নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজ ইতিহাস : স্নায়ুযুদ্ধ / কোল্ডওয়ার

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০

সহজ ইতিহাস : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ Click This Link

সহজ ইতিহাস : ২য় বিশ্বযুদ্ব Click This Link



২য় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেয়ার পর থেকেই যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে মিত্র বাহিনী মোটামুটি নিশ্চিত ছিল, কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বব্যাবস্থা সম্পর্কে মতপার্থক্যের কারনে তাদের ভেতরই ২টি পক্ষ তৈরী হয়ে যায়। একপক্ষে পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন অপর পক্ষে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়া! ফ্রান্স তখন জার্মানীর অধিনে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল পুনরায় স্বাধীন হওয়া।



কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া শক্তিমত্তার দিক থেকে অন্য দেশগুলোর চেয়ে বহুগুনে এগিয়ে ছিল, তাই যুদ্ধপরবর্তী বিশ্বে কে হবে নেতা সেটা নিয়ে এই ২টা দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগীতা আরম্ভ হবে সেটা স্বাভাবিকই ছিল।



এবং এই প্রতিযোগীতাই চলে পরবর্তী ৪ দশক ধরে! যাকে ইতিহাসে স্নায়ুযুদ্ধ / কোল্ডওয়ার বলেই সবাই জানি। পুরো বিশ্ব এই কয়েক দশকের চলমান যুদ্ধে কমবেশী আক্রান্ত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ছিল ২টা স্পষ্ট শিবিরে বিভক্ত। ২টি ভিন্ন ধারার আদর্শের ধারক ২টা দেশের হাতেই ছিল বিশ্বের লাগাম, তাদের আন্তপ্রতিযোগীতার ফলাফল ভোগ করে পুরো দুনিয়া! এই কোল্ডওয়ার সবসময় কোল্ড থাকে নাই কখনো কখনো পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার প্রতি চুড়ান্ত হুমকী হয়েও দাড়িয়েছিল!!!



আজকে সহজ ইতিহাসে এই স্নায়ুযুদ্ধ সম্পর্কেই কিছু সহজ আলোচনা করবো। তাই প্রথমে কিছু প্রাথমিক ফ্যাক্টর্স জেনে নেই :





সংঘাতটা কিসের ছিল?



সংঘাতটা ছিল বিশ্ব নেতৃত্বের! আদর্শের, পুঁজিবাদ এবং সমাজতন্ত্রের , সংঘাত ছিল স্বার্থের বাজার দখল এবং নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার।



যেহেতু পুঁজিবাদের মন্ত্র হচ্ছে বিনিয়োগ নির্ভর মুক্ত বাণিজ্য যা ব্যাক্তির চাহিদা নির্ভর বাজার তৈরী করা আর সমাজতন্ত্রের মূল মন্ত্রই হচ্ছে ব্যাক্তিমালিকানার বিলোপ তাই এটা পরিষ্কার যে পুঁজিবাদই হচ্ছে সমাজতন্ত্রের পথের কাঁটা। এবং ভাইস-ভার্সা!



এর আওতায় কোন এলাকা ছিল?



মূল ফোকাসে ছিল ইউরোপ। ইউরোপ কার্যত পূর্বের সমাজতান্ত্রিক ( সোভিয়েত স্যাটেলাইট স্টেটস) ও পশ্চিমের গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদি মার্কিন সাহায্য ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ২টা ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা দেখায় ২ দেশ!



কখনো মধ্যপ্রাচ্য, কখনো আফ্রিকা থেকে দক্ষিন আমেরিকা এবং এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কোরিয়া বা দক্ষিন এশিয়া বিশ্বের সকল এলাকায় এই ২ দেশের প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র হয়েছিল!





যুদ্ধের সূচনা:



সদ্য জয়ী বিশ্বযুদ্ধের মূল ময়দান ইউরোপে মার্কিন ও সোভিয়েত নিয়ন্ত্রন স্থাপনের প্রতিযোগীতা উগ্র হয়ে যায় ১৯৪৬ সালে মস্কো'র মার্কিন দুতাবাসের কূটনীতিবিদ জর্জ কেনানের বিখ্যাত এক টেলিগ্রামে! "লং টেলিগ্রাম" নামেই সেটা পরিচিত।



কেনান মার্কিন সরকারকে ব্যাখ্যা করেন যে, "রাশিয়ার সরকারে একদল উগ্র সমাজতন্ত্র সমর্থক আছে যারা বিশ্বাস করে, পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কখনোই সম্ভব নয়। যদি সোভিয়েত ক্ষমতা নিশ্চিত হয় তবে আমাদের প্রচলিত জীবনব্যাবস্থা, রাষ্ট্রিয় কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা সবই ধ্বংস হবে"।



প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকি "ফরেন এ্যাফেয়ার্সে" ১৯৪৭ সালে এই এই টেলিগ্রাম আর্টিকেল রূপে ব্যাপক প্রচারিত হয়। কেনানের নামের বদলে "এক্স" ব্যাবহৃত আর্টিকেলটি মার্কিন সরকারের সকল মহলে এটা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবং পরবর্তীতে এই টেলিগ্রামের প্রভাবেই মার্কিন সরকারকে ব্যাপক তৎপর হতে দেখা যায়। কেনান টেলিগ্রামে পরিষ্কার করে বলে এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী,ধৈর্যশীল কিন্তু বলিষ্ঠ এবং সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া!









