![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবারের টার্গেট ''বৃদ্ধাশ্রম''।
আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় এখন পর্যন্ত কম বেশি ভালোই মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাতে পেরেছি, মানুষ কে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছি। এখন একটু ভিন্নধর্মী ভাবে অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে নিজেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছি।
হ্যাঁ, এবারের টার্গেট ''বৃদ্ধাশ্রম'', বৃদ্ধাশ্রম কে নিয়ে কাজ করবো এবার ইনশাল্লাহ।
ইউটিউব এ গান শুনছিলাম আর ফেবুতে স্ক্রোল ডাউন করছিলাম, হঠাৎ গোলাপ ভাই নক কইরা আইডিয়া টা দিলো। বেশ ভালোই লাগলো। তাই যেই ভাবা সেই কাজ। লিখা শুরু করে দিলাম।
বৃদ্ধাশ্রম জিনিসটা টা কি তা কম বেশি সবাই জানেন, সেদিকে আর কথা বাড়াচ্ছি না।
গুগুলে কিংবা উইকিপিডিয়া ভালোভাবে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন বাংলাদেশে কি পরিমাণ মানুষ ঐ বৃদ্ধাশ্রম এ আছেন। দেখলে হয়তো ভয় পেয়ে যাবেন যে এটা কি বাংলাদেশ নাকি পশ্চিমা বিশ্বের কোন দেশ। ভাবতে অবাক লাগে যখন শুনি মুক্তিযুদ্ধের সেই সাহসী সৈনিক কে ও সেখানে আশ্রয় নিতে হয়, আর সে খবর আমাদের শুনতে হয়। খুব আক্ষেপ নিয়ে কথা গুলো বলছি।
আচ্ছা একটু চিন্তা করুন তো, আমি/আপনি যে বাবা/মা কে বৃদ্ধাশ্রম এ পাঠিয়ে দিচ্ছি, সেখানে আমি/আপনি বড় হলে আমাদের পরের জেনারেশন যে আমাদের কে সেখানে পাঠাবেনা টার সিউরিটি কি ভাই?
বাস্তবতার তাগিদে একটু বর্তমানের অতীতে চলে যাই।
---ছোট বেলায় যখন আমরা হাঁটতে পারতাম না, আম্মু/আব্বু ২ জন ২ হাত ধরে সামনের দিকে হাঁটতে শিখাতো, আর পড়ে গেলে উনারা কেঁদে দিতো কিন্তু আমি হাসতাম, কারণ আমি নতুন পথ পারি দিতে যাচ্ছি। আর উনারা কাঁদতেন কারণ উনাদের কলিজার টুকরা ছেলেটি ব্যাথা পেয়েছে।
---তারপর যখন মুখে বাধিয়ে বাধিয়ে হালকা পাতলা কথা বলতে পারতাম, তখন সন্ধ্যার দিকে আম্মুর কোলে উঠে আমার ছোট ছোট আঙ্গুল দিয়ে আম্মুর চুল টানতাম আর আম্মুকে জিজ্ঞেস করতাম, আম্মু ঐ যে আকাশের ঐ ছোট আলো টার নাম কি? আম্মু অনেক খুশি হয়ে ভালোবেসে বলত ''বাবা এটার নাম চাঁদ মামা''।
---তারপর যখন প্রাইমারী তে পড়তাম, দিনশেষে মায়ের আঁচলে মাথা গুজতাম, আর আব্বু অফিস থেকে বাসায় আসলে আব্বুর কোলে যেয়ে দিনের সকল অভিযোগ আব্বুর কাছে বলতাম, আর আব্বু অনেক আগ্রহ নিয়ে শুনত আর মুচকি হাঁসতো। আর যাওয়ার সময় কপালে একটা চুমু বসিয়ে দুষ্টামি করতে করতে যেতো আর আমাকে কাতুকুতু দিতো, আর আমি হাঁসতাম, সেটা দেখে আব্বু ও হাঁসতো।
---তারপর যখন আরেকটু বড় হলাম, তখন আমি প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতাম। আম্মু প্রায় ই ফোন করে কেঁদে দিয়ে জিজ্ঞেস করতো কিরে বাবা রাতে ঠিক করে খেয়েছিস? তখন আমি খুশি হয়ে আম্মুকে বলতাম, আম্মু খেয়েছি আর এইবার বাসায় আসলে আমার জন্য অনেক অনেক পিঠা বানিয়ে রাখবা, আমি সব খাবো। তখন বাসায় গেলে জ্বর থাকলে পিঠা তো দূরের কথা কিছুই খেতে পারতাম না। তখন সারারাত আম্মু আমার মাথার পাশে বসে থাকতেন। আর আমি না খেলে আম্মু ও খেতেন না।
