নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল-গোলাপ

নীল-গোলাপ

নীল-গোলাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

►ভ্যালেন্টাইন ডে একটি পৌত্তলিক প্রথা - ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ◄

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩৩

Click This Link

ইসলাম একটি পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান। সুতরাং এখানে যেমন কোন নব্যপ্রথার স্থান নেই তেমনি নব্যপ্রথা উদ্ভাবনের কোন সুযোগ নেই। কেননা আল্লাহ তার দ্বীন কে পুর্নাঙ্গতা দান করেছেন।



► আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন রূপে মনোনীত করলাম ( সূরা মায়েদা-৩)



ইসলাম এমন এক নিঁখুত জীবন ব্যবস্থা যা মানুষের জাগতিক ও পরলৌকিক সাফল্য নিশ্চিত করে। ইসলাম মানুষের পরলৌকিক সাফল্য ...নিশ্চিত করে জাগতিক প্রয়োজনকে উপেক্ষা না করেই।



► আল্লাহ তোমাকে যা দিয়েছেন তা দ্বারা আখিরাতের আবাস অনুসন্ধান কর এবং দুনিয়া হতে তোমার অংশ ভুলিও না..(সূরা কাসাস-৭৭)



ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা মানুষের কোন প্রয়োজনকে যেমন উপেক্ষা করে না , তেমনি কোন প্রয়োজনকে শরীয়া বিধানের সীমারেখা অতিক্রম করারও অনুমতি দেয় না। ইসলাম যেমন সন্ন্যাস-ব্রত সমর্থন করে না তেমনি নিখাদ বস্তুবাদও সমর্থন করে না।



► এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবে ..( সূরা বাকারা -১৪৩)



মুসলিমদের মাঝে কুর'আন ও সুন্নাহ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তারে আল্লাহ প্রদত্ত সম্মানিত জীবন (উপরে বর্ণিত আয়াত অনুযায়ী ) ত্যাগ করে গ্লানিকর জীবন বেছে নিয়েছে ? একসময়ে অর্ধ-বিশ্ব শাসনকারী মুসলিম সমাজ আজ কেন সর্বত্র নিষ্পেষিত? সঠিক পথনির্দেশনা পাবার পরও কেন আজ তারা অধঃপতিত এক জাতিতে রূপান্তরিত ? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে, রাসুলের(সা.) হাদিসে।



►তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীগণের অনুকরণ করবে (হুবহু), তারা যদি (গুঁই সাপ সদৃশ প্রাণীর) গর্তে প্রবেশ করে তোমরাও তেমনি করবে । আমরা (সাহাবীগ্ণ) জিজ্ঞাসা করলাম , ‘হে আলাহর রাসুল(সা.)! এরা কি ইহুদি ও নাসারারা? ’ তিনি (সা.) বললেন, ‘তবে আর কারা?’ ” –(বুখারী, মুসলিম)



এটা কোন গোপনীয় ব্যাপার নয় যে, কিছু ইহুদী ও খ্রীস্টান , মুসলিম উম্মাহর নীতি ও নৈতিকতা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সনয়, অর্থ ব্যয় করে চলেছে। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পুরোপুরি সফল হয়েছে। আল্লাহর অমোঘ নীতি , যে পরিশ্রম করবে সে ফল পাবে আর যেমন কর্ম তেমন ফল।



আমরা যদি কিছু সময় পিছনে ফিরে তাকাই, তবে দেখতে পাব, সমাজে এক সময় নীতি ও নৈতিকতার মূল্য ছিল সীমাহীন । লজ্জাশীলতা ও শুদ্ধতা ছিল সমাজের প্রথা। কোন অপরিচিত মেয়ের সাথে রাস্তায় বের হবার চেয়ে পিঠে বিশাল ভার বহন করা একটা ছেলের জন্য ছিল অধিকতর সহজ। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা চিন্তা করারও অবকাশ ছিল না। অথচ লক্ষ্য করুন , সেই অবস্থা থেকে আজ আমরা কোথায় এসে পৌছেছি! এরই বাস্তব নমুনা “ভ্যালেন্টাইন্স ডে” যার নামকরণ করা হয়েছে “ভালবাসা দিবস” যাতে ছদ্মনামের আড়ালে সরল, পূণ্যবান , নিষ্কলঙ্ক মানুষদের বিপথগামী করা যায়। পূণ্যের মোড়কে পাপাচারের এই প্রসার শয়তানের বহু পুরনো কূটচালেরই অংশ। শয়তান একইভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল আদম(আ.) ও হাওয়া(আ.)-এর সাথে যা বর্ণিত হয়েছে কুর'আনে



► সে(শয়তান) তাদের উভয়ের নিকট শপথ করে বলল, আমিতো তোমাদের হিতাকাঙ্ক্ষীদের একজন –(সূরা আরাফ-১২১)