বিভক্ত বিশ্ব!!!





---------------------------------------



এবার আসি মূল ঘটনায় :





যেহেতু এটা সহজ ইতিহাস, তাই আলোচনা ও বুঝার সুবিধার্তে কোল্ডওয়ারের পুরো সময়টাকে ৩ ভাগে আলোচনা করবো :



১- সরাসরি বিরোধীতা এবং শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান - ১৯৪৫-১৯৬২

২- ডেতান্ত ( আপেক্ষিক শান্তিপূর্ণ সময় )-১৯৬৩-১৯৭৮

৩- পুনরায় ঝামেলা এবং সমাপ্তি -১৯৭৯-১৯৯১







সরাসরি বিরোধীতা ও সহ অবস্থান - ১৯৪৫-১৯৬২ :





মার্কিন প্রাথমিক পদক্ষেপ :



মার্কিন সরকার তখনই পরিকল্পনা গ্রহন করে যা "কন্টেইনমেন্ট" নামেই পরিচিত। এর লক্ষ্য ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরে সমাজতন্ত্রের প্রসার রোধ করা। সোভিয়েত সীমান্তে পুঁজিবাদি দেশগুলো দ্বারা বৃত্ত রচনা করা। এই লক্ষ্যে প্রথমেই গ্রীস এবং তুরস্কের জন্য "ট্রুম্যান ডকট্রিন" নামের এক অর্থসাহায্যের পরিকল্পনা গ্রহন করে যার মাধ্যমে দেশ ২টাকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য দেয়া হয়। যেটাকে বলা যায় সমাজতন্ত্র প্রতিরোধে ওদের উপহার!



এরপর আসে আরো বড় "মার্শাল প্ল্যান", এই প্ল্যানের আওতায় পশ্চিম ইউরোপ পুণর্গঠন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো ব্যাপক ঋন দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারও উন্মুক্ত করা হয়।





সোভিয়েত প্রাথমিক পদক্ষেপ :



যেহেতু সমাজতন্ত্রের মতবাদ অনুসারে এর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সারা বিশ্ব থেকে পুঁজিবাদ হটানো দরকার তাই সোভিয়েত ইউনিয়ন তার অধীনে যতসম্ভব এলাকা এনে সমাজতন্ত্রকে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত করার ধারাবাহিক সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।



১৯৪৬ সালে যুদ্ধের সময় প্রবেশকৃত সোভিয়েত সৈন্য ইরান থেকে প্রত্যাহারে অস্বীকার করে, ১৯৪৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়ায় কম্যুনিস্ট ক্যু ঘটে, একই বছর পশ্চিমাদের একটু "টাইট" দেয়ার লক্ষ্যে বার্লিন অবরোধ করে! ১৯৪৯ সালে চীনে কম্যুনিস্ট বিপ্লব হয়ে যায়, ১৯৫০ সালে সমাজতন্ত্রের প্রসার নিয়ে হওয়া বিরোধ কোরিয়া যুদ্ধে রূপ নেয়, একই বছর চীন তিব্বত এবং তাইওয়ানেও বিরোধে জড়ায় এবং এর সবই মার্কিন দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চলছিল!



---------------------------------------



খেয়াল করার মত বিষয় :



এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, মার্কিনীদের পদক্ষেপগুলোর পেছনে সামরিক শক্তির সমর্থন থাকলেও মূল ফোকাসে ছিল তাদের দ্বারা গৃহীত অর্থনৈতিক পলিসিগুলো!

কিন্তু সোভিয়েতের ক্ষেত্রে সেটা উল্টো, তাদের পলিসির চুড়ান্ত লক্ষ্য একটি অর্থনৈতিক সাম্যবস্থা হলেও বাহ্যিক রূপে সেগুলো প্রাথমিকভাবে সামরিক সাফল্য নির্ভর ছিল!



এই ভিন্ন অথবা ভুল ফোকাস কিন্তু ২ শিবিরেরই জনসমর্থন আদায় এবং কুটনৈতিক অগ্রাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের সামনে "পজেটিভ ফেসভ্যালু" আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে! এবং আমার মতে এই পয়েন্টগুলো মার্কিনদেরই বেশী সুবিধা দিয়েছে!



আরেকটা মার্কিন সুবিধা ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পারমানবিক বোমা'র অধিকারী ছিল না। তাই যুক্তরাষ্ট্র তাদের বেশ সফল ভাবেই মোকাবেলা করে।



তাই যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু প্রি এম্পটিফ পলিসি গ্রহন করতে পেরেছে!







