নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নয়দুয়ারি

গ্রীনলাভার

আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।

গ্রীনলাভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়তুল হিকমাহ; বাংলায় লেখা গবেষনা পত্রই আমাদেরকে ভিক্ষা বৃত্তি থেকে বের করে আনবে;

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩১

আমাদের ঠিক আগের প্রজন্মের শিক্ষার মাধ্যম ছিল ইংলিশ। এরপর এরশাদ সরকারের কোন একজন নীতি নির্ধারকের মনে হলো আমাদের নিজের মাতৃভাষায় পড়াশুনা করা উচিৎ। কারন ইতিহাস বলে উন্নত সকল জাতি নিজেদের মাতৃভাষায় জ্ঞান চর্চা করেছে। অতীতের উদাহরন দিলে আমরা নাও বুঝতে পারি। কিন্তু বর্তমানের উন্নত সম্প্রদায় (দেশ) গুলোর দিকে যদি দৃষ্টি দেই, সবাই নিজেদের ভাষায় জ্ঞান চর্চা করছে। নিজেদের ভাষায় নতুন নতুন আবিষ্কারের নথি লিখছে। আবার অন্য ভাষায় রচিত দুর্দান্ত কোন কর্ম নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে ফেলছে।

তিনি যেই হোন, তিনি ভুল বোঝেন নি।

আবারও আমরা ইংলিশ মাধ্যমে ফিরে যাচ্ছি। আমি বলব না ভুল। আমি বলব সুযোগ কজে লাগানোর সময় এখনও আছে। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় হতাম তাহলে আমি একটি ডিগ্রি নেয়ার জন্য থিসিস প্রজেক্ট করা বাদ দিয়ে প্রত্যেক বিভাগের প্রত্যেকটি ছাত্রকে নিজ নিজ ক্ষেত্রের একটি করে বই, একটি করে গবেষনা পত্র বাংলায় অনুবাদ করতে দিতাম। বিনিময়ে একটি ডিগ্রি পাবে তারা। কারন এসব থিসিস প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত থেকে আমার অধ্যাপকরা ঘরের বাইরে বেরই হতে পারছে না। কারন আমার জাতিকে তাদের দেবার মত, বলার মতো নতুন কিছু নেই। যা কিছু করছে আমেরিকান স্টিফেন হকিং রা। আর স্টিফেন হকিংদের কাজ জানার জন্য ইন্টারনেট আর সাইফুরস্‌ এর ইংলিশ কোচিং ই যথেষ্ট।

যতদিন আমরা ইংলিশে গবেষনা পত্র লিখব ততদিন কষাই আমেরিগোর আমারিকাই এই গবেষনা পত্রটির অর্থ বুঝতে পারবে। গবেষনার ফলাফলটি এই আমাদের কাছেই বিক্রি করবে। তখন প্রশ্নও করবে, এই মেশিন চালানোর জন্য দক্ষ লোকবল আছে তো তোমাদের? আমাদের তাও নেই। তখন বলবে তাহলে ১০০% পাস একটি জেনারেশন নিশ্চিত করুন। তবেই কাজ চলবে। অন্তত লাথি মেরে মেশিনটি ভাংবে না এতটুকু শিষ্ঠাচার তো শিখবে!!


একটি প্রশ্ন: প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়া দিনপন্জি লিখায় অভ্যস্ত ছিলেন। এর কোন কপি কি পাওয়া যাবে কোথাও?






মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


গবেষণা কে করেন, গবেষণাপত্র (থিসিস? ) কে লিখতে পারেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

গ্রীনলাভার বলেছেন: বিনোদনহীন লিখার অভিনয় চলছে।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

গ্রীনলাভার বলেছেন: আরও কিছু বলুন! সব আমব্লগারা পেটে ভাতেই চাকুরী করে? আর গোয়েন্দারা বসে বসে কয়েকটি শব্দ বাছছে - ও শব্দ গুলো কেউ লিখছি কিনা।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সাইফুরস এ কোচিং আমি করেছি। হি হি হি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: তাহলে কিছু তো অবশ্যই শিখেছেন। কোন কিছু অনুবাদ করছেন?

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাঙালী বড়ই এক অভাগা জাতি। শিক্ষা গ্রহণের ভাষা মাধ্যম এতো পরিবর্তন হয়েছে যে গবেষণা করবে কি অনুবাদ করতে করতেই জীবন শেষ।

কয়েক হাজার বছর আগে ছিলো বাংলা এবং হিন্দি। এরপর এলো আরবী। তারপরে ফার্সী। তারপরে ইংরেজী। সর্বশেষে উর্দু

স্বাধীনতার পর আবারো ইংরেজী মাধ্যম।

এরকম পরিবর্তন কত দিন চলতে থাকবে কেউ বলতে পারবে না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২১

গ্রীনলাভার বলেছেন: পরিনর্তনে সমস্যা নেই।
পরিবর্তন মেনে নিতে আমরা শিখিনি; আমরা অভ্যস্ত নই; এটা সমস্যা।
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ১৭ টি ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে পারতেন। উনার পরে আর কেউ উনার উত্তরাধিকার হইনি। এটা সমস্যা।
বিদেশে পড়াশুনা করে বাংলাদেশে এসে বিদেশীদের জন্যই গবেশনা পত্র লিখে একটি শ্রেনী নিজেদেরকে আলাদা ভাবতে শেখা সমস্যা।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

সব পরিবর্তনই জরুরী নয়। সব পরিবর্তন সবার জন্যে প্রযোজ্যও নয়।

পরিবর্তন করতে হবে ততটুকু যতটুকু দরকার

হুট করে কোন কাজ করাই উচিত হবে না।

ভাষা একটা মাধ্যম। ভাষা 'ব্যবহার' করে যে কোন মাধ্যম থেকেই জ্ঞান আহরণ করা যায়। আহরিত জ্ঞান চলতি ভাষাতেই মজুদ করে রাখতে হয়। এখন যদি সেই ভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন এক মাধ্যম থেকে আরেক মাধ্যমে জ্ঞান নিয়ে যেতে যেতেই জীবন শেশ হয়ে যায়। এভাবে কয়েকটা জেনারেশন আগে আহরিত জ্ঞানের সুবাস পেতে পারে না।

তাই, এই মাধ্যম হঠাৎ করে পরিবর্তন করলে বেশির ভাগ মানুষই বিপদে পড়বে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: শিক্ষিত যুবকেরা যখন বাংলিশ হয়ে যাচ্ছে তখন এটা কাকের নিজের হাটা ভুলে যাবার মতোই সমস্যা। ভাগ্য বশত আমরা মানুষ। ভুলকে শুধরাতে পারি। মাঝে থেকে এক/দুই জেনারেশন হতাশায় নিমজ্জিত থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.