![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকালকে একটা পরীক্ষা আছে।হঠাৎ করে পরীক্ষার ডেট পরায় পুরাই মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে।একইতো কিছুই পড়াশুনা পারিনা,তার উপর পরীক্ষার যে বিষয় তার বইটাই এখন পর্যন্ত কেনা হয়নি।বাধ্য হয়ে সিনিয়রদের কাছে ধরনা দিলাম বই সংগ্রহের জন্য।কিন্তু কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে হতাশ হয়েই রুমে ফিরলাম।কোন উপায়ন্তু না দেখে আবশেষে আমার 'বিশেষ বন্ধু' র কাছে ফোন দিলাম সাহায্য চাইতে।বল্লাম, যে করেই হোক আমাকে দুইটা বই সংগ্রহ করে দাও।তানাহলে আগামীকালকে স্যারের কাছে এ মুখ নিয়ে যাওয়ার আর কোন উপায় থাকবেনা।ও দুইটা বই চাওয়ার কারন হল আমার রুমমেটেরও একই আবস্থা।তাই ওর জন্যো একটা চাইলাম।তো আমার সেই 'বিশেষ বন্ধু' আমাকে আশ্বস্ত করএ বলল যে সে খেজে দেখছে।তারপর সে কিছুক্ষণ পরে ফোন দিয়ে জানালো যে বইয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেছে।উনার এই কথাখান সোনার সাথে সাথে আল্লাহকে একটা বড় ধন্যবাদ দিলাম যে এমন এক 'বিশেষ বন্ধু ' জোটানোর জন্য।
এরপর সে বইদুটো তার কাছ থেকে এসে নিয়ে যেতে বলল।আর জানতে চাইল ডিনার খাওয়া হয়েছে কিনা??আমি বললাম যে না এখনো হয়নাই।তারপর সে বলল 'আমি তোমার জন্য নিজ হাতে গরুর মাংস রান্না করেছি,যখন আসবা ঐটাও নিয়া যাইও।কালকে তোমার পরীক্ষা তাই আগে বলিনাই আসতে পারবানা বলে।তাই পরে দিতে চাইছিলাম।কিন্তু এখন যখন আসতেই আছো তাই এটা দিয়াই আজকে খাবা।'আমি তো শুইনা পুরাই টাশকিতো।চাইলাম দুইটা বই,আর এ এখন পুরা রাতের ডিনারের ব্যাবস্থা করে দিতাছে।যাইহোক,মনে মনে আবারও আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম।তাইলে আমার পরীক্ষার ভাগ্যটা মন্দনা এই বলে তার উদ্দেশ্য রওনা করলাম।তার কাছে যাওয়ার আগে ক্যান্টিন থেকে আমাদের দুই রুমমেটের জন্য রুমে ভাতেরআর্ডার করে গেলাম।বিশেষ ববন্ধুর হাতের রান্না করা কখাবার কখাব,তাই ততর সইছিলোনা। তারপর তার কাছে গেলাম এবং সে আমাকে দুটো বই এবং একটি হটপট ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
আমি বই এবং হটপট সহ রুমে এসে দেখি ক্যান্টিন থেকে খাবার এসে গেছে।জলদি হাত-মুখ ধুয়ে দুজনে মিলে খেতে বসলাম।হটপট খুলে দেখলাম যতখানি কাল ভুনা সে দিছে তাতে দুজনের দিব্যি খাওয়া হয়ে যাবে।দেরিনা করে দিজনের প্লেটে মাংস নিয়া খাওয়া স্টার্ট করলাম।প্রথম পিস খাইলাম,ভালই লাগলো,দ্বিতীয় পিস খাইলাম কেমন যেন একটু লাগল।আমিরুমমেটের দিকে তাকাইয়া দেখি সে দিব্যি খাইতেছে।তারপর তৃতীয় পিস মুখে দিলাম তখন মনে হইল আসলেই কিছু একটা গড়বড় আছে।