নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন ও জয়ের উন্মোচন ---------------

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসাবে আমাদের বিশ্বিদ্যালয়ের ইতিহাসের অনেক কিছুর অংশীদার হওয়ার সুযোগ হয়েছে। আজ আমি আমাদের বিশ্বিদ্যালয়ের “চেতনা ৭১” এর বাস্তবায়নের পিছনের ঘঠনা নিয়ে প্রাসংঙ্গিক এবং অপ্রাসংঙ্গিক কিছু বলবো।
বিশ্বিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীদের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১৬তম ব্যাচের ফাহিম (Ferdous Hasan Fahim) কে আহ্বায়ক করে যে কমিটি হয় তার আসল নেতৃত্ব দিয়েছিল ১ম ব্যাচের খুরশিদ আলম হিটু (Khurshid Alam Hitu) ,সাথে ছিলাম ১ম ব্যাচের সবাই।
আমি খুবই ভাগ্যবান ছিলাম যে ,এই ব্যাপারে যত মিটিং হতো সবই ছিল আমার ধানমন্ডির অফিসে।
একেবারে শেষ মূহুর্তে ঝামেলায় পরে যাই অর্থ সংকটের কারনে। ১ম ব্যাচের অনেকেই শেষ মূহুর্তে আর তাদের প্রতিশ্রুতি মত কোন টাকাতো দেয়নি বরং নিরুৎসাহিত করেছে এই ধারনার বসবর্তি হয়ে যে, আমরা মূর্তি নির্মান করছি, বিশাল গুনহার কাজ করছি। আমরা আসলে কারো সাথে কোন ঝামেলায় না যেয়ে শধু আমাদের লক্ষ্যে কাজ করে গেছি।
যখন টাকার জন্য আটকে যাচ্ছিল সব কিছু তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ২য় ব্যাচের প্রশান্ত(Proshanta Roy),তিন লক্ষ টাকা ধার দিয়ে এবংপুরো টাকাটা ফেরত দেওয়ার দ্বায়িত্ব নেয় হিটু ,যা সে তিন মাসের মধ্যে তার নামে ব্যাংক ঋন নিয়ো শোধ করে।
এখন যখন বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বা দর্শনার্থীরা “চেতনা ৭১” এর পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে তখন মনের অজান্তেই মন টা গর্বে ভরে যায় এই মনে করে যে, আমিও এর সাথে জড়িত।
“চেতনা ৭১” স্হাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যাই ৩০জুলাই ,২০১১ তে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমি অনেকবার ফিরে এসেছি কিনত্তু এবারে অনুভূতিটা আসলেই ছিল অন্যরকম। আমার জীবনের সবচেয়ে স্বর্নালী ও সুখের সমটা আমি এখানে ছিলাম। গেইট দিয়ে ঢুকার সময় একজন নিরাপত্তা কর্মী আমাদর আটকে দিল । তাদের দ্বায়িত্ব পালনের চেষ্টা ।এই সময় হঠাৎ একজন নিরাপত্তা কর্মী দৌড়ে এসে
বললো, কেমন আছেন হারুন ভাই , আমি তার চেহারাটা ঝাপসা মনে করতে পারলেও নামটা ভুলে গেছি , দীর্ঘ ১৬ বৎসর পরও এরা যে আমাদের ভুলে নাই, এর চেয়ে বেশী কিছু আর পাওয়ার নাই।ওর আবদারে গাড়ী থেকে বের হওয়ার পর ও বুকে জড়িয়ে ধরলো। চেয়ে দেখি ওর চোঁখে পানি ওর দেখাদেখি আমারও চোখ কিছুটা ভিজে গেল। ভালবাসা কি অদ্ভুত , কার জন্য যে কে, কখন ,কোথাও ভালবাসা জমা রেখেছে , আগে থেকে জানা যায় না।
আসলে “চেতনা ৭১” আমাকে ওদের কাছে আজ টেনে এনেছে। এই চেতনা শুধু মাত্র মহান মুক্তিযোদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনের জন্য নয় , এই চেতনা ভালবাসা , সহনশীলতা , আত্মত্যাগ , পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সর্বোপরি নিজের মত করে স্বাধীন ভাবে বাঁচার প্রেরনা।
“চেতনা ৭১” আমার কাছে সৎ চিন্তা , স্বপ্ন ও মানুষের বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতীক

জি, এম ,হারুন অর রশিদ
ইকোনমিক্স ১ম ব্যাচ ( SUST 1991-1994)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.