্রতিকূলে।
প্রথম আলো প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১৯: ২১

প্রতিবেশি দেশ বৃহত্তম হলে সাথে তাদের উৎপাদন ভাল হলে প্রতিবেশি দেশে তাদের থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এটাই স্বাভাবিক এতে লাফালাফি করার কিছুই নেই। তাদের ছাড়া অচল ভাবা গাধামী, পেঁয়াজ নিয়ে বেশি করেছে বাংলাদেশ বিকল্প বাজার বের করেছে ভারত সাথে সাথে শুল্ক কমিয়েছে।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: বাংলাদেশ আমেরিকায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না

বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও পাকিস্তান ও জাপান থেকে তুলা ও সুতা আমদানি করে। হাসিনা সরকার ভারত থেকে আমদানিতে শুল্ক কম রাখায় ভারত থেকে আমদানি বেশি হত। নতুন সরকারের আমলে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন:
বিভিন্ন দেশ থেকে তুলা ক্রয় করলেও দীর্ঘদিন তুলা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল দেশটি। সময়ের সাথে সাথে সূত্রের পরিবর্তন হয়েছে। চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলো ভারতের দখলে নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি তুলা আসছে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে।
এটা প্রতিযোগীতামূলক বাজার। ভারত কি ভর্তুকি দিয়ে বাংলাদেশকে তুলা দেয়? ওদের আরএমজি'তে রপ্তানী ভাল থাকলে নিজেদের জন্য না রেখে ওরা কি বাংলাদেশকে দিত? তুলা আর সুতা দিয়ে কি ভারত আমাদের দান-খায়রাত করছে?
আপনারে এইসব আজগুবি খবর দিছে ক্যাডা যে,
'এছাড়াও বাংলাদেশের গারমেন্টস সেক্টরে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ক্রেতা দের সাথে দরদাম সামলানো, ডিল করা ইত্যাদির জন্য ওদের নির্ভর করতে হয় দক্ষ ভারতীয় কর্মী দের উপর। কারন একাজে উপযুক্ত দক্ষ জনবল নেই বাংলাদেশে।'
আমার বন্ধুর এদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডায়িং ও টেক্সটাইল ( সে একজন ব্যারিস্টার)। আর এক জনের সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে ১০ হাজারের উপরে শ্রমিক কাজ করে-সে ইংল্যান্ডে নিজে থেকে ব্যাবসা সামলায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়ী গ্রুপগুলোর অন্যতম 'মন্ডল' 'ইপিলয়ন' 'ডেকো' এদের মালিক পক্ষের সাথে আমার যোগাযোগ আছে। এদের কারোই ভারতীয় কোন এজেন্ট নাই।
আর গার্মেন্টস এর কাজ কি গার্মেন্টস এর মালিকরা সব আনে? তাইলে বায়িং হাউজের কাম কি????
নীচে লিঙ্ক দিলাম বাংলাদেশের সেরা সব বায়িং হাউজের লিস্ট। দেখেন তো এর মধ্যে কয়টা ভারতীয়?
List of Top Garments Buying House in Bangladesh
এইরকম উজবুকের মত না জেনে মিথ্যা গুজব ছড়াবেন না।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

এক্সম্যান বলেছেন: এইটা হল রিপাবলিক টিভি মার্কা লেখা, আগা-মাথা কিছুই নাই তার পরেও নিউজ।

যাইহোক, পাগলের সুখ মনে মনে, আপনারা সুখ নিতে থাকেন।



৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: সস্তায় শ্রমিক পাওয়া বন্ধহয়ে যাবে অল্প দিনের মধ্যে।আমরা আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক খেকে যে লোন নিয়েছে সেখানে সর্ত আছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে।যেটা এতো বছর ছিলো না।এই ১৪/১৫ হাজার টাকায় একটা পরিবার চলতে পারে না বর্তমান বাজারে।তাদের মজুরি অবশ্যই বাড়াতে হবে।সাথে সাথে পন্যের দামও বাড়বে।
ভারতের বহু লোক আমাদের গের্মেন্টস শিল্পে কাজ করতো।তারা চলে গেলে এখানে একটা সমস্যা দেখা দিবে।আমরা ভালো শ্রমিক কিন্তু ভালো পরিচালক না।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মনগড়া তথ্য, উপাত্ত দিয়েছেন। ভারতীয়দের নিয়ে যান। দেখা যাক গার্মেন্টস বাংলাদেশে থাকে কি না।

তুলা এবং সুতার আরও অনেক বিকল্প উৎস আছে। সেখান থেকেও আমদানি করা হয়। উপরে শেরজা ভাই বলেছেন। ভারত থেকে তুলা বা সুতা না নিলে ভারতের লোকসান হবে বাংলাদেশের কিছুই হবে না। ২৫% গার্মেন্টসের মালিক ভারতীয় বা বায়িং হাউজ ভারতীয় এই কথাগুলি অতিরঞ্জিত।

নিয়ে যান ভারতীয়দের। কিছুই হবে না গার্মেন্টস সেক্টরের। প্রায় ৫০ বছরের পুরনো এই সেক্টর টিকে যাবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের উচিত গার্মেন্টস থেকে সরে আসা। এটার কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য ব্যবসায় ঝুকছে না। আমি গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সেক্টরে চাকরী করেছি এক সময়। তাই একদম না জেনে বলিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.