নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
সন্তান বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো “ বাবা তুমি মুক্তিযুদ্ধে যাওনি কেনো?”।
বাবা বললো “আমার বয়সতো কম ছিলো , দশ বৎসর ছিলে “।
“তাহলে দাদা যাইনি কেনো”
“তোমার দাদা বেঁচে ছিলোনা”
“তাহলে দাদী যাইনি কেনো?”
বাবা বললো। “আমাকে একা রেখে তোমার দাদী কি ভাবে মুক্তিযোদ্ধে যাবে” তবে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের রাতে বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে , খাইয়েছে তোমার দাদী, কাপড় ধুইয়ে দিয়েছে , টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে।
“তাহলে তোমাদের সার্টিফিকেট নাই কেনো?”
“কিসের সার্টিফিকেট ?”
“মুক্তিযোদ্ধা এর সার্টিফিকেট “
“ছি বাবা আমরা কেউতো যুদ্ধ করিনি”
“কেনো দাদী যে জীবনের পরোয়ানা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলো , খাওয়া দিয়েছে ,উনি তো আসল মুক্তিযোদ্ধা।
আজ যদি আমাদের একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট থাকতো”
“কে নো রে বাবা ?”
“বাবা আমি সারাজীবন এতো কষ্ট করে লেখা পড়া করে স্বপ্ন দেখতাম বড় সরকারী অফিসার হবো , বাবা তুমি জানো না – “আমার স্বপ্ন যে আজ কোট বিদ্ধ”
শুধু কোটা তে পরিনি বলে -
“আমি জীবন যুদ্ধে পঙ্গু দৌড়বিদ”।
বাবা কোটার কারনে -
“আমি সংখালুঘু হয়ে গেছি জীবন যুদ্ধে”
উপড়ের ঘটনা কাল্পনিক হলেও অনেকের জন্য সত্য।
কি অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা ৫৫% (সব মলিয়ে প্রায়)কোটা ,বাকী মেধাবী ভিত্তিক। মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চই কোটার জন্য যুদ্ধ করেনি। উনারা দেশ মাতৃকার প্রতি নি:সার্থ ভালোবেসে যুদ্ধ করেছেন । আজ এই কোটার কারনে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা হচ্ছে, তাদের গর্বিত পরিবারকে মেধাবী সাধারন ছাত্রদের সাথে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে।
কোটার বর্তমান ধারা বজায় থাকলে দেশ চলবে একসময় মেধাবী শূন্য মানু্ষ দাড়া।
কোটার দরকার শুধু শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ এর জন্য । যারা শারীরিক ভাবে সক্ষম তারা কোটার কারনে ভালো চাকুরী পেলে তা হবে দয়া নেওয়া , অন্যের অধিকার ছিনিয়ে নেও্য়া।
যোগ্য লোককে বন্চিত করে শুধু কোটাধারী হয়ে চাকুরী পাওয়ার মধ্যে কোনো সম্মান নেই আছে অন্তরের গ্লানি আর মেধাধারীদের করুনা আর অভিশাপ।
আসুন সবাই মিলে কোটাকে না বলি ( প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া)
——————
রশিদ হারুন
১০/০৪/১৮
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!
এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।
হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!
এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।
কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উচিত সাধারন ছাত্রছাত্রীদের দাবী মেনে নেওয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সরকারী চাকুরী পেলে মানুষের জন্য কি কি করবেন?