নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরমান ভাই

অতঃপর কহিলে তুমি আজব ছেলে হলে, আমি অগোছালো মেয়ে বৈকি!! তারোপর বললে,আমি অগোছালো মেয়ে হলে,তুমি আজব ছেলে নও কি

ডট কম ০০৯

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুকএকলা থাকার খুব দুপুরেএকটি ঘুঘু ডাকুক

ডট কম ০০৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও তার বর্তমান সমস্যা সমাধানের সাম্ভব্যা দিক

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫



সমস্যাঃ

গত তিন দিন যাবত বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের কর্মীরা তাদের বেতনভাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছে।



Click This Link



Click This Link



Click This Link





সমস্যা যেহেতু পাওয়া গেছে তা সমাধান করতে হবে তার আগে জানতে হবে কেন এই সমস্যার উদ্ভব হইছে।এই সমস্যা উদ্ভবের মূল ও প্রধান কারন আমার কাছে মনে হয় জীবন যাত্রার মান ব্যয়। একজন শ্রমিক যখন সারা মাস কাজ করে তার জীবনের প্রধান প্রধান চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে না তখন সে সেই অবস্থান হতে উত্তরণ চাইবে এই টাই স্বাভাবিক।প্রথমে চেষ্টা করবে তার বর্তমান অবস্থানে থেকে বেতন বাড়াতে তা না সম্ভব হলে বর্তমান অবস্থান থেকে সরে গিয়ে মানে চাকুরী বদল করে নিজের বেতন বাড়ানোর চেষ্টা করবে।যখন দেখবে তাও সম্ভব না তখন বিকল্প কিছু করার চেষ্টা করবে।সেইখানেও বাঁধা গ্রস্থ হলে সকল ঔষধের শেষ চিকিৎসা সে সংগ্রাম করবে। বর্তমানে আমাদের দেশের শ্রমিকভাইরা তাই করছে।রাজনৈতীক কথা আমরা না বলি যে ওমুকে উস্কানি দিয়া এই কাম করাইতেছে,ইন্ডিয়ার হাত আছে দেশীয় শিল্প ধংশ করার জন্য,বিম্পি সরাসরি এইখানে জরিত।থামেন ভাই জাষ্ট সমস্যাটা নিয়া চিন্তা করতে দেন।সমাধান হবেই।

উপরের কথাগুলি আরো ভাল ভাবে বোঝার জন্য আপনাদেরকে বর্তমানে বাংলাদেশ কোম্পানী আইন ২০০৬ এর গ্রেড অনুযায়ী যে বেতন কাঠামো আছে তা বলি



গ্রেড-৭ (সহকারী সেলাই মেসিন অপারেটর/হেলপার)

বেসিক ২০০০টাকা বাড়িভাড়া ৮০০টাকা মেডিক্যাল ২০০ মোট ৩০০০ টাকা

গ্রেড-৬ (সাধারণ সেলাই মেসিন অপারেটর)

বেসিক ২২৩০টাকা বাড়িভাড়া ৮৯২টাকা মেডিক্যাল ২০০ মোট ৩৩২২ টাকা



গ্রেড-৫ (জুনিয়র সেলাই মেসিন অপারেটর)

বেসিক ২৩৯৫টাকা বাড়িভাড়া ৯৫৮টাকা মেডিক্যাল ২০০ মোট ৩৫৫৩ টাকা

গ্রেড-৪ (সেলাই মেসিন অপারেটর)

বেসিক ২৬১৫টাকা বাড়িভাড়া ১০৪৬টাকা মেডিক্যাল ২০০ মোট ৩৮৬১ টাকা

গ্রেড-৩ (সেলাই মেসিন অপারেটর)

বেসিক ২৮৭০টাকা বাড়িভাড়া ১১৪৮টাকা মেডিক্যাল ২০০ মোট ৪২১৮ টাকা



গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ এ কোন শ্রমিক না থাকায় ওইগুলি বাদ দেয়া হল।এই বেতন কাঠামো গত ৩১ শে অক্টোবর ২০১০ এ ঘোষনা করা হয় এবং ১ লা নভেম্বর ২০১০হইতে কার্যকর হয় বাংলাদেশে।এখন পাঠক বলুন একজন সপ্তম গ্রেডের শ্রমিক যদি সারা মাস কোন ওভারটাইম না করে তবে সে মাস শেষে সে পাবে ৩০০০ টাকা।তার সংসার চলবে কিভাবে। একা একজন মানুষ ই তো ৩০০০ টাকায় চলা যায় না।ধরে নিলাম কোম্পানী আইন অনুযায়ী সেই শ্রমিক টি পুরো মাসে প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে ওভারটাইম করল সেই ক্ষেত্রে তার মোট বেতন হবে (১৯.২৩ গুন ৫২) ৯৯৯ টাকা আর মোট বেতন ৩০০০ তাহলে সে পাচ্ছে ৩৯৯৯ টাকা।

পাঠক বিচার করুন চলা যায় কিনা!!