--------------------------------------



আপেক্ষিক শান্তিপূর্ণ সময় -১৯৬৩-১৯৭৮ :



যাইহোক, স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্ষমতায় এসেই সোভিয়েত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পলিসি'তে পরিবর্তন আনে। বিশ্বব্যাপী পূঁজিবাদের বিপক্ষে স্ট্যালিনের দেখিয়ে যাওয়া আগ্রাসী পথ থেকে সরে এসে "শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান" / পিসফুল কো এক্সিস্টেন্স" এর নীতি গ্রহন করে ক্রুশ্চেভ। ক্রুশ্চেভ বুঝতে পেরেছিল যে প্রযুক্তি সামরিক উৎকর্ষতা অর্জনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান রেশারেশি চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু কম্যুনিস্ট চায়না ক্রুশ্চেভের এমন নমনীয় মনোভাবের ব্যাপক বিরোধীতা করে আন্তর্জাতিক সমাজতন্ত্রায়নের পথে সোভিয়েত নেতৃত্বের দাবী অস্বীকার করে বসে! আগে থেকেই সোভিয়েত বর্ডারে আরেক আদর্শিক পার্টনার মার্শাল টিটো সোভিয়েত নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছিল, এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাইনিজ চ্যালেঞ্জ এলো!



ক্রুশ্চেভ শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের নীতি গ্রহন করলেও তার প্রথম প্রতিফলন ঘটে ১৯৫৬ সালে "কমিনফর্ম" এর বিলুপ্তি মাঝ দিয়ে, যেই কমিনফর্মের কাজই ছিল বিশ্বের কম্যুনিস্ট দলগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা।



ক্রুশ্চেভকে অনেকই নমনীয়তার জন্য দোষী করলেও কিন্তু তার "শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান" কালেই সোভিয়েত প্রযুক্তি এবং সামরিক শক্তির তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করেন। যার কারনে সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিনদের প্রতি পূর্ণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছিল!



১৯৬২ সালে আসে সেই "কিউবা মিসাইল ক্রাইসিস"! কোল্ডওয়ারের সবচেয়ে হট অধ্যায়।



যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে মুখের সামনে কিউবা'তে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবার পারমানবিক মিসাইল স্থাপন এবং সাবমেরিনও মোতায়েন করে। যা ছিল মার্কিনদের চোখে, ভয়াবহ এবং অগ্রহনযোগ্য "থ্রেট"! কিন্তু "ন্যাটো"র মাধ্যমে আগে থেকেই সোভিয়েতের মুখের সামনে মানে, তুরস্কে মার্কিন মিসাইল মোতায়েন করা !!! তবে, মার্কিনদের দাবী, তুরস্কে যে মিসাইল সেটা পারমানবিক ছিল না!



কিউবা মিসাইল ক্রাইসিস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত একটি সম্ভাব্য পারমানবিক যুদ্ধের একদম দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিল ( এ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র পোস্ট হতে পারে আগামীতে )! দুই পরাশক্তি মুখোমুখি দাড়িয়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভাল যে সোভিয়েত পিছু হটে!



কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদুর প্রসারী, তৎকালীন ডেমোক্র‌্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্টটাও ছিল একজন ভদ্রলোক জন,এফ, কেনেডি, যিনি সম্ভাব্য পারমানবিক যুদ্ধের ভয়াবহতা আন্দাজ করতে পেরে কিছুটা নমনীয়তা দেখান। উভয় পক্ষই বুঝতে পারে, ২ দেশের পারমানবিক যুদ্ধ মানে, "পারস্পরিক নিশ্চিত ধ্বংস"!!! সুতরাং তারা ১৯৬৩ সালে "যুদ্ধের মাঝেই বন্ধুত্বের" নতুন দ্বার উন্মোচন করেন! দুই দেশের মাঝে যে কোন ধরনের সামরিক / রাজনৈতি ক্রাইসিসে ২ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের মাঝে সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে হোয়াইট হাউস এবং ক্রেমলিনের সার্বক্ষনিক যোগাযোগের জন্য একটি "হট লাইন" প্রতিষ্ঠিত করা হয়!



ছোটখাট উত্তজনার মাঝেও এই অবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটে পরবর্তী বছরগুলোতে, ৬৭'র আরব-ইসরাইলের যুদ্ধের প্রভাবে দুই পরাশক্তিই আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে একটু ঠান্ডা হয়। ১৯৬৯ সালে একে অপরকে হুমকি এবং অস্ত্রপ্রতিযোগীতা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে "সল্ট" চুক্তির প্রাথমিক আলাপ শুরু করে। ১৯৭২ সালে প্রথম সল্ট চুক্তি সম্পন্ন করে এবং ১৯৭৯ ২য়টি ( যদিও ২য় সল্ট চুক্তি মার্কিন সংসদ (কংগ্রেস) এ চুড়ান্ত অনুমোদন পায় নাই)





