![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
বেশ কয়েকদিন যাবত আমরা অফিসের বড়! বড়!! এন্জিনিয়াররা ইনোভেশন নিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে অফিস মাথায় তুলে ফেললাম। শয়নে-স্বপনে-বসে শুধু ইনোভেশন থেকে আসা টাকা গুনতে শুরু করলাম। তো, কোন এক টিভি চ্যানেলে ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের প্রধান কারন গুলোর একটি কারন হিসেবে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংকে দায়ি করা দেখে মাথায় একটি মোবাইল এপের আইডিয়া খেলে গেল। ঘন্টা দুই বসে খাতা পেন্সিল নিয়ে আইডিয়াটি স্কেচও করে ফেললাম। আমার স্ত্রীর কৌতুহলেরও শেষ নেই। আমি পরে বলব বলে উল্টোদিকে ফিরে ঘেচ ঘেচ করে ৫-৬ পাতা আকাআকি করে ফেললাম।
পরেরদিন অফিসে গেলাম। সবচেয়ে সুবোধ ডেভেলপারটিকে চায়ের টেবিলে বসিয়ে একেবারে লাভ-ক্ষতির হিসাব সহ পরিকল্পনাটির খুটিনাটি বুঝিয়ে বললাম। সেও আইডিয়াটিকে পজেটিভ হিসেবে নিয়েছে বলে আমাকে আস্বস্ত করল। এরপর সারাদিন এরওর সাথে আইডিয়াটি শেয়ার করলাম। সন্ধা নাগাদ সবচেয়ে কুটিল কলিগের সাথে ফেরার পথে আইডিয়াটি শেয়ার করলাম। সাথে সাথে সে এরকম দুইটি এপ আছে বলে মোবাইল বের করে দেখিয়ে দিল। আমার সব আশা গুড়েবালি।
তো, আমার কলিগটি তা বুঝতে পেরে এপটির কিছু মজার রিভিউ পড়ে শোনাল। একটি রিভিউ ছিল এরকম - বালের এপ। যাইহোক, বালের এপ আর ভগ্ন হৃদয় নিয়ে বাসায় এসে বসে বসে ইউটিউবে মজার জোকস দেখতে থাকলাম। তো একটি জোকস এরকম -
: বলতো দেখি, বাংলাদেশের চুলের ডাক্তার আর ভারতীয় চুলের ডাক্তারের মধ্যে পার্থক্য কি?
: কি আবার? বাংলাদেশের চুলের ডাক্তার ভারতে গেলে বালের ডাক্তার হয়ে যায়।
পরিশেষ:
আমার ব্রেইনটির মেমরি অংশটি ভোলাটাইল টাইপের। তাই আমার সাথে প্রচন্ড শক খাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কিছুক্ষন পর তা ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক মানুষের মতোই আচরন করে দেখাতে পারি। ডাক্তার দেখিয়েছিলাম; বলল, আমার শর্ট টার্ম মেমরি কাজ করছে না। ডাক্তারের এই আতংকজনক কথাটিও আমি ভুলে যাই এবং ভালই থাকি।
ও হ্যা, আমার স্ত্রীকে আইডিয়াটি এখনও বলা হয়নি - কথাটি এভাবে না বলে এভাবে বলা যায় - আমার স্ত্রীকে আইডিয়াটি বলার কথা মনে থাকে না।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩
গ্রীনলাভার বলেছেন: বুদ্ধি গুলো কাজে লাগিয়ে কিছু পয়সা আয় করতে পারলে ভাল হতো।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
বাংলার মেলা বলেছেন: রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ইউনিফর্ম পরা ঠোলাগুলিকে আগে মানুষ হতে হবে। শুধু ট্রাফিক সিগন্যাল আর সিসি টিভি বসিয়ে ঠোলাগুলোকে সরিয়ে দিলেই রাস্তায় আর যানজট থাকবেনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
গ্রীনলাভার বলেছেন: অফিসটাইমে ও অন্যসময়ে বাসার খালি গেরাজগুলো ভাড়ায় গাড়ী রাখতে দেবে। রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ী পাকিং এর একধরনের সমাধান হতে পারে এটি।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
নয়া পাঠক বলেছেন: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা, মাসে ৫০-৬০ ঘণ্টা বছরে ৬০০-৭২০ ঘণ্টা! কে দেবে মূল্যবান জীবনের অপব্যয়িত এই সময়ের মূল্য!
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যানজট নিয়ে আমার দুটো লেখা আছে, অনেক কষ্ট করে স্পটে যেয়ে ছবি সহ দিয়েছিলাম, অনেক সময় নিয়ে লেখা -
নাগরিক চলাচল ভোগান্তি কমাতে আমার নিজস্য কিছু ভাবনা
রাস্তা দখল করে বাস ডিপো। ত্রুটিপুর্ন বাসরুট, একটি প্রস্তাব
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ।