নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় বা সফল হবার কোন শর্টখাট রাস্তা নেই

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৭

একদিন সকালবেলা মধুমিতা সিনেমা হলের সামনের রাস্তা ধরে খালি পায়ে খোড়ায় খোড়ায় হাঁটছি আমি। প্রচণ্ড ভিড়ে মানুষের চাপ আর ধাক্কা-ধাক্কিতে পায়ের জুতা জোড়া কোথায় হারিয়েছে আর খুঁজে পাই নি। জুতা গেছে যাক, পরে না হয় কেনা যাবে কিন্তু "পা" গেলে কোথায় পাবো? উম্মাদনা আর উত্তেজনায় ভরকরা অসংখ্য "পা" আমার পায়ের পাতা মাড়িয়ে পিষে গেছে।

হৃদয়জুড়ে হাহাকার। ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকতে পারলাম না। পারলে হয়তো মতিঝিলের মতো জায়গায় কোন একদিন আমার একখণ্ড জমি হতো। শুধু আমার নয়, আমার কাছের আত্মীয় স্বজনদেরও হতো। একটি নতুর গাড়ি হতো। বাড়ি হতো। আরো কতো কি...।

আহা আফসোস! বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছেলের বুক ভেঙ্গে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।

ঘটনার কদিন আগে এক ওস্তাদ বলেছিলেন, "ভাই সকল, আপনাদের যদি রাজধানীর মতিঝিলে এক খণ্ড জমি দিয়ে বলা হয়, এটি আপনি কাউকে দিয়ে দেন, তবে আপনি কাকে দিবেন? নিশ্চয় ই আপনার আপনজন কে। নিশ্চয় ই একদম কাছের কাউকে।"

আমরা সমস্বরে বলে ছিলাম, "জি ওস্তাদ, তাই করবো। আমি আমার বাবা, মা, ভাই, বোন কে আগে দিবো।"
ওস্তাদ বললেন, "দিয়েও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তারপর কাকে দিবেন?"

"তারপর, মামা, ফুফা, চাচা, ফুফু, খালা যারা আছেন তাদের কে দিবো।"

ওস্তাদ বললেন,"গুড ভেরি গুড। আমরাও চাই সুযোগ থাকলে আপনি সেটা আগে আপনার কাছের জনকে দেন।"

ওস্তাদ আবার বললেন, "আপনাকে যদি চান্দের দেশে পাঠানো হয় আর সাথে একজনকে সঙ্গী হিসেবে নিতে হয় তবে কাকে নিবেন?"
কেউ একজন আমতা আমতা করে বলল, "ওস্তাদ আমার গার্লফেন রে নিমু"

ওস্তাদ মহা খুশি। তিনি হেসে বললেন, "আমরাও তাই চাই, আপনি আপনার প্রিয় মানুষটা কে নিয়ে চান্দের দেশ ঘুরে আসুন"।"

খোঁড়াতে খোঁড়াতে নটরডেম কলেজের সামনের ফুটপাতে এসে বসে পড়লাম। ফাদার বেঞ্জামিন কে দেখলাম, ভিতর থেকে গেটের বাইরে আসছেন। ছুটির দিন হলেও কোন কাজে এসেছেন বোধহয়।

কাছে গিয়ে সালাম দিলাম। পরিচয় দিলাম, আমি সাবেক ছাত্র। ফাদার খালি পা সমেত আমাকে দেখে বিষয় জানতে চাইলেন। আমি বিষয় বললাম।

ফাদার সেদিন বলে ছিলেন,"বাবা রে বড় হবার জন্য কোনদিন শর্টখাট রাস্তা খোঁজবা না। বড় হবার কোন শর্টখাট রাস্তা নাই।"

কথাটা আজও আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে। বড় বা সফল হবার কোন শর্টখাট রাস্তা নেই। কেউ যদি কাউ কে শর্টখাট রাস্তা দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে তার ভিতরে ঘাপলা আছে শতভাগ।

খালি পায়ে আমি বাসায় ফিরে এলাম। ফাদারের কথা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো। জীবনে কখনো আর কোন ওস্তাদের শর্টখাট ফর্মূলা শুনতে যাই নি আমি।

সেদিন মধুমিতা সিনেমা হলের পাশের এক গলিতে ডেসটিনি'র ট্রেনিং ছিল। বিদেশ থেকে কোন এক ওস্তাদ শর্টখাটে বড় হবার আর বাড়িতে শুয়ে বসে আরামসে ফিউচার লাইফ কাটানোর ফর্মূলা দিতে এসে ছিলেন।

আজকে প্রতারক রফিকুল আমিন, যে কিনা জেলখানাতে বসেও জুম মিটিং করছে। একসময় ডেসটিনির কর্মীরা যাকে নবী-রাসূল এর মতো করে (নাউ যুবিল্লাহ) মানতো। সেই প্রতারকের কারনে গ্রাম বাংলার কতো বোনের সংসার ভেঙ্গেছে। কতো যুবক, কতো বাবা তাদের সহায় সম্বল হারিয়েছে। তার মিথ্যা প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে কতো শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন ছেড়ে দিয়ে ভবঘুরে হয়েছে- তার সঠিক হিসাব নেই।

তখনো কিছু কুলাঙ্গার প্রতারক রফিকুল আমিন কে সহযোগিতা করেছে। এখনো তেমন ই কিছু রাষ্ট্রীয় কুলাাঙ্গার তাকে সহযোগিতা করে চলেছে। জেলখানায় বসে ই সে বুনে চলেছে পরর্বতী কোন প্রতারণার ফাঁদ। এইসব কুলাাঙ্গার ও প্রতারকদের সহযোগীর অভাব হয় না কোন কালে...।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
'আপনি আমি না পেলেও রফিকূল আমিনরা
ঠিকই বড় হবার শর্টখাট রাস্তা পেয়েছেন এখনো
সেই রাস্তায় হাটছেন !!

২| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১:০২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আমার কাছেও এসেছিল লোভনীয় প্রস্তাব। খুবই দ্রুত নিজস্ব বিমান হবে, বান্দরবানে বাগান হবে। এসব কোন প্রস্তাব-ই গ্রহণ করেছিলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.