পুনরায় ঝামেলা এবং সমাপ্তি -১৯৭৯-১৯৯১



১৯৭৯ সালে শুরু হয় নতুন করে উত্তেজনা! ইরানের বিপ্লবের পর পারস্য উপসাগরে মার্কিনদের অবস্থান নড়ে যায় এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের ফলে বদলে যায় পুরো পরিস্থিতি! আফগানিস্তানের ভৌগলিক অস্থান স্ট্র‌্যাটেজিগতভাবে প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ কারন, আফগানিস্তানের পরেই ইরান এবং তারই সমুদ্রে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশী তেল পরিবহন করা হয়! সুতরাং, শুধু পুঁজিবাদীই নয় বরং সারা বিশ্বের অর্থনীতি সচল বা অচল করে দেবার জন্য এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম! আর পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান শর্তই হচ্ছে ব্যাবসায় ধারাবাহিকতার নিরাপত্তা!



ফলে মার্কিনরা ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক বর্জন করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে গম রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। এরপর ক্ষমতায় আসে রিপাবলিকান "কাউবয় প্রেসিডেন্ট" রোনাল্ড রিগ্যান! রাশিয়াকে সকল সমস্যার মূল এবং "শয়তান" আখ্যা দিয়ে নতুন করে কোল্ডওয়ারকে হট করে তুলে! দক্ষিন আমেরিকার দুর্বল থেকে দূর্বলতম দেশগুলোতে সোভিয়েত জুজু দেখিয়ে আগ্রাসন চালায়! আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী লড়াইে পাকিস্তানের মাধ্যমে তালেবানদের পূর্ণ সমর্থন দেয়। এবং রিগ্যান শেষপর্যন্ত সোভিয়েতের বিরুদ্ধে একটি পারমানবিক যুদ্ধে মার্কিন জয়ের কথা প্রকাশ্যে বলা আরম্ভ করে!



ততদিনে অনেক কিছুই বদলে গেছে, সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এবং স্বয়ং রাশিয়ার ভেতরের জনগণ বদলে গেছে, নেতৃত্ব বদলে গেছে, এবং দেশে দেশে বিক্ষোভ দানা বেধে উঠছে। গর্বাচভ ক্ষমতায় এসে গেছে, ১৯৮৭ সালে গর্বাচভ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ঘোষনা দেয়, তোমাদের চমকে দিবো, তোমাদেরকে একজন শত্রু থেকে বঞ্চিত করবো! মানে মার্কিনদের সাথে শত্রুতা সব শেষ!



এবং সত্যি সত্যিই সেটা বাস্তব হয়!!!! এইএনএফ চুক্তি করে, কিউবা, আফগানিস্তান,পূর্ব ইউরোপ থেকে সরে যায় সোভিয়েত সামরিক বাহিনী, অস্ত্র হ্রাসের লক্ষ্যে "স্টার্ট" চু্ক্তি করে এবং আভ্যন্তরীন সংস্কারের লক্ষ্যে "পেরেস্ত্রইকা ও গ্লাসনস্ত" নামের নতুন পদক্ষেপ নেয়! যেই সংস্কারের ধাক্কায় ৪ দশক ধরে প্রতিযোগীতায় টিকে থেকে অবশেষে সোভিয়েত ভেঙ্গে পড়ে!



এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর পুঁজিবাদী অর্থনীতি গ্রহনের মাধ্যমে এবং বার্লিন দেয়াল পতনের মাধ্যমে ৪ দশকের স্নায়ুযুদ্ধ বা কোল্ডওয়ারের ইতি ঘটে!



শেষ কথা: কে জিতলো ?



বলা যায় যুক্তরাষ্ট্র জিতছে কিন্তু আসলেই কি তাই? ১৯৯১ সালেই পাপা বুশ বলেছেন, "কম্যুনিজমের পতনে প্রাগ ঐতিহাসিক ঘৃণা, অপমানবোধ এমনকি প্রতিশোধপরায়নতা বৃদ্ধি পাবে"!



কিন্তু এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, ২ পরাশক্তি যতই প্রতিযোগীতা করুক, শেষ পর্যন্ত "র‌্যাশনাল" / সূবিবেচক ও বাস্তববাদী ছিল তাই কোন ধরনের সরাসরি যুদ্ধে জড়ায় নাই। নইলে সমস্যা ছিল!



আরেকটা কথাও নিশ্চিত করে বলা যায়, এই যুদ্ধে বিশ্ব শান্তি এবং শক্তি ২টা স্বয়ং নিজেরা পরাজিত হয়েছে, কারন তাদের জন্যই ৯০'র দশকের আগে জাতিসংঘ কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারে নাই আর বিশ্বজুড়ে যত সামরিক বাহিনীর শাষন টিকে ছিল, তার সবই ছিল এই স্নায়ুযুদ্ধেরই ফসল!



