নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ থেকে ১৫ বছর আগেও গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতো কিভাবে জানেন?

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০



আজ থেকে ১৫ বছর আগেও গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতো কিভাবে জানেন?

বিয়ের পূর্বে পাত্রপক্ষের লোক যখন কন্যা দেখতে আসতো তখন মেহমান হিসেবে নিয়ে আসতো বাদামী বিস্কুট, নোনতা বিস্কুট আর খুব ধনী হলে ১ প্যাকেট মিষ্টি আনত সাথে পান-সুপারি থাকতো। আর কন্যা পক্ষের লোক বিভিন্ন রকমের পিঠা বানিয়ে পাত্র পক্ষকে খুশী করতে চাইত যেন তারা খুব সহজেই তাদের মেয়েকে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নেয়। কারণ তখনকার সময়ে মেয়েদের একটাই ভয় ছিল তার বিয়ে হবে তো? ভালো ঘরে যাবে কিংবা খারাপ ঘরে যাবে সেটা পরের ব্যাপার। আর পাত্র যদি বিদেশে থাকে তাহলে তো কথাই নাই যেন সোনার হরিণ।

তারপর শুরু হয় পাত্রপক্ষের দ্বারা পাত্রীর কঠিন ইন্টারভিউ।
--দেখি মা একটু হাঁটো তো !
--দেখি মা তোমার চুলগুলো !
--দেখি মা কুরআন তিলাওয়াত করো তো !
--দেখি মা তোমার নামটা লিখো তো !
--দেখি মা এদিকে একটু তাকাও তো !

এভাবেই ইন্টারভিউ চলতে থাকে পাত্রীকে অপদস্থ করার আগ পর্যন্ত। গ্রামের মুরুব্বীরা মনে করতেন এ ধরনের প্রশ্ন করলে মেয়ের প্রতিভা ফুটে আসবে। কারণ তারা তখন মেয়েদের প্রতিভা বলতে সুন্দর করে হাঁটতে পারা, সুন্দর করে সূরা মুখস্ত করা, সুন্দর হাতের লেখা, রান্না করা কিংবা সন্তান ধারণ করাকে বুঝাতেন।

তখনকার সময়ে মুরুব্বীরা হাতে তালু দেখে মেয়েদের কপাল নির্ণয় করে দিতেন ভবিষ্যতে সুখী হবে কি হবে না। পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ টার উপরে নির্ভর করতো মেয়েদের স্বপ্ন।

উঁহু, আমি রুপকথার গল্প বলছি না, সত্যিই বলছি।

খুব গর্ব করে বলতে ইচ্ছে করছে আজ আর সে সময় নেই। এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই। এখন আর কেউ পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ এর মধ্য দিয়ে নারীকে বিচার করে না। এখন আর কেউ তাদের হাঁটতে, লিখতে, তাকাতে বলে না।

কারণ এখন সবাই জানে নারীরা নারীর আপন গতিতে এগিয়ে চলছে। তারা নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর বিদেশী ছেলে দেখলে সোনার হরিণ ভাবে না। কারণ তাদের মেয়েরা আজ হরিণী। তারা আজ অনেক উঁচু জায়গায় যেতে চায়।

এখন আর কেউ ভাবে না যে তাদের মেয়ের বিয়ে হবে কিনা? বরং তারা ভাবে যে ছেলে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে আসবে সে তাদের মেয়ের যোগ্য হতে পারবে কি না? বর-কণে দুজন দুজনের সাথে কাধ মিলাতে পারবে কিনা? এক হয়ে সবটা সময় জুড়ে সুখী থাকতে পারবে কি না!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিঃ আতিক বলেছেন: ১৫ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন, ভালো।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিবর্তন ভালোর দিকেই গিয়েছে; তবে, মেয়ের পক্ষ পণের টাকা দিয়েই চলছে; পণের টাকার জন্য বহু মেয়ের বিয়ে ভাংছে, মার খাচ্ছে, অপমামানিত হচ্ছে, কেহ কেহ প্রানও হারাচ্ছে

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ওমেরা বলেছেন: কেন সুখের জন্য আবার এত চিন্তা করতে হবে কেন মেয়ে যেখানে যোগ্য !!

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখনো কিছু জায়গায় এসব চালু আছে...

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু যৌতুক এর কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনও মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে মেয়ের বাপের অনেক কিছু দিতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.