নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নয়দুয়ারি

গ্রীনলাভার

আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।

গ্রীনলাভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাই (নূহের মতো) ধৈর্যধারন করো। শুভ পরিনতি তো শুধু আল্লাহ সচেতনদের জন্যেই। [১১:৪৯]

১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬



বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। রহমান রহিম আল্লাহর নামে।

২৫-২৬: (এই একই বানী দিয়ে) নূহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে রসুল হিসেবে পাঠিয়েছিলাম। নিজ সম্প্রদায়কে সে বলল, আমি তোমাদের স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করছি, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর ইবাদত করবে না। যদি অন্য কিছুর উপাসনা করো, তবে মহাবিচার দিবসে তোমরা কঠিন আজাবের সম্মুখীন হবে।

২৭: সম্প্রদায়ের নেতারা ছিল সত্য অস্বীকারকারী। তারা নূহকে বলল, 'তুমিতো আমাদের মতোই একজন মানুষ। আর তোমাকে যারা অনুসরন করছে, তারা সমাজের নিম্ন শ্রেনীভুক্ত। কোনো ক্ষেত্রেই তোমাদেরকে আমাদের চেয়ে অগ্রসর মনে হচ্ছে না। বরং আমরা তোমাকে মুথ্যুকই মনে করি।'

২৮: নূহ বলল, 'হে আমার সম্প্রদায়! আমি আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমানের উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি আমাকে (নবুয়তের) রহমত দান করেছেন। এখন তোমরা যদি তা বুঝতে না পারো আর তা মানতে না চাও, তবে আমার ইচ্ছা কি আমি তোমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারি?'

২৯-৩০: 'হে আমার সম্প্রদায়! আমি এই বানীর বিনিময়ে তোমাদের কাছে তো কোনো ধনসম্পত্তি চাই নি। আমার পারিশ্রমিক দেয়ার মালিক তো শুধু আল্লাহ। আর আমাকে যারা বিশ্বাস করেছে, তাদের তাড়িয়ে দেওয়াও আমার কাজ নয়। তারা নিশ্চিতভাবেই তাদের প্রতিপালকের কাছে হাজির হবে। অথচ ভালো-মন্দ বিচার-বিবেচনায় তোমরা একেবারেই অসচেতন। হে আমার সম্প্রদায়! যদি আমি বিশ্বাসীদের তাড়িয়ে দেই, তবে আল্লাহর শাস্তি থেকে কে আমাকে রেহাই দেবে? তোমরা কি এই সহজ বিষয়টাও বুঝতে পারো না?'

৩১: (নূহ আরো বলল) 'আমি তোমাদের বলিনি যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভান্ডার আছে বা গায়েব সম্পর্কে আমি জানি। আর ফেরেশতা হওয়ার দাবিও আমি করিনি। আর এটাও বলতে পারব না যে, তোমরা যাদের অবজ্ঞা অবহেলা করছ, আল্লাহ তাদের কখনো অনুগ্রহ-সম্পদ দেবেন না। কারন তাদের জন্যে যা (সম্ভাবনা) আছে, আল্লাহ তা ভালোভাবেই জানেন। অতএব তোমাদের ইচ্ছা অনুসারে কথা বললে নিঃসন্দেহে আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবো।'

৩২: (নূহের কথা শুনে) সম্প্রদায়ের নেতারা উত্তেজিত হয়ে বলল, 'হে নূহ! তুমিতো আমাদের সাথে তর্ক করছ আর বিতর্কটাকে করছ অহেতুক দীর্ঘায়িত। এসব বাদ দাও। তুমি সত্যবাদী হলে নিয়ে এসো সে আজাব, যার ভয় তুমি আমাদের দেখাচ্ছ।'

৩৩-৩৪: জবাবে নূহ বলল, 'আল্লাহই এই আজাব প্রেরন করবেন, যখন তিনি ইচ্ছা করবেন। আর তখন এই আজাব ঠেকানো তোমাদের কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না। আমার সৎ উপদেশ তোমাদের কোনো উপকারে আসবে না, যদি আল্লাহ তোমাদের পথভ্রষ্ট হতে ছেড়ে দেন। তিনিই তোমাদের প্রতিপালক এবং তার কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে।'

৩৫: (হে নবী!) মক্কার সত্য অস্বীকারকারীরা কি বলছে যে, তুমি কোরআন রচনা করেছ? ওদের বলো, আমি যদি রচনা করে থাকি, তবে এ অপরাধের জন্য আমিই দায়ী হবো। আর তোমরা যে অপরাধ করছ, তার দায়িত্ব থেকে আমি পুরোপুরি মুক্ত।

৩৬-৩৭: নূহের প্রতি অহি প্রেরন করা হলো - যারা ইতিমধ্যেই তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তারা ছাড়া নতুন করে আর কেউ বিশ্বাস স্থাপন করবে না। অতএব ওদের অপতৎপরতায় তুমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত হয়ো না। তুমি আমার তত্ত্বাবধানে আমার প্রত্যাদেশ অনুসারে জাহাজ বানাতে শুরু করো এবং কোনো পাপিষ্ঠের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো সুপারিশ করো না। ওরা সবাই ডুবে মরবে।