আর তারা পরাজিত এই কারনে যে, তারা এই অনর্থক অস্ত্র প্রতিযোগীতার পেছনে যেই পরিমান সময় ও অর্থ ব্যায় করেছে, এই সুযোগে চীন,জাপান,জার্মানী'র মত দেশ অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সমৃদ্ধ হবার সুযোগ পেয়েছে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৭

poloy বলেছেন: ভাল লেগেছে +++++++++++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

বাদ দেন বলেছেন: ভালই কিছু ব্যপার নিয়ে আরেকটূ আলোচনা করা যায়, তবে সিম্পল ওভারভিউ হিসেবে ভালই

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আলোচনায় স্বাগতম।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯

আপেল বেচুম বলেছেন: ভাল লেগেছে।সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার কারনটা স্পষ্ট হল না।আরেকটু বিস্তারিত লেখেন....

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এক পর্বে ৪০ বছরের একটা কমপ্লেক্স ইতিহাস তুলে আনা যথেষ্ট কঠিন, তাছাড়া আমার এই পোস্টগুলো মূলত বিশ্লেষনভিত্তিক হয়, নিরেট ইতিহাস কমই থাকে, তবে সোভিয়েত ভাঙ্গনের সহজ ইতিহাসের জন্য এই পোস্টটা কিছুটা সাহায্য করতে পারে,
"সহজ ইতিহাস : ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সমাজতান্ত্রিক পুর্ব ইউরোপের হারিয়ে যাওয়া"- Click This Link

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬

অ্যামাটার বলেছেন: সহজ ইতিহাস। অনেক সহজ লাগল!
বিশ্বরাজনীতি মেরুকরণে অদূর ভবিষ্যতে পূণরায় স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এখন আপাত দৃষ্টিতে রুশ এবং যুগোশ্লাভ ফেডারেশনের মত বড় শক্তিগুলো ভেঙ্গে যাবার ফলে সাময়িকভাবে তারা খানিক অসুবিধাজনক অবস্থায় পড়ে নিজেদের প্রতিযোগিতা থেকে সাময়িক গুটিয়ে নিলেও পুঞ্জিভুত ক্ষোভ/ঘৃণা যে সেই অনুপাতে হ্রাস পেয়েছে, তা বলা যায়না।
তাছাড়া দুই দশক পর সম্প্রতি সাবেক সোভিয়েৎ রাষ্ট্রগুলোতে
প্রো-আমেরিকান সরকারগুলোর পতন ঘটিয়ে নতুন করে রাশিয়া পন্থীরা ক্ষমতা নিয়ে নিচ্ছে।
বর্তমানে ক্ষমতার ভারসাম্য বিহীন অবস্থার সুযোগে একক সুপার পাওয়ারের স্বেচ্ছাচারিতা আখেরে তাদের বিপদের কারণ হতে পারে।
সবথেকে বড় ব্যাআপ্র হল, আর কয়েক দশক পরে আমেরিকা বা রেশিয়া; কেউই নয়, বরং একক সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভুত হবে চিন(যদি না কোনও মিরাকল ঘটে যায়, লাগামহীন চিনা জিডিপি গ্রোথ কেউ থামাতে পারবে বলে মনে হয় না:|)।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চীনের একটা সমস্যা হলো ওরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সাচ্ছন্দ্য না! দেখা যেতে পারে, সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় সব ছেড়ে দিয়ে কোনায় ঘাপটি মেরে বসে পড়েছে। আসলে আয়তনে-জনসংখ্যায় চায়না নিজেই একটা মহাদেশ! তাই ওরা বাইরের সাথে ব্যাবসা-বাণিজ্যের বাইরে ইন্টারেস্টেড না।

এছাড়াও দেখেন চাইনিজ প্রোডাক্টগুলো মূলত কোন লেভেলে এবং কোন বাজার ডমিনেট করছে? কোন ডেভেলপড কান্ট্রির নয় বরং সব গরীব দেশগুলোর পটেনশিয়াল বাজার দখল করে এমন অর্জন করছে! যদিও ওরা এগুচ্ছে এবং সেই সাথে ধীরে ধীরে হুমকীর মুখে পড়ছে! রিসেন্টলি চায়নার প্রতি "ট্রেড ওয়ার" এর হুমকি এনে মার্কিন কংগ্রেস বিল উঠেছে যে, চায়না যদি ওর কারেন্সির অবমূল্যায়ন অব্যাহত রাখে তাহলে মার্কিন বাজার বন্ধ করে দেয়া হবে!

সো, চায়না এখনো মেইন ফিল্ডে এখনো খেলাই শুরু করে নাই যখনই খেলতে যাবে তখনই প্রতিযোগীতার মুখে পড়বে! জিডিপি এখন যতই বাড়ুক, আমার মনে হয় না এটা ওদের একক সুপার পাওয়ার স্ট্যাটাস এনে দিবে, কারন অন্যদের অবস্থার পতন হলে এক্সপোর্ট বেইজড চায়না উন্নত বিশ্বে বাজার হারিয়ে ওদের ইকোনমি'র গ্রোথ হারাবে! আর দরিদ্র বিশ্বের বাজারে ব্যাবসা করে ওরা সুপার পাওয়ার স্ট্যাটাস ধরে রাখার মত ফান্ড পাবে বলে মনে হয় না!

