![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I love poems গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া-কবিতা, ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি.
পূতিগন্ধময় ময়লা
-----------------------
মানুষ পচে মরছে পূতিগন্ধময় ময়লার স্তূপে, তারপরও
মানব সভ্যতা, তারপরও আলো ঝলমল রাজধানী! নারকীয়
পোড়া গন্ধ শাসক ও রাজনীতিকের নাকে এসে লাগে না?
লাগবে কীভাবে! তাদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির জানালা
শুধু ভোটভিক্ষার সময় খোলা হয়ে থাকে - তারপর বন্ধ, যখন
গলিত আবর্জনার পাশ দিয়ে যায়, তখন জানালা বন্ধ
অবস্থায় -‘সুগন্ধি স্প্রে’ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাতাসও শাসন করা
হয়। হৃদয়হীন রাষ্ট্র ও তার রাজনীতিক যখন পচে, তখন
পচাগন্ধ কি নাকে এসে লাগে?
কুকুরেরও ভয়
-------------------
কুকুরেরা এখন বিশ্বাস করে না - কুকুরেরাও ভয়
পেয়ে গেছে! কুকুর মানুষকে চেনে। পরিত্যক্ত
মাকড়সার জালে মোড়ানো ময়লা জায়গায় কুকুর
দাঁড়িয়ে থেকে নীরবে পাহারা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে
তার দায় মিটিয়েছে বহু দিন-রাত্রিতে। আর যারা
পরিবেশ বুঝে কখনো চিৎকার করে বা কখনো
নম্রভাবে বলে - আমরা ধরবো চোর-বাটপার ও
ডাকাত, প্রয়োজনে দৌড় দিয়ে’ - তারা নিজেরাই গলায়
সাপ পেঁচিয়ে বীভৎস হয়ে ওঠে! তা দেখে কুকুরও
ভয় করে - ভয় ও ভীতির ভেতরই আমাদের পরিসর
সংকুচিত হয়ে যাবে?
জ্বলে ওঠা দিগন্ত
------------------
গাছপোঁতা জায়গা থেকে দিন দিন দূরে চলে গিয়ে বাবুইতুলসীর
কথা ভুলে গিয়ে আছি, বকফুল কবে দেখেছি আমার গ্রামে! সরিষার
জ্বলে ওঠা দিগন্ত দেখেও উজ্জ্বলতা বুঝতে পারিনি! রাধাচূড়া খুলে
ধরেছিল তার সৌন্দর্য, তারপরও তা রেখে আমি আজ কোথায়
এলাম - এই নগরের অন্ধগলিতে, যেখানে কেউ আমাকে চেনে না,
আম্রশাখা নেই যে নিজেকে দুলিয়ে আমাকে বলবে - মৃদুমন্দ বাতাস
নিয়ে আছি তোমারই পাশে। কী এক কাল এলো - আমিও শিকড়হীন
হয়ে পড়ছি আর ফুলবিক্রেতাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবি
ফুলগুলো কোন্খান থেকে এলো বাণিজ্যতরীতে - বাণিজ্যই কি
আজ সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ফুল ফোটাতে পারে? সে ফুল কী লগ্ন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
ডানপিঠে নিশাচর বলেছেন: কবিতায় ভাল লাগা রইল. .