নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সতী নারীর পতি যেমন,পর্বতেরই--চূড়া,অসৎ নারীর গতি তেমন, ভাঙ্গা নায়ের গোড়া।তুমি অন্তরে অন্তর মিশাইয়া, পিরীতের গান গাইও।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৬



স্বামী আর স্ত্রী পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেছে। স্বামী একজন বিদেশী। বউ বাংলাদেশে থাকে। অনেকদিন পর স্বামী দেশে এসেছে। বউ এর জন্য অনেক উপহার এনেছে। স্বামী পুরা ফেব্রুয়ারী মাস দেশে থাকবেন। তাই প্রতিটিদিন তারা সেলিব্রেট করে পালন করছে। বিশেষ করে আহ্লাদী বউকে নিয়ে হাগ ডে কিস ডে চকলেট ডে প্রপোজ ডে, বারবি ডে এগুলো সেলিব্রেট করছেন। অত্যান্ত আনন্দের সাথে ভ্যালেন্টাইন'স ডেও গেলো। পরের দিন ১৫ই ফেব্রুয়ারী স্বামী বললেন আজ আমি একটু গ্রামের বাড়ি যাব।ফিরতে একটু রাত হয়ে যাবে। তুমি ভয় পেওনা। বউ হাসী মুখে বলল অসুবিধা নেই। এতদিন তো একা ছিলাম। আমি সামলে নিতে পারব। তুমি নিশ্চিন্তে যাও। স্বামী রওনা দিলেন। আর স্ত্রী ফোন দিলেন প্রেমিক কে। "জান ভ্যালেন্টাইন'স ডে সেলিব্রেট করতে পারিনি। আজ বাসা ফাঁকা। সে গ্রামে গেসে। জলদি বাসায় এসো। প্রেমিক ওপাশ থেকে জবাব দিচ্ছে - " ওকে বেইবি ২০ মিনিট অপেক্ষা কর আমি ৩০ মিনিটের মধ্যে আসছি "। প্রেমিক এলো। যা শুরু হওয়ার তা শুরু হলো।


এদিকে স্বামীর বাসার দাড়োয়ান ঘটনা ঘটিয়ে দিসে। বউ এর প্রেমিক প্রতিদিন বাসায় আসতো বিষয়টি স্বামীকে জানিয়ে দিয়েছিল। জামাই তাই পরীক্ষা করতে বাড়ি যাওয়ার নাটক করছে। প্রেমিক ঢুকার কিছুক্ষণ পর জামাই বউকে ফোন করল আমি মাত্র একটা বাসে উঠলাম। পৌঁছে ফোন দিব। বউ এখন ১০০% রিলাক্স। ফোন রেখে জামাই বাসার দিকে হাঁটা দিল। দ্রুত বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপল। বউ মনে করছে অন্য কেউ আসছে। তাই প্রেমিককে বেডে শুইয়ে রেখেই দরজা খুলতে আসছে। দরজা খুলে স্বামীকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো। একেবারে নির্বাক! জামাই ভীষণ এডুকেটেড। তাই কোন সিনক্রিয়েট করলোনা। ড্রয়িং রুমে সোফায় গিয়ে ঝিম ধরে বসে আছে। কয়েক মিনিট পর প্রেমিক ঘটনা বুঝতে পেরে ধরেই নিয়েছে তাকে পুলিশে দেয়া হবে। কিন্তু অমন কিছুই ঘটলোনা। জামাই ভদ্র ভাবে বললেন প্লিজ আপনি চলে যান। প্রেমিক বের হয়ে গেলো। রক্তাক্ত স্বামী মৃদু হেসে বললো - " ইট'স ওকে"। কোরানে আছে - "মুমিন নারীরা মুমিন পুরুষের জন্য আর দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য। আমি অনেক মেয়ের সাথে বিয়ের আগে পরে ফিজিকাল রিলেশন করেছি, আমি ধরা খাইনি তুমি খেয়েছ। কারণ আমি করেছি বিয়ের আগে ও বিয়ের পর তোমাকে লুকিয়ে দেশের বাইরে, তাই গিলটি ফীল করার কিছুই নেই। তুমি অপরাধী হলে আমিও অপরাধী। আমি নিজে অপরাধী হয়ে তোমায় বা তোমার প্রেমিককে শাস্তি দেই কিভাবে? তুমি চাইলে তোমার প্রেমিককে বিয়ে করতে পার। তবে আমি নিশ্চিত সে তোমাকে বিয়ে করবেনা। মাগনা মাগনা তোমার মতো অপরূপা পেয়েছে তাই সুযোগ লুফে নিয়েছে। উনার স্থানে আমি সুযোগ পেলে আমিও তাই করতাম।
বউকে কাছে টেনে নিল। চুমু দিল। ফিস ফিস করে বলল - সংসার চলুক। আমি যেদিন অন্য মেয়ের প্রতি নিজের আকৃষ্ট হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারব সেদিন থেকে তোমাকে বাঁধা দিব। আমি নিজে লম্পট হয়ে বউকে সতী হিসেবে পেতে চাব এ হয় নাকি?

আমরা নিজেরা শত অপরাধে অপরাধী হয়ে যখন অন্যকে অপরাধী বলি বিষয়টি লজ্জার। সেদিন এক ব্লগার বললেন তিনি আমাকে কটু কথা বলেছেন কারণ আমি একজন অপরাধী পক্ষে কথা বলছি। অথচ তিনি সামান্য কটা বানান ভুলের জন্য শেরজা ভাইকে কটু কথা বলে ও আমাকে কুকুর বলে গালি দিয়ে নিজেই অপরাধ করলেন!

৩)
যাই হোক উপরের ঘটনা পড়ে এখন সমাজের লোক কাকে অপরাধী বলবে?

১) এই শিক্ষিত সত্যবাদী মানবিক মানুষটাকে?
২) নাকি তার বউকে?
৩) নাকি সেই সৃষ্টি কর্তাকে যিনি বলেছেন - " চরিত্র হীন নারী চরিত্র হীন পুরুষের জন্য। "
৪) নাকি জ্বীন শয়তানকে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের জাতির তার সত্বা হারাচ্ছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমাদের জাতী নিজে অসৎ অসাধু অনিরপেক্ষ অপরাধী হয়ে আরেজনকে বলে তুই অসৎ অসাধু অনিরপেক্ষ অপরাধী।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বাস্তবে এমন কোনদিন হয়নি, আর হবেও না...
কেননা, কেউই নিজের দোষ দেখে না দাদা...

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাস্তবে আমাদের মধ্যে ৯৯% ই ভন্ড মিথ্যাবাদী।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: এই বিয়ে ভ্যালিড না। কারণ, বিয়ের সময়ে পুরুষটি দুশ্চরিত্র ছিল। তাই সে কোন সচ্চরিত্রবান মেয়েকে বিয়ে করার যোগ্যতা রাখেনা। এই সত্যি মেয়েটির কাছে প্রকাশ হয়ে যাবার পরেই তার উচিত ছিল তওবা করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো। কিন্তু আল্লাহ্‌র ভয় মনের মধ্যে না থাকলে যা খুশি তাই করা যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে কোরআন হাদীসের বাণী না টানাই ভালো। কুরআন হাদীস হচ্ছে যারা হেদায়েত চায়, তাদের জন্য - এরকম খেয়াল খুশীতে চলা মানুষের জন্য ধর্ম কন কাজে লাগেনা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কালিমা পরেই বিয়ে হয়েছে। ভ্যালিড হবে না কেন?

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

জুন বলেছেন: শিরোনামে আপনি পুরো গাজীর গীতটা লেখেন নাই গোফরান। তাই যতদুর মনে আসে লিখলাম।

যেই নারী স্নান কইরা মুখে দ্যায় পান
তার সন্মান যেন লক্ষীর সমান।
মাইঝ্যা বিবির সারাক্ষণ মুখে থাকে চাবা (পান)
মাইঝ্যা কত্তা বাড়ি আইলে হেরে ডাকে বাবা
হজ্ঞলের মুশকিল আসান করো গাজী ---
=p~

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপাগো আপনি যে গীত এর কথা কইছেন ঐডা সম্ভবত আমার জন্মের আগে রচিত। মানে ১৯৮৭ সালেত পরে। আমি জীবনেও এই গীত শুনিনি। আমি শিরোনামে যে গানের লাইন কোট করছি তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় - "আসমানে যাইওনারে বন্ধু"।

বাট মন্তব্য জোস ছিল।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: জুন @ আসলে এই গীত যখন রচনা হয় তখন সম্ভাবত লিপিস্টিক বা এই জাতীয় ঠোট রাংগাবার কিছু ছিলো না তাই পান ছিলো একমাত্র ভরসা। তাই পানের কথা এসেছে। (এমন টা আমার মনে হয়)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নারা ভাই এই গীত কবে রচিত হয়েছে আপনি কি জানেন?

