![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় রূপকথার অনেক গল্প শুনেছি । রূপকথার সবই কল্পনা তবে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু অংশ আছে যা অতিবাহিত হওয়ার পর রূপকথার মতই মনে হয়। আমার বয়স খুব বেশি না তারপর নিজের দেখা কিছু জিনিস এখন রূপকথার মতই মনে হয়।
দাদীদের গল্প
আমাদের সময় একটু বড় হতেই আমরা অধিকাংশই থাকতাম দাদীদের কাছে। তাদের মুখে শুনতাম নানা ধরনের কিচ্ছা-কাহিনী। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে তাদের কাছ থেকে গল্প না শুনলে ঘুমই আসত না। দাদীদের মুখে শুনতাম রাজকন্যার গল্প, রাক্ষসের গল্প, ভুতের গল্প, বিভিন্ন ধরনের কিচ্ছা প্রভৃতি। বর্তমান সময়ে যা রূপকথার মতই লাগে আমার কাছে ।
রমাজানের মজা
এই রমজান মাস আমাদের সময়ে ছিল খুবই মজার। রমজান মাসের চাদ দেখা গেলে সবাই বিলাতো সেমাই, ক্ষীর যার অধিকাংশই বিলি হত আমাদের হাত দিয়েই। ইফতারের সময় ছেলে-মেয়েরা সবাই একসাথে মুড়ি নিয়ে বের হতাম বাসা থেকে। সবাই একসাথে বসে খেতাম আর করতাম নানা ধরনের গল্প। সেই সাথে চলত মুড়ি আর ইফতারি সামগ্রীর বিনিময়।
ঈদের মজা
ঈদের চাদ দেখার সাথে সাথেই সবাই চিল্লায় চিল্লায় বলতাম চাঁদ দেখা গেছে ! সেই সাথে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ডেকে বের করতাম চাঁদ দেখানোর জন্য। ঈদের জন্য মেহেদী গাছ হতে পাতা সংগ্রহ করতাম হাতে মেহেদী দেওয়ার জন্য। ঈদের ভোরে সবাইকে ডেকে উঠাতাম একে একে । সেই সাথে নামাজের যাওয়ার আগে চলত পোশাক দেখানোর আয়োজন।
ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছ বর্তমানে অনেক দামী হলেও আগে কিন্তু এত দাম ছিলনা। প্রায় সবার সাধ্যের মধ্যেই থাকতো ইলিশ মাছের দাম। সেই সাথে ইলিশের যে গন্ধ আর স্বাদ ছিল তা অতুলনীয়। এক বাড়িতে রান্না করলে আশপাশের কয়েকবাড়িতে টের পাওয়া যেত যে ইলিশ রান্না হচ্ছে। ইলিশ বাস্তবিকই এখন রূপকথার কাতারে চলে গেছে। নেই সেই স্বাদ , গন্ধ আর সহজলভ্যতা।
মাছে ভাতে বাঙ্গালী
আমার বাসা বগুড়া অঞ্চলে হলেও ছোট বেলায় আমাদের এদিকে বর্ষাকালে জমিতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। প্রায় সবরকম দেশীয় মাছই পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে। রাতে জাল পেতে রেখে আসতাম আর ভোরে সেগুলো উঠিয়ে নিয়ে আসতাম প্রচুর মাছ সহ! শিং মাছ, টাকি মাছ, মাগুর মাছ, গুচি মাছ, কই মাছ , শোল মাছ,টেংরা মাছ পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে। বর্তমানে জমিতে বর্ষাকালেও পানি জমেই না প্রায়, সেই সাথে মাছও আর আগের মত নাই । টাকি ছাড়া বাকি মাছগুলো পাওয়া যায়না বললেই চলে।
গ্রাম্য খেলা
আগে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে খেলাই ছিল প্রধান উৎস। ছেলে-মেয়ে দল বেধে বদন, লুডু, পুতুল, পাতা লুকানো, বৌছি সহ নাম না জানা আরও অনেক ধরনের খেলা খেলতাম। এগুলোর মধ্যে সবার অন্যতম প্রিয় খেলা ছিল বদন আর পাতা লুকানো!
আলিফ লায়লা আর বিটিভি
প্রতিশুক্রবার আমাদের জন্য ছিল বিশেষ দিন। সপ্তাহের এই দিনটাতে স্কুল থাকতো না সেই সাথে এলাকায় ছিল হাটবার। সাথে বিকেলে বিটিভিতে সিনেমা এবং সন্ধ্যায় আলিফ লায়লা ! সকাল থেকেই আমরা সবাই বলতাম, আল্লাহ সন্ধ্যায় যেন বিদ্যুৎ না যায়! আমার পাড়াতে আমাদের বাসাতেই টিভি ছিল শুধু। শুক্রবারে টিভি বাহিরের খোলাতে এনে রাখতে হত প্রচুর মানুষের কারণে! সবাই মজা করে দেখতাম আলিফ লায়লা আর বিটিভি!
যাত্রাপালা
গ্রামে প্রতিবছর যাত্রাপালার আয়োজন হতে যাতে গ্রামের লোকজনই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করত। তাদের রিহার্সেল দেখতে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়তাম! সেই সাথে যেদিন যাত্রা হতো সেদিন বাসার সকলে মিলে একত্রে যাত্রা দেখতাম। যাত্রা দেখতাম আর চেনা মানুষগুলো অচেনা রূপ দেখে কখনো হাসতাম, কখনো অবাক হতাম।
আরও বেশকিছু জিনিস রয়েছে যা এখন রূপকথার মতই মনে হয়। রূপকথা অবাস্তব নয়, মানুষের অতিবাহিত সময়গুলোই রূপকথা ….
