নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমানের বাংলা নাটক ও কিছু কথা।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০১



আমাদের গর্ব করার মতো কিছু জিনিস ছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলা নাটক।

আগে অবসর সময় কাটানোর জন্য বাংলা নাটক দেখতাম। অসাধারণ সব অভিনেতা ও অভিনেত্রী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য হলেনঃ জাহিদ হাসান, শমি কায়সার, বিপাশা হায়াত, তৌকির আহমেদ, আফসানা মিমি, অপি করিম, মাহফুজ আহমেদ, তারিন, ইশিতা, সুবর্না মুস্তাফা, হুমায়ন ফরিদী প্রমুখ।

এখন নাটকের নামে চলছে ন্যাকামি। বাংলা নাটক যেন তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে।কখনো কখনো অভিনয়ের নামে চলছে দেহ প্রদর্শন। থিয়েটার না করেই সরাসরি অভিনয়ে ঢুকে নব্য তারকারা কি অভিনয় করছে ওরা নিজেরাও জানেনা। নাটক নির্মাতারা মেধাবী অভিনেত্রীর চেয়ে যৌন সুড়সুড়ি অনুভুত হয় এমন অভিনেত্রী (আসলে ন্যাকা) দিয়ে নাটক বানাচ্ছেন। এমন নয় যে কিছু মেধাবি অভিনেতা অভিনেত্রী এখনো নেই। কিন্তু সমস্যা হলো অভিনেতা অভিনেত্রী ভালো হলে স্ক্রিপ্ট ভালো হচ্ছেনা। গল্প ভালো হলে অভিনেতা অভিনেত্রী হচ্ছে ন্যাকা।

তখন বিটিভিতে প্রতি বৃহঃপ্রতিবার সাপ্তাহিক নাটক দেখাতো। পরিবারের সবাই মিলে দেখতাম সে নাটক। অন্যরকম এক অনুভুতি। প্রতি শুক্রবার বিটিভিতে একটি বাংলা ছবি দেখাতো। বাসার সবাই মিলে সে ছায়াছবি দেখছি। কি উপভোগ্য মুহুর্ত ছিল বলে বুঝানোর মতো না।
ভালো স্ক্রিপ্টে ভালো মানের অভিনেতা অভিনেত্রী নিয়ে নাটক না বানালে বাংলা ছবির এর মতো একদিন বাংলা নাটক ও তার ঐতিহ্য হারিয়ে।

আর মঞ্চ নাঠক দেখার মতো সময় হয়তো সবার হয়ে উঠেনা। দর্শক ও সম্মাননা কম হওয়ার কারণে মঞ্চ অভিনেতা অভিনেত্রীরা টেলিভিশন নাটকের দিকে ঝুঁকছে। তাই এর মাণ বৃদ্ধি করা ঐতিহ্য ধরে রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানের অনেক নাটক বিদেশী গল্পের কপি পেস্ট। যা সত্যি লজ্জাজনক।

নাটক নির্মাণ নিয়ে ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দীন ভাই এর একটা লেখা পড়ছিলাম। সেখানে তিনি লিখেন ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যধারার আধুনিক নাট্যচর্চা: সফলতার শিল্পসৌধ কতদূর?সফলভাবে ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্য নির্মাণের কারণে নাট্যকার বা নির্দেশক বা অভিনেতা বা নাট্যদল কি সরকারি-বেসরকারি অনুদান বেশী পাবে? হল বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে? নাট্যোৎসব সমূহে অধিক গুরুত্ব পাবে? বিদেশে নাট্যদল প্রেরণের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী বিবেচনায় থাকবে? আমরা জানি না। এমন কোনো নীতিমালারও বোধকরি বালাইও নেই। তাহলে ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্য নির্মাণে সফলতা লাভের জন্য শ্রম-সময়-অর্থ-মেধা ঢেলে দিয়ে কি লাভ? এই প্রবন্ধটি লিখেও বা কি লাভ?

