নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধরার ৯৯.৯৯ জন মানুষ ই স্বার্থপর- আল্লহর খাস বান্ধা ব্যাতিত সবাই সব কাজেই নিজের লাভ খোঁজে।

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)

বোরহান উদদীন

সুখ শান্তি পৃথিবীতে পাওযার কথা না, সুখ শান্তি তো পরকালের জন্য, এই সুখের জন্য অস্স্থায়ী পৃথিবীতে পাপের পথে পা না বাড়ানোই শ্র্রেও !

বোরহান উদদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বন মোরগ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩১



কোনো এক শিকারির ফাঁদে ধরা পড়ার পর বন মোরগটি বিক্রির জন্য তোলা হয় খাগড়াছড়ির রামগড় বাজারে।



বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বনমোরগ। বনমোরগ পাখি নয়, অথচ গাছে গাছে উড়ে বেড়াতে পারে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বংশবিস্তারসহ নিজেদের রক্ষা করে বনেই স্থায়ী আবাস বনমোরগের। সাধারণ মোরগের মতোই বনমোরগ। কিন্তু স্বভাব অনেকটা ভিন্ন। গৃহপালিত মোরগ যতটা অলস, বনমোরগ ততটা অলস নয়, বরং অত্যন্ত চালাক। বনের মধ্যেই বাঁচা-মরা, যুদ্ধ করা আর বন্যপ্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা, সন্তানদের নিরাপদ রাখার জন্য বনমোরগ অনেকটা হিংস্র প্রাণীর মতো হয়। দেখতে আমাদের গৃহপালিত মোরগ-মুরগির মতোই। তবে মোরগের লেজের দুটি পালক লম্বা। বনমোরগ পাহাড়, টিলা, চা-বাগান এবং প্রাকৃতিক গভীর বনের কাছাকাছি নিরাপদ খোলা মাঠে একাকী, জোড়ায় ও দলবদ্ধভাবে চরে বেড়ায়। সকালে ও সন্ধ্যার আগে বনের কাছাকাছি খোলা জায়গায় খাবারের সন্ধানে বের হয়। একটি দলে ৬টি মুরগি ও একটি মোরগ থাকে।



খাদ্য হিসেবে বনের পোকা-মাকড়, ফল-মূল খেয়েই জীবনধারণ করে বনমোরক। এদের প্রধান খাদ্য ফল, বীজ, শস্যকণা, কচি পাতা, কেঁচো ও কীটপতঙ্গ। শীতের সময় কুয়াশা থাকাবস্থায় খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। বনের কোনো গাছতলায় পাকা ফল ঝরে পড়া শুরু করলে বনমোরগ-মুরগি প্রতিদিন সকাল-বিকাল সেই গাছতলায় আসে। আবার বনের বড় গাছে উঠেও ফল খায়। যেখানে ঘন বন, সেখানেই বন মোরগ আবাস গড়ে তোলে। বনমোরগ পাখি নয়, তবে নিজের প্রয়োজনে খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে এবং উড়তে পারে অনেক ওপরে। উড়ে যেতে পারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।



বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ায় বনমোরগের দেখা মেলে। পাহাড়ের পাদদেশে ঘন প্রাকৃতিক ঝোপের ভেতর মাটিতে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এরা বাসা তৈরি করে। ছয়-সাতটি ডিম দেয়। বনমুরগি শুধু ডিমে তাপ দেয় ও ছানাদের লালন-পালনে ব্যস্ত থাকে। ডিম থেকে ছানা ফুটতে ২০-২১ দিন সময় লাগে। ছানারা বাসা থেকে নেমেই খাবার খেতে পারে।

