নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নক্ষত্রের পতন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই...

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

এই গত পরশু ১৯ আগষ্ট এ আমি নায়ক রাজ্জাক সাহেব কে নিয়ে একটি প্রেমের কবিতা লিখি।
উনি আমার বিয়েতে ১৯৯৫ সালে উপস্থিত থেকে আমাদের দোয়া করেছিলেন।
আজ উনি কিছুক্ষন আগে মারা গেছেন।
হারিয়ে ফেললাম এক কিংবদন্তীকে.......!!!
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন......আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন।
উনার সন্মানে আমি আবার আমার লেখাটা দিচ্ছি।

রাজ্জাক -কবরীর প্রেম ও একজন বালক
-------------------------------------------------

ইটের উপর পা দিয়ে
আমার বয়সী অনেকের সাথে
ঠেলাঠেলি করে মিয়া বাড়ীর জানলায়
দাঁড়িয়ে থাকতাম অনেকক্ষন ধরে।

বয়স কতো হবে আর আমাদের,
দশ অথবা এগারো, না হলে আরেকটু বেশি,
সবাই কি উত্তেজনা নিয়ে ছোট সাদাকালো টেলিভিশনটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম,
কখন শুরু হবে বাংলা ছিনেমা,
তারপর একসময় যখন শুরু হতো,
নাম দেখে উত্তেজনা আরো বেড়ে যেতো,
প্রধান চরিত্রে "নায়ক রাজ রাজ্জাক"
আর "মিষ্টি মেয়ে কবরী"।

মশার কামড়ে পা ফুলে যেত,
তবুও নড়তাম না
খোলা মাঠে গান গাইতে গাইতে,
রাজ্জাক যখন কবরীর পায়ের উপর
মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত,
আমার কেমন যেন খুব লজ্জা লাগত,
মাথা ঘুরত, আর তাকাতে পারতাম না,
ভাবতাম বিশাল একটা অন্যায় করেছি,
আর রাজ্জাক যখন কবরী কে বলতো,
"আমি তোমাকে ভালোবাসি"
তখন আমার কান গরম হয়ে যেত,
তারপর বাসায় ফিরে সারা রাত ঘুমোতে পারতাম না,
স্বপ্নে সারারাত শুধু রাজ্জাক কবরী গান গাইত আর বলতো "আমি তোমাকে ভালোবাসি"
তখন স্বপ্নের মাঝেও আমার লজ্জা করতো।

ভালোবাসা কি জিনিষ
আমার খুব জানতে ইচ্ছা করতো,
"আমি তোমাকে ভালোবাসি" বোধহয় খোলা মাঠে
নায়িকার পায়ের উপর শুয়ে,
আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে হয়।

পাশের বাসার নীলা আপাকে দেখলেই
আমার নায়িকা কবরীরমত লাগতো।

আমার খুব ইচ্ছে করতো খোলা মাঠে
উনার পায়ের উপর শুয়ে বলবো
"নীলা আপা আমি তোমাকে ভালোবাসি"
নীলা আপা আমার চেয়ে ছয় সাত বছর বড় হবে,
কলেজে পড়তো বোধ হয়।

উনার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারতামনা,
মনে হতো এই বুঝি ধরা পরে যাবো,
উনি যদি আমার মনের কথা বুঝে যায়
তাহলে কি লজ্জার কথা হবে,
অনেক খারাপ ছেলে ভাববে,
বাবাকে বলে দিলে বাবা অনেক মারবে,
আর টেলিভিশন দেখতে দিবেনা।

একদিন শুনলাম নীলা আপাকে
আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

বড়োরা সবাই ফিসফিস করে আলাপ করেতো,
নীলা আপা নাকি তার প্রাইভেট টিউটর এর
সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করতো,
উনারা কি রাজ্জাক,কবরীর মত মাঠে গান গেয়ে ছিল,
তারপর কি প্রাইভেট টিউটর
উনার পায়ে মাথা রেখে বলেছিল
“আমি তোমাকে ভালোবাসি “
তা না হলে যে নীলা আপা যে সুখী হবে না।

অনেক দিন মন খারাপ ছিলো আমার।
বিকেল হলেই আমি মাঠে গিয়ে শুয়ে থাকতাম
আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতাম
“নীলা আপা আমি তোমাকে ভালোবাসি”
ঠিক রাজ্জাক যে ভাবে কবরীকে বলতো।
----------------------------------------------------
জি এমম হারুন অর রশিদ
১৯/০৮/২০১৭

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

তপোবণ বলেছেন: চলে গেলেন আমার প্রিয় একজন মানুষ।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.