নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের আয়না

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৯


প্রায় ছয় ফিট লম্বা মানুষটাকে দেখে কেউ ভুল করবেন না ,
মানুষটা একসময় আপনাদের মতোই শিশু ছিল,
মানুষটা আপনাদের মতো‌ই একসময় হামাগুড়ি দিত।

মানুষটার মাথার চুল কমতে কমতে মাথায় এখন হালকা টাক ভাসছে।
কয়েক বছর আগেও আপনারা অনেকেই দেখেছেন,
মানুষটির চুল কাঁধ সমান লম্বা ছিল,
‌অথচ এখন দেখলে সবারই বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে!

প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সে একরোখা,
ভয়-ডরহীন আর অস্থির ভাব নিয়ে
চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে
মানুষটি এখনো জিন্স প্যান্ট ,টি শার্ট সাথে রঙিন কেডস্ পরে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়!

মানুষটার চালচলন দেখলে আপনাদের অনেকেই একনজরেই ভাববেন
মাস্তান টাইপের, ‌অভদ্র বয়স্ক মানুষ।
অথচ মানুষটি বুকে এক মরণব্যাধি তীব্র সন্যাসের রোগ নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়,
কেউই টের পায়না,
এমনকি তার ‌অতি আপনজনরাও বুঝে না।

মানুষটি অনেক মানুষের ভীড়ে হঠাৎ করেই একা হয়ে যায়-
একেবারেই একা।
তবুও আশেপাশের কেউ বুঝেই না।

আপনারা অনেকেই জানেন না
মানুষটা শুধু অনেকদিন ধরে আয়নার দিকে তাকায় না!
ভয় পায়,
এই জগতে শুধুমাত্র নিজের চোখের দৃষ্টিকেই প্রচণ্ড ভয় মানুষটা।
একমাত্র তিনিই জানেন সেখানে এক তীব্র বিষাদ আর ‌অভিমান গাপটি মেরে বসে আছে সবসময়
তাকে খুন করার জন্য।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়
-এই ধরনের মানুষগুলো হয় বিষণ্নতার কবি হয়ে আত্মহননের নেশায় মেতে ওঠে
অথবা বুকের ভিতর গোপন এক তীব্র অভিমানে অভিমানে
মানুষটা চরম বিপ্লবী হয়ে জীবন থেকে ফেরারি হয়ে যায়।
—————
র শি দ হা রু ন
১৯/১১/২০২১

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা অতি মনোরম হয়েছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.