পরিশেষে বলবো বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবিঃ ফেসবুক ও গুগল।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাটকে কি শুধু মেয়েরাই অভিনয় করে? আপনার পোস্টে ছবি দেখে তাই মনে হোল।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যে।
জবাবঃ না পুরুষরাও করে। যেমন জাহিদ হাসান, তাহসান, মুশারফ করিম, অপূর্ব আরো অনেকেই আছে। উনারা সাধারণত ভালো অভিনয় করেন। ন্যাকামি করছে নব্য নারী অভিনেত্রীরা। তাই তাদের কথা ও ছবি হাইলাইট করা হয়েছে।

২| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: বিদেশি গল্পের কপি পেস্ট নাটক বানালে আমার আপত্তি নেই।ভালো গল্প বেছে কপি পেস্ট করলে বরং আরো ভালো।কিন্তু সেটা তো করছে না।পৃথিবীতে এত সুন্দর সুন্দর গল্প সিনেমা বাদ দিয়ে ঘুরে ফিরে একই কাহিনী।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যে।
আসলে কপি পেস্ট করছে এমন সব সব মুভি বা শর্ট ফিল্ম কে যা আমরা আগে দেখে ফেলছি । নতুন কিছু নেই।

আপনার বলা "ভালো গল্প বেছে কপি পেস্ট করলে বরং আরো ভালো।কিন্তু সেটা তো করছে না।পৃথিবীতে এত সুন্দর সুন্দর গল্প সিনেমা বাদ দিয়ে ঘুরে ফিরে একই কাহিনী। " এটাই মূল বক্তব্য।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব জায়গায় অখাদ্য এবং অতি চেতনা আছে ,থাকবে চলছে চলবে।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তাই বলে অভিনয়ের মতো একটি শিল্পকে ন্যাকামিতে রুপান্তর করে ফেলবে? অভিনয়ের নামে যথারীতি শরীর প্রদর্শনী।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৩

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: হতাশ হবেন না। সেই পুরনো সময়ের নাটকগুলো এখনও আছে। youtube। আমিও তাই করি। ৭০, ৮০, ৯০-এর নাটক দেখি।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ঘুরে ফিরে ঐগুলোই দেখি। অবশ্য কিছু নতুন নাটকও দেখি।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মৌরি হক দোলা বলেছেন: দীপ্ত টেলিভিশনের ‘বকুলপুর’ নাটকটা দেখবেন, গল্পের কাহিনিটা খুব চমৎকার!

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই দেখবো।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৯

আহা রুবন বলেছেন: বাংলা নাটকের এমন দৈনদশার মূল কারণ আমার কাছে মনে হয় যেদিন থেকে সাহিত্যিকদের বাদ দিয়ে অভিনেতারা নাটক লেখা শুরু করেছে।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সহমত । যার যা কাজ তার তা করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: সংশপ্তক, ঢাকায় থাকি, অয়োময়, যত দূর যাই এই সব সিরিয়ালের পাশাপাশি, ইডিয়ট, বাবার কলম কোথায়, পারলে না রুমকি আহ কি সব নাটক ছিল সেসব এখন চোখে ভাসে, গত প্রায় দেড় দশক কোন নাটক দেখা হয়ে ওঠে নি।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আহ মনের মতো কিছু নাটকের নাম বললেন। বাল্যকালে ফিরে গেলাম ক্ষণিকের জন্য । ইমোশ্অনাল করে দিলেন ।
আবার ভালো নাটক হোক ।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০২

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: বাংলা নাটকের স্বর্ণ যুগ ছিল ১৯৯০-২০০৪ পর্যন্ত (আমার মনে হয়েছে)।
এর পর থেকে শুরু বাংলা নাটকের লৌহ যুগ। তাও নাটক কোন রকমে দেখা গেসে।
গত কয়েক বছর ধরে চলছে বাংলা নাটকের কলি যুগ! মানহিন নাটক, সুরসুঁড়ি মার্কা ডায়লগ আর কাহিনী তো নাই।
গত কয়েকবছরের নাটকের প্যাটার্ন হল-নায়ক, নায়িকা আর মবাইল।মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্ট। হারিকেন দিয়ে বাপ মায়ের চরিত্র খুজে পাওয়া যায় না।
এই ঈদে এখন পর্যন্ত কয়েকটা মাত্র ভালো নাটক দেখেছি- 'এক্সট্রা' আর 'জলছবি' । আরেকটা হোলও হানিফ সঙ্কেতের নাটক। চিন্তা করা যায়। ২০০ নাটকের মধ্যে মাত্র দুইটা ভালো নাটক।
কিছু ফাউল ছেলে/মেয়ে (এদেরকে অভিনেতা অভিনেত্রী বলতে আমার রুচিতে বাধে) এই ইন্ডাস্ট্রি ধংস করে দিসে।
কিছু বাদ নাই আর।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ২০১০ থেকে ২০১৭ তেও বেশ কিছু ভালো নাটক হয়েছে। কিন্তু গত ৩ বছরে একেবারে পচে গেসে। সব নাটকে কি সব সাফা কবির তাজনিন তিশা অভিনয় করেনা ন্যাকামি করে কিছু বুঝিনা। 'এক্সট্রা' আর 'জলছবি' দেখা হয়নি। দেখবো আশা করছি।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে আমাদের দেশের নাটকের এই অবস্থা।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সহমত। কিন্তু ভারতের সিরিয়াল গুলোর চেয়ে বাংলা নাটক অনেক বেশী মাণ সম্পন্ন এই কথা স্বয়ং ভারত স্বীকার করে। ভারতের সাথে পাল্লা দিতে হবে কেন ?