৩৮-৩৯: নূহ জাহাজ বানাতে শুরু করল। যখন সম্প্রদায়ের নেতারা সেখান দিয়ে যেত, তখন তারা উপহাস করত। নূহ তাদেরকে বলল, এখন তোমরা উপহাস করছ? করো। আমরাও উপহাস করার সময় পাব। সময় এলেই তোমরা জানতে পারবে, (এই পৃথিবীতে) কার উপর অপমানকর আজাব নিপতিত হবে আর (পরকালে) কে স্থায়ী আজাবে নিপতিত হবে।

৪০: অবশেষে আমার নির্দেশে জমিন থেকে স্রোতের মতো পানি উঠতে লাগল, প্লাবন শুরু হলো। আমি নূহকে বললাম, প্রত্যেক জীব থেকে এক জোড়া করে জাহাজে উঠাও। যাদের শাস্তি স্থির হয়ে আছে তাদের ছাড়া পরিবারের সকল সদস্য এবং বিশ্বাসীদের নিয়ে জাহাজে আশ্রয় নাও। অবস্য খুব কম সংখ্যক মানুষই নূহকে বিশ্বাস করেছিল।

৪১: নূহ (তার অনুসারীদের) বলল, জলদি জাহাজে উঠো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক দয়াময়, ক্ষমাশীল।

৪২: পর্বতপ্রমান তরঙ্গমালার মাঝে জাহাজ তাদেরকে নিয়ে ভাসতে লাগল। সেই মুহুর্তে দুরে অবস্থানকারী পুত্রকে লক্ষ করে নূহ (চিৎকার করে) বলল, 'হে আমার পুত্র! তাড়াতাড়ি আমাদের সাথে এসো। জাহাজে উঠো। সত্য অস্বীকারকারীদের সাথে থেকো না।'

৪৩: (কিন্তু পুত্র) বলল, আমি এখনই উঁচু পাহাড়ে আশ্রয় নিব, যা আমাকে প্লাবন থেকে রক্ষা করবে। নূহ বলল, আজ আল্লাহর সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করার কেউ নেই। শুধু সে-ই রক্ষা পাবে, যাকে আল্লাহ দয়া করবেন। এরপর এক বিশাল ঢেউ আড়াল করে ফেলল তাদের। আর পুত্রও ডুবে গেল।

৪৪: এরপর আদেশ হলো, 'জমিন! পানি শুষে নাও। আকাশ! ক্ষান্ত হও (পানিবর্ষন বন্ধ করো)!' বন্যার পানি হ্রাস পেতে শুরু করল। যা হওয়ার তাই হলো। জাহাজ গিয়ে ভিড়ল জুডি পাহাড়ে। বলা হলো, জালেমরা নিপাত যাক!

৪৫: নূহ তার প্রতিপালকে কাছে আরজ করল, 'হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্রতো আমার পরিবারেরই একজন! ওদিকে তোমার ওয়াদাও সত্য। নিশ্চয়ই তুমি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক।'

৪৬: আল্লাহ জবাবে বললেন, 'হে নূহ! সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়। সে-তো দুরাচারীদের একজন। অতএব যে বিষয়ে তুমি জানো না, সে-বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করো না। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, নিজেকে অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত কোরো না।'

৪৭: নূহ সাথে সাথে বলল, 'হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে অনুরোধ করা থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ চাই। তুমি ক্ষমা না করলে, দয়া না করলে নিশ্চয়ই আমি ক্ষতিগ্রস্থ হবো।'

৪৮: এরপর এরশাদ হলো, 'হে নূহ! জাহাজ থেকে নেমে পড়ো। আমার তরফ থেকে সালাম। বরকতে পুর্ন হবে তোমার ও তোমার সাথে অবতরনকরীদের (এবং তাদের সৎকর্মশীল উত্তরসূরিদের) জীবন। অন্যদের (উত্তরসূরিদের মধ্যে যারা দুরাচারী হবে, তাদের) কিছু সময়ের জন্যে জীবন উপভোগ করতে দেব, কিন্তু পরে কঠিন আজাব তাদের আলিঙ্গন করবে।'

৪৯: (হে নবী!) গায়েবের এ সংবাদ আমি ওহীর মাধ্যমে তোমাকে জানাচ্ছি, যা তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানত না। তাই (নূহের মতো) ধৈর্যধারন করো। শুভ পরিনতি তো শুধু আল্লাহ সচেতনদের জন্যেই।

[সূরা হূদ-১১: আয়াত ২৫-৪৯]

[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]

[ক্যালিগ্রাফি - ইন্টারনেট থেকে]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মেহনত আল্লাহ কবুল করুক।

১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: আপনাকে দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.