নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
মাননীয়গণ,
এখন তো ভোটের বাজার,
আপনাদের সিজন,
দরদাম ঠিকমতো করবেন কিন্তু
তা না হলে ঠকে যাবেন!
মাননীয়গণ,
ভোটের বাজারে যারা মাল বিক্রি করতে এসেছেন
তাদের বলছি-
আবার কবে সিজন আসবে,
কে বাঁচবে কে মরবে বলাতো যায় না,
সুযোগ যখন পেয়েছেন
নিজের দামটা ঠিকমতো চাইবেন
তা না হলে পরে পস্তাবেন।
দাম নেবার সময় নোট- আসল না নকল দেখে নিবেন।
ভোটের সিজনে অনেক ক্রেতা নকল নোট ধরিয়ে দেয়,
যেমন দেয় কোরবানীর গরুর হাটে।
যার-তার দেওয়া জিনিস খাবেন না,
খেলে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকার সম্ভবনা কমপক্ষে পাঁচ বছর,
হয়তোবা এই জীবনে আর আপনার জ্ঞান নাও ফিরতে পারে।
আজকাল ভোটের বাজার আর গরুর হাট অনেকটা একইরকম।
মাননীয়গণ,
ভোটের বাজারে যারা মাল কিনতে এসেছেন তাদের বলছি-
মাল দেখেশুনে যাচাই করে কিনবেন,
অনেককাল আগে ভালো মাল পাওয়া যেত ভোটের বাজারে,
তাদের কেনার মতো সম্পদ কারোই ছিলো না,
তাই এই বাজারে নিজেকে ফ্রী বিলিয়ে দিতেন তারা,
রাস্তাঘাটে ক্ষেতখামারে আমজনতার সাথে তারা নিজেকে বড় করতেন
তাই তাদের সারা শরীরেই ধুলাবালি লেগে থাকতো সবসময়।
অথচ খাঁটি ছিল তাদের শরীর মন-
যে কোনো কষ্ট অবলীলায় সহ্য করতে পারতেন তারা।
আজকাল ভোটের বাজারে সব মেকাপ দেওয়া সাঁজগোজ করা সিজনাল মাল!
চকচক করলেই যেমন সোনা হয়না,
তেমনি ভোটের বাজারে রাতারাতি চমকানো সিজনাল মাল খারাপ হবার সম্ভবনা খুবই বেশি।
ভাগ্যগুণে অনেকসময় ভালো মাল পড়ে,
তবে ভাগ্যের উপর বিশ্বাস না করে যাচাই করে নিবেন।
এই সময়ে গরু মোটাতাজাকরণ বড়ির মতো অনেকে ইলেকশন বড়ি খেয়ে আকর্ষণীয় মাল সেঁজে মেকাপ নিয়ে
নিজেকে বিক্রি করতে আসে।
এরা হাইব্রিড,
একটুও কষ্ট সহ্য করতে পারে না তারা।
আমজনতার কষ্ট কী তারা জানেই না!
একটু কষ্ট দেখলেই কাকের মতো কা কা করে উড়াল দেয়,
এদেরকে বাংলা অভিধানে কাউয়া বলে,
কাউয়া ,সুযোগ পেলেই উড়াল দিবেই, দিবে
এটাই কাউয়ার ধর্ম-
এই অধমের কথাটা মনে রাখবেন।
তাই আবারও বলছি
মাল কিনার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করে কিনবেন,
তা না হলে পুরো পয়সাই পানিতে যাবে,
মানসম্মানের কথা না হয় বাদই দিলাম ।
মাননীয়গণ,
ভোটের বাজারে বিদেশি পয়সা ধার করে মাল কিনবেনও না- বেচবেনও না।
এই ভুল করলে কিন্তু পুরো মজা নিবে বিদেশিরা,
আপনি থাকবেন শুধু মাল টানা কুলি।
জ্বী হুজুর,
জ্বী হুজুর
বলতে বলতে পাঁচ বছর চলে যাবে
তবুও ধার শোধ হবে না,
আর সারাজীবন ‘জ্বী হুজুর’ এর শিকলের দাগ গলায় কালো হয়ে ফাঁসির মতো থাকবে।
মাননীয়গণ,
ভোটের বাজারে আপনারা যা খুশি বেচেন, কিনেন-
আমজনতার এখন আর কিচ্ছু যায় আসে না!
তারা এই ব্যবসার লাভ লোকসানের কিচ্ছু ভাগও চায় না।
আমজনতা শুধু আপনাদের কাছ থেকে গ্যারান্টি চায়,
তাদের পাতিল ভর্তি গরম ভাত যেন কেউ চুরি করে না নেয়।
——————
র শি দ হা রু ন
মন্ট্রিয়াল, কানাডা
১৫/১২/২০২৩
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৩
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা , জম্পেশ!! দারুন চপেটাঘাত।
এরকম লেখা আপনার পক্ষেই সম্ভব।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৪
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৪
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: ভোট দিবো কি না স্পষ্ট করে বলুন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৫
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আপনার ভোট
আপনার ইচ্ছে
৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। লাইকড।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৫
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০২
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: "মাননীয়গণ" - চমৎকার শব্দ চয়ন। যুগোপযোগী লেখা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখা দুর্দান্ত হয়েছে রশিদ।
যার-তার দেওয়া জিনিস খাবেন না,
খেলে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকার সম্ভবনা কমপক্ষে পাঁচ বছর,
হয়তোবা এই জীবনে আর আপনার জ্ঞান নাও ফিরতে পারে।
হা হা হা
এটা মজার ছিলো