►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ র ইতিহাস যতটুকূ জানতে পারা যায়, পৌত্তলিক(অগ্নি উপাসক) রোমের পৌরাণিক কাহিনীতে রোমিউলাস নামক এক ব্যক্তি ছিল। একদা রোমিউলাস নেকড়ের দুধ পান করায় অসীম শক্তি ও জ্ঞানের অধিকারী হয়ে প্রাচীন রোমের প্রতিষ্ঠা করেন। রোমানরা এই পৌরাণিক কাহিনীকে কেন্দ্র করে ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারী উৎসব পালন করত। উৎসবের দিন তারা একটি কুকুর ও একটি পাঠা বলি দিত। দুজন শক্তিশালী যুবক বলির রক্ত সারা গায়ে মাখতো এবং পরে তা দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলত। অত:পর সেই দুই শক্তিশালী যুবকের নেতৃত্বে শহরে প্যারেড অনুষ্ঠিত হতো। সেই দুই যুবক তাদের হাতে থাকা চামড়ার রশি দিয়ে সম্মুখে আগত যে কাউকে আঘাত করত। রোমান নারীরা এই আঘাত আনন্দচিত্তে গ্রহণ করতো। কেননা তারা বিশ্বাস করত, এর ফলে তারা ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্ব থেকে রক্ষা পাবে, আর বন্ধ্যা মহিলারা তাদের অনুর্বরতা থেকে মুক্তি পাবে। তাদের উৎসবের আরেকটি অংশ ছিল বিবাহযোগ্যা নারীদের নাম লিখে কতগুলো কাগজের টুকরো রাখা হবে। অত:পর, যে ব্যক্তি, যে নামের টুকরো তুলত সেই মেয়েটির সাথেই পরবর্তী এক বছর কাটাতো । এই এক বছর তারা পরস্পরকে যাচাই করার সময় পেত।পরবর্তী বছরের এই একই দিনে হয় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতো নতুবা একই নিয়মে নতুন সঙ্গী গ্রহণ করত। পরবর্তীতে রোমানরা খ্রীস্টানদের দখলে আসে এবং তাদের অনেকেই খ্রীস্টধর্ম গ্রহণ করে। খ্রীস্টান ধর্মযাজকরা এই অনৈতিক, অশ্লীল বিবাহ-বহির্ভূত ব্যবস্থা বাতিল করেন।



►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ সম্পর্কে আরেকটি সূত্র হতে জানা যায় যে, খ্রীস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে যখন রোমানরা খ্রীস্টানদের দখলে আসে তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস সৈন্যদের বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ভ্যালেন্টাইন নামক একজন খ্রীস্টান ধর্মযাজক এর বিরোধিতা করেন এবং তিনি গোপনে সৈন্যদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে তাকে বন্দী করা হয়। জেলে বন্দী থাকে অবস্থায় তিনি গোপনে কারারক্ষীর মেয়ের প্রেমে পড়েন কেননা খ্রীস্টান ধর্মমতে খ্রীস্টান ধর্মযাজকরা কখনো বিয়ে করতে পারেন না বা কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারেন না । পরবর্তীতে সম্রাট তাকে মুক্তির এই শর্তে দেন যে, তাকে খ্রীস্টান ধর্ম ত্যাগ করে রোমানদের পৌত্তলিক ধর্ম গ্রহণ করতে হবে এবং তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন তার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেন এবং খ্রীস্টান ধর্মে অটুট থাকেন। অবশেষে ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারী তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।



এই হলো ►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ র ইতিহাস যা আমাদের যুব সমাজের অনেকেরই অজানা । অজ্ঞতাবশত তারা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে উপহার, কার্ড, লাল-গোলাপ বিনিময়ের মাধ্যমে, প্রেয়সীর সাথে লাল পোষাক পরিধান করে সাক্ষাৎ করে। এমনকি এই দিনটিকে পাশ্চাত্য সমাজে এতটাই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় যে, যদি কোন ব্যক্তি এই দিনটিকে বেমালুম ভুলে যায়, তবে তাকে প্রকৃত প্রেমিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।



অথচ মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা অবশ্য কর্তব্য যে, ►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ কাফিরদের উদ্ভাবিত উৎসব। যা একজন মুসলিমের অবশ্য পরিত্যাজ্য।



অমুসলিমদের উৎসব মুসলিমদের সংষ্কৃতিতে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ সুব্হানাহুতায়ালা বলেন:



►তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুপষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি.. (সূরা মায়িদাহ-৪৮)



►প্রতিটি জাতির জন্য আমি ধর্মীয় উপলক্ষ নির্দিষ্ট করে দিয়েছি যা তাদেরকে পালন করতে হয় .. (সূরা হাজ্জ-৬৭)



►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ পালন করার অর্থ হলো পৌত্তলিক রোমান এবং খ্রীস্টানদের অনুকরণ করা। অথচ কাফিরদের (তারা পৌত্তলিক হোক কিংবা আহলে কিতাব হোক) কোন প্রথা বা ইবাদতের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন আচরণ অনুকরণ করা হারাম যা কুর'আন, সুন্নাহ এবং ইজমা দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত।



►তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি..(সূরা আলে-ইমরান-১০৫)



►যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের অনুকরণ করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বনে গণ্য হবে..( আহমদ ২/৫০, আবু দাউদ ৪০২১)



এমনকি আমরা যদি ধরে নিই যে, ►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ মুসলিমদের উদ্ভাবিত একটি উৎসব, তবুও এতে যোগদানের কোন সুযোগ নেই।



► যে দ্বীনের কোন ব্যাপারে নব্যপ্রথার আবির্ভাব ঘটালো সে ধবংস প্রাপ্ত হোক..( বুখারী, মুসলিম)



আনাস বিন মালিক (রা.) কর্তৃক বর্ণিত নিম্নের হাদিস হতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ইসলামের আবির্ভাবের পর পূর্বের সকল উৎসব বাতিল হয়ে গেছে এবং কেবল মাত্র ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরকে উৎসব হিসেবে ধার্য কবা হয়েছে।



►রাসুল(সা.) যখন মদীনায় আসলেন, তখন তাদের দুটি উৎসবের দিন ছিল। তিনি(সা.) বললেন ‘এ দুটি দিনের তাৎপর্য কি?’ তারা বলল জাহিলিয়াতের যুগে আমরা এই দুই দিন উৎসব করতাম। তিনি(সা:) বললেন, ‘ আল্লাহ তোমাদেরকে এদের পরিবর্তে উত্তম কিছু দিয়েছেন। ইয়াওমুদ্দোহা (ঈদুল আযহা) ও ইয়াওমুল ফিতর ( ঈদুল ফিতর )..(আহমদ, আন-নাসায়ী, আবু দাউদ)



►ভ্যালেন্টাইন্স ডে◄ যা এতদ্বঞ্চলে “ভালবাসা দিবস” নামে পরিচিত, তা মূলত বিবাহ বহির্ভূত অবাধ মেলামেশার দিকে যুব সমাজকে প্রণোদনা দেয়। আর বিবাহ বহির্ভূত এসকল সম্পর্ককেই ইসলাম ব্যভিচার বলে আখ্যায়িত করে। ব্যভিচারের প্রতি আহবান শয়তানের ►ক্লাসিকাল ট্রিকগুলোর◄ একটি।



►হে মানুষ! পৃথিবীতে যা কিছু হালাল ও পবিত্র বস্ত আছে তা থেকে তোমরা আহার কর আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু । সে তো তোমাদের নির্দেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজ করতে "...(সূরা বাকারা-১৬৮)



এছাড়া যা কিছু মানুষকে ব্যভিচারের দিকে প্রলুব্ধ করে, তার সকল পথকেই আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন:



►তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না । অবশ্যই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পন্থা ” (সূরা বনী ইসরাঈল-৩২)



►চোখের যিনা হচ্ছে তাকানো, জিহ্বার যিনা হচ্ছে কথা বলা, অন্তর তা কামনা করে এবং পরিশেষে যৌনাঙ্গ একে বাস্তবায়ন করে অথবা পরিত্যাগ করে -( বুখারী, মুসলিম)



এক শ্রেণীর লোক এই দিনটিকে “সবার জন্য ভালবাসা” এই মূলমন্ত্র বাস্তবায়নের দিন হিসেবে পালন করে। এ দিনটিকে তারা সকল ধর্মীয় বিভেদ দূর করে এক কমন প্ল্যাটফর্মে আসার জন্য বলে। কাফির, মুশরিক, মুসলিম সবাইকে সমানভাবে ভালবাসার কথা প্রচার করে থাকে।



অথচ, কাফিরদের অন্তরের প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ উন্মোচন করে দিয়েছেন এভাবে:



►তারা তোমাদের অনিষ্ট করতে ত্রুটি করবে না। যা তোমাদের বিপন্ন করে তাই তারা কামনা করে।তাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাদের হৃদয় যা গোপন করে, তা আরো গুরুতর। তোমাদের জন্য নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করেছি, যদি তোমরা অনুধাবন কর। তোমরাই তাদেরকে ভালবাস কিন্তু তারা তোমাদেরকে ভালবাসে না অথচ তোমরা সমস্ত কিতাবে ঈমান রাখ । আর তারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে আমরা বিশ্বাস করি, কিন্তু তারা যখন একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে তাদের নিজেদের আঙ্গুলের অগ্রভাগ কামড়ায়"। -(সূরা আলে-ইমরান: ১১৮-১১৯)



প্রকৃত ইসলামী আকীদা অনুযায়ী একজন মুসলিমও কখনো কাফিরকে ভালবাসতে পারেন না।



►তুমি (হে মুহাম্মদ!) আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায় পাবে না, যারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধাচারিগণকে - হউক এই বিরুদ্ধাচারিরা তাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা জ্ঞাতি-গোত্র"...(সূরা মুযাদিলা-২২)



