নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সরল প্রেমের গল্প

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

অদ্ভূত একটা মেয়ে , কিছু হলেই মায়ের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিচার দেয়।রাস্তায় স্কুলে যাবার পথে মহল্লার কোন বড় ভাই যদি অনেক আবেগ নিয়ে প্রেমের চিঠি হতে দিয়ে দেয় তা হলে চিঠির শেষ পরিনিতি মায়ের হাতে জমা দেওয়া এবং যথারিতি মহল্লায় বিচার বসা। এই মেয়েটির এই ভ্যা ভ্যা করে-কান্নাই খুব রোমান্টিক মনে হতে লাগলো তার মামাতো ভাই প্রায় ছয় ফুট লম্বা এক বোকা ছেলের । কথায় আছে লম্বা মানুষ বেকুব হয় , তাই সারাদিন বাংলা ছিনেমার মত নিজেকে নায়ক ভাবতে শুরু করলো।
তারপর দিন যায়, মাস যায় বৎসরও ঘুরে ,বলার সাহস আর হয়না ,যদি মাকে বলে দেয়। তারপর একদিন ছেলেটিকে বিরহ মন নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে চলে আসতে হয় ,SUST এ ভর্তি হয় ।কিছুতেই মন বসেনা , এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার ঢাকা টু সিলেট করে।
বাসায় বাবার বকুনি , “লেখাপড়া রেখে রেলের টিটির চাকুরী নে , তা হলে প্রতিদিনই ট্রেনে চড়তে পারবি” ।
আসলে মেয়েটির বাসা কমলাপুর ষ্টেশনের পাশে ,ট্রেন থেকে নেমেই ফুফুকে দেখতে যাওয়ার উছিলায় , বিরহ চোখ একটু যদি দেখা পায় তার।
এভাবে এক বৎসরে রেল কোম্পানীর ভালই আয় হলো। ১ম বৎসর ফাইনাল পরীক্ষার আগে হঠাৎ আবেগ এতো বেড়ে গেলো যে , বোকা মানুষটির ভিতর কবি ভাব উদয় হইল ।বোকা মানুষ , কোন কিছু চিন্তা না করেই মনে মনে শপথ নিল, প্রেমের সাফল্য না আসলে ফাইনাল পরীক্ষা দিবেনা। সারারাত না ঘুমিয়ে প্রেমের চিঠির বদলে লিখে ফেললো জীবনের প্রথম কবিতি। শুরুটা এই রকম--
"রুক্ষ প্রকৃতি অস্হির মন
মাতাল হাওয়া আমার কথা শোন "
-----
কবিতাটির প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষর সাজালে হয়ে যায় “রুমা আমি তোমাকে ভালোবাসি”।
তারপর বোকা মানুষটি এই কবিতা বুক পকেটে নিয়ে ভোরের গাড়ীতে করে ঢাকায় , সাহস করে প্রেমপত্র হাতে দেওয়ার পর
“ এটা কি লিখেছেন , কবিতা আমি বুঝিনা” ।
তারপর ছেলেটি সাহস করে বললো, প্রথম অক্ষর গুলো মিলিয়ে দেখ।
তারপর সময় হঠাৎ স্হির হয়ে গেল , মেয়েটি অনেকক্ষন পর চিঠি থেকে মুখ তুলো বললো
“ আপনি এ গুলো কি , লিখেছেন , আমি আম্মাকে বলে দিব”।
ছেলেটার মাথা খারাপের দশা , বোকার মত বলে ফেললো
“ কাউকে বললে মেরে ফেলবে , আর প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে , আর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সিলেট যাবে না , অশিক্ষিত হয়ে সারাজীবন তোর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবে”।
মেয়েটির মনে মায়া হলো বার চিন্তা ও করে দেখলো , এতো লম্বা একটা মানুষ এত কম লেখাপড়া নিয়ে থাকবে, আর আশেপাশে অযথা ঘোরাঘুরি করলে মানুষ কি বলবে ? আর আম্মার কাছেই কি বলবে?
রাজী হয়ে বললো , “ঠিক আছে পরীক্ষা দিতে যান”।
সেই পরীক্ষা দেওয়া শুরু, এখন ভালোবাসার পরীক্ষা দেয় বউ এর কাছে ,প্রায়ই রেসাল্ট ফেল।
বোকা মানুটা আশায় দিন গুনে বউ র কাছে একদিন পাশ নাম্বার পাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.