নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাম কিবরিয়া পিনু

গোলাম কিবরিয়া পিনু

I love poems গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া-কবিতা, ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি.

গোলাম কিবরিয়া পিনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রান্না ও রেসেপি

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১





আজকাল রান্নার অনুষ্ঠান হচ্ছে প্রায় প্রতিটি টিভি-চ্যানেলে

এতে তৃষ্ণাকাতর হয়ে পড়ছি।

ও বিবিজান

আমার জন্য কী রান্না করছেন?



প্রাতরাশে -

সেই দু’টি রুটি আর ডালভাজি

আর এক চা!

মধ্যাহ্নভোজনে -

মোটা চালের ভাত, ছোটমাছ কিংবা সবজি

আর না হয় ডাল!

নৈশভোজে -

সেই এক ধরনের তরকারীসহ ভাত!



এরমধ্যে রকমারী রান্নার আয়োজন চলে

বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠানে!

আমি এক সামান্য কর্মচারী

যার বাসাভাড়া আর সংসারের খরচ

চালানোই দুষ্কর!

বছরে বনভোজনের চাঁদা দেওয়া অতিরিক্ত

খরচা বলে মনে হয় -

তার আবার ভিন্নস্বাদের খাওয়া?



পেটভরানো ও গলাধঃকরণ - এই শব্দ দুটি

সবচেয়ে জুতসই মনে হয়

তার আবার ভিন্ন-স্বাদের ভূড়িভোজ?

আর রান্নার অনুষ্ঠান দেখে গিন্নিকে কী আর বলা যায়

যদিও সে অন্তঃপুরবাসিনী -

রান্না আর ঘর সামলাতে নাজেহাল।

তাকে কীভাবে বলি -

এসো, রান্নার অনুষ্ঠান একসাথে দেখি!

আর যদি বলি - ইস্ কী সুন্দর রেসেপি!

তাহলে শুধুই অগ্নিবৃদ্ধি পাবে না -

আমি নিজেই হয়ে যেতে পারি বউয়ের কাছে

ঝুরিভাজা বা চচ্চড়ি!

তারচেয়ে একাই চুপচাপ দেখতে থাকি

রান্নার বাহারী অনুষ্ঠান!

আর মনে মনে বলি -

আমার গিন্নি যেসব রান্না জানে

সেই অনুযায়ী কোনো বাজারও আজ পর্যন্ত

পরিপূর্ণ করতে পারিনি - ফর্দ ধরে দেওয়ার পরও

এই নিয়ে দু’একদিন যে কাজিয়া হয়নি তা কিন্তু নয়!



বলি অনুষ্ঠান উপস্থাপক বা প্রযোজককে

যে রকম রন্ধনশালা আমাদের দেখান - তা আমাদের নেই

যে রকম প্রেশারকুকার আমাদের দেখান - তা আমাদের নেই

যে রকম রান্নারসরঞ্জাম আমাদের দেখান - তা আমাদের নেই!

রান্নার অনুষ্ঠান ও দামী রেসেপি দেখে

উৎপিপাসু হয়ে উঠলে কে নিজেকে সামলাবে?



যে হারে দিন দিন মিতভোজী হয়ে উঠছি তাই ভালো

না হলে লোভ জাগলে কোথায় পাবো?

দুধের চাঁছি, চিজ, লেমনেড

জ্যাম-জেলি-মারমালেড

চিনিপাতা দই-কাসুন্দি

মিল্কশেক-ডিমের ডালনা

নানখাতাই-গব্যঘৃত আর নাম না জানা কতকিছু।

তারচেয়ে বাপ -

নিজের নৈমিত্তিক খাবারের সাথে তুলনা না করাই ভালো

তা না হলে -

অজীর্ণতা ও বদহজম বেড়ে যেতে পারে।

সে কারণে রান্নার অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে

যা আছে তা খেয়ে গভীর নিদ্রায় ডুবে যাওয়া ভালো -

না হলে যে প্রলয় শুরু হবে নিজের ভেতর

তা কি গিন্নিকে বলে সামলানো যাবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.