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে কেউই নিজের দোষ দেখে না, মানুষ খুবই স্বার্থপর এক প্রজাতি। অনেকেই অপরাধ করার পর হাতেনাতে ধরা পরার পর সব দোষ শয়তানের উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়, বলে- এটা আমার দোষ না, শয়তান আমাকে কুমন্ত্রাণা দিয়েছিলো। অনেকেই আবার বিপদ থেকে রাক্ষা পেতে জ্বীনে ধরার অভিনয় করে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: " আমায় একজন মানুষ দেখা যে পাপ করেনি? " জেমসের গানটা শোনছেন?

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: অভুত অদ্ভুত!!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুম।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: নারা ভাই এই গীত কবে রচিত হয়েছে আপনি কি জানেন?

ময়মানসিং গীতিকা কবে রচনা হইছে এই প্রশ্ন যদি করেন, উত্তর দিতে পারবো না।

মুলত এই ধরনের গীত মুখে মুখে সৃষ্টি হয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুম।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

জুন বলেছেন: ১৪ শ শতকে বৈরাগ নগরের দরবেশ শাহ সিকান্দরের পৌষ্য পুত্র শাহ গাজী বা বড়খা গাজী নিজ দেশ ছেড়ে ভিন্ন ধর্মের এক রাজার মেয়ে চন্দ্রাবতীর প্রেমে পড়েন। কিন্ত উভয় পক্ষের আপত্তির কারনে তারা সম্ভবত পালিয়ে যায়। তাকে নিয়ে বহু উপাখ্যান আছে। তাকে এলাকার মানুষ পীর বলে মনে করে। হিন্দু-মুসলমান অধ্যুষিত সুন্দরবনের সবাই তাকে স্মরণ করে। যে কেউ সুন্দরবনে ঢোকার আগে হাতজোড় করে বনবিবির পাশাপাশি গাজীর নামে দোহাই দিয়ে ঢোকে। সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়গুলোতে সাদা বর্ণের মুখে দাড়িসহ কোথাও জামা-পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ মূর্তি, কোথাও লুঙ্গি পরা ঘাড়ে গামছাসহ মূর্তি পূজিত হয়। এই পূজার নৈবেদ্য হলো বাতাসা, পাটালি, আতপচালের শিরণি। গ্রামের সাধারণ মানুষ জঙ্গলে প্রবেশ ছাড়াও গৃহপালিত পশুপাখি কামনা করেও গাজী পীরকে স্মরণ করে থাকেন।
গাজী কালু আর চম্পাবতীকে নিয়ে বহু পালা গান আছে যা অনেক বাউল বা লোকগীতি গায়করা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গাজীকে নিয়ে গান গায় আর ভিক্ষা করে। আপনি খোজ করলেই পাবেন গোফরান।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাহ! একটি অজানা বিষয় জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন আপু।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

নতুন বলেছেন: বউকে কাছে টেনে নিল। চুমু দিল। ফিস ফিস করে বলল - সংসার চলুক। আমি যেদিন অন্য মেয়ের প্রতি নিজের আকৃষ্ট হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারব সেদিন থেকে তোমাকে বাঁধা দিব। আমি নিজে লম্পট হয়ে বউকে সতী হিসেবে পেতে চাব এ হয় নাকি?

এটা তো ওপেন ম্যারেজ কন্সেপ্ট। বিদেশে থেকে জামাই বিদেশী কন্সেপ্ট বুঝতে পারছে। =p~ =p~ =p~ =p~

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যে যেভাবে ভালো ও সুখে থাকে সে সেভাবে থাকুক না।

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে যেভাবে ভালো ও সুখে থাকে সে সেভাবে থাকুক না।


জেলাসীর ঘুন পোকা মানুষের মাথায় যখন বাসা বাধে তখন কোন ওপেন ম্যারেজ কন্সেপ্টই টিকে না।

মানুষ মাত্রই জেলাসীর সংক্রামনে আক্রন্ত হয়। যদি কোন সম্পর্কে ভালোবাসা, সন্মান থাকেনা সেটা থেকে বের হয়ে যাওয়াই উত্তম।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাঙালি মনে হয় একটু বেশিই হিংসুক জাতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.