মার্কিনদের জন্য পটেনশিয়াল কোন থ্রেট আসলে সেটা, রাশিয়া অথবা ইউরোপের কোন দেশ থেকেই আসবে আমার ধারনা! কারন ওরা সিস্টেম বুঝে, অতীতে অনুশীলন করেছে, এবং ওরা সিস্টেমের হাই কোয়ালিফাইড প্লেয়িং টিমের অংশ!

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৮

বাদ দেন বলেছেন: ভবিষত লড়াই দেশের না হবে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী র ।

রাষ্ট্রীয় লড়াইয় আর ২-৩ দশকের মধ্যেই সমাপ্ত হবে

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: মানে কি?

রাষ্ট্র বিলুপ্ত ঘোষিত হবে এবং তার জায়গা নিবে এমএনসি??

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮

দূর্যোধন বলেছেন: আজকের সবারই মন বেশ খারাপ,সুতরাং বলাই বাহুল্য,তথ্যবহুল পোস্ট হওয়া সত্ত্বেও পাঠকরা ধৈর্য্য নিয়ে পড়তে বসতে পারেন নি।আমিও।

বেশ ভালো লাগলো ,বরাবরের মতই। কোল্ড ওয়ারের কিউবাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার কিয়দংশ ব্যবহার করা হয়েছিলো জনপ্রিয় গেম কল অফ ডিউটি:ব্ল্যাক অপস-এ।অবশ্য বেশ কাল্পনিকভাবেই রাশিয়া ও আমেরিকার একে অপরের উপর নিউক ফেলা দেখানো হয়। বাস্তবের পরিস্থিতি সামাল না দেওয়া গেলে তাই ঘটে যাওয়া আশ্চর্য ছিলোনা।

সেই সময় কিউবার ফিডেল ক্যাস্ট্রোকে মারার জন্য আমেরিকা বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালায়,এমনকি শুনেছিলাম (গেমে দেখেছিলামও ) ক্যাস্ট্রোর বডি ডাবল কেও ভুলবশতঃ হত্যা করা হয়। জানা থাকলে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবেন।

ভালো লাগলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কিউবা মিসাইল ক্রাইসিসের আগে মার্কিনরা বেশ কয়েকবার ক্যাস্ত্রোকে হত্যার চেষ্টা চালায় , "বে অফ পিগ" নামের একটা অপারেশন বহুল আলোচিতও হয়েছিল! এরকম প্রচেষ্টার ফলেই কিউবা সোভিয়েত সমর্থনে নিরাপত্তার খাতিরে নিজ দেশে পারমানবিক মিসাইল এনে বসায়। তখন আবার মার্কিনরা নিজেদের নিরাপত্তার ধুয়া তোলা শুরু করে! গেমটা বোধহয় বে অফ পিগ অপারেশনটারই ডেমো, নিউক যুক্ত করে আকর্ষনীয় করেছে।

বডি ডাবলের ব্যাপারে আমার অবশ্য জানা নাই, তবে
কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস যে কতটা ভয়াবহ ছিল সেটা তৎকালীন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারী রবার্ট ম্যাকনামারা'র সাক্ষাৎকারে এই ডকুমেন্টারীটায় পাবেন। Click This Link

ধন্যবাদ দূর্যোধন ভাই।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

বাদ দেন বলেছেন: নট লিটারেলী বাট প্র্যাকটিক্যলী।

লাস্ট দুইদশকের বড় যুদধ গুলার পিছনের অর্থনৈতিক কারণ দেখেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলে একেকটা যুদ্ধ বড় কমপ্লেক্স সিচুয়েশন, এর মাঝে অর্থনীতি অন্যতম বড় একটা ফ্যাক্টর। তাই তর্কস্বাপেক্ষে পূর্বের যুদ্ধগুলোর কারন অথবা ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কারন স্বরূপ ইকোনমি ইন্সটিটিউটগুলোকে দেখা সম্ভব!

ডিপেন্ড করছে আপনি কোন পার্সপেক্টিভে দেখছেন!

আরব ইসরাইল যুদ্ধগুলোও আর্থিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সামরিক সংঘাতের যে কোন একটা দাবী করা সম্ভব। কিন্তু আমি মূল কমপ্লেক্স কোরটাতেই আগ্রহী!

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো লাগা রইলো

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩

বাদ দেন বলেছেন: রাষ্ট্র গুলাও একরকমের ইকোনমিক ইন্সটিটিউট । অধিকতর এফিসিয়েন্সীর প্রয়োজনে এগুলোর বেশীর ভাগ পাওয়ারই ব্যক্তিগত মালিকানায় চলে যাবে ।
সেনাবাহীনিও এখন ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে। মার্কিন প্রচুর ভাড়াটে সেনা কোম্পানী আছে B:-/
অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষও কর্পোরেট নিরাপত্তা চাইবে।

ফলে রাষ্ট্র হবে দূর্বল, এরা হবে শক্তিশালী। পরবর্তীতে এদের ভূমিকা ব্যবসার স্বার্থে হবে আরও আগ্রাসী মূলক । নখদন্ত হীন রাষ্ট্র তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বড় বেশী সরলীকরন হয়ে গেল!