কিন্ত তার মানে এই নয় যে, মুসলিমরা অমুসলিমদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে । বা অমুসলিমদের প্রতি কোন দয়া দেখাবে না। আসলে দয়া-মায়া এবং ভালবাসা দুটি ভিন্ন জিনিস । আমরা এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না বিধায় এই আয়াতের ভুল অর্থ বুঝি। বরং মুসলিমদের ব্যবহার হবে সর্বোত্তম যা দেখে অমুসলিমরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে।



►দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নাই এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করে নাই, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন নাই।" -(সূরা মুমতাহিনা-৮)



► (পোস্টটি সংগ্রহকৃত। এবং এর মুলভাষা ইংরেজী। The Islamweb article in English, on Valentine's day)



Click This Link

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩৩

নীল-গোলাপ বলেছেন: Click This Link

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩৩

নীল-গোলাপ বলেছেন: http://www.facebook.com/tafhimul

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৬

শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
এটাও দেখতে পারেন:
Click This Link
Click This Link

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩২

নীল-গোলাপ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৮

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: সেইরাম পোস্ট।
তথ্যবহুল।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৩

নীল-গোলাপ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:১৩

wPinwir বলেছেন: fb / samu tey lekha-joka-o pouttalikata! Touba koren.

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩২

নীল-গোলাপ বলেছেন: ফ্যানাটিক কমেন্ট ।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:১৭

নষ্ট কবি বলেছেন: ওরে আমারে ধর////////////

কোথায় কেঠা আছিস.............।



হাসতে হাসতে তো পইরাই গেলাম..... =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

কয়দিন পর শুনতে হইবে- ইসলাম এ ভালবাসা পুরাটাই নিষিদ্ধ.....

ভালবাসলে পাথর ছুড়িয়া মারা হবে.......। =p~ =p~ =p~ =p~

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩২

নীল-গোলাপ বলেছেন: বিয়ে বহির্ভূতভাবে ছেলে-মেয়ের মেলামেশা, যেটাকে ভালোবাসা বলেন আপনি, সেটা অবৈধ, সাধারন নৈতিকতায় ই সেটা অবৈধ, ইসলামের ভাষায় ব্যভিচার.. তবে আপনার ভয় নেই, বিসমিল্লা যুক্ত সেকুলার বাংলাদেশে প্রথম আলো আপনাকে ব্যভিচারের শাস্তি হতে রক্ষা করবে ।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৭

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে পবিত্র হজ্জ ও পৌত্তলিকরা পালন করতো অন্য নিয়মে। তাই বলে কি আমরা হজ্জ পালন করবো না?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৮

নীল-গোলাপ বলেছেন: হজ্জ্ব পালন করবো, পৌত্তলিকদের নিয়মে না, কুরআনে শেখানো নিয়মে ।

ভালোবাসা - প্রেম মানুষের সহজাত প্রয়োজন, ইসলাম একে স্পষ্ট ভাষায় স্বীকৃতি দিয়েছে । তবে, সেটা আপনি পৌত্তলিকদের সিস্টেমে করলে, পুরো সিস্টেমটাই অবৈধ অর্থাৎ হারাম ভাবে করবেন । ইসলাম প্রেম-ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে শুধুমাত্র বিয়ের মাধ্যমে । বিয়ে বর্হির্ভূত পার্কের বেঞ্চির ভ্যালেন্টাইন দিবস সমাজ ও জাতি বিদ্ধংসী, পরিবারের লজ্জা ও কলঙ্ক ।

ইসলাম বিয়েকে অনেক সহজ করেছে । ইসলামকে ছেড়ে পৌত্তলিকদের থেকে নোংরামী আবিশ্কার করে আপনারা হালাল বিয়েকে করেছেন কঠিন, আর হারাম নির্লজ্জতাকে করেছেন সহজ ।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৮

মাহমূদ হাসান বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত না। যেহেতু আমি তাফহীম সমর্থন করি না।
তবে কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে এসকল নাজায়েজ ও গুনাহ এতটুকুই আমার জানা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪২

নীল-গোলাপ বলেছেন: মুসলিমকে কুরআনের মত স্মার্ট হতে হবে - বুদ্ধিমান হতে হবে, সেল্ফ ডেপেন্ডেন্ট হতে হবে চিন্তায়-ভাবনায় স্বাধীন হতে হবে। অন্যের থেকে শুনা কথায় লাফালে পদে পদে ভালো থেকে বঞ্চিত হবেন, পদে পদে লজ্জিত হবেন ।

তাফহীম নামের একটা ফেসবুক ফ্যানপেজ এই লেখাটা নিয়ে একটা ইভেন্ট করেছে । এখানে তাফহীমের ভূমিকা শুধু এটুকুই । লেখাটা তাফহীমের না । অথেন্টিক হাদীস এবং রিলেটেড কুরআনের আয়াত দিয়ে সংকলিত লেখাটা ওয়েব থেকে সংগ্রীহিত ।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪৮

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: ইসলামে ক্রিকেট, ফুটবল খেলাও তো হারাম :P আমরা তো ক্রিকেট খেলে ইহুদী নাসারাদের অনুসরন করছি ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪৭

নীল-গোলাপ বলেছেন: খেলোয়ারদের পোশাকে ইসলামের ড্রেসিংকোড ভায়োলেট করা , খেলার স্টেডিয়ামে চিয়ার্সগার্লদের অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন, খেলা নিয়ে জুয়া-মারামারি, খেলাকে নেশায় পরিনত করা.... এগুলো করার আগে পর্যন্ত ফুটবল-ক্রিকেটকে যুগের স্কলাররা স্বীকৃতি দিয়েছেন ।

ভ্যালেন্টাইন ডে সর্বোতভাবেই শতভাগ ক্ষতিকর প্রথা । ইসলামের হালাল-হারামের মৌলিক বিধান হলো, যা কিছু ক্ষতিকর তা হারাম, যা কিছু উপকারী তা হালাল ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৬

এম আর ইকবাল বলেছেন: স্বাধীনতা, বিজয় উৎসব , অন্যন্য জাতীয় উৎসব এগুলো বাদ দিলেন কেন ?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪৮

নীল-গোলাপ বলেছেন: কারন, আই হ্যাভ কন্ট্রোল অন মাই মাইন্ড :) আপনার মত এক্সাইটেড হয়ে যাইনি । প্রসঙ্গে আছি ।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৭

নিম্বাস বলেছেন: নিজের মন আগে ঠিক করেন ভাই।খারাপ মন নিয়ে দেখলে ভালো কিছুর মাঝেও খারাপ কিছু পাবেন।ভালবাসতে শিখুন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫১

নীল-গোলাপ বলেছেন: শকুন্তলার জননী অপ্সরী রম্ভা যেভাবে পোশাক ছাড়া ধ্যানমগ্ন পবিত্র-মনের সন্নাসীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলো, সেটার কথা বলছেন ?

মুসলমান হলে , কুরআনের আয়াতের রেফারেন্স সহ পোষ্ট করার পর কেউ তার বিরোধীতা করার সাহস পাবার কথা না । আল্লাহকে ভয় করুন।

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৪

আইলা বলেছেন: এক কাজ করেন, পাছায় বোমা বাইন্ধা টিএসসির সামনে যায়া শহীদ হন গা যান..................বেহেশতে ৭০ টা হুরের সাথে ভ্যালেন্টাইন কইরেন...... মরার আগে ইয়াবা/ ভায়াগ্রা খেয়ে নিয়েন না হইলে ৭০টা হুর সামলাইতে পারবেন না

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

নীল-গোলাপ বলেছেন: এগুলো তো আপনাদের কাজ, রেগুলারলি করতেছেন । ভালোবাসা আর যত্নের সাথে :)

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪২

মুণণা বলেছেন: ইসলামী culture এর সাথে বাংলা culture compare করলে এমন অনেক কিছূ ই পাবেন, কারণ বাংলা culture ত হিন্দু দের থেকে আসছে, একটা কাজ করেন এই ভালোবাসা দিবস অনেক দূর এর জিনিস এর থেকে অনেক খরাপ্ কাজ মানুস করে ইসলাম এর নাম এ যেমন মাজার এ গিয়া সিজদা করে, মনে করে মাজার এর হুজুর তাকে অনেক কিছূ দিবে... এই শেরেকি আগে বন্ধ করেন, "ভালোবাসা দিবস" খুব একটা ভালো ই কিশু না আবার এত খারাপ ও কিছূ না। এইটা নিয়া পরে ভাবলে ও চলবে.

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৪

নীল-গোলাপ বলেছেন: এটা নিয়ে এখন বললে আপনার ঠিক কি কি সমস্যা হয় ? কতটা সময় আপনার দরকার, আপনার স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য ? বিশ্ব মাজার দিবসে আমরা নাহয় মাজার নিয়ে কথাবলবো, আজ প্রসঙ্গে থাকি ।

৫ জন রাজাকারের নাম বলতে বললে নিজামী মুজাহিদের নাম না বলে কেন হাসিনার বেহাইয়ের নাম বলা হয়, এটা নিয়ে অনেক আক্ষেপ দেখা যায় ব্লগে :) আপনার অবস্থাও দেখি সেরকম । অন্য একটা প্রসঙ্গ টেনে এনে আজকের প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ৈ যেতে চান :)

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪২

মুণণা বলেছেন: ইসলামী culture এর সাথে বাংলা culture compare করলে এমন অনেক কিছূ ই পাবেন, কারণ বাংলা culture ত হিন্দু দের থেকে আসছে, একটা কাজ করেন এই ভালোবাসা দিবস অনেক দূর এর জিনিস এর থেকে অনেক খরাপ্ কাজ মানুস করে ইসলাম এর নাম এ যেমন মাজার এ গিয়া সিজদা করে, মনে করে মাজার এর হুজুর তাকে অনেক কিছূ দিবে... এই শেরেকি আগে বন্ধ করেন, "ভালোবাসা দিবস" খুব একটা ভালো ই কিশু না আবার এত খারাপ ও কিছূ না। এইটা নিয়া পরে ভাবলে ও চলবে.

