নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নয়দুয়ারি

গ্রীনলাভার

আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।

গ্রীনলাভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা যেমন (এই কিতাবকে) প্রথমবার বিশ্বাস করেনি, তেমনি ওদের অন্তর ও দৃষ্টি (অবিদ্যায়) আচ্ছন্ন হওয়ায় ওরা অবাধ্যতার কারনে শুধু বিভ্রান্তির মধ্যেই ঘুরপাক খাবে। [৬:১১০]

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।


৯৫: নিশ্চয়ই আল্লাহ শস্যদানা ও বীজকে অঙ্কুরিত করেন। নিষ্প্রান থেকে প্রানকে উম্মেষ ঘটান আবার (দুরন্ত) প্রানকে করেন প্রানহীন। এ সর্বময় কর্তৃত্ব তো শুধু আল্লাহর। তারপরও কত বিকৃত ভ্রান্ত চিন্তা করে তোমাদের মন!

৯৬: (রাতের আবরন সরিয়ে) তিনিই প্রভাতের উম্মেষ ঘটান। বিশ্রামের জন্য তিনিই রাতকে ঢেকে দেন আঁধারে। গননার জন্য তিনিই সুর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন। মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের জ্ঞান দ্বারা এ সবকিছুই সুবিন্যস্ত।
৯৭: তিনি নক্ষত্ররাজি সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা জলে স্থলে অন্ধকারে পথের দিশা পাও। জ্ঞান অন্বেষনকারীদের জন্যে আমি আমার নিদর্শনসমূহ সুস্পষ্টভাবেই বর্ননা করছি।

৯৮: তিনি এক ব্যক্তি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস। জ্ঞান অন্বেষনকারীদের জন্যেই আমি এত সুস্পষ্টভাবে সত্যের বয়ান করছি।

৯৯: তিনিই আকাশ থেকে পানিবর্ষন করেন। আর সে পানি অঙ্কুরোদগম ঘটায় সকল প্রকার বীজ ও শস্যদানার। সবুজ পত্রপল্লবে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে চারা। চারা বড় হতে হতে ভরে উঠে ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা আর বীজে। আর তিনি খেজুর গাছের মাথি থেকে ঝুলন্ত কাঁদি বের করেন, যা পরিপক্ক হয়ে নুয়ে পড়ে। তিনি বিকশিত করেছেন আঙ্গুর, জয়তুন ও আনারের বাগান। ফলগুলোর বৈশিষ্ট্যের দিকে তাকাও, কোনোটা একে অপরের মতো আবার কোনোটার একেবারেই ভিন্নরুপ। যখন ফল ধরে আর যখন ফল পাকে এর প্রতি গভীর ভাবে তাকাও। বিশ্বাসীদের জন্যে এর মধ্যেই রয়েছে আল্লাহর মহিমার নিদর্শন।

১০০: কিছু কিছু মানুষ সব ধরনের অদৃশ্য সত্তাকে (জ্বীনকে) আল্লাহর শরিক করে, অথচ তিনিই এদের সৃষ্টি করেছেন। আর ওরা অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পুত্র-কন্যা কল্পনা করেছে, অথচ আল্লাহ এসব (তুলনা ও সীমাবদ্ধতা) থেকে পবিত্র, মহামহান।

১০১: আল্লাহই মহাবিশ্বের সবকিছুর স্রষ্টা (একক, অদ্বিতীয়)। তাঁর সন্তান হবে কেমন করে? তার তো কোনো সাথি নেই। তিনিই তো সবকিছুর স্রষ্ঠা। সবকিছু সম্পর্কেই তিনি সবিশেষ ওয়াকিবহাল।

১০২-১০৩: এ সবই হচ্ছে তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর মহিমা, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। অতএব তোমরা শুধু তারই ইবাদত করো। তিনি সবকিছুর কর্মবিধায়ক। কোনো মানবীয় জ্ঞান তাঁর সম্পর্কে ধারনা করতে সক্ষম নয়। কিন্তু সকল মানবীয় জ্ঞানই তাঁর আওতাধীন। তিনি অতিশয় সুক্ষদর্ষী, সব বিষয়ে পরিপুর্ন ওয়াকিবহাল।

১০৪: (এ ওহীর মাধ্যমে) তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে অন্তর্দৃষ্টি উম্মোচনকারী আলো এসে উপস্থিত হয়েছে। যে দেখবে (এ আলোয় আলোকিত হবে) সে কল্যান লাভ করবে। আর যে চোখ বন্ধ করে রাখবে, সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (অতএব হে নবী! অন্তর্দৃষ্টিতে ঠুলি লাগানো এই অন্ধদের বলো) 'আমি তোমাদের পাহাড়াদার নই।'

১০৫: আমি এভাবেই সত্যকে বিভিন্ন আঙ্গিকে বুঝিয়ে বলি। ওরা বিদ্বেষবশত বলবে যে, তুমি এসবকিছু কারো কাছ থেকে পড়ে এসেছ। আর জ্ঞান অন্বেষনকারীরা প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করবে। ১০৬: অতএব (হে নবী!) তোমার প্রতি যে ওহী নাজিল হয়েছে, তা-ই অনুসরন করো। কেননা এক আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহর সাথে যারা শিরক করে তাদের থেকে দুরে থেকো। ১০৭: আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন তবে তারা শিরক করত না। তাছাড়া তোমাকে ওদের পাহাড়াদারও নিযুক্ত করা হয়নি। ওদের কোনো কাজের দায়দায়িত্বও তোমার উপর বর্তায় না।