কর্পোরেট নিরাপত্তা চাইবে মানুষ শুনলে মনে হয় দুনিয়াটাই সিলিকন ভ্যালি হয়ে গেছে :)


আপনি কই পান এগুলা কন তো একটু :)

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

বাদ দেন বলেছেন: সিলিকন ভ্যালি আবার আসল কোথা থেকে?

সরলীকরণ, তবে আমারে একটা কথা কন ১ম বিশ্বযুদ্ধের আগে কয়টা এম এন সি ছিল এখন কয়টা,

শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানী গুলার লোকবল আর অর্থ নীতি হিসেব করলে শীর্ষ অর্থনীতির লিস্টে কোম্পানী গুলাই বেশী থাকব রাষ্ট্র না।

নিয়মিত আজেবাজে লেখা পইড়া মনে হয় এগুলো পাইছি :P

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: "সিলিকন ভ্যালি" মানে একটা ইউটোপিয়ান টার্ম, যেখানে দারিদ্র, ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগীতা, নির্বাচন-জনগন এমন ঐতিহাসিক মানবিক ঝামেলাগুলো অনুপস্থিত!

আপনারে ঐটাই তো শুরুতে বললাম, যদি এমএনসি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কেউ চিন্তা করে তাহলে সে সেইভাবে দেখতেই পারে কিন্তু তা নিয়া কনসার্নড হবার মানে নাই।

ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানীও একটা এমএনসি আছিল! কিন্তু ওরা কি লিমিটেশন ক্রস করতে পারছে? এমএনসিগুলোর লিমিটেশন এখনো খুব ভালো করেই আছে বিশ্বে।

আসলে, বিজনেস ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টদের এমন চিন্তা করতে দেখা যায় বলেই প্রশ্নটা করেছিলাম!

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

বাদ দেন বলেছেন: না ভাই আমি সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের।
একটু এডভান্স লেভেলের আলোচনায় যাব?

২০০০ সালের ডাটা অনুযায়ী বিশ্বের টপ ৫০ টা কোম্পানী জিডিপি গ্রোথ টোটাল দুনিয়ার সমান, বর্তমান পরিস্থিতই যে আরও খারাপ তা নিসচয়ই বলতে হবে না।
দেখেন ত এই টা নামে কিনা http://www.relooney.info/Multinationals_1.pdf , আমার রেফারেন্স কালেকশন করা হয় না, তবে আপনি নিসচ্য়ই খুজলে আরও পাবেন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বর্তমান বিশ্ব পুরাটাই পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে চলতেছে সুতরাং অর্থনীতিতে বড় কোম্পানীগুলোর ডমিনেটিভ পজিশন তো স্বাভাবিক।

এডভান্স লেভেলের আলোচনাই তো চাই!

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২

বাদ দেন বলেছেন: ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানীও একটা এমএনসি আছিল! কিন্তু ওরা কি লিমিটেশন ক্রস করতে পারছে? এমএনসিগুলোর লিমিটেশন এখনো খুব ভালো করেই আছে বিশ্বে।

তা আছে কিন্তু শেষ দুই দশকে এই লড়াইয়ে জিততেছে এমএনসি গুলাই

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) দেখা যায় অনেক এমএনসির প্রেশারে অনেক দেশ পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হইছে, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র অর্থনীতিগতভাবে। এবং এই পরাজয়ও এমএনসি'র কাছে না বরং তার অরিজিন কান্ট্রি / গ্রুপ অফ কান্ট্রিজের কাছে। সুতরাং যে সব ঘটনায় এমএনসি'কে পটেনশিয়াল থ্রেট বলা হয় সেগুলো মূলত এমএনসি'র অরিজিন দেশের শক্তির মহড়া ছিল!

তাছাড়া এমএনসি গুলার জয়জয়কার কোনসব দেশে? যেখানে ক্যাপিটালিজম খুবই সুরক্ষিত! সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা না পাইলে এমএনসি সেইসব দেশের বাজারে ঢুকেও না!

এমএনসি কে যতটুকু রেসপেক্ট করা হচ্ছে সেটার পেছনে আজো তার অরিজিন দেশের শক্তি-সামর্থ যুক্ত!

পেট্রোবাংলা কোনদিন সমান প্রযুক্তি, লোকবল ও দক্ষতা অর্জন করে বিপি'র সাথে পাল্লা দিতে পারবে? না পারলে কেন? আশা করি বুঝে ফেলবেন!

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

বাদ দেন বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনা যদি বাংলাদেশ কেন্দ্রিক হয় তাহলে ত সমস্যা।
২০০২ সালে দুনিয়ার প্রথম ১০০টা জিডিপির মধ্য মাত্র ৪৯ টা ছিল রাস্ট্র। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে স্টেট ধীরে ধীরে তার অর্থনৈতিক শক্তি হারাবে। যার প্রভাব অন্য দিকেও পড়বে।

অতীত থেকে ইতিহাস বিশ্লেষন করা কি সম্ভব, প্রতিটা উপাদানই যখন নতুন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) বাংলাদেশ কেন্দ্রিক তো করলাম সহজভাবে বুঝার জন্য!