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৭

নীল-গোলাপ বলেছেন: ইসলামী culture এর সাথে বাংলা culture compare
______________________________

ভালোবাসা দিবস আমাদের সংস্কৃতি নয়

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ নামে নতুন একটি দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। আগে শুধু এ দেশেই নয়, বেশির ভাগ মুসলিম দেশেই এটা পালিত হতো না। হোটেল মালিকসহ ব্যবসায়ীদের একটি অংশও ব্যবসায় মুনাফার স্বার্থে এটাকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন। ‘ভালোবাসা দিবসে’র ইতিহাস ও ভিত্তি কী? ড. খালিদ বেগ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। সেখান থেকে কিছু কথা তুলে ধরা জরুরি।



বিজাতীয় সংস্কৃতি চর্চা করছে যেসব মুসলমান, তাদের বেশির ভাগই জানে না যে, আসলে তারা কী করছে। তারা অন্ধভাবে অনুকরণ করছে তাদের সাংস্কৃতিক নেতৃবর্গকে, যারা তাদের মতোই অন্ধ।



যাকে নির্দোষ আনন্দ মনে করা হচ্ছে, তার শেকড় যে পৌত্তলিকতায় প্রোথিত হতে পারে, এটা ওরা বোঝেই না। যে প্রতীকগুলো তারা আঁকড়ে ধরেছে, সেগুলো হয়তোবা (ধর্মীয়) অবিশ্বাসের প্রতীক। আর যে ধ্যানধারণা তারা ধার নিয়েছে, তা হতে পারে কুসংস্কার। এসব কিছু হয়তো ইসলামের শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।



‘ভালোবাসা দিবস’-এর প্রচলন ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ থেকে স্বাভাবিকভাবেই উঠে গিয়েছিল। তবে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে এটা উদযাপিত হতো। দিবসটি হঠাৎ করে বহু মুসলিম দেশে গজিয়ে উঠেছে।



ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে কাহিনী-কিংবদন্তি প্রচুর। এটা স্পষ্ট, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে রোমানরা এটা শুরু করেছিল পৌত্তলিক পার্বণ হিসেবে। 'উর্বরতা ও জনসমষ্টির দেবতা' লুপারকাসের সম্মানার্থেই এটা করা হতো। এর প্রধান আকর্ষণ ছিল লটারি। ‘বিনোদন ও আনন্দে’র জন্য যুবকদের মাঝে যুবতীদেরকে বণ্টন করে দেয়াই ছিল এই লটারির লক্ষ্য। পরবর্তী বছর আবার লটারি না হওয়া পর্যন্ত যুবকরা এই ‘সুযোগ’ পেত।



ভালোবাসা দিবসের নামে আরেকটি ঘৃণ্য প্রথা ছিল, যুবতীদের প্রহার করা। সামান্য ছাগলের চামড়া পরিহিত দুই যুবক একই চামড়ার তৈরি বেত দিয়ে এ নির্যাতন চালাত। উৎসর্গিত ছাগল ও কুকুরের রক্তে এই যুবকদের শরীর থাকত রঞ্জিত। এ ধরনের 'পবিত্র ব্যক্তি'দের 'পবিত্র' বেতের একটি আঘাত খেলে যুবতীরা আরো ভালোভাবে গর্ভধারণ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করা হতো।



খ্রিষ্টধর্ম এই কুপ্রথা বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এই প্রয়াসের অংশ হিসেবে প্রথমে মেয়েদের বদলে সন্ন্যাসীদের নামে লটারি চালু হলো। মনে করা হয়েছিল, এর ফলে যুবকরা তাদের জীবনকে অনুসরণ করবে। খ্রিষ্টধর্ম এ ক্ষেত্রে শুধু এটুকুই সফল হলো যে, ভালোবাসা দিবসের নাম ‘লুপারক্যালিয়া’ থেকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ হয়েছে।



গেলাসিয়াস নামের পোপ ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এটা করেন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের সন্ন্যাসীর সম্মানার্থে। তবে ৫০ জন ভ্যালেন্টাইনের কথা শোনা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র দুজন সমধিক পরিচিত। অবশ্য তাদের জীবন ও আচরণ রহস্যাবৃত। একটি মত অনুসারে, ভ্যালেন্টাইন ছিলেন ‘প্রেমিকের সন্ন্যাসী’। তিনি একবার কারাবন্দী হয়েছিলেন। কিন্তু পড়ে যান কারাগারের অধিকর্তার কন্যার প্রেমে।



