নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঁচে থাকাই আনন্দের

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২


বেঁচে থাকাই আনন্দের
কিন্তু সবার জন্য সব সময় নয়।


যে নতুন বউ বসে থাকে দরজায়,
অপেক্ষায় থাকে স্বামীর জন্য,
স্বামী’কে তুলে নিয়ে গিয়েছে কিছু মানুষ
সোহাগের বিছানা থেকে তিন বছর হলো,
আর ফিরেনি মানুষ’টা,
থানা পুলিশও কিছুই বলতে পারিনি
একেবারে গায়েব, লোকে বলে গুম,


সোহাগের বাসি গন্ধ এখনো লেগে আছে
তার বিরহী বিছানায়,
না সে বিধবা,
না সে সধবা,
তার কাছে বেঁচে থাকা কখনোই আনন্দের না,
বড়ই কষ্টের ।


দু’জন নর নারী কথা বলছে আকার ইংগিতে,
রেল ষ্টেশনে তুমুল কথা বলছে দু’জন,
অথচ কোনো আওয়াজ নাই

স্ত্রী বিদায় দিচ্ছে স্বামী’কে,
দু’জনই বোবা,
দু’জন পৃথিবীর সব ভালোবাসা’র কথা বলছে
কোনে কথা না বলেই,
তাদের কাছে ‌অপেক্ষা অনেক মধুর,
বেঁচে থাকাই আনন্দের।


শরীরের রং কালো বলে যে মেয়ে’র বিয়ে হয়নি,
তার কাছে পূর্নিমার চাঁদ বড়ই অসুন্দর,
এই জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাই বড় কষ্টের আর অপমানের।


বেঁচে থাকাই যে আনন্দের
সব সময় না,
সন্তান’দের ক্ষুধার্থ রেখে যে মা ঘুমাতে চেষ্টা করে,
যে মা ‌অনেক দিনের ক্ষুধার্থ সন্তানের জন্য চুলোতে খাবার রান্না করতে পারেনি,
তার কাছে বেঁচে থাকাই বড় কষ্টের ও নির্মম।


অথচ যে’দিন,
সে মা’ই
পাতিলে দু’মোঠো চাল ফুটাতে পারবে,
ক্ষুধার্থ সন্তান’দের হাসি দেখবে,
সে’দিন তার কাছে মনে হবে
বেঁচে থাকাই বড় আনন্দের।


ক্ষুধার্থ পেটে খাবার না পরলে মানুষ কখনোই জানতো না যে,
বেঁচে থাকাই আনন্দের।


বেঁচে থাকা আনন্দের
কিন্তু সবার জন্য সব সময় নয়।
———————————
রশিদ হারুন
১/০৪/২০১৯

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: বেঁচে থাকা আনন্দের
কিন্তু সবার জন্য সব সময় নয়।


চমৎকার কবিতা!

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.