চার নাম্বার পিস উঠাইয়া মুখে দিয়া বুঝতে চেষ্টা করলাম আসল গড়বড় টা কোথায়।অতঃপর বুঝতে পারলাম কাহিনী কি হইছে।আমি আবার আমার রুমমেটের দিকে তাকাইলাম।দেখি সে কোন কিছু আমলে না নিয়া প্লেটের সব ভাত আর হটপটের সব মাংস বেশ তৃপ্তির সাথেই সাবার করিতেছে।মাঝখানে সে আরও ভাত আনার জন্য আর্ডার করল।আমি বুঝতে পারলাম তার মাথায় যথেষ্ট টেনশন এবং পেটে ব্যাপক ক্ষুধা আছে।তাই রান্নার এই সুক্ষ্ম ত্রুটি সে কোন আমলেই নিচ্ছেনা।যাইহোক আমি অতঃপর প্লেটে নেওয়া বাকি সুস্বাদু মাংসগুলো আমার 'বিশেষ বন্ধুর' কথা স্মরণ করে খেয়ে সাবার করলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভরা পেটে পড়াশুনায় মনযোগ দিলাম।মাঝে মাঝে পেটের মধ্যে কালো ভুনা খাওয়ার আওয়াজ টের পাচ্ছিলাম।এমন সময় শুরু হল ঝুম বৃষ্টি। মনটা একটু অন্য দিকে টার্ন করল।তাই ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে বসলাম
'আজিকে বাহিরে ক্রন্দন,
ছল ছল জলধারে
বেনু বনে বায়ু নাড়ে এলোকেষে
মন যেন চায় কারে--।'
কিছুক্ষণ পরে দেখিলাম আমার সেই 'বিশেষ বন্ধু' র ফোন।রিসিভ করার সাথে সাথেই বলল 'তোমার মন কাকে চাচ্ছে?'এতক্ষণ কালোভুনা খাওয়ার আওয়াজ পাচ্ছিলাম বলে নাকি অবচেতন মনেই সাথে সাথে তারে বললাম 'লবন দেওয়া গরুর কথা মনে পরছে গো'।অতঃপর কি হল তা আর নাই বল্লাম।কিন্তুএখনও পেটেরমধ্যে সেই লবন দেওয়া গরু/লবনাক্ত গরুর কালোভুনার আওয়াজ একটু একটু পাওয়া যাচ্ছে।তবে তাকে আমি সত্যি আঘাত দিতে চাইনি।মুখফসকে বলে ফেলেছি।আল্লাহই জানে পরিনাম কি হয়।তবে লবনাক্ত হোক আর যাই হোক রান্না ভালই হইছিলো।আর রান্নার মধ্যে তার ভালবাসা তো মিশে ছিলোই।
আসল কথা হচ্ছে,সে এই বিশেষ রান্নাটা বিশেষ মানুষের জন্য করতে গিয়ে মেইন রেসিপির সাথে আরও অধিক কিছু মসলা আর পরিমান মত লবন দেওয়ার পরও টেস্টিং সল্ট দিতে গিয়া উক্ত নতুন রান্নার (লবনাক্ত ককালো ভুনা)আবিষ্কার করে ফেলেছে।তবে যতখানি বললাম ততখানি লবনাক্ত হয়নি আরআর আমার খেতে কষ্ট হলেওএটা কি করে খেতে হয় তাও আমার রুমমেট তা দেখাইয়া দিছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১
ভুলস্রোতের মাঝি বলেছেন: এইসব হইলো আবেগের বিষয়।তাই সেনসেশনে একটু ডিলে হয় আরকি।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হে হে ......বিশেষ বন্ধু???
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
ভুলস্রোতের মাঝি বলেছেন: ঐ আর কি ।ঐ রকমেরি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩২
ডি মুন বলেছেন: আপনিও তো মশাই সহজে কিছু টের পান না দেখতেছি , চার পিস মাংস
খাওয়ার পর টের পাইলেন লবণ বেশি হইছে।
খাওয়ারও খাইলেন আবার বদনামও গাইলন। এইডা কিছু অইলো