১০| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৩৯

জগতারন বলেছেন:
১৯৭৪ সালে একটি নাটক রেডিও'তে প্রথম শুনিয়াছিলাম। তার ১৯৭৬ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবার পর ঢাকায় আসিয়া নানুর বাড়ীতে বিটিভি'তে সাদাকালো চলচ্চিত্রে রূপে দেখিয়াছিলাম। নাটকটির নাম; "শিমূলতলি গ্রাম" এবং নাটকের গল্পের কথা এখনও আমার মনে আছে। নাটকে কী সুন্দর বাংলাদেশের ঐতিজ্য, মূল্যবোধ গল্প নিয়া বানানো হইয়াছিল সেই ঘটনা এতদিন পরে এখনও আমার স্মরনে উজ্জল। আর তখকার সেই সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের কী দূর্দান্ত সব সংলাব এবং অভিনয় সেই সব কথা এখন এইখানে লিখিতে গেলে এই মন্তব্যের গতি অন্য দিকে চলিয়া যাবে। তাই আর ঐ দিকে গেলাম না। আর

সম্প্রতি বছর তিনেক আগে youtube-এ আর একটি নাটক দেখিলাম নাম; "মিশন শশুর বাড়ী"। পারিবারীক ছোট্ট একটু ঘটনা নিয়া কী সুন্দর হাসী কৌতুকপূর্ন উপভোগ্য একটি নাটক।

আমার অভিমত; বর্তমান সময়ের বেশীরভাগ নাট্যকার অর্থাত যাহারা নাটক বানায় তাহাদের বেশীরভাগই মূর্খ। ঐ শা*'রা পড়াশুনা জানে না বা পড়াশুনা না করিয়াই নাটক লিখা আরম্ভ করিয়া। তাও আবার সংলাব লিখে আঞ্চলিক ভাষায় (!) ঐ নাট্যকাররা এখনও বুঝে না যে নাটকের মূল পাত্র/ পাত্রীর সংলাব হইতে হবে সাহিত্যের ভাষায়। অর্থাত বাংলা সাধু ভাষায় বা বাংলা চলতি ভাষায়।
আর আমার আরও ধারনা নাট্যকার শা*'রা বাংলা ভাষায় এবং পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায় যে সমস্ত ভালো ভালো নাটক রচিত হইয়াছে এবং মঞ্চস্থ হইয়াছে তাও তাহারা দেখে না।

ঐ শা*'রা রেডইন্ডিয়ার কিছু সিনেমা দেখিয়াই বুঝিয়া নেয় যে এখন তাহারা নাত্যকার হইয়া গিয়াছে (!) এবং নাটক লিখা আরম্ভ করিয়া দেয়। তাহারা বুঝে না যে; নাটক লিখিতে প্রথমই প্রয়োজন তা হইলো:
১) নাটকের গল্প নির্বাচন।
২) সংলাব'
৩) চিত্র নাট্য রচনা বা স্থান নির্বাচন।
৪) যথাপোযুক্ত পত্র/ পাত্রী নির্বাচন (অভিনেতা অভিনেত্রী)
৫) শব্দ সং্যোজন।
৬) উপভোগ্য কিছু হাস্য-কৌতুক। এবং নাটকের বক্তব্যে সকলের জন্য কিছু বারতা।

পড়াশুনা করিয়া সার্থক নাটক কীভাবে লিখিতে হয় তার দুই/ একটি উদাহরন দিলে পাঠক/ পাঠীকাদের বুঝিতে সুবিধা হবে যে আমি কী বলিতে চাহিয়াছি।

