![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
[ছবি-গুগোল থেকে]
এবার ঈদের কথা বলি। ছোট বেলায় ঈদের আগের দিন রাতে জ্বর আসা রুটিন হয়ে গিয়েছিল। আমিও প্রস্তুত হয়ে যেতাম, এই বুঝি জ্বর এল। কারন আর কিছুই না। সারা বছর বাবার অনেক অনেক কড়াকড়ির পর ঈদের আগের দিন একটু ঢিল পাওয়া। আর রোদের ভেতর রাস্তায়, মাঠে, বাসার ছাদে দৌড়-ঝাপ মেরে সময়ের সৎব্যবহার করা। ফলাফল, প্রচন্ড মাথাব্যাথা নিয়ে দূ:স্বপ্নময় একটা রাত পার করা। তবুও ঈদের দিন বাবার হাত ধরে বাসার পাশের ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে যেতাম। নামাজ পড়তে আপত্তি ছিলনা। কিন্তু হুজুর সেইযে একবার খুতবা শুরু করেছেন, মনে হত অনন্তকাল ধরে পড়ছেন। এরপর শুরু হত দোয়া। মনে হত আর বুঝি শেষ হবেনা। অস্থির হয়ে যেতাম। প্রতিটি ঈদেই এরকম হত।
দোয়া শেষ হতেই আসল ঈদ আনন্দ শুরু হত। সারাদিনইতো পড়ে আছে। কত কত আনন্দ আজকে। সাদা পান্জাবি-পায়জামা পড়া সবাই চারিপাশে কোলাকুলি করছে। মাঝে মাঝে আমার দিকেও দু-একজন এগিয়ে আসছে। কোলাকুলি করছে। আমি খুব লজ্জা পেতাম। বাবার পায়ে পায়ে লুকিয়ে থাকতাম। চাইনা আমি কোলাকুলি। বাসায় যেতে চাই। বাসায় যেতে যেতে কি কি হবে সব জানি আমি। বাবা প্রথমে একটা রিকসা ভাড়া করবেন। রিকসাওয়ালা রিকসা রেখে আমাদের সাথে বাসায় আসবেন। তাকে সেমাই, পিঠা এসব খেতে দেয়া হবে। খাওয়া শেষে আমরা রিকসাটাতে চড়ে জেঠার বাসায় যাব।
জেঠার বাসায় গিয়েই চাচাতো ভাই-বোন সব মিলে শুরু করতাম হুটোপুটি। চাচাতো ভাই বড় জনের মাথায় কত কত মজার প্ল্যান। ছাদে গিয়ে প্রথমে কিছুক্ষন ঘুড্ডি উড়াতাম। লুকালুকি খেলতাম। গামলায় পানি ভরে টিনের ছোট্ট নৌকায় কেরোসিন তেল দিয়ে চালাতাম। চলতে চলতে নৌকায় পানি উঠে যেত। তখন ওটা বাদ। বড় ভাইয়ের একটা সাইকেল ছিল। সাই সাই করে চালাত। আমরা ছোটরা কাদা-মাটি নিয়ে পেছন পেছন ধাওয়া করতাম। আর ছিল টিভি গেমস্। খেলার চাইতে দেখতেই মজা লাগত বেশি। দৌড়ঝাপ মেরে একসময় পায়জামার দুপায়ের মাঝে ছিড়ে যেত। তখন খেলা বাদ দিয়ে মুখ কাচুমুচু করে বসে বসে টিভি দেখতাম।
ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দের পার্টটা ছিল খাওয়া-দাওয়ার পার্ট। সেই সকাল থেকেই শুরু হত খাওয়া দাওয়া। একটু দৌড়াতাম। এরপর একটু খেতাম। আবার একটু দৌড়াতাম। আবার একটু খেতাম। সারাদিন ননষ্টপ এভাবেই চলছে। জেঠি ২/৩ ধরনের সেমাই রাধতেন। জেঠির হাতের লাচ্ছা-সেমাই - পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। এরপর চটপটি, পিঠা। দুপুরে পোলাউ-মাংশ, জর্দা, দই। আহা।
দৌড়ঝাপে সারাদিন কোন ক্লান্তি নেই। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরতাম। ফিরেই বসতাম টিভি দেখতে। বিটিভিতে এই একটু গান শোনাচ্ছে। একটু নাটক দেখাচ্ছে। একটু নাঁচ দেখাচ্ছে। একটু কার্টুন দেখাচ্ছে। রাত বাড়ত। একটু একটু করে ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসত। একটু একটু করে খারাপ লাগতে শুরু করত। আনন্দের দিনটা চলে গেল বুঝি। আবার কবে আসবে এই ঈদ?
যে কথা বলিনি কাউকে - সিরিজ লিন্ক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
গ্রীনলাভার বলেছেন: একবার যদি কেউ দিত ফিরিয়ে
ফেলে আসা সেই দিনসব
কোটি টাকা খরচ করে হলেও
কিনে ফেলতাম আমার শৈশব।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
গ্রীনলাভার বলেছেন: হি হি হি হি হি.......................
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
গ্রীনলাভার বলেছেন: ঈদ মোবারক।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ঈদ মোবারক
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
গ্রীনলাভার বলেছেন: ঈদ মোবারক।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার করে লিখা।বেশ ভাল্লাগসে ||
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
গ্রীনলাভার বলেছেন:
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথমদিনই পড়েছিলাম ।
পরে এসে মন্তব্য করবো ভেবে আর মনে ছিল না ।
শুভেচ্ছা রইল ।।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
গ্রীনলাভার বলেছেন: শুভেচ্ছা পনিপু।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
কালোপরী বলেছেন:
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
গ্রীনলাভার বলেছেন: হিহিহিহিহিহি.............
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
বেলা শেষে বলেছেন: very good, remembaring of boyhood, touching the hart!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদের সময় শৈশবের স্মৃতি
আজও নাড়া দিয়ে যায়
আরও ব্যস্তময় দিন আসে
তাই মন ছুটে কোন অজানায়
সুন্দর লেখা
শুভেচ্ছা