লটারি নিয়ে মারাত্মক সঙ্কট দেখা দেয়ায় ফরাসি সরকার ১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করে দেয়। এদিকে, সময়ের সাথে সাথে একপর্যায়ে ইতালি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানি থেকে দিবসটি বিদায় নেয়। সপ্তদশ শতকে পিউরিটানরা যখন বেশ প্রভাবশালী ছিল, তখন ইংল্যান্ডেও ভালোবাসা দিবস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা দ্বিতীয় চার্লস আবার এটি পালনের প্রথা চালু করেন।



ইংল্যান্ড থেকে ভ্যালেন্টাইন গেল ‘নতুন দুনিয়া’য়; অর্থাৎ আমেরিকায়। সেখানে উৎসাহী ইয়াঙ্কিরা পয়সা কামানোর বড় সুযোগ খুঁজে পেল এর মাঝে।



ইসথার এ হাওল্যান্ডের মতো কেউ কেউ সর্বপ্রথম ১৮৪০ সালে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে কার্ড বের করেন। হাওল্যান্ড প্রথম বছরই পাঁচ হাজার ডলার দামের কার্ড বিক্রি করেছিলেন। তখন ‘পাঁচ হাজার ডলার’ মানে অনেক। এরপর থেকে ‘ভ্যালেন্টাইন শিল্প’ জমজমাট হয়ে ওঠে।



‘হ্যালোউইন’-এর ক্ষেত্রেও ভ্যালেন্টাইনের ঘটনা ঘটেছে। ওই উৎসবে ভূত-পেত্নীর মতো পোশাক পরে দৈত্যদানব পূজার প্রাচীন পৌত্তলিক প্রথার পুনরাবৃত্তি করা হয় মাত্র। খ্রিষ্ট্রধর্ম পুরনো নাম বদলিয়ে ‘হ্যালোউইন’ রাখলেও উৎসবটির ভিত্তি রয়ে গেছে পৌত্তলিকতাকেন্দ্রিক।



পৌত্তলিক জাতির মানুষরা ভূত-প্রেতকে খুব ভয় পেত। বিশেষ করে তাদের জন্মদিনে ভয়টা যেত বেড়ে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তনের মুহুর্তে যেমন বয়সের বছরপূর্তি­ এসব অপশক্তি আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় বলে বিশ্বাস করা হতো। তাই পরিবার-পরিজন হাসি-আনন্দে সে ব্যক্তিকে ঘিরে রাখা হতো, যার জন্মদিন পালন করা হতো। তাদের বিশ্বাস, এভাবে মন্দ থেকে তাকে রক্ষা করা যায়।



ইসলামবিরোধী ধ্যান-ধারণা ও বিশ্বাসে যেসব প্রথা ও উৎসবের মূল নিহিত, সেগুলোর ব্যাপারে ইসলাম উদাসীন থাকবে বলে কি মনে করা যায়?



অবিরাম মিডিয়ার প্রচারণাসহ নানাভাবে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক প্রোপাগান্ডা চলছে। এটা একটা বিরাট ট্র্যাজেডি যে, এ অবস্থায় মুসলমানরাও ভ্যালেন্টাইন, হ্যালোউইন ভূত, এমনকি সান্তাক্লসকে আলিঙ্গন করছে।” ড. খালিদ বেগের এই গুরুত্বপূর্ণ অভিমতগুলো লন্ডনের ইমপ্যাক্ট ইন্টারন্যাশনাল সাময়িকীর মার্চ ২০০১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।



কথা হলো পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের ওপর যার ভিত্তি, সেই ভ্যালেন্টাইন ডে বাংলাদেশের মতো কোনো দেশে­ যেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম, পালন করা উচিত নয়। ইসলাম আমাদেরকে শিখিয়েছে সবাইকে প্রকৃত অর্থেই ভালোবাসতে। এটা বিশেষ কোনো দিবস, এভাবে উদযাপনের ওপর নির্ভর করে না। আমাদের দেশে ‘ভালোবাসা দিবস’ কিছু তরুণ-তরুণীর অবাধ মেলামেশার উপায়ে পরিণত হয়েছে। এটা মুসলিম সংস্কৃতির অংশ নয়। অশ্লীলতা বাড়িয়ে দেয়­ পাশ্চাত্য সংস্কৃতির এমন কোনো কিছু আমাদের দেশে চলতে দেয়া অনুচিত। বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলোতে এসব বন্ধ করার ব্যাপারে পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম, সমাজকর্মী প্রমুখের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



শাহ আবদুল হান্নান

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৫

আগডুম বাগডুম বলেছেন: ইসলাম ধর্মের কোন জিনিসটা অরিজিনাল। আবার কয় অন্য সম্প্রদায়ের অনুকরণ করিও না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৮

নীল-গোলাপ বলেছেন: আপনি আপনার ধর্ম নিয়া থাকেন । ইসলাম নিয়ে আপনার মাথা ঘামানোর তো দরকার নেই :)

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১২

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আইলা বলেছেন এক কাজ করেন, পাছায় বোমা বাইন্ধা টিএসসির সামনে যায়া শহীদ হন গা যান..................বেহেশতে ৭০ টা হুরের সাথে ভ্যালেন্টাইন কইরেন...... মরার আগে ইয়াবা/ ভায়াগ্রা খেয়ে নিয়েন না হইলে ৭০টা হুর সামলাইতে পারবেন না
হা হা হা হা হা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩১