(ক) ভারত বর্ষের ঐতিহাসিক পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের ঘটনা নিয়া শ্রদ্ধেয় মূনীর চৌধুরীর "রক্তাক্ত্য প্রার্ন্তর" একটি সার্থক নাটক।
এ নাটকে লেখক দুইটি কাল্পনিক চরিত্র সযোযন করিয়াছেন:
১) ইব্রাহীম কার্দী ও
২) যোহরা।
তার পরও এই নাটকটি একটি সার্থক নাটক।
এর জন্যই এই নাটকটি আমাদের সময়ে (১৯৭৭-৭৮ সালে) ১১ ও ১২ ক্লাশে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে পাঠ্য সূচীতে ছিল। ইহা একটি সার্থক; প্রধান কারন ছিল নাটকের দূর্দান্ত সব 'সংলাব', ঘটনা প্রবাহের সার্থক উপাস্থাপন।
যেমন আমরা দেখি ইংরাজী সিনেমা TITANIC - এ এই সিনেমায়ও কাল্পনিক চরিত্র সং্যোযন করিয়া খুউব উপভোগ্য করিয়া উপাস্থাপন করা।

এইবার আসি "মিশন শশুরবাড়ী" -এর প্রসংগে: এখানে নাট্যকার পারিবারীক ছোট্ট একটি বক্তব্যকে শুধু যথাপোযুক্ত সংলাব চিত্র নাট্য রচনা ও উপাস্থাপনের মাধ্যমে সুন্দর সার্থক একটি নাটক দর্শকদের উপহার দিয়াছেন।
তা একবার আপনারা youtube-এ দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি অসাধারণ মন্তব্য। একেবারে মনের কথা গুলো বললেন। ১/২ লাইনে এই মন্তব্যের জবাব দেয়া যাবেনা। আমি সময় নিয়ে আবার এই মন্তব্যের জবাব দিব। ধন্যবাদ জলাসি কমেন্টার।

১১| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেখি না।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেখার অবস্থা রাখেনি। বাংলা নাটক নাম পরিবর্তন করে বাংলা ন্যাকামি রাখা উচিত।

১২| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলাদেশি নাটক নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণে শতভাগ সহমত। কদিন আগে আমি এ রিলেটেড একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সম্মানিত সিনিয়র ব্লগার। অবশ্যই পড়বো এবং এই পোস্টে যুক্ত করে দিব যদি আপনার অনুমতি মিলে।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আগে আমাদের নাটক গুলো অসাধারন। আর এখন সাদা মাটা‌ । ভারতীয় বাংলা সিরিয়াল দেখা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। তাই দেশের নাটক দেখার টাইম নাই।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেলিম ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে,
আমার জানা মতে সামুতে ৩ লাখ ব্লগার আছে। আমরা কোনদিন ভারতীয় সিরিয়াল দেখবো ? নাটকের দর্শক আছে কিন্তু নাটক নেই।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন ফরীদি, আফজাল হোসেন , আসাদুজ্জামান নূর , রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম মুস্তফা, আবুল খায়ের আলী জাকের খালেদ খান তৌকির সেলিম আজিজুল হাকিম জাহিদ হাসান দারুন সব অভিনেতা আর শম্পা রেজা, শান্তা ইসলাম বিপাশা শমি কায়সার ফেরদৌসী মজুমদার ডলি জহুর পিযুস বান্দোপাধ্যায় দারুন অভিনয় করতেন। আর নাটকের মানও অনেক উন্নত। সাদা কালো সময়ের বিটিভির সাপ্তাহিক নাটগুলোতো মাস্টার পিস।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একদম ঠিক। আবার ভালো নাটক হোক।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সময়ের সাথে সবই পরিবর্তন ঘটে। আগের নাটকগুলো শিক্ষনীয় কিছু মেসেজ দিত।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক। আর এখন ?

১৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: এখনকার নাটকগুলো এতো একঘিয়েমি হয়ে গেছে! আর চিৎকার-চেচাঁমেচি শুনলে বিরক্তিতে মাথা ধরে যায়। সেই দুঃখে এখনকার নাটক তেমন দেখিনা। মন চাইলে পুরান দিনের নাটকগুলো খুঁজে খুঁজে দেখি।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একটা নাটকে দেখলাম প্রেমিক(নায়ক) প্রেমিকার ( নায়িকার) প্রিয় চকলেট এর নাম জানার পর বাইক নিয়ে গিয়ে প্রেমিকার বেলকনিতে কিটকেট চকলেট ছুড়ে মেরে প্রেমিকাকে ইমপ্রেস করছে।

আমি দৃশ্য দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে না পেরে নাটকটাই আর দেখিনি।

১৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

চাঙ্কু বলেছেন: লাইম গল্প আর লেইম কপিনয়ের জন্য বাংলা নাটক দেখা মেলা আগে ছেড়ে দিয়েছি!!