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৩
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: সেকথা আমিও অস্বীকার করিনা!
২| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪১
ওমেরা বলেছেন: বদন কেমন খেলা ? পাতা লুকানো খালার কথা আমার আম্মুর কাছে শুনেছি ।ভালই লাগল আপনার রূপকথা।
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৬
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: বদন কেমন খেলা সেটা লিখে বুঝানো মুশকিল। তবে পাতা লুকানো খেলাটা আসলেই অনেক মজার ... মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৪
পথিক প্রত্যয় বলেছেন: যাত্রা কখনও দেখি নাই। তবে লালদীঘির ময়দানে বলি খেলার সময় ভ্যারাইটি শো দেখেছি।
রুপকথার মতো দিনগুলি আর কখনও ফিরে আসবে না।
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৮
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: যাত্রা অনেক মজার ছিল ভাই। বর্তমানে আর আগের যাত্রা নাই বললেই চলে। হ্যাঁ আগের দিনগুলো্ রুপকথার মতই ছিল।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার করা কবিরা গুনাহ (যাত্রা দেখা) থেকে মুক্তির কোন প্ল্যান-প্রোগ্রাম আছে?
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৫০
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: এখন আর যাত্রাই হয়না তাই সেটা থেকে মুক্তির জন্য প্ল্যান করার দরকার নাই। তাছাড়া যদি এখন যাত্রার আয়োজন হয়ও আমার এলাকাতে আমি দেখব না।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন যাত্রা দেখা আর ঠিক হবে না।
যাক, শিরোনামে ভুল আছে, শবদটা "রূপকথা"।
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৫৭
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬
লাল মাহমুদ বলেছেন: আমার রূপকথা বলতে আমার দাদার কাছ থেকে টোনাটুনির গল্প শুনা বলা যেতে পারে। অনেক বার শুনেছি এই টোনাটুনির গল্প। এখন আমার আব্বা আমার ভাগনেকে শুনায়। একদিন শুনলাম আব্বার কাছ থেকে, সেই দাদার বলা গল্পটা। কিন্তু দাদার কাছ থেকে শুনার মত জোশ পেলাম না। হয়তো সেই সময়টা এখন আর নেই।
১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: গল্পটা আমিও বহুবার শুনেছি । এখন শুনলেও আর মজা না লাগাই স্বাভাবিক। সবই সময়ের খেল ...
৭| ১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেখে গেলাম
১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: দেখার জন্য ধন্যবাদ ...
৮| ১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫
বাঙালী ঋষি বলেছেন: দিনগুলি মোর সোনার খাচায় রইলো না।
১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: সময়কে ধরে রাখা যায়না বলেই তার এত দাম।
৯| ১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ইলিশ মাছ এখন আগের মতো স্বাদও লাগে না।
১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: অনেকদিন হল ইলিশ মাছ খাওয়াই হয়নি ভাই, আর খাওয়ার ইচ্ছাও জাগেনা ।
১০| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: দাড়িয়াবান্ধা বা বোম্বাস্টিক প্রচুর খেলিয়াছি। খড়ের বল দিয়া ফুটবলও খেলিয়াছি, বাতাবি লেবু দিয়া বল মাত্র একবারই খেলিয়াছি। যাত্রা টিভিতে দেখার সুযোগ পাইয়াছিলাম, তবে সার্কাস দেখিয়াছি, দি গ্রেট রওশন সার্কাস। উহারা দেশের বিখ্যাত সার্কাস কোম্পানি ছিল। আলিফ লায়লা খুব বোরিং ছিল। দূরদর্শনে মহা ভারত দেখার জন্যও কম ভিড় হইতো না। কিছু সময়ের জন্য নস্টালজিক করিয়া তুলিয়াছিলেন।
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩১
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: বোম্বাস্টিক আমরাও প্রচুর খেলেছি ভাই। তবে গ্রামের যাত্রা আসলেই অন্যরকম একটা মজার জিনিস।
১১| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৫৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যাত্রা আমার জীবনে আমি কখনও দেখিনি দেখার ইচ্ছেও নেই।
তবে ভালো লেগেছে আপনার স্মৃতিচারন ।
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩২
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: ভাই আমি যে যাত্রার কথা বলেছি তাতে কোন অশ্লীলতা ছিলনা । গ্রামের সবাই একসাথে দেখতাম। বর্তমান সময়ের যাত্রা আমিও দেখিনি আর কোনদিন দেখার ইচ্ছাও নাই।
১২| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনি কি প্রথম পাতায় লিখেন?
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৯
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: প্রথম পাতায় এটাই আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা।
১৩| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪২
জুন বলেছেন: রূপকথার মতই লেখাটি এই যমানার ছেলেপুলের কাছে। দাদা দাদীর বিছানায় বসে রূপকথার গল্প শোনা, বৌছি, রুমাল চুরি, ফুলটোকা খেলা, পাটায় বেটে মেহেদী দেয়া, ঈদের চাঁদ দেখা, বড়ই মধুর স্মৃতি আমাদের ।
ভালোলাগা রইলো গোলাম রাব্বি রকি ।
+
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩০
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ।
১৪| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: অতীত স্মৃতি নিয়ে বেশ ভালোই লিখেছেন। পুরান অনেক কিছু আবার মনে পড়ে গেল। লেখার স্ট্যাইলটাও চমৎকার হয়েছে।
নিশ্চয়ই এটা প্রথম পাতায় এসেছে ইতিমধ্যেই। সেজন্য আপনাকে অভিনন্দন রইল।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ২:১০
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
১৫| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অভিনন্দন
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাত্রা দেখা কবিরা গুণাহ