নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
প্রতিবার আমার গভীর ঘুম
আমার কাছে মৃত্যু মনে হয়,
তাই আজকাল,প্রতিবার ঘুম ভাঙ্গলেই
চোখ খুলে আমি উপরের দিকে তাকাই,
ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকি,
আসলে আরো অনেক উপরে
আমার মনের দৃষ্টির শেষ সীমায়,
কৃতজ্ঞতায় খুশি মনে বিড়বিড় করে বলি
“আহা ,এখনো বেঁচে আছি”।
আমাকে আরেকটু সময়
দেওয়া হয়েছে বেঁচে থাকার,
অথবা,আমার পুনর্জন্ম হয়েছে
প্রতিবারের মতো,
তাই ঘুমোতে যাবার সময়ও
আমি হাসি মুখে থাকি।
আমি গভীর ঘুমে কখনো স্বপ্ন দেখিনা,
মৃত মানু্ষের মতো বিছানায় পরে থাকি,
আমার বুকটা কেউ চালিয়ে রাখে।
কিছু কাজ হয়তো বাকী আছে
কারো কারো কাছে হয়তো
ক্ষমা চাওয়া হয়নি,
কারো কারো ঋন এখনো পরিশোধ হয়নি,
ভালোবাসা এখনো
ফেরত দেয়নি অনেকের,
বলাই হয়নি অনেককে ভালালাগার কথা,
“কৃতজ্ঞ” এই শব্দটিও
বলা হয়নি অনেককে,
হয়তো কালজয়ী কোন কবিতা
ঠায় দাড়িয়ে আমার জন্য,
শুধুই আমার জন্য,
আমি লিখবো বলে।
তাই প্রতিবার গভীর ঘুম ভাঙ্গলেই
আমি কৃতজ্ঞতায় খুশি হয়ে যাই,
ভাবি গভীর ঘুমে বুকটা যদি থেমে যেত,
অথবা চালিয়ে না রাখতে কেউ একজন,
হয়তো আমাকে শুদ্ধ মানুষ হওয়ার
আরেকটা সুযোগ দিয়েছে।
এভাবে একদিন আমার
গভীর ঘুম আর ভাঙ্গবে না,
আমার বুকটা চালিয়ে রাখার
আর দরকার থাকবে না,
তবুও আমি কৃতজ্ঞ থাকবো,
আমার শেষ গভীর ঘুমটির জন্য,
আর আমার হাসিমুখের মৃত্যুর জন্য।
আমার হাসিমুখ দেখে
সবাই যেন বলে
“লোকটি নিজের মৃত্যুর সময় ও
খুশিতে খুব হেসেছিলো,
ভা্লোবেসে হেসেছিলো,
কৃতজ্ঞতায় হেসেছিলো”।
—————————
রশিদ হারুন
২৩/০২/২০১৮
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য ।মামুন ভাই
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমরা কেন ঘুমাই?
প্রকৃতপক্ষে আমরা ঠিক কেন ঘুমাই তা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো জবাব দিতে পারেননি। অনেকে মনে করেন ঘুম আমাদের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমেরই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ক্ষুধা পেলে যেমন আমরা খাই তেমনি ক্লান্ত হলে ঘুমাই। পরিশ্রমের মাধ্যমে শরীর যে কর্মশক্তি ক্ষয় হয় ঘুমের মাধ্যমেই তার পুনরুদ্ধার ঘটে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে আট ঘন্টার ঘুমের মাধ্যমে সংরক্ষিত শক্তির পরিমাণ মাত্র ৫০ কিলো ক্যালোরি যা একটি টোস্ট বিস্কুটে থাকা শক্তির সমতুল্য। প্রকৃতপক্ষে আমাদের উচ্চতর মানসিক দক্ষতাসমূহ যেমন বিভিন্ন বাকশক্তি, স্মৃতি, উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনা ইত্যাদির স্বাভাবিকতা বজায় রাখার জন্যেই ঘুম অপরিহার্য। অর্থাৎ মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা উন্নয়নে ঘুম খুবই জরুরী।
না ঘুমুলে কি হবে?