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অভিনয়ের নামে নেকামি করা নেকাদের অভিনেতা/অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃতিই বা কে দিলো ? এভাবে কি বাংলা নাটক তার ঐতিহ্য হারাবে ?

১৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



//চাঙ্কু বলেছেন: লাইম গল্প আর লেইম কপিনয়ের জন্য বাংলা নাটক দেখা মেলা আগে ছেড়ে দিয়েছি!!//


পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া শিল্পের প্রসার হয় না। বাংলা নাটক কেন, সিনেমারও একই দশা। কারণ একটাই, অর্থের অভাব। বিশ মিনিটের নাটকে ত্রিশ মিনিট বিজ্ঞাপন দেখাবার প্রয়োজন হলে, না থাকবে নির্মাতা, না থাকবে দর্শক।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য। আমি অতি ক্ষুদ্র একজন মিডিয়া কর্মী। তাই আমি জানিনা এখানে অর্থের কোন অভাব নেই। অভাব হলো ইচ্ছা শক্তি ও দায়িত্ববোধের। একজন পরিচালক ৫ টাকা নাটক না বানিয়ে ২ বানাক। লাভ একটু কম হোক। নির্মাতারা শুধু পার্টি করে বিদেশ ভ্রমণ করেই ৫/১০ লাখ টাকা খরচ করে ফেলে। এগুলো ইনভেস্ট করুক। নাটকের মাণ এমনিতেই ভালো হবে।

১৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রচুর নাটক দেখি।
নাটক দেখতে ভালো লাগে।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এখনের গুলো নাকি আগের গুলো ?

২০| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া শিল্পের প্রসার হয় না। বাংলা নাটক কেন, সিনেমারও একই দশা। কারণ একটাই, অর্থের অভাব। বিশ মিনিটের নাটকে ত্রিশ মিনিট বিজ্ঞাপন দেখাবার প্রয়োজন হলে, না থাকবে নির্মাতা, না থাকবে দর্শক।


এটা যেমন সত্যি তেমনি মানসম্মত প্রোডাকশন না হলে পৃষ্ঠপোষকতা আসবে না, সেটাও সত্যি এখন কথা হলো প্রথম পদক্ষেপটা কে নেবে? আমার মতে নির্মাতা বা সংশ্লিষ্ট লোকজন। আমাদের নাটকে সেই তাদেরই কমিটমেন্ট শুন্যর কোটায় চলে এসেছে।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সহমত সম্মানিত ব্লগার।

২১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশের টিভি নাটকের রয়েছে সুন্দর সোনালি অতীত। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অসাধারণ
সব নাটকের কথা এখনও দর্শকদের টানে। তবে নিকট অতীতও উজ্জ্বল ছিল। অনেক সৃজনশীল,
অনেক মানসম্মত নাটক এই কিছুদিন আগেও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। তারপর আকস্মিকভাবে
স্যাটেলাইটের কল্যাণে পাশের দেশের কিছু অবাস্তব, আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের
পরিপন্থী সিরিজ দেখতে দেখতে এদেশের টিভি নাটকগুলো পানসে মনে হতে থাকে দর্শকের কাছে।
চলচ্চিত্রে নোংরা সংলাপ, অশ্লীল পোশাক, নকল গল্পের ওপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের
বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু নাটক বা ওয়েব সিরিজের কোনো সেন্সর নেই। তারই সুযোগ নিচ্ছেন কেউ
কেউ। সরকার যেখানে পর্নোগ্রাফি বন্ধে তৎপর, সেখানে ওয়েব সিরিজের নামে এই অনিয়ন্ত্রিত
পরিস্থিতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুনর মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশের টিভি নাটকের রয়েছে সুন্দর সোনালি অতীত ( সহমত)

বাংলাদেশ টেলিভিশনে অসাধারণ
সব নাটকের কথা এখনও দর্শকদের টানে। ( সহমত)

তবে নিকট অতীতও উজ্জ্বল ছিল। অনেক সৃজনশীল,
অনেক মানসম্মত নাটক এই কিছুদিন আগেও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ( সহমত)