বাংলাদেশে সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজারের পাথারিয়া বনাঞ্চল, লাঠিটিলা, লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, বালিশিরাসহ চিরসবুজ বন, চা-বাগান ও চট্টগ্রাম-খুলনা অঞ্চলের মধুপুর শালবন ও সুন্দরবনে বনমোরগ বাস করে। সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনে গিয়ে বনমোরগের দেখা মেলে মাঝেমধ্যে। কিন্তু এই প্রাণীগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে বনরাক্ষুসীরা। অব্যাহতভাবে বনাঞ্চল উজাড় আর শিকারিদের অপতৎপরতার কারণে বিপন্ন এই প্রজাতির বনমোরগ। বনাঞ্চলে তারা পাচ্ছে না নিরাপদে বাঁচার পরিবেশ। বিশেষ করে স্থানীয় আদিবাসীদের শিকারের মধ্যে বনমোরগ-মুরগি অন্যতম। এটি তাদের নিয়মিত শিকারের পাখি। প্রাকৃতিক বনে বাস করা বনমুরগি আদিবাসীরা শিকার করেই ক্ষান্ত হয় না, মোরগের বাসা খুঁজে বের করে তাদের ডিমগুলোও খেয়ে ফেলে। তা ছাড়া বন এলাকার বাঙালিরাও বনমোরগ-মুরগি ধরতে প্রতিদিন নানা রকমের ফাঁদ পাতে। ঘরে পোষা মুরগি থাকা সত্ত্বেও বনের এই পাখির প্রতি লোকের লোভের সীমা নেই। ফলে কমে গেছে এদের সংখ্যা। পড়ে গেছে বিপন্ন পাখির তালিকায়।

আমাদের উচিৎ সময় থাকতে বন মোরগ সহ বনের বিভিন্ন পশু-পাখিকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে টিকিয়ে রাখি।

------------------

--------------------------------

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। জীব বৈচিত্র রক্ষা কার সকলের দায়িত্ব।

+++

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৪১

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাল লাগার জন্যে ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৫৯

সৌম্য বলেছেন: রুমা, থানছি, রেমাক্রি অঞ্চলে অনেক। মদক অঞ্চলে ভুরি ভুরি দেখেছি। একটাকে গ্রামের কারবারী আমাদের জন্যে রেঁধেও আনছিল। কিন্তু খেয়ে মজা লাগে নি। যারা বিপন্ন তালিকা করে তারা কতোটা বনে জঙ্গলে ঘুরে পাখি খুঁজে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৬

বোরহান উদদীন বলেছেন:

হা ভাই, যারা বিপন্ন তালিকা করে তারা কতোটা বনে জঙ্গলে ঘুরে পাখি খুঁজে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। কিন্তু বিষয়টি মনের মাঝে দারুণ ভাবে আগাত দিয়েছে তাই এই বিষয়ে লিখলাম। আমি নিজে ও অনেক বন মোরগ দেখিছিলাম, আমার নানার বাড়ির থেকে ২০০-২৫০ গজের মাঝেই ছিল বন, এখন আর বন নাই ঐখানে- আপসোস।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৪৪

অগ্রপথিক... বলেছেন: জীব বৈচিত্র রক্ষা কার সকলের দায়িত্ব।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১১

বোরহান উদদীন বলেছেন:
রাইট

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট বোরহান।

এক্কেবারে ছোট্ট বেলায় প্রথম খাই (রামগড়ে)।

পরে মাঝে মাঝে খেয়েছি। শেষ বার আশির প্রথম দিকে (বান্দরবনে)।

একজোড়া বাচ্চা মোরগ-মুরগী পেলেছিও অনেক আগে। একটু বড় হতেই দুটোই পালিয়ে যায় উড়াল দিয়ে।

তবে মাংস খুবই শক্ত-লোহার কাছাকাছি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৭

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ত্রিশোনকু ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৬

তৌফিকতুহিন বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।আমার এ ধরনের তথ্য বেশ ভাল লাগে।ইদানিং সামুতে অনেক অপ্রয়োজনীয় পোস্ট আসছে।ব্লগে কারো কাজে লাগে না,এমন পোস্ট করাই উচিত না।আপনার কাছ থেকে অনেকে শিক্ষা নিতে পারে।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৮

বোরহান উদদীন বলেছেন:
তুহিন ভাই থ্যাংকস উৎসাহিত করার জন্য।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ৩:১৯

মোক্তারুজ্জামান বলেছেন: এরপর প্রকৃতির প্রতিশোধে বিলুপ্ত হবে এ দেশের মানুষ।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৩:৪৫

বোরহান উদদীন বলেছেন:
হ্যাঁ ভাই এতদিন পর এই পোস্ট টি আপনি দেখলেন কি ভাবে।
এই পোস্টটি কারো প্রিয়তে ও ত রাখা নাই, এই জন্য বলছিলাম আর কি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.