নীল-গোলাপ বলেছেন: ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী ও নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন। ( আবু দাউদ)

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর পোশাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোশাক পরিধানকারিণী নারীকে অভিসম্পাত করেছেন।” (সুনানে আবু দউদ : ৪০৯২)

সাইয়া নিক নেয়া ঠিক না । বুঝেছেন এবার ? :)

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৬

ড্র্রাকুলা বলেছেন: আচ্ছা...ব্লগিং করাও তো ইহুদী নাসারাদের অনুসরন...তাইলে আপি ব্লগিং করেন ক্যান?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৫

নীল-গোলাপ বলেছেন: ডোন্ট বি ফ্যানাটিক । ব্লগিং করাটা ততক্ষণ পর্যন্ত অনুমোদিত হতে পারে, যতক্ষন, অশ্লীলতা - মিথ্যাচার - গীবত - পরনিন্দা - গালি - অসততা -অনৈতিকতা.. এগুলোর পর্যায়ে না পৌছাবে ।

যুদ্ধ করা খারাপ, কিন্তু যে যুদ্ধ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে, যে যুদ্ধে পরাজিত শত্রুর প্রতি মমত দেখানোর শিক্ষা দেয়, যে যদ্ধ নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়, সে যুদ্ধ অনুমোদিত ।

হত্যা করা খারাপ, কিন্তু যে হত্যার মাধ্যমে সুবিচার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়, সে হত্যা অনুমোদিত ।

মন টাকে সংকীর্নতা থেকে মুক্তি দিন..

ইসলাম ভালোবাসাকে - প্রেম কে, নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষন, পুরুষের প্রতি নারীর আকর্ষন কে অস্বীকার করেনি, নিষিদ্ধ করেনি... সবচেয়ে কল্যানকর ও ব্যালেন্সড পথ বলে দিয়েছে সমাধানের ।

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩১

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: হে হে, রাজকন্যা আপা নাকি সাইয়া নিক!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৭

নীল-গোলাপ বলেছেন: না, ওয়াহিদ আপার মাল্টিনিক :) কোন ভদ্র মেয়ে ওধরনের শব্দ ব্যবহার করতে পারেনা । তাই সাইয়া সন্দেহ । ভুল হলে কি আর করা!

১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:২৪

আইলা বলেছেন: আপনি কি সর্বহারাদের কর্মকান্ড সর্মথন করেন ? সবকিছুকে রাজনীতিকরণ না করলেই পারতেন।

ভ্যালেন্টাইন ডে ত যা কিছু হয় তা সারাবছরই চিপায়চাপায় হয়, সন্ধ্যাবেলা রোকেয়া হলের সামনে যেয়ে দেখেন.............ঠেকাবেন কেমনে.................

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০৯

নীল-গোলাপ বলেছেন: চিপাচাপা সম্পর্কে যারা ভালো খোজখবর রাখে, তাদের কাউকে কনভিন্স করতে পারলেই তো ঠেকাতে পারতাম । ঠেকানো না হোক, ঠেকানো আন্দোলনের উদ্বোধন করতে পারতাম :) আপনিই তো রাজি না ।

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৪

আইলা বলেছেন: ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের নৈতিকতা কে কিভাবে নষ্ট করছে........এ নিয়ে একটা পোষ্ট দিচ্ছি, দেখবেন আশাকরি..................

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৪

নীল-গোলাপ বলেছেন: আশাভঙ্গ করার জন্য দু:খিত । আপনার ভাষা খারাপ । আজেবাজে শব্দ দেখার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারলাম না ।

ড্রেনে পড়ে গেলে গায়ে কিভাবে কাদা লাগে আর ভ্যালেন্টাইন ডে কিভাবে নৈতিকতা নষ্ট করে, দুটা একই প্রশ্ন ।

২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫২

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১৫

নীল-গোলাপ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:৪৮

আইলা বলেছেন: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত.........

২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: লেখক আপনার না জেনে কথা বলাটা দুক্ষজনক। এটা আমার একমাত্র নিক ।

২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

শূদ্র বলেছেন: বাঙালী মুসলমানদের সমস্যা না, সমস্য হলো যারা নিজগো আরবের পয়দা মনে করে। সব কিছুর মধ্যে ধর্মের একটা যোগসাজ খোজা এক ধরণের রোগ অথবা মুল ঘটনাকে আড়াল করা।
একটা লিংক
Click This Link
গত বছর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত আরেকটি লেখা

Click This Link

এর মধ্যে ইসলামের গন্থ না খুজে বরং পুজিবাদের ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়টি আনফোল্ড করেন।
আর শফিক রেহমান যিনি এই ঘটনার বাংলাদেশে নায়ক তার ধান্ধাবাজি নিয়ে কথা কন..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.