তারপর আকস্মিকভাবে
স্যাটেলাইটের কল্যাণে পাশের দেশের কিছু অবাস্তব, আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের
পরিপন্থী সিরিজ দেখতে দেখতে এদেশের টিভি নাটকগুলো পানসে মনে হতে থাকে দর্শকের কাছে।
-- পাশের দেশের সিরিয়াল গুলো বস্তাপচা হলেও অভিনেতা ও অভিনেত্রী গণ মাণসম্পন্ন মনে হয় আমার কাছে। বাজে নাটকেও ওরা ভালো অভিনয় করে।


চলচ্চিত্রে নোংরা সংলাপ, অশ্লীল পোশাক, নকল গল্পের ওপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের
বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু নাটক বা ওয়েব সিরিজের কোনো সেন্সর নেই।
--- তাহলে ওয়াব সিরিজের নামে নীল ছবি কিভাবে রিলিজ হয় ? যেখানে সামু ব্লগকে পর্ন সাইটের মিথ্যা অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছিল? আর স্পন্সর কেন করবে নীল মাণহীন সিরিজে ?


সরকার যেখানে পর্নোগ্রাফি বন্ধে তৎপর, সেখানে ওয়েব সিরিজের নামে এই অনিয়ন্ত্রিত
পরিস্থিতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
--- সরকার যদি তৎপর হতোই ইউটুভে এখনো ওয়েব সিরিজের নামে নীল ছবি গুলো থাকে ?

২২| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: নাটক বানানো লোক দেখানোজিনিস,মিডিয়ার প্রায় সবার ব্যবসা অন্য।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেটাই বলছি । যেখানে টাকার ছড়াছড়ি সেখানে টাকার অভাব হয় কিভাবে ?

২৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৩

শোভন শামস বলেছেন: বাংলাদেশের টিভি নাটকের রয়েছে সুন্দর সোনালি অতীত। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অসাধারণ
সব নাটকের কথা এখনও দর্শকদের টানে। তবে নিকট অতীতও উজ্জ্বল ছিল। অনেক সৃজনশীল,
অনেক মানসম্মত নাটক এই কিছুদিন আগেও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তাহলে এখন উপায় ?

২৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৬৫-১৯৮৬ বাংলাদেশের নাটক দেখার জন্য কলকাতা-পশ্চিমবঙ্গের লোকজন পাগল ছিলো।
১৯৮৬ থেকে হীনমণ্য বাঙ্গালী ভিডিও প্রযুক্তির সাথে বিনামূল্যে ভারতীয় টিভির অনুষ্ঠান দেখার জন্য ছাদের উপরে ঘটি-বাটি লাগাতে শুরু করে।
আর ১৯৯২ সালে খালেদার নেতৃত্বাধীন ভারত বিরোধী -বিরাট ধার্মিক নামধারী বিএনপি-জামাতি চক্র ঘরে ঘরে ভারতীয় অপসংস্কৃতি ঢুকিয়ে এদেশের সংস্কৃতি-মূল্যবোধ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে।
যার কুফল এই জাতি অনন্তকাল ভোগ করবে।

২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অথচ বি এন পি জামাত বলে ওরা ইসলামি দল। দুর্ভাগ্য আমাদের ।

২৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন:


নাটকে নতুনদের আসতে হবে । দক্ষ লোকদের কদর বাড়াতে হবে । সাম্য,ভারসাম্য,স্বচ্ছতা কে গুরুত্ব দিতে হবে । ন্যাকামি মার্কা নাটক দিয়ে দর্শক ফিরবে না । সহমত পোস্টের সাথে।

২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নতুনরা বর্তমান নাটক গুলো দেখে ভাবছে অভিনয় মানে মনে হয় ন্যাকামি। তাই অভিনয় না শিখে ভালো মতো ন্যাকামি শিখছে। যে যতো সুন্দর দেখতে তাকে তত বেশী মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কোয়ালিটির দাম নেই।

অনেকে ধন্যবাদ পাঠে ও মন্তব্যে।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আগে দেখতাম । এখন দেখি না।
আমার বাবুরা ইংরেজি নাটক দেখতে বেশী অভ্যস্ত। আমিও তাই।
তবে পুরোনো দিনের নাটক খুব ভালো লাগে এখনো।

২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমারো পুরনো নাটক ভালো লাগে।

২৭| ০৮ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রারম্ভিক বিবৃতিটার (শুরুর লাইনটা) সাথে একমত। শেষেরটার সাথেও।
একটি ভাল প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি ভাল আলোচনার সূতপাত করেছেন। + +

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.