১০৮: (আর হে বিশ্বাসীরা! স্পষ্ট করে শুনে রাখো) আল্লাহকে বাদ দিয়ে ওরা যাদের উপাসনা করে, ওদের (সে দেবতাদের) গালি দিও না। যদি দাও তাহলে ওরা অজ্ঞতাবশত (বাড়াবাড়ি করে) আল্লাহকে গালি দেবে। আমি প্রত্যেক মানবগোষ্ঠীর জন্যেই তাদের কার্যকলাপকে শোভন ও চাকচিক্যময় করার সুযোগ করে দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন।

১০৯: ওরা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে, ওদের কাছে যদি কোনো অলৌকিক নিদর্শন উপস্থাপন করা হয়, তবে ওরা অবশ্যই (এই কিতাবে) বিশ্বাস করবে। হে নবী! ওদের বলো, 'আলৌকিক নিদর্শনাবলি তো শুধু আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।' আর তোমাদের জানা থাকা ভালো, এমনকি ওদের সামনে কোনো অলৌকিক নিদর্শন উপস্থিত করা হলেও ওরা তা বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নয়। ১১০: ওরা যেমন (এই কিতাবকে) প্রথমবার বিশ্বাস করেনি, তেমনি ওদের অন্তর ও দৃষ্টি (অবিদ্যায়) আচ্ছন্ন হওয়ায় ওরা অবাধ্যতার কারনে শুধু বিভ্রান্তির মধ্যেই ঘুরপাক খাবে।

[সুরা আনআম-৬: ৯৫-১১০]

[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]


মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

নাঈম মুছা বলেছেন: সুরার নামটা টাইপ করতে গিয়ে হয়ত ভুল হয়েছে। এডিট করে নিন না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাকে আরও সচেতন করে তুলুন।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১০৮: (আর হে বিশ্বাসীরা! স্পষ্ট করে শুনে রাখো) আল্লাহকে বাদ দিয়ে ওরা যাদের উপাসনা করে, ওদের (দেবতাদের) গালি দিও না। যদি দাও তাহলে ওরাও আল্লাহকে গালি দেবে।
আমি প্রত্যেক মানবগোষ্ঠীর জন্যেই তাদের কার্যকলাপকে শোভন ও চাকচিক্যময় করার সুযোগ করে দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তাদের সকল কৃতকর্ম অবহিত করবেন।

আল্লাহও বুঝে। মুমিনদের ভেতরেই বিতাড়িত শয়তানের শয়তানী। তাই লিখিত ভাবে সাবধান করেছিলেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১২

গ্রীনলাভার বলেছেন: আপনি ধরতে পেরেছেন। আফসোস, আমি তা ধরতে পারিনি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩১

গ্রীনলাভার বলেছেন: আর আল্লাহ প্রত্যেক মানবগোষ্ঠীর জন্য তাদের কার্যকলাপকে শোভন ও চাকচিক্যময় করার সুযোগ দিয়েছেন।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, আমাকে একটা ভালো বাংলা অনুবাদ কোরান শরীফের সন্ধান দিতে পারবেন।
আমার একটা ছিল, সেটা একজন নিয়ে গেছে। আর ফেরত দেয়নি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: অবশ্যই। আমি যেটি এখন পড়ছি - আল কোরআন বাংলা মর্মবানী - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক।

রকমারী তে এর লিংক

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮

বাঙালি বেদুঈন বলেছেন: আমি ব্লগে নতুন। পবিত্র কুর'আনের থেকে দারুণ কতগুলো আয়াত উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

গ্রীনলাভার বলেছেন: সময়ের সাথে আপনিও পুরনো হবেন।
ধন্যবাদ। আমাদের প্রত্যেককে কোরআন পড়া উচিত। বাংলায়ও চর্চা করা উচিত।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার পরিশ্রম ভালো লাগ্লো। ভাল কর্ম। আল্লাহ নিশ্চয় প্রতিদান দিবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

গ্রীনলাভার বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি শুধু কর্তব্য মনে করেছি।
আমিন।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট দিয়েছেন। কোরআনের বানী
আল্লাহর প্রেরিত সুন্দর সত্য মানুষের কল্যানের
জন্য নির্ধারিত। সারা মহাবিশ্ব সৃস্টির যা কিছু
কল্যানকর সবই সৃস্টি কর্তার মহান সৃস্টির
অভূতপূর্ব রহশ্য লুকায়িত। যা মানুষের জ্ঞান
পরিধির বাইরে। বস্তুবাদী মহা বিজ্ঞানীরা আজও
শুধু পৃথিবীর অনেক অনেক রহশ্য উদঘাটনে
অক্ষম,আজও বিজ্ঞানীরা সাগরের তলদেশে
পৌছাতে পারে নাই। বাড়মুডা ট্রায়াংগল রহশ্য
স্টারদীপ রহশ্যই রয়েগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

গ্রীনলাভার বলেছেন: আমরা মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আরো অগ্রসর হব। আল-কোরআনই আমাদেরকে পথ দেখায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.