নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাম কিবরিয়া পিনু

গোলাম কিবরিয়া পিনু

I love poems গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া-কবিতা, ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি.

গোলাম কিবরিয়া পিনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখের রোদ্র-তাপে নবায়ন

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০





বৈশাখের তাপ নিয়ে ঝাঁপ খুলে বের হই

খোঁয়াড় খুলে বের হই

পিঁজরা খুলে বের হই

মনে হয় আমি এক কাকাতুয়া

আমার দু’চোখে দিগন্তপ্রসারী সবুজের স্বপ্ন

যেখানে রয়েছে তরুলতা

যেখানে রয়েছে লতাগৃহ

যেখানে রয়েছে চারাগাছ

যেখানে রয়েছে কচিপাতা

যেখানে রয়েছে কুসমকোরক!



হৃদপিণ্ডের সকল রক্তবহনকারী শিরা জানে

জন্মভূমি কীভাবে আমার ভেতর জেগে আছে

বৈশাখ এলেই বোধের ব্যঞ্জনা নিয়ে

ঐকসূত্র নিয়ে

নিজেরই বাদ্যযন্ত্রে নিজে বেজে উঠি

নিজেরই দুন্দুভিতে নিজে বেজে উঠি

নিজেরই পাখোয়াজে নিজে বেজে উঠি

নিজেরই করতালে নিজে বেজে উঠি।

আমাকে জাগিয়ে রেখেছে আমারই জবাফুল

আমাকে জাগিয়ে রেখেছে আমারই নদীকুল,

পূর্বজ্ঞান নিয়ে

ড্রাগনের মুখ থেকে বারবার বাঁচিয়ে রেখেছি

আমার মায়ের সোনাদুল!



বৈশাখ এলেই বৈশাখী সৌন্দর্যে আমাদের নবজন্ম হয়

ভেদরেখা লুপ্ত হয়

সংকীর্ণতা লুপ্ত হয়

বর্ণভেদ থাকেনা

ধর্মভেদ থাকেনা,

যদি শ্রেণীভেদ না থাকতো

তাহলে বাঁশী বাজানোর স্পর্ধা আরও বেড়ে যেত,

পায়ে পরানো অনেক শৃংখল ও বেড়িও

আপনাআপনি খুলে যেত,

একটা বাবুই পাখি আরও কিচিরমিচির করে

নলখাগড়ার বন থেকে মহুয়াবনে চলে আসতো।



দৃষ্টি ফেরানো যাবেনা

বৈশাখ এলেই নিজেদের বাঁশি বাজানোর স্পর্ধা নিয়ে

আমিও অনুরণিত হই

পুনরুদ্ধার করি

নিজের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের বটেশ্বর

পুনরুদ্ধার করি

নিজের ভেতর পীড়া-ক্লেশে মাটিচাপা স্বপ্ন।





বৈশাখের বায়ুহিল্লোল আমাকেও জাগিয়ে তোলে

ভগ্নচিত্ত থেকে

ঝরঝরে হয়ে উঠি,

বধিরতা থেকে

চনমনে হয়ে উঠি,

চাপাকান্না থেকে

তরতাজা হয়ে উঠি,

নিজেকে নিজেই নবায়ন করি বৈশাখের রোদ্র-তাপে

নিজের জলের স্রোত থেকে তৈরি করি

তড়িৎপ্রবাহ!



সূর্যশক্তি নিয়ে

উৎসব ও আনন্দপর্ব খুলে খুলে

বাংলার বারো মাসে - বৈশাখ থেকে চৈত্র মাসে

নিজেদের প্রাচুর্য-বৈভবে

ও রূপবৈচিত্র্যে

যে সজীবতা খুঁজে পাই

তা যেন ধুলোঝড়ে কখনো না হারাই

তা যেন ধুলোঝড়ে কখনো না হারাই!







































মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৮

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আপনার এই লেখাটা এর আগে কোথায় যেনো পড়েছি। মনে হয় ডাবল পোষ্ট করেছেন। যাক ভালো। তো আমার বাড়ি আপনার জেলায়। মন চাইলে আমার ব্লগে গিয়ে একটু দেখুন। আমার জন্য দোয়া করুন। আমাদের জেলার কবি আপনি, তাই দাবী নিয়ে কথা বললাম। ক্ষমা করবেন।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লাগলো। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.