নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট প্রসঙ্গ !!!

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

এইচ.এস.সি পরীক্ষায় পাস করার পর সবার মন উড়ুউড়ু করতে থাকে। ভালো খারাপ চিন্তা ভাবনা জন্ম নেয় তার মস্তিস্কে। সবাই ভার্সিটি এডমিশন এর জন্য সিরিয়াস থাকে। একে একে পাবলিক ভার্সিটি তে এডমিশন পরীক্ষা দিতে থাকে। সুখ দেবতা যেন তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। কোথাও চান্স না পাওয়ার কারণে অনেকে এতই বেশি হতাশ হয় যে পৃথিবীকে ছেড়ে দিতে ইচ্ছা হয় কিন্তু ভালোলাগার মানুষগুলোর চোখের দিকে চেয়ে তা আর হয় না।

প্রতিদিনের ন্যায় একদিন সে পত্রিকা পড়ছিল। হঠাৎ চোখ আটকায় ''জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়'' ভর্তি প্রক্রিয়া কলামে। মাথায় বুদ্ধি খেলে এখানে এবার কোনোরকম এডমিশন নিয়ে নেই, পরের বার সেকেন্ড টাইম দিয়ে পাবলিক ভার্সিটি তে দেওয়া যাবে। তারপর সবার থেকে দোয়া নিয়ে ''প্রপেশনাল ডিগ্রি বিবিএ এর জন্য বাংলাদেশে লিড করা প্রথম সারির'' একটি প্রতিষ্ঠানে এড নেয়। ইতোমধ্যে অনেক ভালো ভালো বন্ধু হয়ে যায়। পাবলিকে না পড়ার দুঃখ ভুলে যায় আর সেকেন্ড টাইমের চিন্তা ও মাথা থেকে সরিয়ে ফেলে। কারণ ভালোলাগার এক বৃহৎ অংশ জন্ম নেয় এ স্থান থেকে। দিন/রাতের, সুখ/দুঃখের, হাঁসি/কান্নার বৈচিত্র্য সে এখান থেকেই খুঁজতে চেষ্টা করে।

এভাবেই চলতে থাকে তার কয়েকটি সেমিস্টার ফাইনাল। সে আহামরি ভালো স্টুডেন্ট না, কিন্তু একেবারে খারাপ স্টুডেন্ট ও না। পরীক্ষার আগের রাতে কোনমতে চোখ বুলিয়ে যেয়ে সে এভারেজ রেজাল্ট করে খুশি থাকে। হঠাৎ সে ভাবে সে সিরিয়াসলি পড়াশুনা করে ভালো রেজাল্ট করবে। কোন একটি সেমিস্টারে সে অনেক বেশি সিরিয়াস থাকে, সব ব্যাপার একটিভ থাকে। তারপর সবার দোয়া নিয়ে অনেক ভালোভাবে সেমিস্টার ফাইনাল দেয় আর মুখিয়ে থাকে কবে রেজাল্ট দিবে? কারণ সে জানে সে অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছে, তাই সে এখানে ভালো রেজাল্ট আশা করতেই পারে।

একদিন রেজাল্ট দেয়। এ খবর শুনেই নিজের মাঝে এক ধরনের শিহরণ কাজ করে আর ভাবে আমার রেজাল্ট ভালো হবে তো??? হঠাৎ সে দেখতে পায় তার রেজাল্ট। রেজাল্ট দেখে সে বিশ্বাস করতে পারে না। চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। তার পাশের মানুষের বুঝতে বাকি রইল না সে রেজাল্ট খারাপ করেছে, তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা সে হারিয়ে ফেলেছে। সে নিশ্ছিত তার খাতা ভালো করে মূল্যয়ন করা হয় নি। এভারেজ মার্কিং করা হয়েছে। ''ইনাপ ইজ ইনাপ'', সে আর নিজেকে সামলাতে পারছে না।

হুম, এতক্ষণ একজন ''সে'' দিয়ে অনেকের চরিত্র চিত্রণ করেছি, কিন্তু এখন আমি রাব্বানী বলছি। আমি ভালো করেই জানি, রেজাল্ট দিয়ে কাউকে মূল্যয়ন করা যায় না। কিন্তু যেহেতু এই ''সে'' এতো কষ্ট করেছে সেহেতু সে তো এট লিস্ট তার এভারেজ রেজাল্ট টাও তো পেতে পারতো, তাই নয় কি???

সবশেষে কেবল একটাই কথা,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কত শিক্ষার্থী তোমার দ্বারে কড়া নেড়ে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ এর প্রত্যাশায় বসে আছে তুমি নিজেও হয়তো জানো না। তুমি হয়তো সংখ্যা টা গুনতে পারবে, কিন্তু পারবে কি তাদের স্বপ্নের পরিধি টা পরিমাপ করতে !!! তোমার শিক্ষক রা একটু ভালো করে খাতা দেখলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো বলবা? বরং এতে সবাই সবার সঠিক মূল্যয়ন পাবে, তাহলে কেন নয় ???

-----গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.