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সহজে বোঝার জন্যে চলুন জেনে নেই না ঘুমুলে শরীর ও মনের উপর তার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর ফলে অস্থিরতা,বিষণ্ণতা, আচরণে রুক্ষতা, বিস্মৃতি ইত্যাদি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
একটিমাত্র নির্ঘুম রাতই একাগ্রতা ও মনোযোগের ক্ষেত্রে বিশাল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মস্তিষ্কের যে অংশ আমাদের ভাষা, স্মৃতি, পরিকল্পনা, সময় জ্ঞান ইত্যাদি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে তা দীর্ঘদিনের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে সর্বাবস্থায় যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে। মানুষের আবেগিয় এবং শারীরিক সুস্থতাও ঘুমের অভাবে বিপর্যস্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষুধা এবং ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন রাসায়নিক পদার্থ এবং হরমোনসমূহ ঘুমের সময় দেহ থেকে নিঃসৃত হয়। ফলে স্থূলতার ঝুঁকি বৃদ্ধির পেছনেও কম ঘুমের বিষয়টি জড়িত।
ঘুমের সময় কী ঘটে?
ঘুম ৯০-১১০ মিনিটের একটি চক্রে আবর্তিত হয় এবং একে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: Non-Rem(Rapid Eye Movement) ঘুম এবং Rem ঘুম।
Non-Rem ঘুম এই স্তরটি চারটি ধাপে বিভক্ত
ধাপ ১ : এটি ঘুমের একেবারে প্রাথমিক স্তর। এই ধাপে আমরা থাকি আধো ঘুম আধো জাগরণের মাঝে। ঘুম থাকে খুব হালকা এবং সহজেই আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।
ধাপ ২ : দশ মিনিট প্রথম স্তরে অবস্থানের পর পরবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই দ্বিতীয় ধাপে। এ ধাপে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রকৃতি এবং হৃৎপিণ্ডের গতি স্তিমিত হয়ে আসে। এই ধাপটি ঘুমের সবচেয়ে বৃহত্তম অংশকে নির্দেশ করে।
ধাপ ৩ ও ৪ : তৃতীয় ধাপে মস্তিষ্ক থেকে ডেল্টা তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃৎপিণ্ডের গতি সবচেয়ে নিচে নেমে আসে। চতুর্থ ধাপে শ্বাস-প্রশ্বাসে থাকে ছান্দিক গতি, পেশীসমূহের কার্যকলাপ থাকে সীমিত। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে আমরা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকি। কোনো কারণে এই সময়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা সহসাই পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারিনা এবং এই অস্থিরতা বেশ কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়।
Rem ঘুম
এক রাতের ঘুমের ভেতর রিম ঘুমের প্রায় ৩-৫ টি পর্যায় সম্পন্ন হয়। ঘুমিয়ে পড়ার প্রায় ৭০ থেকে ৯০ পর প্রথম পর্যায়টি শুরু হয়। ঘুমের সময় আমরা সচেতন না থাকলেও মস্তিষ্ক ঠিকই সক্রিয় থাকে। কখনও কখনও তার মাত্রা আমাদের জাগ্রত অবস্থার চেয়েও বেশি। এই সময়েই মারা স্বপ্ন দেখি। চোখের নড়াচড়া, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে আমাদের দেহ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বলা হয়ে থাকে যে স্বপ্নে দেখা পরিস্থিতির প্রতি সাড়া প্রদানে বিরত রাখার নিমিত্তেই প্রাকৃতিকভাবেই এমনটা হয়ে থাকে।
Rem এর পর্যায়গুলো শেষ হওয়ার পর ঘুমের পুরো চক্রটি পুনরায় শুরু হয়।
কতখানি ঘুম প্রয়োজন?