অর্থনৈতিক শক্তি তো দেশগুলো নিজ থেকেই দিচ্ছে, হারাচ্ছে না! পুঁজিবাদী ইকোনমী ফলো করে কেউ যদি নিজ থেকেই জায়গা ছেড়ে দেয় সেটা হারানো বলে না। সেজন্যই সিলিকন ভ্যালি'র কথা বলেছিলাম!

আপনি যদি অর্থনীতি'র স্ট্রিমে পড়েন তাহলে মনে হবে দুনিয়ার সবকিছুই ইকোনমি'র এনটিটি। যদি সায়েন্টিফিক স্ট্রিমে পড়েন দেখবেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাই মূল, রাজনীতি পড়লে দেখবেন শাষক বা জনগনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আবার অনেকে দেখবে সবই ধর্মদ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড! সুতরাং এটুকু নিশ্চিত কোন একক ফ্যাক্টর নেই, সিস্টেম হচ্ছে সবকিছুরই একটা মিক্সচার!


আমি যা বলছি সেটা হচ্ছে, এমএনসি গুলোর শক্তি আজো নির্ভর করে তার অরিজিন দেশের উপর। সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্থনৈতিক মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সড হতে পারে কিন্তু কোনদিন অর্থনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা ব্যাক্তিমালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান সরকারকে সুপারসিড করতে পারবে না!

তাই দেশগুলোর চেয়ে বড় শক্তি হিসেবে এমএনসি জায়গা নিবে , এমন প্রেডিকশন বলে যে আপনি সিচুয়েশনের কমপ্লেক্সিটি ধরতে পারছেন না!

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০

বাদ দেন বলেছেন: সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা না পাইলে এমএনসি সেইসব দেশের বাজারে ঢুকেও না!
সে সব দেশই অর্থনৈতিক ভাবে পিচ্ছাছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আগামীতে দেশগুলোর সার্বিক পলিসি কোন কোন ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয় তা নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক পলিটক্যাল ইকোনমি নিয়ে লিখবো ইনশাল্লাহ।

আশা করি সেখান থেকে আরো পরিষ্কার ধারনা পাবেন!

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৯

বাদ দেন বলেছেন: সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্থনৈতিক মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সড হতে পারে কিন্তু কোনদিন অর্থনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা ব্যাক্তিমালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান সরকারকে সুপারসিড করতে পারবে না!

দেখা যাক, আমরা আমাদের জীবদ্দশাতেই দেখব

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :)

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৮

কাউসার রুশো বলেছেন: আপনার সহজ ইতিহাস সিরিজটা বেশ কিছুদন ধরেই আমার অনুসরনে আছে।
প্রিয়তেও রেখেছি একটা পর্ব। সবগুলো পড়া হয়নি। মন্তব্যও করিনি।
কারন ঠান্ডা মাথায় পড়তে চেয়েছিলাম। সঙ্গে নিজস্ব কিছু মতামতও দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছে না। খুব চমৎকার আলোচনাও হচ্ছে দেখছি আপনার পোস্টগুলোতে। খুব ভালো লাগলো।

আপনার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়
+++ :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ রুশো ভাই।

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম!

১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১১

কাউসার রুশো বলেছেন:
কোল্ড ওয়ারে কে জিতেছে সেটা নিয়ে হয়ত বিতর্ক করা যাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে অত্যন্ত সফলভাবে তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে পরেছে এতে বোধকরি সন্দেহের অবকাশ নেই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অবশ্যই একমত!

পুরো সোভিয়েত ধ্বংস হয়ে গেল, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য তো অবশ্যই সফল। তবে মার্কিনরা মনে করে কোল্ডওয়ারের সময় ওরা আরো নিরাপদ ছিল, অন্তত ওরা জানতো হুমকী কোথায়। এখন ওরা বিভ্রান্ত হয়ে গেছে!

১৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫

বাদ দেন বলেছেন: আমার একটা ধারণা সামনের ২০-৩০ বছরে যে পরিবর্তন হবে তাই অন্তত পরবর্তি কয়েকশ বছর চালু থাকবে। ২০০০ মিলেনিয়ামের রেনেসার মনে হয় এভাবেই পরিসমাপ্তি হবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি রিয়েলিস্টদের সাথে একমত। আমরা ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী এবং ৩য় বিশ্বযুদ্ধের মাঝের সময়ে আছি। বর্তমান পারমানবিক বিশ্বের কথা মাথায় রেখে বলা যায় ৩য় বিশ্বযুদ্ধই বিশ্বের শেষ।

আমরা একদম প্রান্তে আছি, বলা যায় না কতদিন টিকে। বড়ই ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.