এখন একটু ভবিষ্যতে চলে যাই,
যেই আম্মু/আব্বু আমার/আপনার হাঁসির জন্য সব কিছুই করতেন, সেখানে আমরা বড় হয়ে গেলে ভাবি আমরা অনেক কিছুই হয়ে গেছি, তাই মা/বাবা কে দাম ই দেই না, অবহেলা করি, তাদের কে ভালোভাবে যত্ন নেই না। তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে সেই অভিশপ্ত ''বৃদ্ধাশ্রম'' এ চলে যান। তাও তাঁদের কষ্টের কথা সন্তান কে বুঝতে দেন না, কারণ তাঁরা চান যেন তাঁদের সন্তান ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, খুশি থাকুক।
অনেক বললাম এখন আসল কথায় আসি,
এবারের টার্গেট ''বৃদ্ধাশ্রম'', এর মানে হচ্ছে এবার আমরা বৃদ্ধাশ্রম এর অসহায় বাবা/মা এর পাশে দাঁড়াবো। কোন একদিন ঠিক করে দুপুরে সবার সাথে একসাথে খাওয়া দাওয়া করবো, তাঁদের কে তাঁদের প্রিয় জিনিস কিংবা পোশাক দেওয়ার চেষ্টা করবো, ক্ষণিকের জন্য হলেও তাঁদের কে মনে করাতে চেষ্টা করবো যে, ''তাঁরা ঐদিন পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ হবেন''। যেন ঐদিনের জন্য তাঁরা আরও কয়েক বছর বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারেন। হ্যাঁ, তাই করবো ইনশাল্লাহ। সেজন্য আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন।
আমরা চিন্তা করেছি,আমরা ১৫০ জন জন অসহায় বাবা/মা, ২০ জন ভলান্টিয়ার, এবং ১০ জন গেস্ট মিলে এভারেজে ২০০ জনের ইস্টিমেট হবে। যার জন্য প্রায় খরচ হবে (৭৫,০০০-৮০,০০০) টাকা। ভয় পায়েন না ভাই, আল্লাহ ভরসা। আমরা স্রষ্টা কে খুশি করানোর জন্য নেমেছি, তাই স্রষ্টা আমাদের কে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না, অন্তত এই বিশ্বাস টুকু আমি করি। টাকা কিভাবে ম্যানেজ হবে সেটা নিয়ে এখন ভাবতে হবে না। শুধু জেনে রাখুন ম্যানেজ হবে, এবং হতেই হবে। দরকার হলে আমরা এর জন্য স্পন্সর খুঁজব, শপিং মল এ যেয়ে টাকা উঠাবো, তাও টাকা উঠবে ইনশাল্লাহ। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন হয়ে যাবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটি ''ঢাকা সিটি কলেজের'' ব্যানারে করবো ইনশাল্লাহ। নির্দিষ্ট কোন ব্যাচের ব্যানারে নয়, একদম ''ঢাকা সিটি কলেজের'' ব্যানারে করবো ইনশাল্লাহ সেক্ষেত্রে যত ধরনের অনুমতির দরকার আমরা সে ব্যাপারে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার দের সাহায্য চাইব। আশা করছি উনারা মানা করবেন না।
এখন জাস্ট মাথায় দিয়ে রাখলাম, ঈদের পর আমরা মাঠে নামবো ইনশাল্লাহ। সবাই তৈরি থাইকেন। মনে রাখবেন, মূর্খদের মুরখতামির কারণে কখনোই সমাজ নষ্ট হয় না, বরং সমাজ নষ্ট হয় জ্ঞানী দের নীরবতায়, জ্ঞানীদের নিস্তব্দতায়। তাই আসুন এখনি জেগে উঠি। আমি, আপনি, সে মিলে যখন আমরা হব, তখন যে কোন কিছুই সম্ভব।
''বর্ণ টা না হয় আমি আপনি সাজাই, পরে দেখবেন সবাই বাক্য রচনা করছে''।
তাই আসুনই অসহায় মানুষগুলোকে একটু স্বপ্ন দেখাই, নতুন করে বাঁচার, নতুন করে সাজার, নতুন করে হাঁসার, নতুন করে দেখার, নতুন করে বুঝার, আর নতুন করে ভালোবাসার।
-----গোলাম রাব্বানী
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
প্রিয় বিবেক বলেছেন: স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