![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
পরম দয়াময় আল্লাহ। ২: তিনি কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। ৩: তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। ৪: তিনি তাকে (গুছিয়ে চিন্তা করতে ও) স্পষ্টভাবে কথা বলতে শিখিয়েছেন। ৫: সুর্য ও চন্দ্র নির্ধারিত কক্ষপথে ভাম্যমান। ৬: তারকা ও গাছপালা তাঁকেই সেজদারত (তাঁর নিয়মেই সমর্পিত)।
৭: তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং সবকিছুর জন্যেই তৈরি করেছেন মানদন্ড। ৮: তোমরা কখনো ভাল-মন্দ বিচারে ন্যায়দন্ড লঙ্ঘন করো না। ৯: সবকিছুর ওজনে ন্যায্যমান প্রতিষ্ঠা করো এবং ওজন বা বিচারে কারচুপি করো না।
১০: তিনি জমিনকে সমস্ত সৃষ্টির জন্যে বিছিয়ে দিয়েছেন। ১১: জমিনে রয়েছে সবধরনের ফলমুল, খেজুর গাছে নতুন কাঁদি। ১২: নানাধরনের খোসা-আবৃত শস্যদানা আর সুগন্ধি লতাগুল্ম। ১৩: অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
১৪: তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়ামাটির মতো শুকনো মাটি দিয়ে। ১৫: আর অদৃশ্য জ্বীনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াহীন আগুনের শিখা থেকে। ১৬: অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
১৭: তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্ত্রক। ১৮: অতএব তোমারা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
১৯: সমুদ্রের দুই বিশাল স্রোতধারাকে তিনি মুক্তভাবে প্রবাহিত করেন, যাতে, তারা পরস্পর মিলিত হতে পারে। ২০: কিন্তু মাঝে রয়েছে অদৃশ্য দেয়াল, ফলে তারা পরস্পরকে অতিক্রম করতে পারে না। ২১: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
২২: আর সমুদ্রে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল। ২৩: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
২৪: সমুদ্রে চলমান পর্বতের মতো শোভাময় নৌযানগুলো তাঁরই নিয়ন্ত্রনাধীন। ২৫: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
২৬: মহাবিশ্বে যেখানে যা-কিছু আছে সবই নশ্বর। অবিনশ্বর শুধু তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহামহিম, মহানুভব। ২৮: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
২৯: মহাবিশ্বের সবকিছুই তাঁর ওপর নির্ভরশীল, তাঁরই নিকট প্রার্থনা করে। সময়ের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর মহিমা নব নবরুপে দীপ্যমান। ৩০: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৩১: হে (পাপভারাক্রান্ত) জ্বীন ও মানুষ! একদিন আমি তোমাদের সবারই হিসাব নেব। ৩২: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৩৩: হে জ্বীন ও মানুষ! তোমরা যদি পৃথিবী ও নভোমন্ডলের সীমানা অতিক্রম করতে চাও, অতিক্রম করো। কিন্তু তোমরা কখনোই আমার অনুমতি ছাড়া তা অতিক্রম করতে পারবে না। ৩৪: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৩৫: (তখন) তোমাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিশিখা ও ধুম্রপুঞ্জ, তোমরা কখনোই তা প্রতিরোধ করতে পারবে না। ৩৬: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৩৭: আর একদিন আকাশ বিদীর্ন হয়ে (তেল-পোড়া আগুনের মতো) গনগনে লাল হয়ে যাবে। ৩৮: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৩৯: সেদিন কোনো জ্বীন বা মানুষকে তার পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হবে না। ৪০: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৪১: পাপে নিমজ্জিতদের চেহারাই বলে দেবে তাদের অবস্থা। তাদের চুলের ঝুটি ও পা ধরে টেনেহিচঁড়ে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হবে। ৪২: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৪৩: এই সেই জাহান্নাম, যা পাপে নিমজ্জিত ব্যক্তিরা অসত্য মনে করত। ৪৪: জাহান্নামের আগুন ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ওরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকবে। ৪৫: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৪৬: কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহ-সচেতন ছিল, তার জন্যে জান্নাতে রয়েছে দুটি বাগান। ৪৭: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৪৮: উভয় বাগানই শাখাপ্রশাখায় পরিপুর্ন সবুজ সতেজ গাছপালায় ভরপুর। ৪৯: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৫০: উভয় বাগানে দুটি স্রোতধারা নিয়ত প্রবাহমান। ৫১: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫২: উভয় বাগানেই প্রতিটি ফলই হবে দুই ধরনের। ৫৩: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৫৪: জান্নাতে তারা বর্নিল ব্রোকেড করা পুরু রেশমি কার্পেটে ঠেস-বালিশে আরামে হেলান দিয়ে বসবে। দুই বাগানের ফল ঝুলবে তাদের নাগালের মধ্যে। ৫৫: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫৬: সে বাগানে থাকবে বিশুদ্ধ দৃষ্টির সমুজ্জল সাথিরা। কোনো জ্বীন বা মানুষ কখনো যাদের কাছে আসে নি। ৫৭: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫৮: ওরা হবে মুক্তা ও চুনির ঔজ্জ্বল্যে দীপ্তিময়। ৫৯: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৬০: উত্তম কাজের প্রতিফল উত্তম পুরষ্কার ছাড়া আর কী হতে পারে? ৬১: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৬২:ঐ দুটি বাগান ছাড়াও থাকবে আর দুটো বাগান। ৬৩: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৬৪: ঘন সবুজ শ্যামল সতেজ বাগান। ৬৫: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৬৬: প্রতিটি বাগানেই উৎসারিত হবে দুটি ঝর্নাধারা। ৬৭: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৬৮: সেখানেও থাকবে প্রচুর ফলমূল, খেজুর, আনার। ৬৯: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৭০: (বাগানগুলোর) সবকিছুই হবে পরিশুদ্ধ ও মনোহর। ৭১: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৭২: সুসজ্জিত বর্ণিল তাঁবুতে থাকবে পরিশুদ্ধ সমুজ্জ্বল সাথিরা। ৭৩: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৭৪: কোনো জ্বীন বা মানুষ কখনো এদের কাছে আসে নি। ৭৫: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৭৬: তারা সুন্দরতম গালিচায় সবুজ তাকিয়ায় পরম প্রশান্তিতে হেলান দিয়ে বসবে। ৭৭: অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
৭৮: কত বরকতময় তোমার প্রতিপালকের নাম, যিনি মহামহিম, মহানুভব।
[সুরা আর রহমান-৫৫]
[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
গ্রীনলাভার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি আমি পড়ব।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সূরা বাকারা'র অনুবাদ চাই। অপেক্ষায় আছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
গ্রীনলাভার বলেছেন: সুরা বাকারা - আমার জন্যে খুবই ভারী গুরু গম্ভীর একটি সুরা। ধাপে ধাপে লিখব।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
আমিনভাই বলেছেন: এতোগুলি আয়াত না দিয়ে কয়ে একটা আয়াত বেখখা সহ দিন ভালো হবে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২০
গ্রীনলাভার বলেছেন: তাফসির এবং ব্যখ্যা-তেও আসব ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ারে!

বাংলা অনুবাদে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। যার কারণে ভাবনাও ভিন্ন হয়েছে দলে দলে...
জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার কারণেই এ ভিন্নতা!
সদরুদ্দিন চিশতি রহ: এর অনুবাদে বস্তুগত বিষয়গুলৌ প্রকৃত ভাবার্থ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে।
পরলে পড়ে দেখবেন।
ভাবনার বহুমূখি ডালপালা মেলে
+++