একটা সময়য় আমিও চিন্তা করতাম এরা এইভাবে কীভাবে চলে।পরে বুঝতে পেরেছি এই মানুষগুলা কিভাবে চলে।আমার কাছে প্রত্যেক্টা গার্মেন্টস মালিককে লর্ড ক্লাইভ বলে মনে হয়।আর প্রায় প্রত্যেক্টা ফ্যাক্টরীই হচ্ছে এক এক টা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী।কেন এই কথা বললাম সেইটা সাধারণ পাঠকেরা হয়ত ধরতে পারবেন না।সামান্য আরেকটু হিন্ট দেই গার্মেন্টস ব্যাবসা এমন একটা ব্যাবসা যেইখানে সব কিছু থেকে আয় করা যায়।যাই থাকবে তার একটা মার্কেট ভ্যালু আছে।মানে ফেলে দেয়া ঝুট ও বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।



কোথায় যেন ছিলাম ও শ্রমিকদের আন্দোলন শ্রমিকরা দাবী করেছে তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য আর শ্রমিক সংগঠকরা দাবী করছে ৮১১৪ টাকা বেতন করার জন্য অন্য দিকে বি জি এম ই এ বলছে বর্তমান বেতন তিনহাজার এর ২০শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।তাতে আসে ৩৬০০ টাকা।তাহলে এইখানে পক্ষ হইল কয়টা

তিনটা এক-সাধারন শ্রমিক

দুই-শ্রমিক সংগঠক

তিন-বি জি এম ই এ

ডরাইয়েন না আরো আছে সবার বস সরকার।



শ্রমিক সংগঠনের দাবী যেমন যৌক্তিক না ঠিক তেমনি বি জি এম ই এর ইনক্রিমেন্ট প্রস্তাব ও বাস্তব সন্মত নয় বলে আমি মনে করি।ইহাদের উভয়কেই ছাড় দিতে হবে।তাতে আমার যতদূর মনে হয় শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন ৫০০০ টাকা হলে ভাল হয়।আরে ভাই শ্রমিকদের বাচায়ে রাখতে হবে তো।

শ্রমিক না থাকলে গার্মেন্টস ব্যাবসা কেমনে হবে।



এখনি সরকার কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কি করা যায়।এবং যত দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত টা নেয়া যাবে তত মঙ্গল।কেননা এমনিতেই তাজরীন ফ্যাশন আর রানা প্লাজা ঘটনার কারনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প হুমকির মুখে আছে।যদি কখনো কোন কারনে এই গার্মেন্টস শিল্প উঠে যায় তবে বাংলাদেশের যে করুন চিত্র হবে তা চিন্তাশীল মানুষ মাত্রেই ভাবতে পারে।





লিখতে তো চাই অনেক কিছুই কিন্তু অলসতার কারনে লেখা হয়ে উঠে না।অলসদের কোন প্রতিযোগিতা বা পুরষ্কারের ব্যাবস্থা থাকলে আমি শিউর পুরষ্কার পাইতাম।আজকে যখন একটু সুযোগ পাইলাম তখন দুই চার কলম লিখেই ফেললাম বলে শুরু করলাম দেখি কত দূর যাওয়া যায়।



যে কোন ধরনের ভুল থাকলে বলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে সংশোধন করা হবে।গঠন মূলক সমালোচনা কাম্য।সবার প্রতি সালাম রইল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
৩০০০ কিংবা ৩৬০০ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না।
সমস্যা হলো, মালিকপক্ষ তাদের মুনাফা একটু ছাড় দিতে চায় না।
বরং দেখা যাবে বেতন ৬০০ বাড়িয়ে মুনাফা ১২০০ করে বাড়াতে চাইবে।
যাই হোক, আমার মতে ৬০০০ আপাত একটা নূন্যতম ফিগার হতে পারে। যদিও আমি সেক্টর সম্পর্কিত জ্ঞান তেমন রাখি না।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আশরাফুল ভাই

বর্তমানের প্রেক্ষিতে মালিক পক্ষ ৬০০০ করবে না।৫০০০ পর্যন্ত সর্বোচ্চ যাইতে পারে।

দেখা যাক কী হয়।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিজন শররমা বলেছেন: গার্মেন্টসের অধিকাংশ মালিকই শ্রমিকদের বেশি বেতন দিতে চান না, কারন একটা বিরাট সংখ্যক গার্মেন্টস মালিকের ক্যানাডা, মালয়েশিয়া বা আমেরিকায় বাড়ি এবং পরিবার আছে এবং তাদের জন্য তাদেরকে অনেক টাকা (ডলারে রিঙ্গিতে) খরচ করতে হয় । এর বাইরে দেশের পরিবারের জন্য খরভ তো আছেই । তাদেরকে দেশী বিদেশী এই সবগুলি পরিবারের যাবতীয় খরচ এই গার্মেন্টস থেকেই আয় করতে হয় ।
বিদেশী ক্রেতারা যদি একটা নিয়ম করেন যে, যে সব মালিকের বিদেশে কোন বাড়ি, সন্তান বা পরিবার নেই শুধু মাত্র সেই সব গার্মেন্টস থেকে পোষাক কিনবেন, তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । কারন এদেশী মালিকেরা শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরী দিয়েও লাভ করে টিকে থাকতে পারবেন ।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

আরিফ আহমেদ বলেছেন: টক লট ব্যবসায়ীদের জন্য সাইট লট হাট ভিজিট করার আমন্ত্রন রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.