নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
আমি এখন আর পুরোনো ঠিকানায় থাকিনা,
নতুন বাসায় উঠেছি একদিন হলো,
চারতলা ছাদের পূর্ব কোনে একখানা টিনের ঘর ।
ছোট্ট ঘরটি ঝারপোছ করতে গিয়ে দেখলাম
একটা সোনার নাঁকফুল,
তামার হতে পারে,
ভাবলাম রেখে দেই,
আগের ভাড়াটিয়ার হবে,
যত্ন করে রেখেদিলাম কাগজে মুড়িয়ে শার্টের পকেটে,
যদি কোন নারী হুট করে একদিন
দরজায় টোকা দিয়ে বলে,
আপনি কি আমার নাঁকফুলটা পেয়েছেন?
আমার নতুন ঠিকানায় নাঁকফুলটা
আমার নিঃসঙ্গ জীবনের বাসিন্দা হয়ে গেল।
দিনের বেলায় বেশীক্ষন ঘরের বাইরে থাকিনা
যদি নাঁকফুলটার খোঁজে কেউ এসে ফিরে যায়,
কোন একজন নারী মন খারাপ করে ফিরে যাচ্ছে,
ভাবলেই আমার ভিতর অজনা এক তীব্র কষ্ট পাই,
মরানদী যেমন না দেখা
সমুদ্রের জন্য কষ্ট পায়,
অথবা কখনোই না পাওয়া
চিঠির জন্য সারাজীবনের অভিমান,
আমার কষ্টটা হয়তো বা সেই রকম।
আমি সারারাত জেগে থাকি নাঁকফুলটার দিকে তাকিয়ে,
যে নাকের শোভা বাড়িয়েছিল সেই নাঁকটার কথা ভাবি,
আস্তে আস্তে পুরো মুখটি ভেসে উঠে
একসময়ে হয়ে যায় আস্ত একজন নারী ।
তারপর বাবুই পাখির মত
ঘর বানানো শুরু করি
নারীর শরীরের সমস্ত জমিতে।
তবুও কষ্ট কমেনা,
সুখ ভুলানো কষ্ট,
অভিমান বাড়ানো কষ্ট,
প্রিয় কবিতার নাম ভুলানো কষ্ট,
এক সময় আমি পুরুষ হয়ে উঠি,
পৃথিবীর জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত
নিঃসঙ্গ পুরষের প্রতিনিধি হয়ে যাই।
শরীরে অস্হির কামজেগে উঠে বার বার
গভীর রাতে বেরিয়ে পরি রাস্তায় শরীরে খোজে,
হাতের মুঠোতে শক্ত করে ধরে রাখি নাকফুলটাকে।
টাকা দিয়ে প্রতিরাতে কতো মেয়ে মানুষের নাকে
নাকফুলটা পড়িয়ে দেখেছি,
কিন্ত্তু ভেসে উঠা নারীর মুখটার সাথে মিলেনা,
এই মুখ, সেই মুখ করতে করতে
প্রতিদিন ভোর হয়ে যায়,
তারপর অক্ষম পুরুষের কামনার মত
নিজের শরীরের ভিতরই কামনাকে আবার মেরে ফেলি ।
নতুন ঠিকানায় আমি সবসময়
এখন দরজা খুলে রাখি
নাকফুলটার খোজে কেউ এসে
ফিরে না যায় যেন।
-----------------------
জি,এম, হারুন অর রশিদ
২০/০৩/২০১৭
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
দাঁড়িকমা প্রকাশনী বলেছেন: ভালো লাগল কবিতা... শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো
নাকফুল ম্যচ করে যায় এমন একটা মুখের দেখা পান শীঘ্রই সে কামনা করি
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাখানি।