নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাম কিবরিয়া পিনু

গোলাম কিবরিয়া পিনু

I love poems গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া-কবিতা, ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি.

গোলাম কিবরিয়া পিনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি তোমাদের বুড়িগঙ্গা

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আমি মরে যাচ্ছি, জ্বরাগ্রস্ত -

দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, মুমূর্ষ-গোঙানি নিয়ে

বেঁচে আছি মৃতপ্রায়

বুকে জাগা বালুভরা কষ্ট

আর অশ্রুপাত,

কাফন পরানো আয়োজন দিনরাত!



ব্রষ্মপুত্র আমারও মূল --

হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের হিমবাহ থেকে উৎপন্ন

জল ধারণ করেছি,

সেই জল এত ঘোলা কেন?

সেই জল এত নষ্ট কেন?



আমারও ধারণকৃত জল গিয়ে মেশে

আরও নদীতে

অবশেষে সমুদ্র-গ্রহণ : ত্বরণ হয়েছে সৃষ্টি

আমি আজ কোন্ জল দেই সমুদ্রকে?

হিমালয় থেকে আসা জল -

স্বচ্ছ জল কই?



জলের বদলে কী বহন করছি আজ?

সাজ নেই ! শোভনতা নেই!

চিত্তগ্রাহী রূপ নেই, খেই হারিয়ে অপারিপাট্য

বুকে নেই সেই স্রোত ও তরঙ্গ

অঙ্গ জ্বরাজীর্ণ,অলংকার পড়েছে খসে

দোমড়ানো মোচড়ানো অবস্থায়

আলুথালু বেশ, কেশহীন-অসৌন্দর্য।



উচ্ছল-প্রবাহ নেই কেন?

কাকক্ষুর মতন জল নেই কেন?

জল কম,দম নিতে শ্বাস বের হয়ে যায় যেন

দিগন্তরেখায় পেঁজামেঘ - শুকতারা দেখা যায় না;

বৃষ্টিও আমাকে ভেঙচায় - তার জল

আমি যেন গ্রহণ না করি;

রজনীসখাও সখ্য-আলো দিতে চায় না

দোষ ও দুষণে আমি পুষ্ট!

প্রকৃতিতে হবো পরিত্যক্ত?



মজানদী হয়ে যাবো কেন?

মর্মপীড়ায় আমার বুক ভেঙে যায়!

আমি সেই নদী -

জল দিয়ে ও যাতায়াতের পথ দিয়ে

উর্বর মাটির সখ্য দিয়ে

তিল তিল করে তৈরি করি

আজকের ঢাকা

তার আগে জাহাঙ্গীরনগর ও দুর্গ

আমাকে নিয়েই এই ঢাকার উন্থান

অথচ আমাকে অবহেলা করা হচ্ছে!



এই জ্বরা : সৌন্দর্য হারিয়ে বলিরেখা

এই খরা : প্রবাহ হারিয়ে দুঃখরেখা

ক্রমে ক্রমে

রুদ্ধস্রোতে হবো পরিণত?

আমার করুণ অবস্থার জন্য শুধু আমি দায়ী?



আমি আর কতকাল ধারণ করবো ?

আর্বজনা-মলমূত্র-বর্জ্য

ইন্জিনের তেল

পরিত্যক্ত গ্রীজ

জমির কীটনাশক জল

বিষাক্ত রাসায়নিক ক্রোমিয়ামসহ

কারখানার বর্জ্য !



আমার জলজ প্রাণী ও মাছ বাঁচে না

আমার তলদেশ ও জল জীবাণু-আক্রান্ত

পাকস্থলী নষ্ট

কষ্ট করে বাঁচা

খাঁচাবন্দী আমি

চলৎশক্তি হারিয়ে খসাতারা হয়ে অস্তগামী !



তবুও চূড়ান্ত শ্বাসরুদ্ধ দূষণের এ সময়ে

দৃষ্টিশক্তি চাই

বেদনামিশ্রিত জীবনের স্বাদ নিয়ে

আবারো কল্লোলিনী হয়ে বাঁচতে চাই

নদীবুকে নাব্যতা আসুক

নৌকাগুলো রাজহাঁসের মতন সাঁতরে সাঁতরে

লক্ষ্যমুখী হোক

ঢাকাকে বাঁচাতে হলে আমাকেও বাঁচাও !

ঢাকাকে বাঁচাতে হলে আমাকেও বাঁচাও !

আমি তোমাদের বুড়িগঙ্গা !

আমি তোমাদের বুড়িগঙ্গা !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বুড়িগঙ্গা বেচে যাক !

২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্যি বুড়ী গঙ্গার অবস্থা নাজুক ।নাজুক তুরাগ নদীও ।কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ।আর মানব বর্জ্য সব মিলে বাংলাদেশের নদীগুলো ব্যাপক নাজুক অবস্থায়। পানি কাকুক্ষুর মত রাখতে হলে ওয়েস্ট মেনেজমেন্ট সিস্টেম বা প্লান্ট স্থাপনের বিকল্প নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.