নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ কে নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার পেট ভরে গেছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

পুলিশ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। অনেকে অনেক কমেন্ট করেছেন যা দেখে আমার পেট ভরে গেছে। ভরা পেট নিয়ে আমি সকলের কমেন্ট পড়ছিলাম আর মুচকি হাসছিলাম।

সত্যি বলতে কি, পুলিশের ঐ পোস্ট টা এক ধরনের ডিপ্লমেটিক পোস্ট ছিল। ২ টা মোটিভ নিয়ে আমি ঐ পোস্ট টা লিখেছিলাম। প্রথম টি হচ্ছে যেন পুলিশের সম্বন্ধে মানুষের কিছু ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। আর দ্বিতীয়টি ছিল যেন মানুষের মুখ দিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করা হয়। এখানে আমার দ্বিতীয় মোটিভ টি সার্থক হয়েছে।

নরমাল্লি আগে যখন পলিটিকস নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি করতাম, তখন এ ধরনের কিছু পলিচি মেইনটেইন করতাম। যেমন যে সকল রাজনীতিবিদ কে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগতো তাকে লেখার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ভালো বলতাম। এতে করে ঐ রাজনীতিবিদ এর উপর মানুষের যে ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেতো, এতে নিজেই কিছুটা শান্তনা পেতাম। ঠিক তেমনি ভাবে পুলিশ কে নিয়ে ভালো পোস্ট দেওয়ার কারণে সবাই যে যার অভিজ্ঞতার কথা অকপটেই বলে ফেলেছেন। কিন্তু আমি নিজেই যদি পুলিশ কে নিয়ে খারাপ লিখতাম তাহলে বড়জোর অনেকেই কমেন্ট করতেন ''হুম, হ্যাঁ, রাইট ইত্যাদি ইত্যাদি''।

পুলিশ কে নিয়ে আপনাদের কি মতামত সেটা আপাতত না ই জানি। কিন্তু এদের কে নিয়ে আমার মতামত অতি মাত্রায় জঘন্য। পুলিশ কে আমি কিউট করে ''ইবলিশ'' বলি।
পুলিশ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি,
আশুগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলাম ট্রেনে। সিট না থাকাতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কিনেছিলাম ১০০ টাকা দিয়ে। কমলাপুর পৌঁছলাম তখন গেইট দিয়ে বের হচ্ছি তখন পুলিশ বলল টিকেট দেখাও। অনেক খোঁজাখুঁজি করে টিকেট পেলাম না। আমাকে ষ্টেশন এর ভিতরের রুমে নিয়ে যাওয়া হল। আমাকে বলল টিকেট দে, নয়তবা জরিমানা সহকারে ৪৮০ টাকা দে। আমি বললাম আসছি আশুগঞ্জ থেকে, ওখানের ভাড়া ১০০ টাকা। আমার টিকেট না থাকলে আমি ১০০ টাকা দিবো, কিন্তু তার বেশি দিতে পারবো না। পরে আমাকে বলল কোর্টে চালান করে দিবে। আমি কিছু না ভেবে ভয়ে ভয়ে বললাম দেখি কত সাহস আপনার, কোর্টে চালান করে দেন তো ! আমাকে চিনেন আপনি? ঐ ২ টা পুলিশ দেখি অনেক বেশি এডভান্স। কি যেন নিজেরা বলতেছিল, মনে হয় এই ঠ্যালায় আমাকে চালান করেই দিবে। অবশেষে বাঁচার জন্য মানিব্যাগ থেকে ৪৮০ টাকা বের করতে যেয়ে আবিস্কার করলাম টিকেট আমার পকেটের চিপায় ছিল। তখন টিকেট হাতে পেয়ে তো অনেক খুশি হলাম। সাথে সাথে টিকেট দেখিয়ে বললাম এই লন মিয়া আপনাদের টিকেট। তারপর আরও কততক্ষন গেজাল ওরা, দেন বেড়িয়ে আসলাম।

সবার জীবনেই এরকম কয়েকটা অভিজ্ঞতা আছে। সেই সূত্র অনুযায়ী পুলিশ মানেই খারাপ। আর এই খারাপ মানুষ গুলোকে খারাপ বলা দোষের কিছু না।

কিন্তু আরেকটা জিনিস ভেবে দেখুন,
পুলিশের জয়েনিং এ বেতন অনেক কম যা দিয়ে সংসার চালানো টাফ, পুরা বৎসরে পুলিশের ছুটি মাত্র ২০ দিন পরে হাতে আরও কিছু ছুটি থাকে কিন্তু সেটা ভিন্ন কথা, সপ্তাহের ৭ দিন ই তাদের কাজ করতে হয়, এই অল্প বেতনের চাকরিতে ঢুকতে ঘুষ দিতে হয় ৮/১০ লাখ টাকা। তো তারা করবে টা কি, আপনি ই না হয় একটু ভেবে দেখুন ! কিংবা ঐ পুলিশের জায়গায় থাকলে আপনি কি করতেন??? হাজার হাজার খারাপ পুলিশের মধ্যে হাতে গনা কয়েকজন পুলিশ আছেন যারা অনেক ভালো। আর তারাই আমাদের গর্ব। আমার ফ্রেন্ডলিস্ট এ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা আছেন। আমি জানি না উনারা আমার এ লেখা দেখবেন কি না? কিংবা দেখেই বা কি ভাববেন? শুধু আমার বিশ্বাস তারা এ লেখা দেখলে মানুষের মাঝে তাদের অবস্থান টা বুঝতে পারবেন। আর এতেই যদি নিজেদের ডিপার্টমেন্ত কে একটু উন্নত করেন যেন সবাই গর্বিত স্বরে বলতে পারে আমাদের পুলিশ বাহিনী ই আমাদের গর্ব।

-----গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

গোধুলী রঙ বলেছেন: পাসপোর্টের সময় ৫০০+৫০০ টাকা দেওয়া ছাড়া পুলিশের সাথে বাজে কোন অভিজ্ঞতা নাই বললেই চলে। ভালো খারাপ সব জায়গাতেই আছে।
একটা সরকারী অফিস পুলিশের চাইতে কোন অংশে কম খারাপ না। আমারে যদি কেউ কখনো চাপকানোর সুযোগ দেয় তবে আগে যশোর বোর্ডের কর্মচারীগুলোরে ধরবো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১২

প্রিয় বিবেক বলেছেন: হাহাহাহা , চালিয়ে যান ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.