ঘুমের পরিমাণ ও প্রয়োজনীয়তা জনে জনে বিভিন্ন রকম। তাই আদর্শ ঘুমের পরিমাণ কি হওয়া উচিত তা সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের সমন্বয়ে বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তার পরিমাণের একটি তুলনামূলক ধারণা পাওয়া যায়।
বয়স প্রয়োজনীয় পরিমাণ
নবজাতক (০-২ মাস) ১২-১৮ ঘণ্টা
শিশু (৩-১১ মাস) ১৪-১৫ ঘণ্টা
শিশু (১-৩ বছর) ১২-১৪ ঘণ্টা
শিশু (৩-৫ বছর ) ১১-১৩ ঘণ্টা
শিশু (৫-১০ বছর) ১০-১১ ঘণ্টা
বয়ঃসন্ধিকাল (১০-১৭) ৮.৫- ৯.২৫ ঘণ্টা
প্রাপ্তবয়স্ক ৭-৯ ঘণ্টা
দেহ ও মনের সর্বাঙ্গীণ সুস্থতায় পরিমিত ঘুম সব বয়েসি মানুষের জন্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো ঘুমের জন্যে চাই দুশ্চিন্তামুক্ত মন ও আরামদায়ক পরিবেশ। ঘুমের গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই নিয়মিত সুস্থ ঘুমের ব্যপারে মনযোগী হওয়া উচিত।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: খুব, খুব ভাল লাগল আপনার ভাবনার প্রকাশ এবং আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের মন্তব্য দুটি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পৃথিবী ক্ষণিকালয় ।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ।
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমি বারবার ব্যান্ড
হয়ে যাই কেন??
বুঝি না
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঘুম আল্লাহর এক অলৌকিক এবং অশেষ নিয়ামত। "তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন কাজের সময়।" (২৫ঃ ৪৭) তথাপি ঘুমের বাস্তবতা এক রহস্যময় ব্যাপার। জীববিজ্ঞানীরা এখনো একে সম্পূর্ণ রূপে ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হয়নি। ডাক্তার আর বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে তাদের অধ্যয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। কুরআন ঘুমের ব্যাখ্যা দিয়েছে। সূরা যুমার এ আল্লাহ বলেন: "আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে।" (৩৯ঃ ৪২) এক হাদিস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, "ঘুম হলো মৃত্যুর ভাই।" উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের শরীর থেকে আত্মা উঠিয়ে নেওয়া হয়। প্রধান পার্থক্য হলো- ঘুমের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আত্মা ফিরিয়ে দেয়া হয় কিন্তু মৃত্যুর ক্ষেত্রে আত্মা শরীর থেকে চিরদিনের জন্য আলাদা হয়ে যায়। তাই, এই যে প্রতিদিন আমরা জাগ্রত হই, এর মানে হলো আমাদের প্রকৃত অর্থেই আবার জীবন দেয়া হয়। এ জন্য রাসূল সঃ ঘুম থেকে জেগে উঠার পর বলতেন- "সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের মৃত্যু দেয়ার পর আবার জাগ্রত করেছেন। আর পরিশেষে আমরা তাঁর নিকটেই ফিরে যাব।" প্রতিটি দিনই এক একটি নব জীবন, নব সূচনা। প্রতিটি রাতই প্রায় মৃত্যু, হতে পারত আমাদের জীবনের শেষ রাত। একজন বিশ্বাসী সবসময় বেঁচে থাকে আশা এবং ভয়ের মাঝে, বেঁচে থাকে একটি উন্নত আগামীর প্রত্যাশায় আর অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তির উপলব্ধিতে। অবশেষে একদিন তাঁর মালিকের সাক্ষাত লাভে ধন্য হয়। আর তাইতো আমাদের রাসূল সঃ প্রতি রাতে বিছানায় শুয়ে পড়ার পর এই বলে প্রার্থনা করতেন- "ইয়া আল্লাহ, আপনার নামেই আমি বেঁচে থাকি আর মৃত্যু বরণ করি।" আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ও আহইয়া। -- শায়েখ ইয়াসির কাধি